What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২১ (2 Viewers)

Status
Not open for further replies.
দুঃখ কম হলে হাসি দিয়ে আড়াল করা যায়্ দুঃখ বেশি হলে তাকে কোন ভাবেই লুকানো যায় না

আমার বাবার বেলায় ওনার মানসিকতা কোন পর্যায়ে আছে সেটা নির্ণয় করা বেশ কস্টসাধ্য ব্যাপার ছিলো। অনেক কস্টেও ওনি নিজেকে স্বাভাবিক রাখার যে দৃঢ়তা বা প্রত্যয় রাখতেন তা সচাররাচর কারো মাঝে দেখিনি। আমার বড় আপা যখন মারা যান তখন বাবা তার শিয়রে বসা ছিলেন। বড় মেয়েকে খুব আদর করতেন বাবা। অন্তিম মূহুর্তে স্নেহের কন্যার মুখের দিকে এক দৃস্টিতে তাকিয়েছিলেন। চোখ দিয়ে যেনো অসহায় বাবার অসহায়ত্ব ঝরে ঝরে পড়ছিলো। যখন সব শেষ হয়ে গেলো, সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে, চারিদিকে কান্নার মাতম চলছে বাবাকে দেখলাম একটা দীর্ঘ শ্বাস ত্যাগ করে চোখ দুটো বন্ধ করে নিলেন। বসে থাকা অবস্থায় ভর দেয়া লাঠিতে এক হাতের উপর অন্য হাতটি স্থাপন করে মাথাটা নুইয়ে আনলেন সেই হাত দুটির উপর ! এই অবস্থায় ছিলেন প্রায় মিনিট দুয়েক। এরপর সোজা হয়ে আরেকটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললেন- যার যাবার কথা সে থেকে গেলো,আর যার থাকার কথা সে চলে গেলো ! বাবার চেহারাটা তখন শোকে একেবারে কালো হয়ে গিয়েছিলো। এটাই ছিলো আমাদের জন্য বাবার কস্ট বুঝার সব থেকে উত্তম মাধ্যম। বাবা যখন খুব বেশী কস্ট পেতেন তখন ওনার চেহারা বেশ কিছুটা কালো হয়ে যেতো। লেখক সাহিত্যিকরা যাকে মলিন চেহারা হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন...
আজ আমার মনোকস্টের এটাও একটা কারন, আর কোনোদিন আমি আর বাবার সেই করুণ মুখটা দেখে বাবার কস্টের পরিমাপ করতে পারবো না...
 
মামা, পিতাকে হারানোর দুক্ষে আপনি বেশ মর্মাহত সেটি খুব সহজেই বুঝতে পারছি। আর আপনাকে সহানুভুতি জানানোর ভাষা আমার নাই।
কিন্তু এইটা বলতে পারি, ওই পারে আপনার পিতা আপনার কষ্টে তিনিও বিশেষ খুশি হবেন না, তাই আপনার পিতার জন্যই হোক, আপনাকে
নিজেকেই শক্ত হয়ে এই কঠিন সময় পার হতে হবে মামা, শক্ত হয়ে আপনার পিতার উত্তরসূরি হতে হবে ও তার নামের সঠিক সন্মান আপ্নাকেই
দিতে হবে। জীবনে অনেক কঠিন সময় পার হয়ে এটা উপলব্ধি করেছি যে, কঠিন সময়ে কাওকে পাশে পাওয়া যায় না মামা। জীবনে সবচে কঠিন
সময় নিজেকে একাই পার হতে হয়। সচরাচর আপনার আনন্দের মুহূর্তের বা ভাল সময়ের সঙ্গী তাদের আপনার কঠিন সময়ে খুজে পাবেন না।
কিন্তু এটাও দেখেছি ইস্বর কাওকে নিরাস করে না। সঠিক সময়ে ঠিক একজন আপনার পাশে দারাবেই। তাই সেই ইস্বরের ওপর ভরসা রাখুন ও
আপনার পিতার প্রতি সেই ভালোবাসা নিয়ে আবার পথ চলা শুরু করুন। এই কঠিন সময় অচিরেই পার হবে।
ব্যাপারটা নিয়ে আমি মাঝে মধ্যেই বেশ অবাক হয়ে যাই। আমরা এরকম কেনো ? একজন লোক যখন চারিদিকে তাকিয়ে শুধু একটু সহানুভুতি তালাশ করে, তখন তাকে সত্যিকারের সহানুভুতি প্রদানে আমরা এতো কৃপণতা করি কেনো !! কেনো তাকে মনের গহীন থেকে ভালোবেসে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারি না। সত্যিকারের ভালোবাসা নিয়ে সহানুভুতি সহ বুকের সাথে বুক মেলালে যে মনের কস্ট ভাগ হয় এটা তো প্রমাণিত সত্য ! কারন বুকের ভিতরেই যে মন থাকে। বুকে নেবার কারনে এক মন আরেক মনের কাছে চলে আসে আর দুঃখি মনের ব্যাথা স্বাভাবিক মন শুষে নেয়...
 
