What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২১ (3 Viewers)

Status
Not open for further replies.
আমার মনোকস্ট অন্য জায়গায়। যার ভোগ-দখল শুধু আমারই। এর ভাগ কাউকে দিতে চাই না। যা কিছু হারিয়েছি তার আর কোনো বিকল্প নেই। ফিরে পাবো না আজীবন... বাকি জীবন শুধু হাহাকার করেই কাটিয়ে দিতে হবে। আর প্রার্থনা করে যেতে হবে যেনো যাকে হারিয়েছি তিনি যেনো পরপারে সূখে থাকেন, শান্তিতে থাকেন।
আর এই কারনেই আমি কারো সাথে মন খারাপ করতে পারবো না। কেউ আমাকে মনোকস্টও দিতে পারবে না। কারন যে মনোকস্টে আছি, তার চাইতে বড় কোনো কস্ট না কেউ দিতে পারবে আর না আমি পাতে পারবো...
চোখের ভুল, মামা। হয়তো মনের অগোচরে ছুটে গেছে ছোট মামার কোনো মন্তব্য। যা বিলক্ষণ আমার অজান্তে হয়েছে।
মামা, কেমন আছেন আপনি ?



মামা, প্রকৃতির নিয়মে প্রিয়জনদের একদিন না একদিন হারাতেই হয়।
মাইকেলের ভাষায়
“ জম্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে? চিরস্থির কবে নীর হায়রে জীবন নদে? ”
তবে এইটা সত্যি, আপনার এই হারানোর খবর অনেক পরে যানতে পারলাম। তাই সঠিক
সময়ে আপনাকে সহানুভুতি জানাতে পারলাম না। কিন্তু মহান ইস্বরের কাছে প্রার্থনা থাকল
আপনার পিতা যেন পারাপারে শান্তিতে থাকেন।
জানি মামা আপনার বর্তমান অবস্থায় অগোচরে অনেক কিছুই ছুটে গেছে, কোন সমস্যা নাই মামা তাতে।
আর আমি বেশ ভালই আছি, তবে কিছুদিন থেকে কর্মক্ষেত্রে খুবি বেস্ত আছি, তাই সময় একটু কম পাচ্ছি।
 
আপনি মনোকস্টে আছেন জেনে আমি ব্যথিত তবে কেউ এই কস্ট ছাড়া জীবন পাড়ি দিতে পারে না মামা । এমন পরিস্থিতি পেরিয়ে যাওয়া যদিও কস্টকর তবুও চেস্টা করুন , সবুর করুন।
স্বান্তনা পেয়ে ভালো লাগছে।
আপনি ঠিকই বলেছেন। এক্ষেত্রে সবুরের কোনো বিকল্প নেই।
সময় এমন একটা মলম যার পরশে যে কোনো মনের ক্ষতই এক সময় শুকিয়ে যায়।
জানি না, আমার বেলায় সেই সময়টা কতো দীর্ঘ হবে...
 
মামা, প্রকৃতির নিয়মে প্রিয়জনদের একদিন না একদিন হারাতেই হয়।
মাইকেলের ভাষায়
“ জম্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে? চিরস্থির কবে নীর হায়রে জীবন নদে? ”
তবে এইটা সত্যি, আপনার এই হারানোর খবর অনেক পরে যানতে পারলাম। তাই সঠিক
সময়ে আপনাকে সহানুভুতি জানাতে পারলাম না। কিন্তু মহান ইস্বরের কাছে প্রার্থনা থাকল
আপনার পিতা যেন পারাপারে শান্তিতে থাকেন।
জানি মামা আপনার বর্তমান অবস্থায় অগোচরে অনেক কিছুই ছুটে গেছে, কোন সমস্যা নাই মামা তাতে।
আর আমি বেশ ভালই আছি, তবে কিছুদিন থেকে কর্মক্ষেত্রে খুবি বেস্ত আছি, তাই সময় একটু কম পাচ্ছি।

হায় ! আমিও যদি আপনার মতো আমার পুরোটা সময় কাজের মাঝে ডুবে থাকতে পারতাম...
 
