What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (1 Viewer)

আমার পাশের বাসার আন্টির পিচ্চি। নাম পল্লবী। বাবার কাছে বায়না ধরেছে, পুতুলের জন্য শাড়ি কিনে দিতে হবে। আঙ্কেল বললেন, ‘তুমি তোমার চাচার সঙ্গে দোকানে যাও। পছন্দমতো কাপড় নিয়ে এসো। দাম চাইলে বলো, আমি দেব।’ বাসার সামনেই দোকান। পল্লবী ছোট এক টুকরা কাপড় নিয়ে দাম জানতে চাইল। দোকানি আদর করে বলল, ‘দাম অনেক, তবে টাকা নয়, একটা চুমো দিতে হবে।’ পল্লবী বলল, ‘ঠিক আছে, আব্বু এসে দিয়ে যাবে।’ পল্লবীর চাচা তো রেগে আগুন, আবার বেশ লজ্জাও পেলেন। দোকানিও লজ্জায় লাল হয়ে গেল।
 
আমার বয়স তখন পাঁচ কি ছয়। খালামণি বাসায় বেড়াতে এসেছেন। যাওয়ার সময় তিনি আমার হাতে ১০০ টাকার একটা নোট দিয়ে বললেন, ‘বড় আপুদের দুজনকে দুটি কোক (কোকাকোলা) কিনে দিয়ে বাকি টাকা তুমি নেবে।’ খালামণি যেতে না-যেতেই মেজো আপু দোকানের উদ্দেশে ছুটছেন। বড় আপু ওকে বলল, ‘আমার জন্য নরমাল আনিস।’ তখনই বাধল গোল। আমি চেঁচিয়ে বললাম, ‘না, কেন! নরমাল খাবি কেন? নরমালের দাম কত?’ আমি ভেবেছিলাম, নরমাল বোধহয় আরেকটা ব্র্যান্ডের নাম, যার দাম কোকাকোলার চেয়ে বেশি।
 
আমার মামাতো ভাইয়ের নাম ‘শিথিল’। মহা ট্যাটন। ছোট্ট শিশু অবস্থা থেকেই তার আচরণ, মুখভঙ্গি এবং কথা বলার ধরন আমাদের বিস্মিত করত। একবার এক ভিক্ষুক দরজায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষা চাইছে। শিথিল তার মায়ের কাছ থেকে এক টাকার একটা কয়েন এনে ফকিরকে দিয়ে বলল, ‘এবার সোজা বাড়ি!’
 
পাড়ায় বিল্টু চাচার সঙ্গে আমার খুব ভাব। সারা দিন একসঙ্গে ঘুরি। চাচাকে এটা কী, ওটা কী জিজ্ঞেস করে অতিষ্ঠ করে দিই। একদিন রাতে বাড়িতে আব্বুর সঙ্গে কাজ করছি। একটা জিনিস দেখিয়ে আব্বুকে বললাম, ‘চাচা, ওটা দিন তো!’ আব্বু অদ্ভুত চোখে আমার দিকে তাকাতেই আমার জিভে কামড়। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলাম।
 
ছোটবেলায় মামাবাড়ি গেছি। একদিন দেখি মামার জামা আলনায় ঝোলানো। তো যথারীতি টাকা পাওয়ার আশায় আমি পকেটে হাত ঢোকালাম, দেখি অনেকগুলো টাকায় ভর্তি পকেট। ভেবে পাই না কোনটা রেখে কোনটা নেব। তখন বুদ্ধি করে টাকাগুলো মেপে দেখলাম, যেটা বড়, সেটা নিলাম। তারপর দে ছুট দোকানে।
 
এক বাচ্চারোগীকে ডাক্তার মূত্র পরীক্ষার পরামর্শ দিলেন। নার্স বাচ্চাটিকে একটা টেস্টটিউব দিয়ে বললেন, ‘টয়লেটে গিয়ে এটা ভর্তি করে আনো।’ বাচ্চাটি কিছুক্ষণ পর হাসিমুখে টয়লেট থেকে বেরিয়ে নার্সকে খালি টেস্টটিউবটি দিয়ে বলল, ‘এটার দরকার পড়েনি। ভেতরে বড় একটা কমোড আছে।’
 
বিশ্বকাপে পাকিস্তান আর অস্ট্রেলিয়ার খেলা চলছিল। বাস জ্যামে আটকে আছে। সবারই মেজাজ খারাপ। এর মধ্যে মোবাইল ফোনে জোরে জোরে কথা বলে এক লোক বিরক্তির মাত্রা আরও বাড়াচ্ছিলেন। তাঁর কথার আওয়াজে আমরা খেলা নিয়ে আলোচনাই করতে পারছিলাম না। আমাদের কথা শুনে হঠাৎ লোকটা বললেন, ‘আচ্ছা, খেলা কোথায় হচ্ছে?’ মেজাজ খারাপ ছিল, তাই বললাম, ‘খেলা মাঠে হচ্ছে।’ উনি রেগে বললেন, ‘খেলা তো মাঠেই হবে, মাঠ ছাড়া কোনো খেলা হয় নাকি?’ বললাম, ‘হবে না কেন? দাবা, লুডু, ক্যারম, সাঁতার—এই খেলাগুলো কি মাঠে হয়?’ উত্তর শুনে লোকটা একেবারে ঝিম মেরে গেলেন।
 
মেহেদিকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসতে বলেছিলাম। সে কল করল, ‘আমি তো স্মৃতিসৌধের সামনে, তুই কই?’ ওকে দেখতে না পেয়ে বললাম, ‘আমিও তো স্মৃতিসৌধের সামনে, তুই কই?’ এরপর পুরো স্মৃতিসৌধ একবার চক্কর দিয়েও ওকে খুঁজে পেলাম না। আবার কল করে ঝাড়ি দিতেই ঘটনা পরিষ্কার হয়ে গেল। আমি ওকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসতে বলেছি, গাধাটা রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গিয়ে বসে আছে! হায়রে পাবলিক।
 
জামাল সাহেব প্রায়ই তাঁর ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড ভুলে যান। কত বললাম, ‘পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারেন না, তাহলে দেওয়ার দরকার কী?’ তবু তিনি পাসওয়ার্ড দেবেনই। তাই তাঁকে বললাম, একটা ছোট ডায়েরিতে পাসওয়ার্ডটা লিখে রাখতে। বুদ্ধিটা তাঁর বেশ পছন্দ হলো। পরদিন তিনি আবার পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেন। তাঁকে ডায়েরির কথা মনে করিয়ে দিতেই করুণ মুখে বললেন, ‘যে ডায়েরিতে পাসওয়ার্ডটা লিখেছি, সেটা আনতে ভুলে গেছি।’
 
জীববিজ্ঞান ক্লাস চলছিল। লেকচার দিতে দিতে স্যার হঠাৎ খেয়াল করলেন, কামরুল ঘুমাচ্ছে। তিনি ধমক দিয়ে বললেন, ‘ওই কামরুল! ঘুমাচ্ছিস কেন?’ কামরুল লাফ দিয়ে উঠে বলল, ‘ঘুমাচ্ছি না, স্যার।’ স্যার বললেন, ‘তাহলে বলো, টিস্যু কত প্রকার?’ একটু ভেবে কামরুল বলল, ‘স্যার, টিস্যু দুই প্রকার— ফেসিয়াল টিস্যু আর টয়লেট টিস্যু!’
 

Users who are viewing this thread

Back
Top