আমার বেলায় প্রতি ১০০ ঘটনার ৯৯ টিতেই এরকম হয়।বড়ই বিরক্তিকর কাজ।
মানুষের হাড্ডি চর্বি মাংশ ভাজা ভাজা করতে ওস্তাদ এই বেটা।
যখন অপেক্ষা করবেন বেটা হেলে দুলে আয়েশ করে করতে থাকবে,
যখন আপনি ব্যস্ত থাকবেন বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিছু শেষ করতে চাইবেন
অমনি বেটা ১০০ মিটার স্প্রিন্ট এর গতিতে দৌড়াতে থাকবে।
যে মাসে ২০ তারিখের মধ্যে আপনার পকেটের টাকা শেষ, সিগারেট খাওয়ার পয়সা নেই দেখবেন একদম খুঁটি গেড়ে বসে গেছে বেটা।
চরম বেয়াদপ।
ঐদিন কিশোরগঞ্জ যাবার দিন খুব বেশী তাড়া ছিলো না। হেলে দুলে গেলেই হতো। জানি বাসে গেলে একটা বিড়ম্বনা সব সময়ই হয়। স্ট্যান্ডে বসে থাকতে থাকতে কোমড় ব্যাথা না হয় দাড়িয়ে থাকতে থাকতে পায়ে ব্যাথা হয়ে যায়। বাস আর আসে না। এদিকে ঘড়িতে যেনো উল্কা বেগে ছুটতে থাকে। অবস্থা বিবেচনায় একটু আগেই বেড়িয়েছিলাম ঐদিন। বাস আসতে দেরী হলে প্রয়োজনে বাসস্ট্যান্ডে হেলান দিয়ে ছোট একটা ঘুম দিয়ে নেবো না হয়। হায়, কি কপাল ! বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট ধরাতে যা দেরী, অমনি আমার সামনে বাস এসে খাড়া !! ভৈরব স্ট্যান্ডের দীর্ঘ বিরতি সহ কিশোরগঞ্জ পৌঁছাতে সাধারণত যেখানে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা প্লাস সময় লাগে, ঐদিন আড়াই ঘন্টায় পৌঁছে গেলাম... আগে যাবার খুব একটা প্রয়োজন ছিলো না কিনা...