কোথাও কেউ নেই নাটকটা আমিও পুরোটা দেখিনি। এটা বেশ বড় একটি ধারাবাহিক নাটক ছিলো। শুধু নাটক না, বরং কোনো ছয়াছবি কিংবা উপন্যাসের শেষটা যদি বিয়োগান্তক হয় আর কোনোভাবে যদি আমি আগাম জেনে যেতে পারি তবে সেটা আমি দেখি না বা পড়ি না। আমার কাছে খুব খারাপ লাগে। বাস্তব কোনো ঘটনার উপর ভিত্তি করেও যদি এই ধরনের কোনো গল্প বা চিত্রনাট্য রচনা করা হয় তবুও আমি সেদিকে পা মাড়াই না। আমার খুব কস্ট লাগে। কস্টের কোনো কিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি না। আমি যখন কোনো ছবি/নাটক দেখি, কিংবা কোনো উপন্যাস পড়ি তখন চেস্টা করি সে গল্পে নিজেকে সম্পৃক্ত করে নিতে। আসলে চেস্টা নয়, বরং নিজে থেকেই আমি সেই গল্পের সাথে জড়িয়ে যাই। আর সে কারনেই গল্পের পাত্র-পাত্রীর কস্টটা নিজের কষ্ট মনে করে ফেলি। এসব গল্পের কারনে নিজের চোখের জল ফেলে কি লাভ ? সে জন্যই আগে থেকেই সরে আসি। আর ঠিক এই কারনেই কোথাও কেউ নেই নাটকটি পুরো আমার দেখা হয়নি।
হ্যাঁ, মামা। আমাদের দেশেও কিছু ভালো নাটক হয়। আগের তুলনায় যদিও সেটা খুবই নগণ্য। আর এই নগণ্য নাটক গুলোও খুব জঘন্য ভাবে সম্প্রচার করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপনের দাপটে নাটক দেখার জো থাকে না। আর থাকলেও অনেক কষ্ট করে দেখতে হয়। যার কারনেই আমাদের দেশের বেশীরভাগ লোকের বিশেষ করে মহিলাদের প্রিয় চ্যানেল ভারতীয় বাংলা বা হিন্দি চ্যানেল। বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যাপারে যদি আমদের দেশের টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ আরেকটু মুন্সীয়ানার পরিচয় দিতে পারতেন, তবে হয়তো দেশী নাটক তথা দেশী চ্যানেলের এরকম বেহাল দশা হতো না।
বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা অভিনেতা মোশারফ করিম আমারো প্রিয় একজন অভিনেতা। সালাউদ্দীন লাভলু যেমন আমার কাছে অন্যতম সেরা নাট্য নির্দেশক।