What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আল্লাহ ও রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে কতিপয় ভ্রান্ত আক্বীদা (1 Viewer)

এমন হাজারো ভ্রান্ত কথা, এবং না জেনেই কুরআন হাদিসের নামে দিব্বি চালয়ে দিচ্ছেন।

আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন
 
এমন হাজারো ভ্রান্ত কথা, এবং না জেনেই কুরআন হাদিসের নামে দিব্বি চালয়ে দিচ্ছেন।

আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন

মন্তব্যটার ঠিক মানে বের করতে পারলাম না। আপনি কি লিখাটি না জেনেই কুরআন হাদিসের নামে চালিয়ে দিচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন? তাহলে লেখাটি আবারো পড়ে মন্তব্য করার অনুরোধ রইলো, মামা।
 
আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান মর্মে কুরআনুল কারীমের যেসব আয়াত উল্লেখ করা হয় তার জবাব নিম্নে আলোচনা করা হ’ল :

(১) মহান আল্লাহ বলেন, وَهُوَ اللهُ فِي السَّمَاوَاتِ وَفِي الْأَرْضِ يَعْلَمُ سِرَّكُمْ وَجَهرَكُمْ وَيَعْلَمُ مَا تَكْسِبُوْنَ. ‘আকাশ ও যমীনে তিনিই আল্লাহ, যিনি তোমাদের গোপন ও প্রকাশ্য সব কিছু জানেন এবং তোমরা যা অর্জন কর সেটাও তিনি অবগত আছেন’ (আন‘আম ৬/৩)
(২) আল্লাহ বলেন, وَهُوَ الَّذِيْ فِي السَّمَآء إِلَهٌ وَفِي الْأَرْضِ إِلَهٌ وَهُوَ الْحَكِيْمُ الْعَلِيْمُ. ‘তিনিই ইলাহ নভোমন্ডলে, তিনিই ইলাহ ভূতলে এবং তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ’
(যুখরুফ ৪৩/৮৪)
উপরোক্ত আয়াতদ্বয় পেশ করে যারা আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান বলে দাবী করেন, তাদের কথা বাতিল। কেননা আকাশে যত সৃষ্টি আছে তাদের সবার প্রভু, মা‘বূদ আল্লাহই। তারা সবাই আল্লাহর ইবাদত করে।তেমনি যারা যমীনে আছে তাদের প্রভু ও মা‘বূদও একমাত্র আল্লাহ। তারাও সবাই ভয়-ভীতি সহকারে আল্লাহরই ইবাদত করে।
(তাফসীর ইবনে কাছীর, ৩য় খন্ড, পৃঃ ২৭৪। )
(৩) মহান আল্লাহ বলেন,
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللهَ يَعْلَمُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَا يَكُوْنُ مِنْ نَّجْوَى ثَلاَثَةٍ إِلاَّ هُوَ رَابِعُهُمْ وَلاَ خَمْسَةٍ إِلاَّ هُوَ سَادِسُهُمْ وَلاَ أَدْنَى مِنْ ذَلِكَ وَلاَ أَكْثَرَ إِلاَّ هُوَ مَعَهُمْ أَيْنَ مَا كَانُوْا ثُمَّ يُنَبِّئُهُمْ بِمَا عَمِلُوْا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّ اللهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ.
‘তুমি কি লক্ষ্য কর না, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে আল্লাহ তা জানেন? তিন ব্যক্তির মধ্যে এমন কোন গোপন পরামর্শ হয়না যাতে চতুর্থজন হিসাবে তিনি থাকেন না এবং পাঁচ ব্যক্তির মধ্যেও এমন কোন গোপন পরামর্শ হয় না, যাতে ষষ্ঠজন হিসাবে তিনি থাকেন না। তারা এতদপেক্ষা কম হোক বা বেশী হোক তারা যেখানেই থাকুক না কেন আল্লাহ (জ্ঞানের দিক দিয়ে) তাদের সাথে আছেন। অতঃপর তারা যা করে, তিনি তাদেরকে ক্বিয়ামতের দিন তা জানিয়ে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবগত’
(মুজাদালাহ ৫৮/৭)
এ আয়াত দ্বারা অনেকে যুক্তি পেশ করে বলেন যে, আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। তাদের এ দাবী ভিত্তিহীন। কারণ ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) বলেন, افتتحالآيةبالعلم،واختتمهابالعلم. ‘মহান আল্লাহ আয়াতটি ইলম দ্বারাই শুরু করেছেন এবং ইলম দ্বারাই শেষ করেছেন’।
(তাফসীর ইবনে কাছীর, ৮/১২-১৩; ইমাম আহমাদ, আর-রাদ্দু আলাল জাহমিয়্যাহ, পৃঃ ৪৯-৫১। ) এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহ জ্ঞানের মাধ্যমে তাদের সাথে আছেন।
 