এই বেলায় আছেন কে মেলায়

দুঃখিত, মামা।
সময় মতো ধরতে পারলাম না !
আপনি চলে যাবার কিছুক্ষনের মাঝেই চলে এসেছিলাম।
 
আমার বাবার বেলায় ওনার মানসিকতা কোন পর্যায়ে আছে সেটা নির্ণয় করা বেশ কস্টসাধ্য ব্যাপার ছিলো। অনেক কস্টেও ওনি নিজেকে স্বাভাবিক রাখার যে দৃঢ়তা বা প্রত্যয় রাখতেন তা সচাররাচর কারো মাঝে দেখিনি। আমার বড় আপা যখন মারা যান তখন বাবা তার শিয়রে বসা ছিলেন। বড় মেয়েকে খুব আদর করতেন বাবা। অন্তিম মূহুর্তে স্নেহের কন্যার মুখের দিকে এক দৃস্টিতে তাকিয়েছিলেন। চোখ দিয়ে যেনো অসহায় বাবার অসহায়ত্ব ঝরে ঝরে পড়ছিলো। যখন সব শেষ হয়ে গেলো, সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে, চারিদিকে কান্নার মাতম চলছে বাবাকে দেখলাম একটা দীর্ঘ শ্বাস ত্যাগ করে চোখ দুটো বন্ধ করে নিলেন। বসে থাকা অবস্থায় ভর দেয়া লাঠিতে এক হাতের উপর অন্য হাতটি স্থাপন করে মাথাটা নুইয়ে আনলেন সেই হাত দুটির উপর ! এই অবস্থায় ছিলেন প্রায় মিনিট দুয়েক। এরপর সোজা হয়ে আরেকটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললেন- যার যাবার কথা সে থেকে গেলো,আর যার থাকার কথা সে চলে গেলো ! বাবার চেহারাটা তখন শোকে একেবারে কালো হয়ে গিয়েছিলো। এটাই ছিলো আমাদের জন্য বাবার কস্ট বুঝার সব থেকে উত্তম মাধ্যম। বাবা যখন খুব বেশী কস্ট পেতেন তখন ওনার চেহারা বেশ কিছুটা কালো হয়ে যেতো। লেখক সাহিত্যিকরা যাকে মলিন চেহারা হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন...
আজ আমার মনোকস্টের এটাও একটা কারন, আর কোনোদিন আমি আর বাবার সেই করুণ মুখটা দেখে বাবার কস্টের পরিমাপ করতে পারবো না...
আমিও বাবা, মা হারানো সন্তান তাদের হারানো কস্টের পরিমাপ/পরিমাণ কোনটাই করা আমার সম্ভব না
 
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই?

আলহামদুলিল্লাহ আমি মোটামুটি ভালোই আছি।
প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর হাজিরা দিতে পেরেছি। আর আধা ঘন্টা চেষ্টার পর আড্ডা ঘরে ঢুকতে পারলাম। নভেম্বরের ২৬ তারিখে নাঃগঞ্জের আড়াইহাজারে ওয়াসার প্রোজেক্টে কাজ শুরু করার পর থেকে দৌড়ের উপর আছি। প্রতিদিন সকাল ৬ টার দিকে ঘুম থেকে উঠি আর ঘুমাইতে ঘুমাইতে প্রায় ১/২ টা বেজে যায়। তাই ইচ্ছা থাকা সত্বেও ফোরামে ঢুকতে পারিনা। আরন মামার বাবা মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার পর মামার সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েও হয়ে উঠেনি। আল্লাহ আংকেলের জীবদ্দশায় কৃত সকল প্রকার ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে উনাকে বেহেস্ত নসিব করুন। আমিন
 
@dukhopakhi মামাকে আরেকটি জুনিয়র পাখীর জন্য মোবারকবাদ জ্ঞাপন করছি...
কেমনে কি!!! আপনি মনেহয় আমার ফেসবুকে নয় বছর পূর্বের মেমরি রিকলের পোস্ট দেখে এই মন্তব্য করেছেন
 
কেমনে কি!!! আপনি মনেহয় আমার ফেসবুকে নয় বছর পূর্বের মেমরি রিকলের পোস্ট দেখে এই মন্তব্য করেছেন



৯ বছর পুরান ফেসবুক পোস্ট পাখি মামাকে আড্ডা ঘরে টাইনা আনছে, সেই মজা।
যাই হোক মামাকে আড্ডা ঘরে সুস্বাগতম।
 
আমিও বাবা, মা হারানো সন্তান তাদের হারানো কস্টের পরিমাপ/পরিমাণ কোনটাই করা আমার সম্ভব না

