ঠিকই শুনেছেন.
এক পাকিস্তানী মহিলার কথা বলি (একটি দেশের অমর্যাদা করার কোনো ইচ্ছেই নেই, আমি শুধু বলছি যাকে দেখেছিলাম, এর মানে এই নয় যে সবাই তাই কিন্তু তারা অনেকটাই ইউরোপীয় ধাঁচের) তখন সে প্রায় ত্রিশের কোঠায় তার মিস্টার ছিল একজন ডাক্তার.
তো আরবে আমাদের বাসায় এক পার্টিতে তার আগমন মেহমান হিসেবে (সেখানে বাংলাদেশি, ভারতীয়, শ্রীলংকান, থাইল্যান্ডিরাও ছিল) বেশ সেজেগুজে মার্জিতভাবে বুরখা পরিহিত অবস্থায়. একপর্যায়ে সে আসার কিছিক্ষন পর বুরখা টা খুললে দেখা যায় যে সে টাইটফিট জিন্স আর একটা গেঞ্জি পরিহিত, সেই অবস্থায় সে রান্নাঘরে যায় মার সাথে কথা বলতে তখনি আমরা বাইরে থেকে ঝনঝন শব্দে গ্লাস আর ট্রে পরার আওয়াজ পাই আর দৌড়ে গিয়ে দেখি যে সেখানে মা আর সেই মহিলা মাটি থেকে গ্লাসের ভাঙা টুকরা তুলছে আর সেই মহিলা মা কে বলছে যে "সরি বেহেনজি".
আসলে মা তখন ট্রেতে গ্লাস নিয়ে আসছিলো মেহমানদের পরিবেশন করার জন্যে আর যখন হঠাৎ সেই মহিলা রান্নাঘরে ঢুকেছে মা বুঝতে পারেনি আর মনে করেছিল যে কোনো পুরুষ হয়তোবা সেখানে এসেছে আচানক তাই হাত থেকে ট্রে গ্লাস পরে যায়.
যেখানে ভারতীয় শ্রীলংকান সনাতন বৌদির পুরো নিয়মকানুন মেনে বুরখা নিচে শাড়ি নাহলে থ্রিপিচ পরে এসেছেন সেখানে ওই মহিলার কি তেমনটা শোভা পায়?
তো যাই হোক তখন বয়স নেহায়েতই কম তাই অনেক কথাই স্পষ্ট মনে নেই কিন্তু মনে আছে যে আমার আব্বাকে মা বলছিলো পরে যে সেই মহিলাকে আর কোনোদিন যেন নিমন্ত্রণ না করা হয় আর তাদেরকে সবসময় এড়িয়ে চলার জন্যে. কিছুসময় পর কোনো এক ভুলের কারণে তার মিস্টারের চাকরি চলে যায় হাসপাতাল থেকে এবং তারা প্রস্থান করে শহর থেকে.
জানা যায় যে অনেকেই তখন স্বস্তির নিঃশাস ফেলেছিলো তাদের প্রস্থানের কারণে.........