স্বান্তনা পেয়ে ভালো লাগছে।
আপনি ঠিকই বলেছেন। এক্ষেত্রে সবুরের কোনো বিকল্প নেই।
সময় এমন একটা মলম যার পরশে যে কোনো মনের ক্ষতই এক সময় শুকিয়ে যায়।
জানি না, আমার বেলায় সেই সময়টা কতো দীর্ঘ হবে...
দীর্ঘ নয় অতি সংক্ষিপ্ত হোক এই প্রত্যাশা করছি
 
দীর্ঘ নয় অতি সংক্ষিপ্ত হোক এই প্রত্যাশা করছি

ঐদিন অনেককেই দেখেছি খুব জোরেশোরে কান্না করতে। বিলাপ করে, বুক চাপড়ে এমনকি গড়াগড়ি খেয়েও কাঁদতে দেখেছি কাউকে কাউকে। আমি কিন্তু এক ফোঁটাও কাঁদতে পারিনি। সত্যি কথা বলতে, একা না হওয়া পর্যন্ত আমার কান্না আসেইনি। এতে আমাকে কে কি বললো কিংবা কারো কাছে আমি পাষাণ হয়ে গেলাম কিনা সে নিয়ে না আমার কখনো ভাবনা ছিলো, না কখনো হবে। তবে আমি খুব আশ্চর্য্য হয়ে লক্ষ্য করছি, যারা ঐদিন সব থেকে বেশী জোরে কান্না করেছিলো, তারাই এখন সব থেকে জোরে হাসছে। যাকে বলে একেবারে অট্টহাসি, সেটাই দিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ, আমার কান্না সবে শুরু। এখন শুধু নিভৃতে না, প্রকাশ্যেও কান্না চলে আসে। মাঝে মধ্যে তো সে কান্না থামাতে বেশ বেগই পেতে হয়। আর সে কারনেই বলেছিলাম আমার সে মলমের সময়টা না জানি কতো দীর্ঘ হয় !!
আপনার করা প্রত্যাশা পূরনে আল্লাহ যেনো আমাকে তৌফিক দেন, এটাই এখন সব থেকে বড় চাওয়া।
পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 
ঐদিন অনেককেই দেখেছি খুব জোরেশোরে কান্না করতে। বিলাপ করে, বুক চাপড়ে এমনকি গড়াগড়ি খেয়েও কাঁদতে দেখেছি কাউকে কাউকে। আমি কিন্তু এক ফোঁটাও কাঁদতে পারিনি। সত্যি কথা বলতে, একা না হওয়া পর্যন্ত আমার কান্না আসেইনি। এতে আমাকে কে কি বললো কিংবা কারো কাছে আমি পাষাণ হয়ে গেলাম কিনা সে নিয়ে না আমার কখনো ভাবনা ছিলো, না কখনো হবে। তবে আমি খুব আশ্চর্য্য হয়ে লক্ষ্য করছি, যারা ঐদিন সব থেকে বেশী জোরে কান্না করেছিলো, তারাই এখন সব থেকে জোরে হাসছে। যাকে বলে একেবারে অট্টহাসি, সেটাই দিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ, আমার কান্না সবে শুরু। এখন শুধু নিভৃতে না, প্রকাশ্যেও কান্না চলে আসে। মাঝে মধ্যে তো সে কান্না থামাতে বেশ বেগই পেতে হয়। আর সে কারনেই বলেছিলাম আমার সে মলমের সময়টা না জানি কতো দীর্ঘ হয় !!
আপনার করা প্রত্যাশা পূরনে আল্লাহ যেনো আমাকে তৌফিক দেন, এটাই এখন সব থেকে বড় চাওয়া।
পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মামা।
যদিওবা দেখা হয় নাই তবুও একটা দুঃখ ভরা মুখ আমার মানসপটে ভেসে ওঠে যখন দেখি এই ID arn 43
 
