What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২১ (2 Viewers)

Status
Not open for further replies.
মধ্যাহ্ন বেলায় একটু বিরতি থাকা তো ভালো ব্যাপার। নিয়েই দেখুন। রাত অবধি এনার্জি পাবেন।

অপু মামার রাত পর্যন্ত এনার্জীর দরকার নাই।
এই বিরতিতে রাতের এনার্জি ঠিক পাইলেই হইলো...
 
মধ্যাহ্ন বেলায় একটু বিরতি থাকা তো ভালো ব্যাপার। নিয়েই দেখুন। রাত অবধি এনার্জি পাবেন।

চমৎকার কথা বলেছেন, অনেক ধন্যবাদ...
 
আমাদের ভারত-বাংলাদেশ তথা ভারত উপমহাদেশে এক সময় গ্রীষ্ম কাল ছাড়া আমের দেখা খুব একটা পাওয়া যেতো না। ঘটনাটা সে সময়ের। যদিও এখন ভারত-বাংলাদেশের অনেক জায়গায়ই বারোমাসি আম পাওয়া যায়।
ঐ আমলে ইবনে বতুতা ভারত সফরে এসেছিলেন। এসেই এই এলাকার বিখ্যাত ফল আম সন্মন্ধে জানতে পারলেন। আম খুব সুস্বাদু ফল জানার পরই ওনার আম খেতে খুব ইচ্ছে হলো। তখন শীতকাল চলছিলো। শীতে তো আমের দেখা পাওয়া কোনো মতেই সম্ভব না। ওনাকে অনেক করে বুঝানোর চেস্টা করা হলো যে এখন আম পাওয়া যাবে না। এটা আমের মৌসুম নয়। কিন্তু বতুতা নাছোড় বান্দার মতো একই কথা বলে যাচ্ছেন, ওনার আম চাই... ভারতবর্ষে এসে উনি আমের স্বাদ গ্রহণ না করে কিছুতেই নিজ দেশে ফিরে যাবেন না। সবাই খুব বিপাকে পড়ে গেলো বিশ্ববিখ্যাত এই লোকের আবদারে। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা বাদশার কান পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছালো। ওনি মন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন এর একটা বিহিত করার জন্য। মন্ত্রী অনেক ভেবে-চিন্তে একটা উপায় বের করলেন...
পরদিন সকালেই ইবনে বতুতাকে শাহী দরবারে দাওয়াত করে আনা হলো। শাহী মেহমানখানায় যখন ইবনে বতুতা বিশ্রাম করছিলেন তখন মন্ত্রী উনার সাক্ষাৎ প্রার্থী হলেন। ইবনে বতুতার অনুমতিক্রমে মন্ত্রী যখন বতুতার ঘরে গিয়ে পৌঁছলেন তখন বতুতা আধশোয়া অবস্থায় বিছানায় ছিলেন। মন্ত্রী বতুতার পাশে বসে আস্তে করে বললেন, "হে মহান অতিথী, আপনি আমাদের এলাকার সব থেকে সুস্বাদু আর বিখ্যাত ফল আমের স্বাদ নিতে চেয়েছেন। নিশ্চয়ই আপনি তার স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন, তবে আমাদের পক্ষ থেকে একটা আরজ ছিলো। "
মন্ত্রীর কথায় ইবনে বতুতা বললেন, "আপনি নি:সঙ্কোচে সে আরজ পেশ করতে পারেন। "
ইবনে বতুতার কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে মন্ত্রী বললো, "আপনি আমের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন, কিন্তু সেটি দেখতে পাবেন না। কারন এটা আমের মৌসুম না "
মন্ত্রীর কথায় ইবনে বতুতা রাজি হয়ে গেলেন। ওনার এক কথা, স্বাদ পাওয়া নিয়ে কথা। আম দেখলেও এর স্বাদ যা থাকবে না দেখলেও এর স্বাদ তো আর পাল্টে যাচ্ছে না ! "
মন্ত্রীর সাথে ইবনে বতুতার আরো কিছুক্ষণ আলাপ হলো আর শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো ইবনে বতুতা যখন আমের স্বাদ গ্রহণ করবেন তখন উনার চোখ দুটো বেধে দেয়া হবে। ওনি শুধু আমের স্বাদ চাখবেন কিন্তু সেটি দেখবেন না।
পেয়াদাদের মাঝে এক বয়স্ক পাকা দাঁড়িওয়ালা লোক ছিলো, মন্ত্রী তাকে ডেকে পাঠালেন আর তারপর তার সেই পাকা দাঁড়িতে ভালো করে তেঁতুল আর গুড় মাখিয়ে চোখ বাঁধা ইবনে বতুতার সামনে উপস্থিত করা হলো। ইবনে বতুতা বয়স্ক সেই পেয়াদার দাঁড়ি হাত দিয়ে ধরে মুখে নিয়ে চুষে এর থেকে স্বাদ গ্রহণ করতে থাকলেন।
ইবনে বতুতা বললেন, আম কি আঁশ আঁশ ?
উপস্থিত সবাই বলে উঠলো, জ্বি, জনাব। আমে প্রচুর আঁশ আছে।
এরপর ইবনে বতুতা বললেন, আম কি কিছুটা টক টক ?
সবাই বলে উঠলো, জ্বি, জনাব কিছু কিছু আম বেশ টক হয়।
এবার ইবনে বতুতা বললেন, আম তো বেশ মিস্টি !
এবারো সবাই বলে উঠলো, জ্বি, জনাব। ভালো জাতের আম বেশ মিস্টি হয়ে থাকে।
ইবনে বতুতা বেশ কিছুক্ষণ ধরে ঐ বয়স্ক পেয়াদার দাঁড়ি চুষে ক্ষান্ত দিলেন আর বললেন,
"ভারত বর্ষ ভ্রমণ আজ আমার স্বার্থক হলো। আমি এমনই একটা ফলের স্বাদ গ্রহণ করলাম যেটি আমার অঞ্চলে একেবারে অনুপস্থিত... "

