সর্দারঃ এক সপ্তাহ ধরে একটি মেয়ে আমাকে ভীষণ জ্বালাতন করছে। আমি যেখানেই ফোন করি, ওই মেয়েটা যে কোত্থেকে চলে আসে কে জানে। ফোন ধরেই আমাকে বলে, ‘প্লিজ, রিচার্জ ইউর মোবাইল’।
এক সর্দার দুটি সুইমিং পুল বানিয়েছে। তার একটার মধ্যে পানি দিয়ে ভর্তি করলেও আরেকটা পানি ছাড়াই রেখে দিয়েছে। তার কাছে বিষয়টা জানতে চাইলে সে বলল, ‘একটা হচ্ছে যারা সাঁতার জানে তাদের জন্য, আর পানি ছাড়াটা হচ্ছে যারা সাঁতার জানে না তাদের জন্য।’
ক্লাসে শিক্ষক যতক্ষণ ব্ল্যাকবোর্ডে লিখলেন প্রথম বেঞ্চের এক সর্দারের ছেলে মনোযোগ দিয়ে সব নোট খাতায় নিয়ে নিল। কিন্তু যখন শিক্ষক ডাস্টার দিয়ে ব্ল্যাকবোর্ড মুছে ফেললেন তখন সেও তারা খাতার পাতাটি ছিঁড়ে ফেলে দিল।
রামবাবুর সাথে গল্প করতে করতে গোপালের খুব তেষ্টা পেয়েছে। সে ওর ভৃত্যকে ডেকে ঠাস ঠাস তিনটে চড় লাগিয়ে দিয়ে বলছে, ‘যা এক ঘটি জল নিয়ে আয়! ঘটি যেনো না ভাঙে।’ ব্যাপার দেখে রামবাবু বলছে, ‘গোপাল, ঘটি ভাঙার আগেই ওকে চড় মেরে বসলে যে?’ গোপাল জবাব দিচ্ছে, ‘আরে ভেঙে ফেলার পর মেরে কি আর লাভ আছে? এর চেয়ে আগেই মেরে দিলাম। সাবধান থাকবে।’
গোপাল বেয়াই-বেয়াইনের সাথে বেড়াতে গিয়ে এক ঝোপের আড়ালে প্রস্রাব করতে বসেছে। বেয়াই বলছে, ‘গোপাল উত্তর দিকে মুখ করে প্রস্রাব করছো, ওদিকে মুখ করে প্রস্রাব করা শাস্ত্রে মানা আছে।’ আবার বেয়াইন বলছে, ‘দক্ষিণ দিকে মুখ করে প্রস্রাব করাও শাস্ত্রে মানা।’ শুনে গোপাল বলছে, ‘আমরা ছোট মানুষ, বেয়াই যেই মুখ বললেন সেই মুখেও প্রস্রাব করি, আবার বেয়াইন যেই মুখ বললেন সেই মুখেও করি।’
একদিন হোজ্জা গাধার পিঠে লবণ বোঝাই করে বাজারের দিকে রওনা দিলেন। পথে একটা নদী পড়ল। গাধাসহ নদী পার হলেন। কিন্তু নদীর পানিতে লবণ গলে একাকার। পণ্য হারিয়ে হোজ্জা বিরক্ত। গাধা তো মহা খুশি বোঝা থেকে বেঁচে গিয়ে। এর পরেরবারও হোজ্জা ওই পথ দিয়ে গেলেন, তবে এবার তুলা বোঝাই করে। গাধা যখন নদী পার হলো তখন তুলা ভিজে ওজন বেড়ে গেল। গাধা ওজনদার মাল নিয়ে টলমল পায়ে এগিয়ে যেতে লাগল। ‘হাহ্!’ হোজ্জা চেঁচিয়ে বললেন, ‘ভেবেছিলি প্রতিবার পানি দিয়ে গেলে পিঠের ওপরের মালের ওজন কমে যাবে, তাই না?
একদিন এক গার্ড দেখল হোজ্জা তাঁর শোয়ার ঘরের জানালা খুলে বেরিয়ে আসতে চাইছেন। তখন ছিল গভীর রাত। ‘কী করছেন আপনি হোজ্জা? এভাবে বাইরে আসতে চাইছেন কেন?’ ‘হিস্স্স্! ওরা বলে আমি নাকি ঘুমন্ত অবস্থায় হাঁটি। সেটা দেখার জন্যই চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
এক তুর্কোমানের ষাঁড় হোজ্জার বাগানের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢুকে তছনছ করে দিয়ে মালিকের কাছে ফিরে গেল। হোজ্জা পুরো ব্যাপারটা লক্ষ করলেন, তারপর একটা বেত নিয়ে বেরিয়ে এসে ষাঁড়টাকে পেটাতে শুরু করলেন। ‘কোন সাহসে আমার ষাঁড়কে আপনি পেটাচ্ছেন!’ তুর্কোমান চেঁচিয়ে বলল। ‘কিছু মনে করবেন না আপনি’, হোজ্জা বললেন, ‘ও পুরো ব্যাপারটা জানে। এটা ওর আর আমার ব্যাপার!’
‘আমি যখন মরুভূমিতে গিয়েছিলাম তখন আমার কারণে একটি বেদুইন গোষ্ঠী দৌড়ের ওপর ছিল।’ একদিন হোজ্জা বললেন সবাইকে গর্বের সঙ্গে। ‘কিন্তু কীভাবে?’ ‘একেবারে সহজ। হঠাৎ ওদের সামনে দিয়ে যেই দৌড় লাগিয়েছি, অমনি পুরো দলটা আমার পিছু পিছু দৌড় লাগাল, ব্যস।’