What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি - ২০২৪ (23 Viewers)

কাটা নয়, জুড়ে দেয়াই আমার কাজ আর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এ প্রসঙ্গে অনেক আগের একটা ঘটনা মনে পড়লো। ইন্টার্নশীপ করছি তখন। সার্জারী ডিপার্টমেন্টে নাইট ডিউটি করছি, একা। রাত প্রায় ২টা। এক ২২-২৪ বছরের তরুণ এলো হাতে কাটা কান নিয়ে। ওয়ার্ডবয়কে সাথে নিয়ে একলাই ঢুকে গেলাম ওটিতে। কিন্তু কিছুতেই জোড়া লাগাতে পারছিনা। কারণ যতবার যতভাবেই চেষ্টা করি সেলাই করে সুতায় গিঁট দিলেই কান কেটে ছুটে যাচ্ছিল বার বার। কারণ কানের চামড়া ও হাড় এতই নরম আর পিছলা যে ওই সুতার ওজনটুকুই নিতে পারছিলো না। জিদ চেপে গেল। ছেলেটিকে বল্লাম তুই বাবা ভরসা রাখ আর একটু কষ্ট সহ্য কর। বাইরে এসে একটা বিড়ি ধরালাম। নিজেকে শান্ত করে আবার আরো মনোযোগে কাজে লেগে গেলাম। শেষে কিভাবে কিভাবে যেন হয়ে গেল প্রায় ৩ ঘন্টার চেষ্টায়। সকালে রাউন্ডে এসে সার্জারীর প্রফেসর আর ইএনটির প্রফেসর সেই ঝাড়ি আমাকে। আজাইরা কেন সেলাই দিতে গেলাম, কারণ কানে সেলাই টিকে না, তাও আবার লতির ওখানে। বলে ওই কান জোড়া লাগার নয়, জোড়া লাগাতে নেই। কিন্তু তারা ব্যান্ডেজ না খুলে ৭ দিন পর দেখবে বলল। তো ৭ দিন পর তারা খুলে চেক করে আমাকে খুঁজে। আমি তো হসপিটালের ত্রিসীমানায় নাই। মোড়ে বসে বিড়ি ফুঁকছি। ধরে নেয়া হলো। দুই স্যার জড়িয়ে ধরলেন, কি করেছিস তুই! এত ভালো রিপেয়ার আমরাও করতে পারতাম না! আমার দুচোখে তখন জলের ধারা। বলাবাহুল্য, দুই মাস পর ফাইনাল ফলোআপে ওর কান দেখে বুঝাই যায়নি যে ওখানে কিছু হয়েছে। ওই ছেলের দুচোখে যেই ভালোবাসা দেখেছি, পৃথিবীর কোন কিছুই তার কাছে মূল্যহীন। আফসোস, এখন আর প্র্যাকটিস করি না। এত কিছু বলে নিজেকে জাহির করছি না, শুধু এটাই বলতে চেয়েছি মানুষ চাইলে সব করতে পারে। প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস আর একাগ্রতা। সাথে ভাগ্যের সহায়তা। আমি আসলেই ভয়ংকর মামা, নিজেকে নিজেই ভয় পাই...
আপনাকে অনেক অভিনন্দন।
 
আমি আসলেই ব্যাপারটা জানতাম না, মামা !
উত্তরবঙ্গের ওইদিকে মফিজ একটা গালি বা কাউকে হেয় করতে বলা হয়। মানে হলো যার মাথায় কিছু নাই, ওই বলদ কিসিমের। তো পুরো এলাকার মানুষকে এটা বলে ছোট করা হয়। এরকম বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষদের বিভিন্ন নামকরণ আছে। যদিও ব্যাপারটা আমার পছন্দ নয়।
 
অবস্থা দৃস্টে তো সেরকমই মনে হয় !
তবে কোভিডের ভেক্সিন খুব দ্রুত বের করতে হয়েছিলো বিধায় এরকম কিছু ত্রুটি থেকে যেতেই পারে।
এটাকে ঠিক ভেজাল বলা যাবে না।
অসম্পূর্ণ গবেষনার ফসল বলা যেতে পারে...
মানুষের যে কোন ওষুধ বাজারে বের করার আগে Double blind statistical analysis হয় শুনেছি। অথচ Physics/Chemistry ইত্যাদিতে Double blind সাধারণত করা হয় না। শুনেছি Medical Science এ Human interference জনিত error দূর করার জন্যই এটা করা হয়। তাই আমার প্রশ্ন Double blind statistical analysis এ পাস করার পরেও এরকম side effect হয় কী করে? নাকি এক্ষেত্রে কোন trial ছাড়াই ভ্যাকসিন ছাড়া হয়েছিল? "Medicine mafia" শব্দটা কিন্তু বাজারে বেশ শোনা যায়। ফিসফিসমামা এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই অনেক বেশি আলোকপাত করতে পারবেন।
 
মানুষের যে কোন ওষুধ বাজারে বের করার আগে Double blind statistical analysis হয় শুনেছি। অথচ Physics/Chemistry ইত্যাদিতে Double blind সাধারণত করা হয় না। শুনেছি Medical Science এ Human interference জনিত error দূর করার জন্যই এটা করা হয়। তাই আমার প্রশ্ন Double blind statistical analysis এ পাস করার পরেও এরকম side effect হয় কী করে? নাকি এক্ষেত্রে কোন trial ছাড়াই ভ্যাকসিন ছাড়া হয়েছিল? "Medicine mafia" শব্দটা কিন্তু বাজারে বেশ শোনা যায়। ফিসফিসমামা এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই অনেক বেশি আলোকপাত করতে পারবেন।
যা বলেছেন কিছুটা ঠিক আছে। কিন্তু ভিতরে অনেক ব্যাপার আছে। যেটা offline ছাড়া এত বিশদ ব্যাখ্যা বেশ দুরূহ। শুধু এটুকু জানিয়ে রাখি যেকোন ঔষধ বা ঔষধদ্রব্য বাজারে আনতে ১৫-২৫ বছর গবেষণায় ব্যয় হয়। সেখানে মানবজাতিকে বাঁচাতে মাত্র ১.৫ বছরের মধ্যে এখানে vaccine আনতে হয়েছে, তাই অনেক প্রসেস short করতে হয়েছে, sort করতে হয়েছে এবং expedite করতে হয়েছে। এবং সেটা সব অথরিটির অনুমতিতেই হয়েছে। এছাড়া কোন উপায় ছিলনা। তাই অনেককিছু লুকিয়ে যাওয়া হয়েছে for the betterment of human kind. আর চিকিৎসা শাস্ত্রে একটা কথা আছে, একেবারে শেষ অস্ত্র। যখন কোন কিছুই আর করার নেই, মানুষটা অন্তত বেঁচে থাক, প্রয়োজনে কোন অঙ্গ বাদ দিতে বা ফেলে দিতে হলেও। কারণ মানুষটাকে বাঁচিয়ে রাখা গেলে অন্যান্য সমস্যার বিকল্প বা সমাধান করা যাবে।
 
আপনার নির্ঘুম রাতই তার স্বাক্ষ্য বহন করে...
চেস্টা তদবীর চলছে তো ?
দীপু মামার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে দেখতে পারেন...
অবস্থা খুবই বেগতিক মামা। আমার ডিপার্টমেন্টের কাজ সাধারণত মেগা প্রোজেক্ট গুলোতে হয়। আর বর্তমানে প্রায় সব মেগা প্রোজেক্টই বন্ধ
 

Users who are viewing this thread

Back
Top