What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২১ (3 Viewers)

Status
Not open for further replies.
শুভ অপরাহ্ন !
ভালো আছেন জেনে ভালো লাগছে।
এভাবেই সবসময় চালো থাকেন সেই কামনা...

চালু কইরা দিয়া আপনে কই গেছেন? খুঁজতেছি...

হাঃ হাঃ হাঃ...
 
শুভ মধ্যাহ্ন আড্ডাবাজ মামারা...
একটু বিরতি নেই, আর্ন মামার পিছে পিছে আমিও একটু ঘুইরা আসি...
 
শুভ মধ্যাহ্ন আড্ডাবাজ মামারা...
একটু বিরতি নেই, আর্ন মামার পিছে পিছে আমিও একটু ঘুইরা আসি...
মধ্যাহ্ন বেলায় একটু বিরতি থাকা তো ভালো ব্যাপার। নিয়েই দেখুন। রাত অবধি এনার্জি পাবেন।
 
"গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল" প্রবাদের সঙ্গে আমরা বেশ পরিচিত। কিন্তু এই যে "দাড়িতে তেঁতুল" প্রবাদ। এটা শুনে যারপরনাই পুলকিত হলাম। হেব্বি জম্পেশ।

আমাদের ভারত-বাংলাদেশ তথা ভারত উপমহাদেশে এক সময় গ্রীষ্ম কাল ছাড়া আমের দেখা খুব একটা পাওয়া যেতো না। ঘটনাটা সে সময়ের। যদিও এখন ভারত-বাংলাদেশের অনেক জায়গায়ই বারোমাসি আম পাওয়া যায়।
ঐ আমলে ইবনে বতুতা ভারত সফরে এসেছিলেন। এসেই এই এলাকার বিখ্যাত ফল আম সন্মন্ধে জানতে পারলেন। আম খুব সুস্বাদু ফল জানার পরই ওনার আম খেতে খুব ইচ্ছে হলো। তখন শীতকাল চলছিলো। শীতে তো আমের দেখা পাওয়া কোনো মতেই সম্ভব না। ওনাকে অনেক করে বুঝানোর চেস্টা করা হলো যে এখন আম পাওয়া যাবে না। এটা আমের মৌসুম নয়। কিন্তু বতুতা নাছোড় বান্দার মতো একই কথা বলে যাচ্ছেন, ওনার আম চাই... ভারতবর্ষে এসে উনি আমের স্বাদ গ্রহণ না করে কিছুতেই নিজ দেশে ফিরে যাবেন না। সবাই খুব বিপাকে পড়ে গেলো বিশ্ববিখ্যাত এই লোকের আবদারে। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা বাদশার কান পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছালো। ওনি মন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন এর একটা বিহিত করার জন্য। মন্ত্রী অনেক ভেবে-চিন্তে একটা উপায় বের করলেন...
পরদিন সকালেই ইবনে বতুতাকে শাহী দরবারে দাওয়াত করে আনা হলো। শাহী মেহমানখানায় যখন ইবনে বতুতা বিশ্রাম করছিলেন তখন মন্ত্রী উনার সাক্ষাৎ প্রার্থী হলেন। ইবনে বতুতার অনুমতিক্রমে মন্ত্রী যখন বতুতার ঘরে গিয়ে পৌঁছলেন তখন বতুতা আধশোয়া অবস্থায় বিছানায় ছিলেন। মন্ত্রী বতুতার পাশে বসে আস্তে করে বললেন, "হে মহান অতিথী, আপনি আমাদের এলাকার সব থেকে সুস্বাদু আর বিখ্যাত ফল আমের স্বাদ নিতে চেয়েছেন। নিশ্চয়ই আপনি তার স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন, তবে আমাদের পক্ষ থেকে একটা আরজ ছিলো। "
মন্ত্রীর কথায় ইবনে বতুতা বললেন, "আপনি নি:সঙ্কোচে সে আরজ পেশ করতে পারেন। "
ইবনে বতুতার কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে মন্ত্রী বললো, "আপনি আমের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন, কিন্তু সেটি দেখতে পাবেন না। কারন এটা আমের মৌসুম না "
মন্ত্রীর কথায় ইবনে বতুতা রাজি হয়ে গেলেন। ওনার এক কথা, স্বাদ পাওয়া নিয়ে কথা। আম দেখলেও এর স্বাদ যা থাকবে না দেখলেও এর স্বাদ তো আর পাল্টে যাচ্ছে না ! "
মন্ত্রীর সাথে ইবনে বতুতার আরো কিছুক্ষণ আলাপ হলো আর শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো ইবনে বতুতা যখন আমের স্বাদ গ্রহণ করবেন তখন উনার চোখ দুটো বেধে দেয়া হবে। ওনি শুধু আমের স্বাদ চাখবেন কিন্তু সেটি দেখবেন না।
পেয়াদাদের মাঝে এক বয়স্ক পাকা দাঁড়িওয়ালা লোক ছিলো, মন্ত্রী তাকে ডেকে পাঠালেন আর তারপর তার সেই পাকা দাঁড়িতে ভালো করে তেঁতুল আর গুড় মাখিয়ে চোখ বাঁধা ইবনে বতুতার সামনে উপস্থিত করা হলো। ইবনে বতুতা বয়স্ক সেই পেয়াদার দাঁড়ি হাত দিয়ে ধরে মুখে নিয়ে চুষে এর থেকে স্বাদ গ্রহণ করতে থাকলেন।
ইবনে বতুতা বললেন, আম কি আঁশ আঁশ ?
উপস্থিত সবাই বলে উঠলো, জ্বি, জনাব। আমে প্রচুর আঁশ আছে।
এরপর ইবনে বতুতা বললেন, আম কি কিছুটা টক টক ?
সবাই বলে উঠলো, জ্বি, জনাব কিছু কিছু আম বেশ টক হয়।
এবার ইবনে বতুতা বললেন, আম তো বেশ মিস্টি !
এবারো সবাই বলে উঠলো, জ্বি, জনাব। ভালো জাতের আম বেশ মিস্টি হয়ে থাকে।
ইবনে বতুতা বেশ কিছুক্ষণ ধরে ঐ বয়স্ক পেয়াদার দাঁড়ি চুষে ক্ষান্ত দিলেন আর বললেন,
"ভারত বর্ষ ভ্রমণ আজ আমার স্বার্থক হলো। আমি এমনই একটা ফলের স্বাদ গ্রহণ করলাম যেটি আমার অঞ্চলে একেবারে অনুপস্থিত... "
 
