[HIDE]
সিনথিয়া যদিও বলেছিল নুসাইবা আর আরশাদ দুইজনেই ট্রিকি আছে তখনো মাহফুজ আন্দাজ করতে পারে নি কতটা ট্রিকি আসলে এই দুইজন। তাই অনুষ্ঠান শেষ হবার পর মাহফুজ একটু হালকা মুডে ছিল। কিন্তু দুই দিন পর দুই ঘন্টার ব্যবধানে দুইটা ভিন্ন ভিন্ন ফোন পেয়ে মাহফুজ বুঝতে পারল এই দুইজন আসলেই বেশ ধুরন্দর বান্দা। প্রথম ফোন আসে তাপস’দার কাছ থেকে। তাপস দা একসময় ছাত্র রাজনীতি করতেন এখন মূল দলের একটা উপ কমিটির যৌথ আহবায়ক। পার্টি অফিসে গেলে মাঝে মধ্যে দেখা হয়। মূলত খালেদ চাচার সাথে ঘোরাঘুরি করার জন্য তাপস’দার সাথে পরিচয় হয়েছে। খালেদ চাচা কে খুব শ্রদ্ধা করেন তাপস’দা। তাপস দা ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেন কিরে মাহফুজ তোর কি বিয়ের কথা চলছে নাকি। মাহফুজ জিজ্ঞেস করে কেন দাদা? বলে আজকে এক অফিসে গিয়েছিলাম কাজ। সেখানে এক ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় আছে আমার। উনি প্রথমে জানতে চাইল এক জনের খোজ বের করে দিতে পারব কিনা। আমি জিজ্ঞেস করলাম কে? উনি বলল আমাদের দলের রাজনীতি করে। আমি বললাম ট্রাই করে দেখতে পারি। উনি তখন তোর নাম বলল মাহফুজ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুগ সংগঠনের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি। আমি চিনি বলার পর উনি তোর ফ্যামিলি, তোর পড়াশুনা, রাজনীতিতে ভবিষ্যত এইসব নিয়ে বহু বহু প্রশ্ন করল। কি জন্য এইসব প্রশ্ন করছে জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে গেল মনে হয়। মাহফুজ বুঝতে পারল কার কথা হচ্ছে। তাও নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করল দাদা কোন অফিসে বসে ভদ্রলোক আর উনার নাম কি। তাপস দা উত্তর দিল ঢাকা কর অঞ্চল ৭ এর কমিশনার, আরশাদ সাহেব। তবে ভদ্রলোক যে সব প্রশ্ন করলেন সাধারণত বিয়ের পাত্র পাত্রীদের খোজ নেবার জন্য মানুষ এইসব প্রশ্ন করে। সত্যি করে বল কি কারণে জিজ্ঞেস করল তোর এই খবর। মাহফুজ এইবার একটু হেসে উত্তর দিল আপনি যেটা ভাবছেন খানিকটা ব্যাপার সেটাই তবে কিছু ফাইনাল হয় নায়। তাপস’দা উত্তর দিল তাহলে তো ঠিক আছে। আমি যত পারা যায় ভাল কথা বলে আসছি তোর নামে। অবশ্য এমনিতেই তোর ভবিষ্যত উজ্জ্বল আমার খুব বেশি বাড়িয়ে বলতে হয় নি। মাহফুজ ধন্যবাদ দিল। রাজনীতি হল ফেভার আর পালটা ফেভারের খেলা। তাপসদা জানিয়ে দিল উনি মাহফুজের একটা উপকার করেছেন ফলে মাহফুজের কাছ থেকে উনার ভবিষ্যতে একটা উপকার পাওনা রইল। মাহফুজ তাই কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কথা শেষ করল।
