What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২০ (17 Viewers)

Status
Not open for further replies.
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি মামা। অনেকদিন পর আড্ডাখানায় আপনাকে দেখে ভালা লাগলো।

আমি ডাক্তার না, তবুও যারা কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ্য হয়েছেন এমন অনেকের সাথে আলাপ করে যেটা জেনেছি সেটাই শুধু শেয়ার করছি:

১. ঔষধ হিসেবে শুধুমাত্র Azithromicine / Doxiciline গ্রুপের যে কোন ঔষধ চালিয়ে যেতে হবে। প্রতিদিন দুইটা করে কমপক্ষে ৩ দিন, সর্বোচ্চ ৭ দিন। সাথে নাপা এক্সটেন্ড দিনে চারবার এবং স্ক্যাবো ৬ একসাথে ২টা মাত্র ১বারই খেতে হবে।
২. প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে।
৩. কমপক্ষে ৮-১০ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
৪. মনোবল চাঙ্গা রাখতে হবে।
৫. ক্ষুধা না থাকলেও সবসময় খেতে হবে।
৬. একটু পর পর গরম পানি / চা পান করতে হবে।
৭. ভ্যাপার নিতে হবে প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায়।
৮. নিজে আলাদা ঘরে থেকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
৯. শ্বাসকষ্ট হবে এটা নিশ্চিত, তাই নিয়মিত ভ্যাপার নিতে হবে যাতে করে হার্টে রক্ত জমাট বাঁধতে না পারে।
১০. শরীরের অক্সিজেন সবসময় মাপতে হবে। ৯৫ -এর নীচে নামলে অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে। ৮৯-এর নীচে নামলে সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে অক্সিজেনের জন্য।
১১. দিনে অন্তত তিন বার সিভিট অথবা ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে। এতে করে রক্তে জমাট বাঁধা দুর হবে।

সর্বোপির মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আর বেশি বেশি নামাজ আদায় করতে হবে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মামা। আসলে আমার বড় মামার করোনা ধরা পরেছে কিন্তু বলতে গেলে উনি সুস্থ ই। জ্বর ছিলো ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু উনার মনোবল একদম ক্ষীণ। যতোটা সম্ভব চেষ্টা করছি তাকে সাহস দেওয়ার এখন বাকিটা আল্লাহর উপর ভরসা।
 
কোথায় ছিলেন ? আমি এবং অনেকে আপনার ঘোষনাটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, এই পাতায় পোস্ট করছিলাম না...

আড্ডার ঘর ২৯০০ পাতায় পদার্পন করলো।
সকল আড্ডাবাজকে অভিনন্দন !!

আপনাকে এবং সকল আড্ডাবাজকে অভিনন্দন...
 
