[HIDE]
কর্পোরেট ডিনারের দিন হাসনাত ভাইয়ের কথা অনুযায়ী ভালভাবে রেডি হয়ে গেলাম। স্যুট, টাই। সাধারণত কোন কোন বিয়ের দাওয়াতে যাই এভাবে আজকে গেলাম। নিজের কাছে নিজেকেই একটু অচেনা লাগছে। পলিটিক্স করি, নিজের ব্যবসা আছে। জিন্স, শার্ট/গেঞ্জি, কেডস অথবা পাজামা পাঞ্জাবী পড়া হয় বছরের ৩৬৩ দিন। তাই নিজের কাছে একটু অস্বস্তি লাগছে। তবে প্রোগ্রামের ভিতরে ঢুকতে অস্বস্তি একটু কমল কারণ বাকি সবাই প্রায় এক ড্রেস কোডের। চাচার সাথে গেছি। খালেদ চাচা, হাসনাত ভাই আর আমি। আর হাই পলিটিক্যাল লিডাররা আসছে। চাচা ঘুরে ঘুরে সবার সাথে কথা বলছেন। হাসনাত ভাই আমাকে নিয়ে এক কোনায় এক টেবিলে নিয়ে গেলেন। একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে দিতে বললেন এইযে এটা হল আমিনুল ভাই। উনি আমাদের সাথে লিয়াজো মেইনটেইন করেন। উনার সাথে পরিচয় হতে হতেই উনি আমাকে নিয়ে একটা গ্রুপের সামনে গেলেন। বললেন এরা আমাদের স্ট্রাটেজি গ্রুপ, আপাতত এনাদের কে কিছুদিন আপনার হেল্প করতে হবে। তিন জন ছেলে আর একজন মেয়ে। সাবরিনা। সবাই খুব ওয়েল ড্রেসড। আমি বললাম হাই।
সাবরিনার জবানীতে
গত কয়েকদিন ধরে মনটা ভাল নেই এমনিতেই। সিনথিটা দেশের বাইরে চলে গেল কিছুদিনের জন্য। যাওয়ার আগে আমার উপর রাগ করে গেল। সিনথিটা এমনিতেই একটু ইমপালসিভ, যা ভাল লাগে করবে। একটা ছেলে কে নাকি পছন্দ করে, চার বছর ধরে প্রেম করে। এখন নাকি বিয়ে করতে চায়। বিয়ে করব বললেই কি বিয়ে করা যায়? নাকি যাকে ইচ্ছা বিয়ে করা যায়। বাচ্চারা যা চাইবে তাই কি দিতে হবে? সিনথি হল ফ্যামিলির বেবি। সবসময় আদর পেতে পেতে লাই পেয়ে গেছে। বড় বোন হিসেবে আমি তো আর ওর এই ইচ্ছাতে হ্যা বলতে পারি না। তাই বলে আমার উপর রাগ করবে? বুঝবে না আমি কেন বলছি? ওর ভালর জন্যই তো। কই আমাদের ফ্যামিলি আর কই ঐ ছেলের ফ্যামিলি। নামও মনে নেই এমন একটা ইনসিগনিফিকেন্ট নাম। ছেলে বলে পলিটিক্স করে। আগে স্টুডেন্ট পলিটিক্স করত এখন নাকি যুব সংগঠনের। পলিটিক্স করে কারা এই বয়সে? রাস্তার ছেলেরা। ছেলের বাবা কি করে? একটা ওয়ার্ডের সেক্রেটারি। হত যদি এমপি তাহলেও নাহয় মানা যেত। ছেলে কই পড়েছে? জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথে কারা পড়ে? যারা কোথাও চান্স পায় না। সিনথি একবারও এসব ভাবল না তাই আমাকেই ভাবতে হচ্ছে। সামওয়ান হ্যাভ টু বি দ্যা ব্যাড গাই এন্ড নাও আই এম প্লেইং দ্যা রোল। আমি জানি ও রাগ করে থাকতে পারবে না। সিনথি অলওয়েজ লাভ হার আপু। হার ফ্রেন্ডস এন্ড ফিলোসফার। কোন এক উটকো আনকালচার্ড পলিটিক্যাল বাস্টার্ড আমাদের সম্পর্কে বাধা ধরাতে পারবে না।