ইমাম ইবনু তায়মিয়া (রহঃ) বলেন, ‘উল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যা হচ্ছে, আল্লাহর জ্ঞান তাদের সঙ্গে’। তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা আরশের উপর এবং তাঁর জ্ঞান তাদের সব কিছু অবহিত’। (মাজমূঊ ফাতাওয়া ৫/১৮৮-৮৯। )
(৪) আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান বলে অনেকে নিম্নের আয়াত পেশ করে যুক্তি দেয়-وَهُوَمَعَكُمْأَيْنَمَاكُنْتُمْوَاللهُبِمَاتَعْمَلُوْنَبَصِيْرٌ. ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন- তিনি (জানার দিক দিয়ে) তোমাদের সঙ্গে আছেন, তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ তা দেখেন’ (হাদীদ ৫৭/৪)

ইয়াহ্ইয়া বিন ওছমান বলেন, ‘আমরা একথা বলব না, যেভাবে জাহমিয়্যাহ সম্প্রদায় বলে যে, আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান, সবকিছুর সাথে মিশে আছেন এবং আমরা জানি না যে তিনি কোথায়; বরং বলব আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং আরশের উপর সমাসীন, আর তাঁর জ্ঞান, ক্ষমতা, দেখা-শুনা সবার সাথে। এটাই উক্ত আয়াতের অর্থ। ইবনু তায়মিয়া বলেন, যারা ধারণা করে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান তাদের কথা বাতিল। বরং আল্লাহ স্বয়ং আরশের উপরে সমাসীন এবং তাঁর জ্ঞান সর্বত্র রয়েছে।
(মাজমূঊ ফাতাওয়া ৫/১৯১-৯৩।) উক্ত আয়াতের (হাদীদ ৪) ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেছেন,
أي: رقيب عليكم، شهيد على أعمالكم حيث أنتم، وأين كنتم، من بر أو بحر، في ليل أو نهار، في البيوت أو القفار، الجميع في علمه على السواء، وتحت بصره وسمعه، فيسمع كلامكم ويرى مكانكم، ويعلم سركم ونجواكم.
‘অর্থাৎ তিনি তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক এবং তোমরা যেখানেই থাক না কেন তিনি তোমাদের কার্যসমূহের সাক্ষী। তোমরা ভূভাগে বা সমুদ্রে, রাতে বা দিনে, বাড়িতে বা বিজন মরুভূমিতে যেখানেই অবস্থান কর না কেন সবকিছুই সমানভাবে তাঁর জ্ঞান এবং তাঁর শ্রবণ ও দৃষ্টির মধ্যে আছে। তিনি তোমাদের কথা শোনেন, তোমার অবস্থান দেখেন এবং তোমাদের গোপন কথা ও পরামর্শ জানেন’।
(তাফসীর ইবনে কাছীর, ৭ম খন্ড, পৃঃ ৫৬০।) উছমান বিন সাঈদ আর-দারেমী বলেন,
أنه حاضر كل نجوى ومع كل أحد من فوق العرش بعلمه لأن علمه بهم محيط وبصره فيهم نافذ لا يحجبه شيء عن علمه وبصره ولا يتوارون منه بشيء وهو بكماله فوق العرش بائن من خلقه يعلم السر وأخفى (طه : 7)أقرب إلى أحدهم من فوق العرش من حبل الوريد قادر على أن يكون له ذلك لأنه لا يبعد عنه شيء ولا تخفى عليه خافية في السموات ولا في الأرض فهو كذلك رابعهم وخامسهم وسادسهم لا أنه معهم بنفسه في الأرض.
‘তিনি আরশের উপরে থেকেই প্রত্যেক গোপন পরামর্শ ও প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে তাঁর জ্ঞানের মাধ্যমে উপস্থিত থাকেন। কেননা তাঁর জ্ঞান তাদেরকে পরিবেষ্টন করে আছে এবং তাঁর দৃষ্টি তাঁদের মধ্যে ক্রিয়াশীল আছে। তাঁর জ্ঞান ও দৃষ্টি থেকে কোন কিছুই আড়াল করতে পারে না এবং তারা তাঁর নিকট থেকে কোন কিছুই গোপন করতে পারে না। তিনি তাঁর পূর্ণ সত্তাসহ তাঁর সৃষ্টি থেকে দূরে আরশের উপরে সমাসীন আছেন। তিনি গোপন ও সুপ্ত বিষয় জানেন
(ত্ব-হা-৭) তিনি আরশের উপরে থেকেই তাদের কারো নিকট ঘাড়ের শাহ রগ অপেক্ষা নিকটে অবস্থান করেন। তাঁর জন্য এমনটি হওয়ার বিষয়ে তিনি সক্ষম। কারণ কোনকিছুই তাঁর থেকে দূরে নয় এবং আকাশমন্ডলী ও যমীনের কোন কিছুই তাঁর নিকট গোপন থাকেনা। তিনি গোপন পরামর্শের সময় চতুর্থ জন, পঞ্চম জন ও ষষ্ঠজন হিসাবে আবির্ভূত হন। তবে তিনি স্বয়ং তাঁর সত্তাসহ তাদের সাথে পৃথিবীতে বিরাজমান নন’। (উছমান বিন সাঈদ আদ-দারেমী, আর-রাদ্দু আলাল জাহমিয়্যাহ, তাহকীক : বদর বিন আব্দুল্লাহ বদর (কুয়েত : দারু ইবনিল আছীর, ২য় সংস্করণ, ১৯৯৫), পৃঃ ৪৩-৪৪।)
 