সময় পেলে সেটার একটা বর্ণনা দিয়েন...
বর্ণনার তেমন কিছু নেই, মামা।
এক সময় নরসিংদী মোটামুটি বড় একটি রেলওয়ে জংসন ছিলো। সেটা পাট যুগের কথা। স্থানীয় কৃষকদের বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত পাট সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানায় নেয়ার জন্য এখানে বেশ বড় একটা ঘাট ছিলো। যেটা রেলওয়ে গুদাম ঘাট হিসাবে পরিচিত ছিলো। যদিও নরসিংদীতে বেশ বড় বড় একাধিক পাটকল কারখানা আছে, তথাপিও সেই দুই কারখানায় পাট সরবরাহের পর বিপুল পরিমানে পাট উদ্ধৃত থাকার প্রেক্ষিতে এখান থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাট সরবরাহ করা হতো। মালবাহী ট্রেনের বগিতে সহজে পাট উঠানোর জন্য রেলওয়ের সেই গুদাম ঘাটে সব সময়ই বেশ কিছু খালি বগি পড়ে থাকতো। যেগুলোতে পাট বোঝাইয়ের পর ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে জুড়ে দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হতো। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য রেলওয়ের একাধিক লাইন বসানো ছিলো ঐ এলাকাটি। মজুদ পাটের জন্য বিশাল একটা গুদাম ও তার আশে বেশ বড় একটা জায়গা নিয়ে ছিলো এই রেলওয়ে গুদাম ঘাট এলাকা। কালক্রমে পাট যুগের সেই স্বর্ণালী অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে পুরো বাংলাদেশেই ! আর তখন থেকেই রেলওয়ের সেই গুদাম ঘটটি খা খা করতে থাকে। জীর্ণ হতে হতে বিশাল সেই ঘুদাম ঘরটিও ধুকতে থাকে পাটের সেই স্বর্ণ যুগের স্বাক্ষী বহন করে। পরবর্তীতে নরসিংদী সদরের তৎকালীন এমপি রেলওয়ের কাছ থেকে ঐ জায়গাটুকু শত বৎসরের জন্য বন্দোবস্ত নিয়ে নেন। শুরুতে তিনি সেখানে থাকা বিশাল বটগাছের পাদতলে গানের আড্ডা বসান। প্রায় প্রতিদিনই ওনি তার অনুসারীদের নিয়ে আস্র জমান আত্যাধিক গানের। শুরুতে ওনি আর ওনার বিশেষ ক'জন কাছের শিল্পীরাই আসর মাতাতেন। সময়ের সাথে সাথে সেটার পরিধি বেশ ব্যাপকতা লাভ করে। এক সময় স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি আশেপাশের বেশ কিছু শিল্পীরাও নিয়মিত সেই আসরের অংশীদার হতে থাকেন। তাদের মাঝে দুয়েকজন তো একেবারে আসরের মধ্যমনিও হয়ে উঠেন। যাদের মাঝ থেকে বেশ ক'জনা পরবর্তীতে জাতীয় পর্যায়েও বেশ সুনামের সাথে গান করেন। সেই আসর বাড়তে বাড়তে যখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে, তখন এমপি মহোদয় জনগণের আরো বিনোদনের ব্যবস্থা করার জন্য আসরের পার্শ্ববর্তী এলাকা নিয়ে একটি পার্ক স্থাপনের কথা চিন্তা করেন। যেখানে একটা মিনি চিড়িয়াখানার ব্যবস্থা রাখেন। আর নিজ থেকে ঐ পার্ক আর চিড়িয়াখানার নাম করন করেন "আরশী নগর " ! এভাবেই রেলওয়ের সেই গুদাম ঘাট আরশী নগরে রূপান্তর হয়ে যায়...
এমপি সাহেবের মৃত্যুর পর আরশীনগরে বসে না আর কোনো জলসা। তাই ধীরে ধীরে জৌলুষ হারাতে থাকে সেই আরশী নগরের। পার্কের গাছগুলো রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে শুকিয়ে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। চিড়িয়ানায় গোটা কতক পাখি ছাড়া অন্য কোন পশুর অস্তিত্ব মুছে যায়। যা শুরু হয়, হরিণের মাংশ ভক্ষনের মধ্য দিয়ে। এখন সেটা নামে আরশী নগর থাকলেও কার্য্যত একটা পরিত্যক্ত পার্ক ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে ঘাটের দিকে ছড়িয়ে থাকা ডালপালা সহ একাধিক বটগাছ এখনো সগর্বে দাঁড়িয়ে থাকার প্রেক্ষিতে তার ছায়াতলে মানুষজন নিয়মিতই বসে। বিশেষ করে গরমের দিনে ওখানে এখনো কিছু লোক গাছের ছায়ায় বসে ভালোই আড্ডা দেয়। লোকজনের বসার সুবিধার্থে তখন থেকেই বটগাছের চারিধার ঘেঁসে সিমেন্টের বেদী সহ বেশ কিছু বেঞ্চের ব্যবস্থা করা ছিলো। লোকজন সেখানে বসেই আড্ডা দেয়। তবে মজার বিষয় হলো আমি কিন্তু আজ পর্যন্ত সেখানে একদিনের জন্যও যাইনি। শুধু পাশ থেকেই দেখেছি। যদিও সেটা খুব কাছ থেকেই দেখা...
 
আছি ভালো
কিন্তু বাসার রমজানের রুটিন বদলায় নি
সবাই দেরি করে ঘুমায়, দেরি করে উঠে
একলা আমি দেরি করে ঘুমাই, অফিসের তাড়ায় উঠে পড়ি
বিবি জান না উঠা পর্যন্ত নাস্তা নাই, হাহ হাহ হা
আমার জন্য সকালের রুটি রাতেই বানিয়ে রাখা হয় হট পটে। আমি শুধু সকালে উঠে চা নিজেই বানাই আর চা দিয়ে রুটি ভিজিয়ে খাই। অনেক বছর যাবৎই এই রুটিন চলছে।
 
কাছাকাছি হলে ২০+২.৫ কেজি পাঠাতাম যদিও পয়সার বিনিময়ে
পয়সাতো অবশ্যই দিতাম, তয় ২০ এর সাথে ২.৫ এর হিসাবটা বুঝলাম না মামা।
 
কোথায় ছিলেন ? আমি এবং অনেকে আপনার ঘোষনাটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, এই পাতায় পোস্ট করছিলাম না...



আপনাকে এবং সকল আড্ডাবাজকে অভিনন্দন...
আমিও সেটাই করছিলাম।

আপনাকেও অভিনন্দন, মামা।
 
অনেক অনেক ধন্যবাদ মামা। আসলে আমার বড় মামার করোনা ধরা পরেছে কিন্তু বলতে গেলে উনি সুস্থ ই। জ্বর ছিলো ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু উনার মনোবল একদম ক্ষীণ। যতোটা সম্ভব চেষ্টা করছি তাকে সাহস দেওয়ার এখন বাকিটা আল্লাহর উপর ভরসা।
উনার মনোবল চাঙ্গা রাখার ব্যবস্থা করেন আর আল্লাহর উপর ভরসা রাখেন।
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top