এদিকে অফিসেও শান্তি নেই। সবাই যে এসাইনমেন্ট টা চায় না সেটাই আমাকে দেওয়া হয়েছে। আমি বুঝি অফিস পলিটিক্স। আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে রাইয়ান ভাই, সাবিত ভাই উনাকে দেখতে পারে না তাই আমাকে এমন একটা এসাইনমেন্ট দিয়েছে যাতে ফেইল হবার চান্স ৭০%। আর আমার ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র খায়রুল ভাই। লুইচ্চা একটা। আইবিএতে আমাদের দুই ব্যাচ সিনিয়র ছিল। তখন থেকেই জ্বালাতো। এখন এখানে এসে জোক্সের নামে যেসব বলে মনে হয় ধরে থাপ্পড় মারি। রাইয়ান ভাই অবশ্য বলে দিয়েছে একটু ধৈর্য্য ধরতে। অফিস পলিটিক্সে নাকি একটা পরিবর্তন আসবে কয়েক মাসের মধ্যে। তখন ধরে ধরে সবাই কে সাইজ করে দিবে। এইজন্য চুপ করে আছি। এই কাজটা স্ট্রেসফুল। ঢাকা সাউথ হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউশন লাইন ডিজাইন করার জন্য একটা ডিজাস্টার। এত এত রকম ভেরিয়েবল। আমি নিজেও এইসব এলাকার সাথে অমন পরিচিত না, সেটাও একটা প্রব্লেম। এইসব জেনেই আমাকে দেওয়া হয়েছে যাতে আমি ব্যর্থ হই। কিন্তু হার মানার মেয়ে আমি না। সাবরিনা যখন কাজটা নিয়েছে যেভাবে হোক সেটা সে করবেই। রাইয়ান ভাইও বলেছে সাবরিনা ইউ হ্যাভ টু ডু ইট। তোমার জন্য আমি অনেক লবিং করেছি তাই তুমি ব্যর্থ হলে আমিও ব্যর্থ। যা হেল্প লাগে নাও বাট ইউ হ্যাভ টু ডু ইট।
[/HIDE]
[HIDE]
আজকের ডিনারটা একটা রিফ্রেশমেন্ট আমার জন্য। গত মাস তিনেক আগে জয়েন করার পর থেকে এই হাউসে ভাল চাপে আছি। আজকে ডিনারে মনে হচ্ছে সব রকম পারফমেন্স প্রেসার আর পলিটিক্স এড়িয়ে একটু ভাল গল্প স্বল্প হচ্ছে। আর কালচারাল প্রোগ্রামটাও ভাল হচ্ছে। এইসময় আমিনুল ভাই বেশ লম্বা একজনকে সাথে নিয়ে আসলেন। বললেন মিট মাহফুজ, হি ইজ দ্যা নিউ ম্যান টু হেল্প আস ইন দ্যা ফিল্ড। তোমরা যারা স্ট্রাটেজিক ডিপার্টমেন্টের ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যান নিয়ে কাজ করছ তাদের অনেক হেল্প করতে পারবে মাহফুজ সাহেব। এই সময় পাশ থেকে সামিরা বলল হ্যান্ডসাম ফেলো। পলিটিক্যাল লিয়াজো গুলো সবসময় হয় ভুড়িয়াল নাহয় ক্ষেত কিন্তু এদিখি হ্যান্ডসাম হাঙ্ক। সামিরা অবশ্য মিথ্যা বলে নি। গত তিন বছর কর্পোরেটে কাজ করার সময় যত পলিটিক্যাল লিয়াজোর সাথে কাজ করতে হয়েছে সবাই কে ঐ ক্যাটাগরিতে ফেলা যায় খালি আজকের এই লোকটা বাদে। কিন্তু দেখে কেন জানি চেনা চেনা মনে হচ্ছে। ধরতে পারছি না কোথায় দেখেছি। গ্রে স্যুট, ছোট চুল, আর স্মার্ট দাড়িতে আসলেই লোকটাকে ভাল লাগছে। হয়ত বড় কোন নেতার এমবিএ করা ছেলেফেলে হবে। তবে আমার জন্য ভাল হল। আনকালচার্ড ক্ষেত পলিটিক্যাল বাফুনদের সাথে ডিল করার চাইতে এই মাহফুজ সাহেব উইল বি মাচ মোর বেটার।
