আপনার যুক্তিতে আপনি হয়তো ঠিকই আছেন।তাহলে এদেশেরই সমান একটা দেশ ইংল্যান্ডের দিকে তাকান যে সেখানে কি অবস্থা, তাকান কিছুটা বড় ইতালির দিকে তারপর ফ্রান্সের দিকে স্পেনের দিকেও যে এদেশের তুলনায় সেসব দেশে কিঅবস্থা. এদেশ বাংলাদেশ যেমন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা তাতে অন্তত এখন পর্যন্ত মনে হয় কোটির উপরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কথা ছিল যা কিনা উপরওয়ালার অশেষ রহমতে হয়নি. ঘনবসতিপূর্ণ একটা দেশে সহসাই হয়তোবা ভাইরাসমুক্তি মিলবেনা কিন্তু তারপরেও আমি বলবো যে সেসব দেশের চেয়ে অনেক ভালোভাবেই মোকাবেলা করছে, এদেশের মানুষের সুস্থতার তালিকাটাও কিন্তু নেহায়েতই কম নয়. এশিয়াতে ভিয়েতনাম দাবি করছে যে সেদেশ থেকে করোনা বিদায় নিয়েছে, সিঙ্গাপুরও তেমনটাই, তেমনই আছে এশিয়ার আরো অনেক দেশই যারা কিনা আমেরিকা ইউরোপের তুলনায় একেবারে স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে.
আপনার চোখ দিয়ে আমি দেখতে পারি না। নেই ভাবার জন্য আপনার মতো একটা মাথাও ! এমনকি অনুভবের জন্য আপনার দিলের কাছাকাছি দিলও নেই আমার।
আপনি যেসব দেশের কথা উল্লেখ করেছেন, সেসব দেশে যে করোনার ব্যাপক তান্ডব চলছে আমি কিন্তু আমার মন্তব্যে তা উল্লেখ করেই দিয়েছিলাম। আপনি হয়তো আলাদা আলাদা নাম উল্লেখ করে বলেছেন, আর আমি বলেছিলাম ইতালী সহ তার আশে পাশের দেশগুলোর কথা। সে যাক, আমরা ভালো আছি সেটা জানলে পরে ভালোই লাগে। হউকনা সেটা মিথ্যা কিংবা ধাপ্পাবাজীতে ভরা।
অঙ্কে আমি কাঁচা এটা সবারই জানা। তাই বলে এতো সহজ হিসাবটা কি করে মিলাতে পারছি না সেটা আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। প্রতিদিন গড়ে ৩৪৮০ জন লোক যদি আক্রান্ত হয়, তবে সে আক্রান্ত ব্যাক্তি আইসোলেশনে যাবার আগে কিংবা পরে কি অন্তত দুজন ব্যাক্তিকে আক্রান্ত করে না ? তবে কি সেটা আমাদের দেশ বলে করতে পারে না !! তবে যদি পারতো, পরের সপ্তাহেই তো আক্রান্তের সংখ্যা নিদেন পক্ষে ডাবল হয়ে সেটা সাতহাজারের উপরে চলে যাবার কথা ছিলো। এটা হবে না। কারন আমরা ভালো আছি। আর সব দেশের চাইতে অনেক ভালো আছি। বলার জন্য হলেও তো এই গড় থেকে নড়ন যাবে না।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিতে আসা করোনা রুগীদের মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে তাদের মাঝেই তৈরী হওয়া বৈষম্য কি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে আরো অনেক কিছুই দেখিয়ে দিচ্ছে না !