যদিওবা দেখা হয় নাই তবুও একটা দুঃখ ভরা মুখ আমার মানসপটে ভেসে ওঠে যখন দেখি এই ID arn 43

আমার বাবাকে আমি কখনো উচ্চস্বরে কাঁদতে দেখিনি। ইনফেক্ট একদিন ছাড়া কোনোদিন কাঁদতেও দেখিনি। সেই দিনটা ছাড়া, যেদিন বাবা আমাকে মারার জন্য লাঠি হাতে নিয়েছিলেন। মা আর বোনদের জন্য আমাকে ঐদিন ওনি মারতে পারেননি বটে, তবে মারার জন্য যে উঠেছিলেন সেই দুঃখে সবার অগোচরে বাবা তাঁর টেবিলে কনুই ঠেকিয়ে মুখ ঢেকে কেঁদেছিলেন। কেউ না দেখলেও একমাত্র ছেলেকে বাবা কতোটা ভালোবাসতেন সেদিন সেটা আমি দেখেছিলাম।
বাবাকে যেমন উচ্চস্বরে কোনোদিন কাঁদতে দেখিনি তেমন অট্টহাসি দিতেও জীবনে কোনোদিন আমি দেখিনি। বাবার অনুভুতি প্রকাশের এই ব্যাপারটা আমরা সবাই জানতাম। সত্যি বলতে এটা নিয়ে আমি গর্বও করতাম বেশ। রোগ-শোকে অনেক কস্টেও বাবার মুখ থেকে কস্ট প্রকাশের সেই ভাষাগুলো ছিলো অনুপস্থিত। সব ব্যাথা যেনো বাবা মুখ বুঝে সহ্য করে যেতেন।
অনেকেই বলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাকি আমি আমার বাবার এই গুনটা খুব সামান্য হলেও পেয়েছি। যার কারনে সব সময়ই চেস্টা থাকে মনের সেই ব্যাথা মুখে যেনো প্রকাশ না পায়। যদিও এইক্ষেত্রে তা আর পারছি কই !!...
 
আমার বাবাকে আমি কখনো উচ্চস্বরে কাঁদতে দেখিনি। ইনফেক্ট একদিন ছাড়া কোনোদিন কাঁদতেও দেখিনি। সেই দিনটা ছাড়া, যেদিন বাবা আমাকে মারার জন্য লাঠি হাতে নিয়েছিলেন। মা আর বোনদের জন্য আমাকে ঐদিন ওনি মারতে পারেননি বটে, তবে মারার জন্য যে উঠেছিলেন সেই দুঃখে সবার অগোচরে বাবা তাঁর টেবিলে কনুই ঠেকিয়ে মুখ ঢেকে কেঁদেছিলেন। কেউ না দেখলেও একমাত্র ছেলেকে বাবা কতোটা ভালোবাসতেন সেদিন সেটা আমি দেখেছিলাম।
বাবাকে যেমন উচ্চস্বরে কোনোদিন কাঁদতে দেখিনি তেমন অট্টহাসি দিতেও জীবনে কোনোদিন আমি দেখিনি। বাবার অনুভুতি প্রকাশের এই ব্যাপারটা আমরা সবাই জানতাম। সত্যি বলতে এটা নিয়ে আমি গর্বও করতাম বেশ। রোগ-শোকে অনেক কস্টেও বাবার মুখ থেকে কস্ট প্রকাশের সেই ভাষাগুলো ছিলো অনুপস্থিত। সব ব্যাথা যেনো বাবা মুখ বুঝে সহ্য করে যেতেন।
অনেকেই বলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাকি আমি আমার বাবার এই গুনটা খুব সামান্য হলেও পেয়েছি। যার কারনে সব সময়ই চেস্টা থাকে মনের সেই ব্যাথা মুখে যেনো প্রকাশ না পায়। যদিও এইক্ষেত্রে তা আর পারছি কই !!...
দুঃখ কম হলে হাসি দিয়ে আড়াল করা যায়্ দুঃখ বেশি হলে তাকে কোন ভাবেই লুকানো যায় না
 