(৫)وَنَحْنُأَقْرَبُإِلَيْهِمِنْحَبْلِالْوَرِيْدِ ‘আমি তার ঘাড়ের শাহ রগ অপেক্ষাও নিকটতর’ (ক্বাফ ৫০/১৬) অন্যত্র আল্লাহ বলেন, وَنَحْنُأَقْرَبُإِلَيْهِمِنْكُمْوَلَكِنْلاَّتُبْصِرُوْنَ. ‘আর আমি তোমাদের অপেক্ষা তার নিকটতর, কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না’ (ওয়াক্বি‘আহ ৫৬/৮৫) যারা এ আয়াত দ্বারা দলীল পেশ করে বলেন, আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান তাদের ধারণা ঠিক নয়।
এখানে উভয় আয়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে- আল্লাহ তা‘আলার ফেরেশতারা মানুষের নিকটবর্তী। যেমন অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন, إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُوْنَ. ‘আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষণকারী’
(হিজর ৯)।এখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে- আল্লাহ তা‘আলার অনুমতিক্রমে জিবরীল (আঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট পবিত্র কুরআন পৌঁছে দিয়েছেন। অনুরূপভাবে ফেরেশতাগণ আল্লাহ তা‘আলার অনুমতিক্রমে ও তাঁর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মানুষের ঘাড়ের শাহ রগ অপেক্ষা নিকটতর। আর মানুষের উপর ফেরেশতার যেমন প্রভাব থাকে, তেমনি শয়তানেরও। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ وَقَدْ وُكِّلَ بِهِ قَرِيْنُهُ مِنَ الْجِنِّ وَقَرِيْنُهُ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ. قَالُوْا وَإِيَّاكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ وَإِيَّاىَ إِلاَّ أَنَّ اللهَ أَعَانَنِىْ عَلَيْهِ فَأَسْلَمَ فَلاَ يَأْمُرُنِىْ إِلاَّ بِخَيْرٍ.
‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সাথে তার জিন সহচর অথবা ফেরেশতা সহচর নিযুক্ত করে দেয়া হয়নি। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, আপনার সাথেও কি হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, আমার সাথেও, তবে আল্লাহ তা‘আলা তার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করেছেন। ফলে সে আমার অনুগত হয়ে গেছে। সে আমাকে কেবল ভাল কাজেরই পরামর্শ দেয়’।
(মুসলিম, মিশকাত হা/৬৭ ‘ঈমান’ অধ্যায়।) অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إِنَّالشَّيْطَانَيَجْرِيْمِنْالْإِنْسَانِمَجْرَىالدَّمِ. ‘শয়তান মানুষের মধ্যে তার রক্তের ন্যায় বিচরণ করে থাকে’। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৬৮ ‘ঈমান’ অধ্যায়, ‘কুমন্ত্রণা’ অনুচ্ছেদ।)
 