হাহ্ হাহ্ হাহ্ হাহ্ হা...

হাসতে হাসতে আমি শেষ, এই রকম পোস্টে ৩-৪টা রিএ্যাকশন দেয়ার সুযোগ থাকলে ভালো হইত...

দুর্দান্ত, না না দুর্দান্ত বললে কম বলা হয়...


মামা, এই পোস্টটা আলাদা একটা থ্রেডে শেয়ার করেন, যারা আড্ডা ঘরে আসেনা সেসব সদস্যরা যাতে মজা পাইতে পারে...
 
হাহ্ হাহ্ হাহ্ হাহ্ হা...

হাসতে হাসতে আমি শেষ, এই রকম পোস্টে ৩-৪টা রিএ্যাকশন দেয়ার সুযোগ থাকলে ভালো হইত...

দুর্দান্ত, না না দুর্দান্ত বললে কম বলা হয়...


মামা, এই পোস্টটা আলাদা একটা থ্রেডে শেয়ার করেন, যারা আড্ডা ঘরে আসেনা সেসব সদস্যরা যাতে মজা পাইতে পারে...

আপনি তো জানেনই আমার সীমাবদ্ধতা...
আমি যা কিছু লিখি এই আড্ডাঘরকে কেন্দ্র করেই।
এখানে সবাই আমরা আমরা। ভুল ত্রুটি হয়ে গেলে নিজের মানুষ ভেবে সবাই সহজভাবেই মেনে নিবে।
কিন্তু অন্য কোন জায়গায় বা আলাদা কোনো থ্রেডে সে সুযোগ নাই। তাই এটা এখানেই নিজেদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম।
 