সবার সাথে একে একে পরিচয় হতে হতে আমার দিকে তাকাল। আমি নাম বলতেই হাত বাড়ালো নাইস টু মিট ইউ। ওয়ার্ম এন্ড স্ট্রং হ্যান্ড। গুড। বেশ লম্বা লোকটা। কত হবে? পাচ দশ না পাচ এগার হবে? নাকি ছয় ফুট। বেশ ভাল মানিয়েছে। দাড়িতে একটা চার্মিং ভাব আসছে চেহারায়। অনেকটা রাং দে বাসন্তীর আসলামের মত। তবে কেন জানি চেনা চেনা মনে হচ্ছে। পরে বের করা যাবে কিভাবে চিনি। এখন বেশি কৌতুহল না দেখানোই ভাল। সামিরা যেভাবে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। আমি বেশি আগ্রহ দেখালে আমার পিছনে পড়বে। অফিসে সামিরার সাথে বেশ খাতির আমার বাট শি ইজ জাস্ট এ ম্যান ইটার। যেভাবে তাকাচ্ছে মনে হচ্ছে গিলে খাবে। ওর যা মুখ কৌতুহল দেখালে পরে আমাকে টিজ করে উড়িয়ে ছাড়বে। তবে লোকটা কথা জানে বোঝা যাচ্ছে। হি ইজ চার্মিং, গুড লুকিং এন্ড ফর্ম পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড। ভেরি ইন্টারেস্টিং। এই লোক কে কাজে লাগাতে হবে এসাইনমেন্টের কাজে।
[/HIDE]
কর্পোরেট ডিনারের দিন হাসনাত ভাইয়ের কথা অনুযায়ী ভালভাবে রেডি হয়ে গেলাম। স্যুট, টাই। সাধারণত কোন কোন বিয়ের দাওয়াতে যাই এভাবে আজকে গেলাম। নিজের কাছে নিজেকেই একটু অচেনা লাগছে। পলিটিক্স করি, নিজের ব্যবসা আছে। জিন্স, শার্ট/গেঞ্জি, কেডস অথবা পাজামা পাঞ্জাবী পড়া হয় বছরের ৩৬৩ দিন। তাই নিজের কাছে একটু অস্বস্তি লাগছে। তবে প্রোগ্রামের ভিতরে ঢুকতে অস্বস্তি একটু কমল কারণ বাকি সবাই প্রায় এক ড্রেস কোডের। চাচার সাথে গেছি। খালেদ চাচা, হাসনাত ভাই আর আমি। আর হাই পলিটিক্যাল লিডাররা আসছে। চাচা ঘুরে ঘুরে সবার সাথে কথা বলছেন। হাসনাত ভাই আমাকে নিয়ে এক কোনায় এক টেবিলে নিয়ে গেলেন। একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে দিতে বললেন এইযে এটা হল আমিনুল ভাই। উনি আমাদের সাথে লিয়াজো মেইনটেইন করেন। উনার সাথে পরিচয় হতে হতেই উনি আমাকে নিয়ে একটা গ্রুপের সামনে গেলেন। বললেন এরা আমাদের স্ট্রাটেজি গ্রুপ, আপাতত এনাদের কে কিছুদিন আপনার হেল্প করতে হবে। তিন জন ছেলে আর একজন মেয়ে। সাবরিনা। সবাই খুব ওয়েল ড্রেসড। আমি বললাম হাই।
সাবরিনার জবানীতে
