বাংলাদেশে সাধারণত তিন ধরনের যৌনকর্মী দেখা যায়: হোটেল ভিত্তিক, পার্ক ও উদ্যানে ভাসমান এবং যৌনপল্লিভিত্তিক। বেশ কিছু যৌনপল্লি উচ্ছেদ করা হলেও ২০২০ সালে বাংলাদেশে ১৪টি নিবন্ধিত যৌনপল্লি আছে। গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে ২ লক্ষ যৌন কর্মী আছে। বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারী অনুমোদনে নিবন্ধিত পতিতালয়ের মধ্যে ৭টি যৌনপল্লি রয়েছে ঢাকা বিভাগে, ৬টি খুলনা বিভাগে ও একটি রয়েছে বরিশাল বিভাগে। দৌলতদিয়া যৌনপল্লি, কান্দুপট্টি, টানবাজার যৌনপল্লি, সন্ধ্যাবাজার যৌনপল্লি ও গাঙ্গিনাপাড় যৌনপল্লির পাশাপাশি চট্টগ্রামের সদরঘাটের বিলুপ্ত যৌনপল্লিটি বাংলাদেশের নামকরা কিছু যৌনপল্লি।
দৌলতদিয়া যৌনপল্লি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পতিতালয়। এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় পতিতালয়। এখানে প্রায় চার হাজার যৌনকর্মী পতিতাবৃত্তি পেশায় জড়িত। এখানে প্রায় তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ সর্দারনী রয়েছে। এই সব সর্দারনীর আন্ডারে সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জন করে পতিতা কাজ করেন। এইসব সর্দারনী বা বাড়িওয়ালীর প্রতিদিনের সর্বনিন্ম আয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এছাড়াও অবস্থাশালী বাড়িওয়ালীদের আয় দিনে আনুমানিক ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা।
আমার বহু বছরের ইচ্ছে ছিল দৌলতদিয়া যাওয়ার। কিন্তু সংগী সাথী ছাড়া ঠিক সাহস করে উঠতে পারছিলাম না। ঢাকার পতিতালয়গুলো যেমন হাতের কাছেই, এটাতে যেতেই লাগবে বহু সময়। কিন্তু আপনারা কেউ গিয়ে থাকলে আমাকে পরামর্শ এবং বুদ্ধি দিতে পারেন। আপনাদের অভিজ্ঞতাও জানাতে পারেন।