এরপরের ফোনটা আসল এর ঘন্টা এক পরে। ট্যাক্সের কাজে হেল্প করার জন্য ট্যাক্স অফিসের এক সেকশন অফিসারে সাথে মাহফুজের খাতির আছে। মাঝে মাঝে দেখা হলে মিষ্টি খাবার নাম করে কিছু টাকা প্রতিবার ঘুষ দেয়। মাহফুজের সাথে তার মূলত ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেবার মৌসুমে কথা হয় বেশি। তাই এখন ফোন দেখে অবাক হল। ভদ্রতা সূচক আলাপ পরিচয় বিনিময় হবার পর সেই লোক জানালো তার ট্যাক্স ফাইল নাকি বড় স্যার তলব করেছে। মাহফুজ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল কেন? ভদ্রলোক জানালো এমনিতে প্রতিবছর র্যান্ডমলি কিছু ইনকাম ট্যাক্স ফাইল চেক করা হয় তবে এটা সেরকম কিছু না। কারণ সেরকম কিছু হলে একসাথে অনেক গুলো ফাইল একসাথে কল করা হয়। মাহফুজ জিজ্ঞেস করে তাহলে এটা কি? ঐ ভদ্রলোক বলে আমার তো জানা নাই। আমি ভাবলাম আপনি জানেন নাকি কিছু। কোন বড় কার সাথে আপনার শত্রুতা আছে যে আপনার ইনকাম ট্যাক্সের ফাইল ঘাটতে পারে। মাহফুজ বলে ইনকাম ট্যাক্সের কাগজ ঘাটবে এমন শত্রু তো কেউ নেই। মাহফুজের সাথে সাথে মনে পড়ে এটা কর অঞ্চল ৭ আর এখানকার ট্যাক্স কমিশনার আরশাদ সাহেব। আপনার কাছে কাগছ কে চেয়েছে। ভদ্রলোক বলে আমার বড় সাহেব। মাহফুজ জিজ্ঞেস করে উনার নাম কি আরশাদ সাহেব। ভদ্রলোক বলেন না, আরশাদ সাহেব আমার বড় সাহেবের বস। তবে ফাইল চেক করছে আমার বড় সাহেব। মাহফুজ বুঝে আরশাদ আরেক জনকে দ্বায়িত্ব দিয়েছে ওর ট্যাক্স ফাইল চেক করার। মাহফুজ বুঝে সিনথিয়ার কথা ঠিক। খেলা শুরু হয়ে গেছে। পিছিয়ে যাবার পাত্র মাহফুজ না। তাই ভদ্রলোক কে বলে এই সম্পর্কে আর কিছু জানলে আমাকে জানাবেন। ফোন কাটার পর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে ভাবতে থাকে মাহফুজ। এখন আর চুপ করে দেখার সময় নেই। গেম ইজ অন। রাজনীতির ভাষায় বললে, খেলা হবে।
[/HIDE]
সিনথিয়া যদিও বলেছিল নুসাইবা আর আরশাদ দুইজনেই ট্রিকি আছে তখনো মাহফুজ আন্দাজ করতে পারে নি কতটা ট্রিকি আসলে এই দুইজন। তাই অনুষ্ঠান শেষ হবার পর মাহফুজ একটু হালকা মুডে ছিল। কিন্তু দুই দিন পর দুই ঘন্টার ব্যবধানে দুইটা ভিন্ন ভিন্ন ফোন পেয়ে মাহফুজ বুঝতে পারল এই দুইজন আসলেই বেশ ধুরন্দর বান্দা। প্রথম ফোন আসে তাপস’দার কাছ থেকে। তাপস দা একসময় ছাত্র রাজনীতি করতেন এখন মূল দলের একটা উপ কমিটির যৌথ আহবায়ক। পার্টি অফিসে গেলে মাঝে মধ্যে দেখা হয়। মূলত খালেদ চাচার সাথে ঘোরাঘুরি করার জন্য তাপস’দার সাথে পরিচয় হয়েছে। খালেদ চাচা কে খুব শ্রদ্ধা করেন তাপস’দা। তাপস দা ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেন কিরে মাহফুজ তোর কি বিয়ের কথা চলছে নাকি। মাহফুজ জিজ্ঞেস করে কেন দাদা? বলে আজকে এক অফিসে গিয়েছিলাম কাজ। সেখানে এক ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় আছে আমার। উনি প্রথমে জানতে চাইল এক জনের খোজ বের করে দিতে পারব কিনা। আমি জিজ্ঞেস করলাম কে? উনি বলল আমাদের দলের রাজনীতি করে। আমি বললাম ট্রাই করে দেখতে পারি। উনি তখন তোর নাম বলল মাহফুজ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুগ সংগঠনের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি। আমি চিনি বলার পর উনি তোর ফ্যামিলি, তোর পড়াশুনা, রাজনীতিতে ভবিষ্যত এইসব নিয়ে বহু বহু প্রশ্ন করল। কি জন্য এইসব প্রশ্ন করছে জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে গেল মনে হয়। মাহফুজ বুঝতে পারল কার কথা হচ্ছে। তাও নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করল দাদা কোন অফিসে বসে ভদ্রলোক আর উনার নাম কি। তাপস দা উত্তর দিল ঢাকা কর অঞ্চল ৭ এর কমিশনার, আরশাদ সাহেব। তবে ভদ্রলোক যে সব প্রশ্ন করলেন সাধারণত বিয়ের পাত্র পাত্রীদের খোজ নেবার জন্য মানুষ এইসব প্রশ্ন করে। সত্যি করে বল কি কারণে জিজ্ঞেস করল তোর এই খবর। মাহফুজ এইবার একটু হেসে উত্তর দিল আপনি যেটা ভাবছেন খানিকটা ব্যাপার সেটাই তবে কিছু ফাইনাল হয় নায়। তাপস’দা উত্তর দিল তাহলে তো ঠিক আছে। আমি যত পারা যায় ভাল কথা বলে আসছি তোর নামে। অবশ্য এমনিতেই তোর ভবিষ্যত উজ্জ্বল আমার খুব বেশি বাড়িয়ে বলতে হয় নি। মাহফুজ ধন্যবাদ দিল। রাজনীতি হল ফেভার আর পালটা ফেভারের খেলা। তাপসদা জানিয়ে দিল উনি মাহফুজের একটা উপকার করেছেন ফলে মাহফুজের কাছ থেকে উনার ভবিষ্যতে একটা উপকার পাওনা রইল। মাহফুজ তাই কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কথা শেষ করল।
এরপরের ফোনটা আসল এর ঘন্টা এক পরে। ট্যাক্সের কাজে হেল্প করার জন্য ট্যাক্স অফিসের এক সেকশন অফিসারে সাথে মাহফুজের খাতির আছে। মাঝে মাঝে দেখা হলে মিষ্টি খাবার নাম করে কিছু টাকা প্রতিবার ঘুষ দেয়। মাহফুজের সাথে তার মূলত ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেবার মৌসুমে কথা হয় বেশি। তাই এখন ফোন দেখে অবাক হল। ভদ্রতা সূচক আলাপ পরিচয় বিনিময় হবার পর সেই লোক জানালো তার ট্যাক্স ফাইল নাকি বড় স্যার তলব করেছে। মাহফুজ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল কেন? ভদ্রলোক জানালো এমনিতে প্রতিবছর র্যান্ডমলি কিছু ইনকাম ট্যাক্স ফাইল চেক করা হয় তবে এটা সেরকম কিছু না। কারণ সেরকম কিছু হলে একসাথে অনেক গুলো ফাইল একসাথে কল করা হয়। মাহফুজ জিজ্ঞেস করে তাহলে এটা কি? ঐ ভদ্রলোক বলে আমার তো জানা নাই। আমি ভাবলাম আপনি জানেন নাকি কিছু। কোন বড় কার সাথে আপনার শত্রুতা আছে যে আপনার ইনকাম ট্যাক্সের ফাইল ঘাটতে পারে। মাহফুজ বলে ইনকাম ট্যাক্সের কাগজ ঘাটবে এমন শত্রু তো কেউ নেই। মাহফুজের সাথে সাথে মনে পড়ে এটা কর অঞ্চল ৭ আর এখানকার ট্যাক্স কমিশনার আরশাদ সাহেব। আপনার কাছে কাগছ কে চেয়েছে। ভদ্রলোক বলে আমার বড় সাহেব। মাহফুজ জিজ্ঞেস করে উনার নাম কি আরশাদ সাহেব। ভদ্রলোক বলেন না, আরশাদ সাহেব আমার বড় সাহেবের বস। তবে ফাইল চেক করছে আমার বড় সাহেব। মাহফুজ বুঝে আরশাদ আরেক জনকে দ্বায়িত্ব দিয়েছে ওর ট্যাক্স ফাইল চেক করার। মাহফুজ বুঝে সিনথিয়ার কথা ঠিক। খেলা শুরু হয়ে গেছে। পিছিয়ে যাবার পাত্র মাহফুজ না। তাই ভদ্রলোক কে বলে এই সম্পর্কে আর কিছু জানলে আমাকে জানাবেন। ফোন কাটার পর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে ভাবতে থাকে মাহফুজ। এখন আর চুপ করে দেখার সময় নেই। গেম ইজ অন। রাজনীতির ভাষায় বললে, খেলা হবে।
[/HIDE]