What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (1 Viewer)

আমার বান্ধবী অনামিকা। সে একদিন উপবৃত্তি না কিসের জানি একটা ফরম পূরণ করছিল। ফরমের একটা বিষয় ছিল ‘বৈবাহিক অবস্থা’। আমার বান্ধবীর তখন বাড়ি থেকে বিয়ে দেওয়ার কথাবার্তা হচ্ছিল। তাই অনামিকা বৈবাহিক অবস্থার স্থানে লিখল ‘কথাবার্তা চলছে’। ওর লেখা পড়ে হাসতে হাসতে আমাদের চোখে পানি চলে এল।
 
তখন আমি দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ি। আমার এক ক্লাসমেটের বাড়ি অন্য এলাকায় কিন্তু ওর নানুবাড়ি আমাদের বাসার পাশে। ও প্রায়ই নানুবাড়ি আসত। আমাদের সঙ্গে খেলত। একদিন সকালবেলায় ওর হাঁটুর একটু নিচে ব্যান্ডেজ দেখে কী হয়েছে জানতে চাইলাম। ও বলল, ওদের এলাকায় পাগলা কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। একটা পাগলা কুকুর কামড় দিয়েছে। আফসোস করলাম। ঘণ্টাখানেক আমাদের সঙ্গে থেকে ও ওর বাড়ি চলে গেল। বিকেলে আবার এল। ওই পায়েই আগের ব্যান্ডেজের নিচে আরেকটা নতুন ব্যান্ডেজ দেখে অবাক হলাম। কারণ জানতে চাইলাম। লাজুক হেসে বলল, এখান থেকে ফেরার পথে ওই পাগলা কুকুরটাই আবার…
 
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হব এবার। অর্থনীতিতে পড়তে চাই। শুনেছি বিষয়টা খুব কঠিন! : মোটেই কঠিন না। আবার খুব কঠিন। মানে, অর্থনীতিতে যা পড়ানো হয়, তা সবই আমাদের চেনা-জানা বিষয়। তবে যেভাবে এবং যে ভাষায় পড়ানো হয়, তা আমাদের জন্য খুব কঠিন। আর তাই আমরা সহজে বুঝতে পারি না।
 
কে বেশি বিচক্ষণ, তা নিয়ে তর্ক চলছে বানর আর তোতাপাখির মধ্যে। বানর বলল, ‘অবশ্যই আমি বেশি বিচক্ষণ। লক্ষ করে দেখো, দেখতে আমি প্রায় মানুষের মতো। মানুষের মতো হাঁটতেও পারি। সবচেয়ে বড় কথা, মানুষের উৎপত্তি হয়েছে আমাদের থেকে।’ ‘তা না হয় বুঝলাম,’ বলল তোতাপাখি, ‘কিন্তু আমি তো মানুষের মতো কথা বলতে পারি। তুমি পারো?’ ‘পারি না মানে! এতক্ষণ ধরে আমি কী করলাম?’
 
নেকড়ের সঙ্গে দেখা খরগোশের। খরগোশ বলল, ‘তোমার বউটা যা সুন্দরী!’ নেকড়ে বলল, ‘তোমার বউটা যা সুস্বাদু!’
 
টেলিফোন বেজে উঠল পুলিশ অফিসে। রিসিভার তুলতেই শোনা গেল, ‘বাঁচান! বাঁচান!’ ‘এক্ষুনি রওনা হচ্ছি। কী হয়েছে, বলুন।’ ‘ঘরে বেড়াল ঢুকেছে,’ উত্তর এল অপর প্রান্ত থেকে। ‘এই ফালতু কারণে পুলিশকে কেউ জ্বালাতন করে! কে আপনি?’ ‘তোতাপাখি।’
 
টেলিফোন বেজে উঠল পুলিশ অফিসে। রিসিভার তুলতেই শোনা গেল, ‘বাঁচান! বাঁচান!’ ‘এক্ষুনি রওনা হচ্ছি। কী হয়েছে, বলুন।’ ‘ঘরে বেড়াল ঢুকেছে,’ উত্তর এল অপর প্রান্ত থেকে। ‘এই ফালতু কারণে পুলিশকে কেউ জ্বালাতন করে! কে আপনি?’ ‘তোতাপাখি।’
 
শেয়াল ধরেছে মুরগিছানাকে। বেচারা কেঁদে-কেটে একাকার। খুব অনুনয়-বিনয় করে সে বলল, ‘আমাকে ছেড়ে দাও, শেয়াল ভায়া। আমি আমার বাবা-মাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে তোমার কাছে নিয়ে আসব।’ শেয়াল হিসাব করে দেখল, পুঁচকে এই মুরগিছানাকে খাওয়ার চেয়ে বড় দুখানা মোরগ-মুরগি খাওয়া ঢের লাভজনক। সে ছেড়ে দিল মুরগিছানাকে। ছাড়া পেয়ে একছুটে দূরে গিয়ে বলল সে, ‘শেয়াল ভায়া, আমি তোমাকে ঠকিয়েছি। আমার বাবা-মা নেই। আমার জন্ম ইনকিউবেটরে।’
 
মুরগি ধরে খেয়ে ফেলার অভিযোগে খ্যাঁকশিয়ালির ডাক পড়েছে আদালতে। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সে জোর গলায় বলল, ‘আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমার উপযুক্ত প্রমাণ আছে। অন্যতস্থতার (alibi) প্রমাণ।’ ‘কী সেটা?’ ‘ঘটনা ঘটার সময় আমি ছিলাম অন্য মুরগির ঘরে।’ ‘আপনার বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণের জন্য সাক্ষী প্রয়োজন। কোনো সাক্ষী আছে আপনার?’ ‘সাক্ষীকে তো খেয়ে ফেলেছি!’ বলল খ্যাঁকশিয়ালি।
 
পত্রবাহক কবুতর এবং কাঠঠোকরার সংকর করলে কী পাওয়া যাবে? —এমন এক পাখি, যা চিঠি পৌঁছে দিতে গিয়ে দরজায় টোকা দিতে পারবে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top