আমাদের ভারত-বাংলাদেশ তথা ভারত উপমহাদেশে এক সময় গ্রীষ্ম কাল ছাড়া আমের দেখা খুব একটা পাওয়া যেতো না। ঘটনাটা সে সময়ের। যদিও এখন ভারত-বাংলাদেশের অনেক জায়গায়ই বারোমাসি আম পাওয়া যায়।
ঐ আমলে ইবনে বতুতা ভারত সফরে এসেছিলেন। এসেই এই এলাকার বিখ্যাত ফল আম সন্মন্ধে জানতে পারলেন। আম খুব সুস্বাদু ফল জানার পরই ওনার আম খেতে খুব ইচ্ছে হলো। তখন শীতকাল চলছিলো। শীতে তো আমের দেখা পাওয়া কোনো মতেই সম্ভব না। ওনাকে অনেক করে বুঝানোর চেস্টা করা হলো যে এখন আম পাওয়া যাবে না। এটা আমের মৌসুম নয়। কিন্তু বতুতা নাছোড় বান্দার মতো একই কথা বলে যাচ্ছেন, ওনার আম চাই... ভারতবর্ষে এসে উনি আমের স্বাদ গ্রহণ না করে কিছুতেই নিজ দেশে ফিরে যাবেন না। সবাই খুব বিপাকে পড়ে গেলো বিশ্ববিখ্যাত এই লোকের আবদারে। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা বাদশার কান পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছালো। ওনি মন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন এর একটা বিহিত করার জন্য। মন্ত্রী অনেক ভেবে-চিন্তে একটা উপায় বের করলেন...
পরদিন সকালেই ইবনে বতুতাকে শাহী দরবারে দাওয়াত করে আনা হলো। শাহী মেহমানখানায় যখন ইবনে বতুতা বিশ্রাম করছিলেন তখন মন্ত্রী উনার সাক্ষাৎ প্রার্থী হলেন। ইবনে বতুতার অনুমতিক্রমে মন্ত্রী যখন বতুতার ঘরে গিয়ে পৌঁছলেন তখন বতুতা আধশোয়া অবস্থায় বিছানায় ছিলেন। মন্ত্রী বতুতার পাশে বসে আস্তে করে বললেন, "হে মহান অতিথী, আপনি আমাদের এলাকার সব থেকে সুস্বাদু আর বিখ্যাত ফল আমের স্বাদ নিতে চেয়েছেন। নিশ্চয়ই আপনি তার স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন, তবে আমাদের পক্ষ থেকে একটা আরজ ছিলো। "
মন্ত্রীর কথায় ইবনে বতুতা বললেন, "আপনি নি:সঙ্কোচে সে আরজ পেশ করতে পারেন। "
ইবনে বতুতার কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে মন্ত্রী বললো, "আপনি আমের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন, কিন্তু সেটি দেখতে পাবেন না। কারন এটা আমের মৌসুম না "
মন্ত্রীর কথায় ইবনে বতুতা রাজি হয়ে গেলেন। ওনার এক কথা, স্বাদ পাওয়া নিয়ে কথা। আম দেখলেও এর স্বাদ যা থাকবে না দেখলেও এর স্বাদ তো আর পাল্টে যাচ্ছে না ! "
মন্ত্রীর সাথে ইবনে বতুতার আরো কিছুক্ষণ আলাপ হলো আর শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো ইবনে বতুতা যখন আমের স্বাদ গ্রহণ করবেন তখন উনার চোখ দুটো বেধে দেয়া হবে। ওনি শুধু আমের স্বাদ চাখবেন কিন্তু সেটি দেখবেন না।
পেয়াদাদের মাঝে এক বয়স্ক পাকা দাঁড়িওয়ালা লোক ছিলো, মন্ত্রী তাকে ডেকে পাঠালেন আর তারপর তার সেই পাকা দাঁড়িতে ভালো করে তেঁতুল আর গুড় মাখিয়ে চোখ বাঁধা ইবনে বতুতার সামনে উপস্থিত করা হলো। ইবনে বতুতা বয়স্ক সেই পেয়াদার দাঁড়ি হাত দিয়ে ধরে মুখে নিয়ে চুষে এর থেকে স্বাদ গ্রহণ করতে থাকলেন।
ইবনে বতুতা বললেন, আম কি আঁশ আঁশ ?
উপস্থিত সবাই বলে উঠলো, জ্বি, জনাব। আমে প্রচুর আঁশ আছে।
এরপর ইবনে বতুতা বললেন, আম কি কিছুটা টক টক ?
সবাই বলে উঠলো, জ্বি, জনাব কিছু কিছু আম বেশ টক হয়।
এবার ইবনে বতুতা বললেন, আম তো বেশ মিস্টি !
এবারো সবাই বলে উঠলো, জ্বি, জনাব। ভালো জাতের আম বেশ মিস্টি হয়ে থাকে।
ইবনে বতুতা বেশ কিছুক্ষণ ধরে ঐ বয়স্ক পেয়াদার দাঁড়ি চুষে ক্ষান্ত দিলেন আর বললেন,
"ভারত বর্ষ ভ্রমণ আজ আমার স্বার্থক হলো। আমি এমনই একটা ফলের স্বাদ গ্রহণ করলাম যেটি আমার অঞ্চলে একেবারে অনুপস্থিত... "
ইবনে বতুতার আম নিয়ে যে এত ইন্টারেষ্টিং একটি কথ্য প্রসিদ্ধ রয়েছে এখানে তার উল্লেখ না পেলে হয়তো জানতেই পারতাম না। এ জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। অবশ্য ইবনে বতুতার কমবেশি সব বিষয়ই রোমাঞ্চকর। তার কারণ তিনি একজন পরিব্রাজক ছিলেন। নিজের জীবনে তিনি সেইসব কথারই উল্লেখ করেছেন যা আদপে রোমাঞ্চকর ও উল্লেখযোগ্য।
 