গত কয়েকদিন ধরে মনটা ভাল নেই এমনিতেই। সিনথিটা দেশের বাইরে চলে গেল কিছুদিনের জন্য। যাওয়ার আগে আমার উপর রাগ করে গেল। সিনথিটা এমনিতেই একটু ইমপালসিভ, যা ভাল লাগে করবে। একটা ছেলে কে নাকি পছন্দ করে, চার বছর ধরে প্রেম করে। এখন নাকি বিয়ে করতে চায়। বিয়ে করব বললেই কি বিয়ে করা যায়? নাকি যাকে ইচ্ছা বিয়ে করা যায়। বাচ্চারা যা চাইবে তাই কি দিতে হবে? সিনথি হল ফ্যামিলির বেবি। সবসময় আদর পেতে পেতে লাই পেয়ে গেছে। বড় বোন হিসেবে আমি তো আর ওর এই ইচ্ছাতে হ্যা বলতে পারি না। তাই বলে আমার উপর রাগ করবে? বুঝবে না আমি কেন বলছি? ওর ভালর জন্যই তো। কই আমাদের ফ্যামিলি আর কই ঐ ছেলের ফ্যামিলি। নামও মনে নেই এমন একটা ইনসিগনিফিকেন্ট নাম। ছেলে বলে পলিটিক্স করে। আগে স্টুডেন্ট পলিটিক্স করত এখন নাকি যুব সংগঠনের। পলিটিক্স করে কারা এই বয়সে? রাস্তার ছেলেরা। ছেলের বাবা কি করে? একটা ওয়ার্ডের সেক্রেটারি। হত যদি এমপি তাহলেও নাহয় মানা যেত। ছেলে কই পড়েছে? জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথে কারা পড়ে? যারা কোথাও চান্স পায় না। সিনথি একবারও এসব ভাবল না তাই আমাকেই ভাবতে হচ্ছে। সামওয়ান হ্যাভ টু বি দ্যা ব্যাড গাই এন্ড নাও আই এম প্লেইং দ্যা রোল। আমি জানি ও রাগ করে থাকতে পারবে না। সিনথি অলওয়েজ লাভ হার আপু। হার ফ্রেন্ডস এন্ড ফিলোসফার। কোন এক উটকো আনকালচার্ড পলিটিক্যাল বাস্টার্ড আমাদের সম্পর্কে বাধা ধরাতে পারবে না।
এদিকে অফিসেও শান্তি নেই। সবাই যে এসাইনমেন্ট টা চায় না সেটাই আমাকে দেওয়া হয়েছে। আমি বুঝি অফিস পলিটিক্স। আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে রাইয়ান ভাই, সাবিত ভাই উনাকে দেখতে পারে না তাই আমাকে এমন একটা এসাইনমেন্ট দিয়েছে যাতে ফেইল হবার চান্স ৭০%। আর আমার ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র খায়রুল ভাই। লুইচ্চা একটা। আইবিএতে আমাদের দুই ব্যাচ সিনিয়র ছিল। তখন থেকেই জ্বালাতো। এখন এখানে এসে জোক্সের নামে যেসব বলে মনে হয় ধরে থাপ্পড় মারি। রাইয়ান ভাই অবশ্য বলে দিয়েছে একটু ধৈর্য্য ধরতে। অফিস পলিটিক্সে নাকি একটা পরিবর্তন আসবে কয়েক মাসের মধ্যে। তখন ধরে ধরে সবাই কে সাইজ করে দিবে। এইজন্য চুপ করে আছি। এই কাজটা স্ট্রেসফুল। ঢাকা সাউথ হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউশন লাইন ডিজাইন করার জন্য একটা ডিজাস্টার। এত এত রকম ভেরিয়েবল। আমি নিজেও এইসব এলাকার সাথে অমন পরিচিত না, সেটাও একটা প্রব্লেম। এইসব জেনেই আমাকে দেওয়া হয়েছে যাতে আমি ব্যর্থ হই। কিন্তু হার মানার মেয়ে আমি না। সাবরিনা যখন কাজটা নিয়েছে যেভাবে হোক সেটা সে করবেই। রাইয়ান ভাইও বলেছে সাবরিনা ইউ হ্যাভ টু ডু ইট। তোমার জন্য আমি অনেক লবিং করেছি তাই তুমি ব্যর্থ হলে আমিও ব্যর্থ। যা হেল্প লাগে নাও বাট ইউ হ্যাভ টু ডু ইট।