আমার বাবাকে আমি কখনো উচ্চস্বরে কাঁদতে দেখিনি। ইনফেক্ট একদিন ছাড়া কোনোদিন কাঁদতেও দেখিনি। সেই দিনটা ছাড়া, যেদিন বাবা আমাকে মারার জন্য লাঠি হাতে নিয়েছিলেন। মা আর বোনদের জন্য আমাকে ঐদিন ওনি মারতে পারেননি বটে, তবে মারার জন্য যে উঠেছিলেন সেই দুঃখে সবার অগোচরে বাবা তাঁর টেবিলে কনুই ঠেকিয়ে মুখ ঢেকে কেঁদেছিলেন। কেউ না দেখলেও একমাত্র ছেলেকে বাবা কতোটা ভালোবাসতেন সেদিন সেটা আমি দেখেছিলাম।
বাবাকে যেমন উচ্চস্বরে কোনোদিন কাঁদতে দেখিনি তেমন অট্টহাসি দিতেও জীবনে কোনোদিন আমি দেখিনি। বাবার অনুভুতি প্রকাশের এই ব্যাপারটা আমরা সবাই জানতাম। সত্যি বলতে এটা নিয়ে আমি গর্বও করতাম বেশ। রোগ-শোকে অনেক কস্টেও বাবার মুখ থেকে কস্ট প্রকাশের সেই ভাষাগুলো ছিলো অনুপস্থিত। সব ব্যাথা যেনো বাবা মুখ বুঝে সহ্য করে যেতেন।
অনেকেই বলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাকি আমি আমার বাবার এই গুনটা খুব সামান্য হলেও পেয়েছি। যার কারনে সব সময়ই চেস্টা থাকে মনের সেই ব্যাথা মুখে যেনো প্রকাশ না পায়। যদিও এইক্ষেত্রে তা আর পারছি কই !!...



মামা, পিতাকে হারানোর দুক্ষে আপনি বেশ মর্মাহত সেটি খুব সহজেই বুঝতে পারছি। আর আপনাকে সহানুভুতি জানানোর ভাষা আমার নাই।
কিন্তু এইটা বলতে পারি, ওই পারে আপনার পিতা আপনার কষ্টে তিনিও বিশেষ খুশি হবেন না, তাই আপনার পিতার জন্যই হোক, আপনাকে
নিজেকেই শক্ত হয়ে এই কঠিন সময় পার হতে হবে মামা, শক্ত হয়ে আপনার পিতার উত্তরসূরি হতে হবে ও তার নামের সঠিক সন্মান আপ্নাকেই
দিতে হবে। জীবনে অনেক কঠিন সময় পার হয়ে এটা উপলব্ধি করেছি যে, কঠিন সময়ে কাওকে পাশে পাওয়া যায় না মামা। জীবনে সবচে কঠিন
সময় নিজেকে একাই পার হতে হয়। সচরাচর আপনার আনন্দের মুহূর্তের বা ভাল সময়ের সঙ্গী তাদের আপনার কঠিন সময়ে খুজে পাবেন না।
কিন্তু এটাও দেখেছি ইস্বর কাওকে নিরাস করে না। সঠিক সময়ে ঠিক একজন আপনার পাশে দারাবেই। তাই সেই ইস্বরের ওপর ভরসা রাখুন ও
আপনার পিতার প্রতি সেই ভালোবাসা নিয়ে আবার পথ চলা শুরু করুন। এই কঠিন সময় অচিরেই পার হবে।
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top