মজা করুন, উপভোগ করুন, পাশাপাশি যে দায়িত্ব আছে তা সুন্দরভাবে পালন করুন, শুভকামনা...
দায়িত্ব বিশেষ ভাবে পালিত হচ্চে কি না সেটা আপনারা বলতে পারবেন। তবে এখানে আপনাদের মতো বন্ধুদের আলাপ আলোচনা ও আন্তরিকতায় বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, ভার্চুয়াল না হয়ে যদি ফিজিক্যালে এই আলাপ হত তাহলেও একইরকম আন্তরিকতা দেখা যেত।
জয় ফোরামের জয়।।
 
আমি একটা হরর ছবি দেখেছিলাম, নামটা এই নুহুর্তে মনে নেই।
ওখানে একটা সীনে ছোট্ট একটা বাচ্চা ছেলে রাস্তায় জমে থাকা পানিতে একটা কাগজের নৌকা ভাসিয়ে দিয়েছিলো। সেই নৌকাখানা আস্তে আস্তে ভেসে রাস্তার পাশে থাকা ম্যানহোলে ঢুকে পড়ে। ভাসতে ভাসতে নৌকাটি কোথায় হারিয়ে গেলো সেটি দেখার জন্য বাচ্চাটি কৌতুহল বশতঃ ম্যানহোলের অভ্যন্তরে তাকায়। অন্ধকার সেই ম্যানহোলে প্রথমে সে কিছুই দেখে না। কিছুক্ষন পর হঠাৎ করেই মুচকি হাসি দেয়া একটা বাচ্চা মুখের অবয়ব বেশ স্পস্টভাবে ভেসে উঠে। মুচকি হাসি দেয়া সেই মুখখানি ভেসে উঠার সময় ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আর হঠাৎ ভেসে উঠা মুচকি হাসিটা দেখে সত্যি বলছি আমি নিজেই লাফ দিয়ে উঠেছিলাম... মনে হয় হার্টের একটা বিট তখন মিস করে গেছি...
অতএব, মুচকি হাসিও বেশ ভয়ঙ্কর হতে পারে যদি সেটা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা যায় !
হ্যাঁ সেটাই তো। হরর ও ভৌতিক দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার জন্য আলাদা কিছুর দরকারও হয় না। দিনের বেলার দৃশ্যগুলোকেই রাতের গহীনে ফুটিয়ে তুলুন। পিলে চমকে যাবে।
 
আপনি তো জানেনই আমার সীমাবদ্ধতা...
আমি যা কিছু লিখি এই আড্ডাঘরকে কেন্দ্র করেই।
এখানে সবাই আমরা আমরা। ভুল ত্রুটি হয়ে গেলে নিজের মানুষ ভেবে সবাই সহজভাবেই মেনে নিবে।
কিন্তু অন্য কোন জায়গায় বা আলাদা কোনো থ্রেডে সে সুযোগ নাই। তাই এটা এখানেই নিজেদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম।
আর্ন ভাই বোধহয় আলাদা থ্রেডে এসব কথার উল্লেখ করে মজা পাবেন না। কারণ বতুতা, নাসিরউদ্দিন, গোপাল কিংবা বীরবল যাদের কথাই তুলে ধরেন, তার যদি খেই না ধরিয়ে দেওয়া তাহলে তো মাঠে মারা যাবে। সেজন্যই তো বলে কবি তো সেইজন যার আছে পাঠকমহল। এখানে আমরা আর্ন মামার কথাকে বোঝার চেষ্টা করছি বলেই তো আপ্লুত হচ্ছি। তাই না! তবে হ্যাঁ এইরকম কথ্য ও হাস্য শুনতে চাই আরো। তার জন্য যদি লেজের দরকার পড়ে তার যোগান না হয় আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব।
 
ওয়াও...
শেষ পর্যন্ত সকল প্রতীক্ষার অবসান হলো।
নির্জন মেলা এখন দশ হাজারী...
দশ হাজার সদস্যের বেশ বড় একটা পরিবার...
নির্জন পরিবারের সকল সদস্যদের অভিনন্দন !!
এটার জন্য আমি নিজে নিজেকে ও বাকি সকল ফোরামের বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানাই। দশ হাজারি ক্লাবে সকল সদস্য নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন ও ফোরামকে সর্বদা সক্রিয় রাখবেন ও নিজেও থাকবেন। এই আবেদনও রাখছি।
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top