[/HIDE]
[HIDE]
আজকের ডিনারটা একটা রিফ্রেশমেন্ট আমার জন্য। গত মাস তিনেক আগে জয়েন করার পর থেকে এই হাউসে ভাল চাপে আছি। আজকে ডিনারে মনে হচ্ছে সব রকম পারফমেন্স প্রেসার আর পলিটিক্স এড়িয়ে একটু ভাল গল্প স্বল্প হচ্ছে। আর কালচারাল প্রোগ্রামটাও ভাল হচ্ছে। এইসময় আমিনুল ভাই বেশ লম্বা একজনকে সাথে নিয়ে আসলেন। বললেন মিট মাহফুজ, হি ইজ দ্যা নিউ ম্যান টু হেল্প আস ইন দ্যা ফিল্ড। তোমরা যারা স্ট্রাটেজিক ডিপার্টমেন্টের ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যান নিয়ে কাজ করছ তাদের অনেক হেল্প করতে পারবে মাহফুজ সাহেব। এই সময় পাশ থেকে সামিরা বলল হ্যান্ডসাম ফেলো। পলিটিক্যাল লিয়াজো গুলো সবসময় হয় ভুড়িয়াল নাহয় ক্ষেত কিন্তু এদিখি হ্যান্ডসাম হাঙ্ক। সামিরা অবশ্য মিথ্যা বলে নি। গত তিন বছর কর্পোরেটে কাজ করার সময় যত পলিটিক্যাল লিয়াজোর সাথে কাজ করতে হয়েছে সবাই কে ঐ ক্যাটাগরিতে ফেলা যায় খালি আজকের এই লোকটা বাদে। কিন্তু দেখে কেন জানি চেনা চেনা মনে হচ্ছে। ধরতে পারছি না কোথায় দেখেছি। গ্রে স্যুট, ছোট চুল, আর স্মার্ট দাড়িতে আসলেই লোকটাকে ভাল লাগছে। হয়ত বড় কোন নেতার এমবিএ করা ছেলেফেলে হবে। তবে আমার জন্য ভাল হল। আনকালচার্ড ক্ষেত পলিটিক্যাল বাফুনদের সাথে ডিল করার চাইতে এই মাহফুজ সাহেব উইল বি মাচ মোর বেটার।
সবার সাথে একে একে পরিচয় হতে হতে আমার দিকে তাকাল। আমি নাম বলতেই হাত বাড়ালো নাইস টু মিট ইউ। ওয়ার্ম এন্ড স্ট্রং হ্যান্ড। গুড। বেশ লম্বা লোকটা। কত হবে? পাচ দশ না পাচ এগার হবে? নাকি ছয় ফুট। বেশ ভাল মানিয়েছে। দাড়িতে একটা চার্মিং ভাব আসছে চেহারায়। অনেকটা রাং দে বাসন্তীর আসলামের মত। তবে কেন জানি চেনা চেনা মনে হচ্ছে। পরে বের করা যাবে কিভাবে চিনি। এখন বেশি কৌতুহল না দেখানোই ভাল। সামিরা যেভাবে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। আমি বেশি আগ্রহ দেখালে আমার পিছনে পড়বে। অফিসে সামিরার সাথে বেশ খাতির আমার বাট শি ইজ জাস্ট এ ম্যান ইটার। যেভাবে তাকাচ্ছে মনে হচ্ছে গিলে খাবে। ওর যা মুখ কৌতুহল দেখালে পরে আমাকে টিজ করে উড়িয়ে ছাড়বে। তবে লোকটা কথা জানে বোঝা যাচ্ছে। হি ইজ চার্মিং, গুড লুকিং এন্ড ফর্ম পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড। ভেরি ইন্টারেস্টিং। এই লোক কে কাজে লাগাতে হবে এসাইনমেন্টের কাজে।
[/HIDE]