এজন্যই আল্লাহ তা‘আলা বলেন,إِذْيَتَلَقَّىالْمُتَلَقِّيَانِعَنِالْيَمِيْنِوَعَنِالشِّمَالِقَعِيْدٌ. ‘স্মরণ রেখো, দুই গ্রহণকারী ফেরেশতা তার ডানে ও বামে বসে তার কর্ম লিপিবদ্ধ করে’ (ক্বাফ ৫০/১৭)। আল্লাহ আরো বলেন, مَايَلْفِظُمِنْقَوْلٍإِلاَّلَدَيْهِرَقِيْبٌعَتِيْدٌ. ‘মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে’ (ক্বাফ ১৮) আমরা যা কিছু বলি সবই ফেরেশতারা লিপিবদ্ধ করেন। আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই রয়েছে তোমাদের জন্য তত্ত্বাবধায়কগণ, সম্মানিত লেখকবর্গ, তারা জানে তোমরা যা কর’। (ইনফিতার ৮২/১০-১২; তাফসীর ইবনে কাছীর, ৭ম খন্ড, পৃঃ ৪০৪।) আল্লামা মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছায়মীন বলেন, উভয় আয়াতে নিকটবর্তী বুঝাতে ফেরেশতাদের নিকটবর্তী হওয়া বুঝাচ্ছে। অর্থাৎ এখানে উভয় আয়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে ফেরেশতাগণ।
(১) প্রথম আয়াতে
(ক্বাফ ১৬) নিকটবর্তিতাকে শর্তযুক্ত (مقيد) করা হয়েছে। যেমন বলা হয়েছে,
وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ وَنَعْلَمُ مَا تُوَسْوِسُ بِهِ نَفْسُهُ وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْ حَبْلِ الْوَرِيْدِ- إِذْ يَتَلَقَّى الْمُتَلَقِّيَانِ عَنِ الْيَمِيْنِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيْدٌ- مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلاَّ لَدَيْهِ رَقِيْبٌ عَتِيْدٌ-
‘আমিই মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার প্রবৃত্তিতাকে যে কুমন্ত্রণা দেয় তা আমি জানি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী অপেক্ষাও নিকটতর। স্মরণ রেখো, দুই গ্রহণকারী ফেরেশতা তার ডানে ও বামে বসে তার কর্ম লিপিবদ্ধ করে; মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তার জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে’
(ক্বাফ ৫০/১৬-১৮)। উল্লিখিত আয়াতে إِذْ يَتَلَقَّي শর্ত দ্বারা বুঝা যায় যে, দু’জন ফেরেশতার নিকটবর্তিতাই এখানে উদ্দেশ্য।
(২) দ্বিতীয় আয়াতে
(ওয়াকি‘আহ ৮৫) নিকটবর্তিতাকে মৃত্যুকালীন সময়ের সাথে শর্তযুক্ত (مقيد) করা হয়েছে। আর মানুষের মৃত্যুর সময় যারা তার নিকট উপস্থিত থাকেন তারা হলেন ফেরেশতা। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, حَتَّىَ إِذَا جَاءَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ تَوَفَّتْهُ رُسُلُنَا وَهُمْ لاَ يُفَرِّطُوْنَ. ‘অবশেষে যখন তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন আমার প্রেরিত দূতগণ তার প্রাণ হরণ করে নেয় এবং তারা কোন ত্রুটি করে না’ (আন‘আম ৬/৬১)
 

Users who are viewing this thread

Back
Top