১। যখনই পড়লাম আপনার ভাগিনা করোনায় আক্রান্ত তখনই একটা দুঃখ রি-একশন স্থির করলাম, তারপর আবারো দুঃখ রি-একশন স্থির করলাম আমাদের দেশের ভঙ্গুর চিকিৎসা ব্যবস্থার বাস্তব চিত্র আপনার লেখায় ফুটে ওঠায় কিন্তু শেষের দিকে এসে আপনার করা প্রশ্নে সেই রি-একশন কি দিব ভেবে কমেন্ট করছি।
২। মামা আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তার উত্তর কি ইহজগতে কারো কাছে পাবেন বলে আশা করেন?
** এবার একটা ঘটনা (অনেকেই হয়তো পড়েছেন, প্রথম আলোতে প্রকাশিত)
চাচা-ভাতিজা মিলে চারজন, তাদের একই ধরনের জ্বর, কাশি, গলাব্যাথা থাকায় চিন্তা করছে তারা করোনার স্যাম্পল জমা দেবে। যথারীতি তারা সিভিল সার্জন এর কার্যালয়ে গিয়ে নিয়ম মোতাবেক বুধবার ফরম পুরন করে আসে, তাদের বলাহয় মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেয়া হবে কবে স্যাম্পল দিতে আসতে হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধায় তাদের কাছে ফোন আসে শনিবার তাদের স্যাম্পল দিতে আসতে হবে সিভিল সার্জন এর কার্যালয়ে। কিন্তু পারিবারিক/ব্যবসায়িক ঝামেলায় তারা কেওই আর শনিবারে স্যাম্পল দিতে যেতে পারেনি। পরের বুধবার ভাতিজার ফোনে ফোন আসে যে সে করোনায় আক্রান্ত, তাকে আইসোলেশনে থাকতে বলাহয়। সে জানায় আমি তো স্যাম্পলই দেইনাই তাহলে আমার করোনা আপনারা বুঝলেন কি করে? সিভিল সার্জন নিজেও এর কোন স্বদুত্তর দিতে পারেননি। এখন বেচারা ভাতিজা, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মাঝে সময় পার করছে।
এবার আপনি বলেন এই ভাতিজা কিভাবে জানতে পারবে সে কবে করোনা নেগেটিভ হবে?