কোনো ব্যাপার নাই। সবার কাছে প্রথম বার নতুনই লাগে। ক্রমশ এই পেজে ভিজিট করতে থাকলে আপনি নিজেও সবার রিপ্লে দেখে বুঝে ও জেনে যাবেন কে কোন জন। তাই ফিকর নট। উপস্থিত হাজির থাকুন।

খুব ভালো বলেছেন, মামা।
সবার জন্য প্রথম বলতে একটা কথা থেকেই যায়...
 
এক্কেবারে সঠিক বলেছেন। স্থানকালপাত্র এই তিন সংযোগ ব্যতীত যদি হাসি পাওয়া যায় তাহলে সত্যিই তাতে পিলে চমকে যায়।
শিশুদের নিষ্পাপ হাসিতে মন গলে যায়। কিন্তু সেই একই হাসির শব্দ যদি কোনো এক শুনশান মধ্য রাতে একাকী চলার রাস্তায় কানে আসে? পিলে তো চমকানোরই কথা। কিংবা কোনো রাতে শোয়াকালীন জানালার বাইরে থেকে বুড়ির খিক খিক শব্দ ভেসে আসল? এসব থেকেই তো হরর সিন ক্রিয়েট হয়।

আমি একটা হরর ছবি দেখেছিলাম, নামটা এই নুহুর্তে মনে নেই।
ওখানে একটা সীনে ছোট্ট একটা বাচ্চা ছেলে রাস্তায় জমে থাকা পানিতে একটা কাগজের নৌকা ভাসিয়ে দিয়েছিলো। সেই নৌকাখানা আস্তে আস্তে ভেসে রাস্তার পাশে থাকা ম্যানহোলে ঢুকে পড়ে। ভাসতে ভাসতে নৌকাটি কোথায় হারিয়ে গেলো সেটি দেখার জন্য বাচ্চাটি কৌতুহল বশতঃ ম্যানহোলের অভ্যন্তরে তাকায়। অন্ধকার সেই ম্যানহোলে প্রথমে সে কিছুই দেখে না। কিছুক্ষন পর হঠাৎ করেই মুচকি হাসি দেয়া একটা বাচ্চা মুখের অবয়ব বেশ স্পস্টভাবে ভেসে উঠে। মুচকি হাসি দেয়া সেই মুখখানি ভেসে উঠার সময় ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আর হঠাৎ ভেসে উঠা মুচকি হাসিটা দেখে সত্যি বলছি আমি নিজেই লাফ দিয়ে উঠেছিলাম... মনে হয় হার্টের একটা বিট তখন মিস করে গেছি...
অতএব, মুচকি হাসিও বেশ ভয়ঙ্কর হতে পারে যদি সেটা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা যায় !
 
হ্যাঁ তেমনটাই দেখছি। আমার ভালই লাগছে। ফোরামের কারণেই যে এপার ওপার বিলীন হয়ে গেল তা কেউ আচ করতেও পারবে না। হ্যাঁ অবশ্যই শালীনতা বজায় রেখে।

অনেক ভালো লাগা, মামা।
আরো ভালো লাগছে, খুব সহজেই আপনি আলোচনার লেজগুলো ধরে নিয়েছেন।
খুবই সাবলীল আর সুন্দরভাবে আপনার পদচারনা দেখে আমি ব্যাক্তিগতভাবে বেশ অনুপ্রাণিত...
 
হাঃ হাঃ হাঃ, ডিম ভাঙ্গে, কাপ ভাঙ্গে, অখন দেখছি ভিমড়িও ভাঙ্গে... :ROFLMAO:
অনেক ভালোবাসা পাখি মামা...

ঐটা পাখি মামার ঠুনকো ভিমরি ছিলো কিনা...
সে জন্যই এতো সহজে ভেঙ্গে গ্যাছে !!
 
অবশ্যই, হাসি দেহ মনকে চাঙ্গা করে দেয়, ব্যাধি চাঙ্গা দেহ মনকে সহজে কাবু করতে পারে না...

এজন্যই বারবার করে আড্ডা ঘরে ঢু মারি...
এখানে হাসার জন্য কিংবা মন ভালো করার অনেক উপাদানই বিদ্যমান। যা প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকে...
 
তাইলে রেওয়াজ শুরু করে দেন... ;)

আমি তো এই গান প্রতিদিনই এক দুইবার করে গুনগুনাই...
আমার বেশ প্রিয় একটা গান যে এটা !
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top