What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি - ২০২৪ (21 Viewers)

তারমানে আপনি কলা খাওয়ান না, খান !!
সেটাই তো আমি এতদিন ধরে বলছি যে পাখি কলা খায়। আপনারা আমলেই নিচ্ছিলেন না। এবার হল তো, স্বয়ং পাখিমামা স্বীকার করলেন।
 
না, এখন না। আর এখন ভূত হওয়াও সম্ভব না। শুনেছি মানুষ মরলে নাকি ভূত হয়।
তবে মামা, ইচ্ছেটা কিন্তু দারুন। আমারও মাঝে মাঝে মন চায় যদি invisible বা hollow মানব হতে পারতাম! বা কমপক্ষে হ্যারি পটারের ওই অদৃশ্য হবার চাদরটা পেতাম!
 
পাহাড় পর্বত আমার ভীষণ প্রিয়। কিন্তু যে পাহাড়ের তলদেশে সমুদ্র আছে সেই পাহাড় যে আমার জন্য ভীষণ বিপজ্জনক। শেষ কালে পিছলে পড়লে ঠিক ডুবে যেতে হবে
তখন গাইবেন... ডুবিয়া মরিলাম, মরিয়া ডুবিলাম... ডুবে ডুবে ভালবাসি...
 
শুধু পুরুষের দোষ দিচ্ছেন কেন! আমি যখন চায়নায় গিয়েছিলাম তখন একদিন সন্ধ্যায় ফুটপাত ধরে হাটার সময় দেখি একজন রমণী কিছু একটা খাইতে খাইতে হাটতেছে। হঠাৎ ফুটপাতের পাশেই ঘাসের উপর যেয়ে অন্তর্বাস নামিয়ে বসে পড়লো মুত্র বিসর্জনের জন্য 🤪
মামা, জানেন না ব্যতিক্রম কখনও উদাহরণ হয় না। এজন্য চায়না আর নোয়াখালী কখনও উদাহরণ হয় না।
 
আপনি কি আমার একটা ডানা কেটে নেওয়ার ধান্দা করতেছেন নাকি! আপনি তো ভীষণ ভয়ংকর
কাটা নয়, জুড়ে দেয়াই আমার কাজ আর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এ প্রসঙ্গে অনেক আগের একটা ঘটনা মনে পড়লো। ইন্টার্নশীপ করছি তখন। সার্জারী ডিপার্টমেন্টে নাইট ডিউটি করছি, একা। রাত প্রায় ২টা। এক ২২-২৪ বছরের তরুণ এলো হাতে কাটা কান নিয়ে। ওয়ার্ডবয়কে সাথে নিয়ে একলাই ঢুকে গেলাম ওটিতে। কিন্তু কিছুতেই জোড়া লাগাতে পারছিনা। কারণ যতবার যতভাবেই চেষ্টা করি সেলাই করে সুতায় গিঁট দিলেই কান কেটে ছুটে যাচ্ছিল বার বার। কারণ কানের চামড়া ও হাড় এতই নরম আর পিছলা যে ওই সুতার ওজনটুকুই নিতে পারছিলো না। জিদ চেপে গেল। ছেলেটিকে বল্লাম তুই বাবা ভরসা রাখ আর একটু কষ্ট সহ্য কর। বাইরে এসে একটা বিড়ি ধরালাম। নিজেকে শান্ত করে আবার আরো মনোযোগে কাজে লেগে গেলাম। শেষে কিভাবে কিভাবে যেন হয়ে গেল প্রায় ৩ ঘন্টার চেষ্টায়। সকালে রাউন্ডে এসে সার্জারীর প্রফেসর আর ইএনটির প্রফেসর সেই ঝাড়ি আমাকে। আজাইরা কেন সেলাই দিতে গেলাম, কারণ কানে সেলাই টিকে না, তাও আবার লতির ওখানে। বলে ওই কান জোড়া লাগার নয়, জোড়া লাগাতে নেই। কিন্তু তারা ব্যান্ডেজ না খুলে ৭ দিন পর দেখবে বলল। তো ৭ দিন পর তারা খুলে চেক করে আমাকে খুঁজে। আমি তো হসপিটালের ত্রিসীমানায় নাই। মোড়ে বসে বিড়ি ফুঁকছি। ধরে নেয়া হলো। দুই স্যার জড়িয়ে ধরলেন, কি করেছিস তুই! এত ভালো রিপেয়ার আমরাও করতে পারতাম না! আমার দুচোখে তখন জলের ধারা। বলাবাহুল্য, দুই মাস পর ফাইনাল ফলোআপে ওর কান দেখে বুঝাই যায়নি যে ওখানে কিছু হয়েছে। ওই ছেলের দুচোখে যেই ভালোবাসা দেখেছি, পৃথিবীর কোন কিছুই তার কাছে মূল্যহীন। আফসোস, এখন আর প্র্যাকটিস করি না। এত কিছু বলে নিজেকে জাহির করছি না, শুধু এটাই বলতে চেয়েছি মানুষ চাইলে সব করতে পারে। প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস আর একাগ্রতা। সাথে ভাগ্যের সহায়তা। আমি আসলেই ভয়ংকর মামা, নিজেকে নিজেই ভয় পাই...
 

Users who are viewing this thread

Back
Top