আমার মনে আছে, যে বার আমরা ফোরামের বন্ধুরা রমনা পার্কে আড্ডা দিতে বসেছিলাম সেদিন আমি ওখানে পৌঁছেছিলাম সকাল সাড়ে দশটার দিকে। দিনটা জুম্মাবার হলেও আড্ডায় মশগুল থাকার কারনে দুয়েকজন ছাড়া কেউ আর নামাজে শরীক হইনি। আড্ডার মাঝেই খাওয়াটা এক ফাঁকে সেরে নিয়েছিলাম। তারপর সেই সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে একটানা আড্ডা দেয়া। সন্ধ্যার পর যখন পার্কে থাকা আর নিরাপদ মনে হচ্ছিলো না তখন আমরা পার্ক থেকে বের হয়ে আসি। পার্ক থেকে বের হয়ে আসলেও কেউ কাউকে ছেড়ে যেতে মন সায় দিচ্ছিলো না বলে পার্কের গেইটে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই আড্ডা চালিয়ে যাই আরো ঘন্টা দেড়েকের মতো। গেইটে থাকা ছোট্ট দোকানীর ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েকগুন । দফায় দফায় চা-সিগারেট দিতে দিতে বেচারার অবস্থা কাহিল প্রায়। অবশেষে যখন রাত প্রায় সাড়ে আটটা বাজতে চললো তখন একে একে বিদায় নিতে শুরু করলেন মামারা। সবার শেষে আমি যখন গাড়িতে উঠি তখন মনে হতে লাগলো এইতো কিছুক্ষন আগেই এলাম, এখনি আবার চলে যেতে হচ্ছে। সময়ের এই উপলব্ধিটা এই কারনেই হয়েছিলো, কারন ঐ সময়টা ছিলো আমার বেস্ট সময়। সবার সাথে আড্ডা দেয়াটা ছিলো খুবই আনন্দময়।
কিছুদিন আগে হঠাত করেই আমার কাছের এক বন্ধুর সাথে সামান্য একটা বিষয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়ে গেলো। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো পুরো ব্যাপারটা যখন আগা-গোড়া ভাবলাম। মনটা বিষিয়ে গেলো। কোনো কিছু করতে গেলেই মনটা বিরক্তিতে ছেয়ে যাচ্ছে মাঝে মধ্যেই। কিছুই ভালো না লাগাতে আগে আগে বাসায় চলে এলাম। বাসায় আসার পর আরেক দফা মন খারাপ হয়ে গেলো পারিবারিক একটা দুঃসংবাদ জেনে। মন ভালো করার জন্য বাসায় এসে ম্নটা আরো বেশী খারাপ হয়ে গেলো। বাসায় থাকলে মন শান্ত হবে না ভেবে অগত্যা বাসা থেকে বেড়িয়ে এলাম শেষ বিকেলের কিছুটা আগে আগে। সন্ধ্যা পর্যন্ত একা একা নদীর পাড় বসেছিলাম মন শান্ত করবো ভেবে। প্রকৃতি সব সময় মানুষকে শান্ত হতে সাহায্য করে। সন্ধ্যা নাগাদ মন কিছুটা ভালো হলে বাসায় ফেরার কথা ভাবলাম। সন্ধ্যার পর যখন বাসার পথে হাটছি তখন মনে হলো, বাসা থেকে বেরিয়েছি যেনো একদিন হয়ে গেছে...
সময়ের এটাও উপলব্ধি...
আমরা সময় পরিমাপ করবো কিভাবে ? যেখানে মন সময়ের উপর এভাবে প্রভাব বিস্তার করে !
 
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই?

আলহামদুলিল্লাহ আমি মোটামুটি ভালোই আছি।
প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর হাজিরা দিতে পেরেছি। আর আধা ঘন্টা চেষ্টার পর আড্ডা ঘরে ঢুকতে পারলাম। নভেম্বরের ২৬ তারিখে নাঃগঞ্জের আড়াইহাজারে ওয়াসার প্রোজেক্টে কাজ শুরু করার পর থেকে দৌড়ের উপর আছি। প্রতিদিন সকাল ৬ টার দিকে ঘুম থেকে উঠি আর ঘুমাইতে ঘুমাইতে প্রায় ১/২ টা বেজে যায়। তাই ইচ্ছা থাকা সত্বেও ফোরামে ঢুকতে পারিনা। আরন মামার বাবা মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার পর মামার সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েও হয়ে উঠেনি। আল্লাহ আংকেলের জীবদ্দশায় কৃত সকল প্রকার ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে উনাকে বেহেস্ত নসিব করুন। আমিন

বাবার মৃত্যুর পর দিন পনেরো আমার কাছে ফোন ছিলো না। বেশীরভাগ সময়ই ফোন বন্ধ ছিলো। যার কারনে তখন হয়তো আপনি আমার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও পেতেন না।
তবে কাজের অজুহাত দিয়ে যে আপনি ফোরাম ফাঁকি দিয়েছেন অনেক দিন এটা কিন্তু পিউর সত্য একটা কথা...
 
কেমনে কি!!! আপনি মনেহয় আমার ফেসবুকে নয় বছর পূর্বের মেমরি রিকলের পোস্ট দেখে এই মন্তব্য করেছেন

হইতেও পারে। এখন আমার মাথা ঠিক নাই। কি দেখতে কি দেখি...
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top