লম্ফবার্ষিকী
------------------
জানার কি আর শেষ আছে কোনো? আজকেই জ্ঞানলাভ হলো এক সম্পূর্ণ নতুন বিষয়ে। লা বুজি দ্য সাপোঁ। এখানে "বুজি"-র জ-কে বলতে হবে z দিয়ে, বাঙাল মতে। বাংলায় লেখার আপ্রাণ চেষ্টা করলাম এই ফরাসী শব্দবন্ধের - La Bougie du Sapeur. হয়তো হলো না মোটেই, তাই লিখে দিলাম আংরেজি হরফেও। কী সেটা? খায় না মাথায় দেয়? আমার মতো অজ্ঞ যাঁরা তাঁদের জ্ঞাতার্থে বলি ... ফরাসী ভাষার এক পত্রিকা এটি। তো? সেরকম তো অবিরাম ছাপা হয় দুনিয়ার প্রায় সব ভাষাতেই! তাহলে এত ব্যাকুল হওয়ার আছেটা কি? আছে মহায়। এই বিশেষ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয় চার বছরে একবার, শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ তারিখে। হয়ে চলেছে সেই ১৯৮০ সাল থেকে। এবং সেই হিসেবে দুনিয়ার সবথেকে কম ফ্রিকোয়েন্সিতে বের হওয়া পত্রিকা হলো এটাই।
এত বছরের চেষ্টায় গতকাল যথানিয়মে প্রকাশিত হয়েছে এর মাত্র দ্বাদশ সংখ্যাটি। শুধুমাত্র কাগজের দোকানে প্রায় পাঁচ ইউরোর বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেছে প্রায় লাখদুয়েক কপি। ফ্রান্স ছাড়া আশপাশের অন্য কিছু দেশেও ইদানিং পাওয়া যায় এই পত্রিকা। তবে এখনও কোনো অনলাইন ভার্সান নেই এটির। আর হ্যাঁ, ইচ্ছে হলে গ্রাহকও হতে পারেন আপনি ... লাগবে একশো ইউরো মাত্র ... পুরো একটি শতাব্দীর জন্য! এই বাবদ যা আয় হয় তার পুরোটাই দান করে দেওয়া হয় কোনো সৎ কাজে। সুতরাং উদ্দেশ্য নেহাতই মহৎ এখানে, মানতেই হবে সেটা।
সাধারণভাবে নির্ভেজাল ব্যঙ্গ ও কৌতুকই বিষয়বস্তু এখানে। গত চার বছরে ঘটে যাওয়া মুখ্য ঘটনা যত সেগুলোই পরিবেশন করা হয় একটু অন্য রকম মোড়কে মুড়ে। যেমন, সর্বশেষ সংখ্যাটিতে খোরাক নামানো হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর ওপর ... বলা হয়েছে যে এর বদান্যতায় ফ্রান্সের যাবতীয় স্কুলগুলো বর্তমানে নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে নাকি! আর একটা লেখায় প্যারিসের আসন্ন সামার অলিম্পিকসের সময় শহরের সর্বাঙ্গীণ সুরক্ষার কারণে আইফেল টাওয়ারকে পার্ট বাই পার্ট খুলে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সাথে সংযোজন ... জগদ্বিখ্যাত সুইডিশ আসবাব সংস্থা আইকিয়া/ইকিয়া-কে দায়িত্ব দেওয়া হোক একটি ম্যানুয়াল তৈরি করার যা ব্যবহার করে সবকটা টুকরো জুড়ে পুরো টাওয়ারটা পুনর্নির্মাণ করা যাবে অতি সহজেই।
কিভাবে শুরু এই পত্রিকার? নিতান্তই মজা করে খেলাচ্ছলে, দুই বন্ধুর মধ্যে। নামের মানে ইংরেজি ভাষায় দাঁড়ায় "The Sapper's Candle" ... যার বাংলা করা যেতে পারে "সৈনিকের মোমবাতি"। "স্যাপার" হলো সেই ধরণের সেনানী যার কাজ হলো যুদ্ধক্ষেত্রে ছড়িয়ে থাকা যাবতীয় "মাইন" নিষ্ক্রিয় করা। ১৮৯৬ সালে সৃষ্ট একটি কমিক চরিত্র, এইরকম এক সৈনিক যার নাম কামেম্বার, যার জন্মদিন ২৯শে ফেব্রুয়ারি, এবং যে সেনাবাহিনী যোগ দিয়েছিলো মাত্র তার চতুর্থ জন্মদিনের ঠিক পরেই ... তার কথা ভেবেই রাখা এই পত্রিকার নাম।
মনে প্রশ্ন জাগছে ... পরের সংখ্যাটির বিষয়ে খবর পাবো কি? উত্তর জানে শুধু মহাকাল।
২রা মার্চ, ২০২৪
------------------
জানার কি আর শেষ আছে কোনো? আজকেই জ্ঞানলাভ হলো এক সম্পূর্ণ নতুন বিষয়ে। লা বুজি দ্য সাপোঁ। এখানে "বুজি"-র জ-কে বলতে হবে z দিয়ে, বাঙাল মতে। বাংলায় লেখার আপ্রাণ চেষ্টা করলাম এই ফরাসী শব্দবন্ধের - La Bougie du Sapeur. হয়তো হলো না মোটেই, তাই লিখে দিলাম আংরেজি হরফেও। কী সেটা? খায় না মাথায় দেয়? আমার মতো অজ্ঞ যাঁরা তাঁদের জ্ঞাতার্থে বলি ... ফরাসী ভাষার এক পত্রিকা এটি। তো? সেরকম তো অবিরাম ছাপা হয় দুনিয়ার প্রায় সব ভাষাতেই! তাহলে এত ব্যাকুল হওয়ার আছেটা কি? আছে মহায়। এই বিশেষ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয় চার বছরে একবার, শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ তারিখে। হয়ে চলেছে সেই ১৯৮০ সাল থেকে। এবং সেই হিসেবে দুনিয়ার সবথেকে কম ফ্রিকোয়েন্সিতে বের হওয়া পত্রিকা হলো এটাই।
এত বছরের চেষ্টায় গতকাল যথানিয়মে প্রকাশিত হয়েছে এর মাত্র দ্বাদশ সংখ্যাটি। শুধুমাত্র কাগজের দোকানে প্রায় পাঁচ ইউরোর বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেছে প্রায় লাখদুয়েক কপি। ফ্রান্স ছাড়া আশপাশের অন্য কিছু দেশেও ইদানিং পাওয়া যায় এই পত্রিকা। তবে এখনও কোনো অনলাইন ভার্সান নেই এটির। আর হ্যাঁ, ইচ্ছে হলে গ্রাহকও হতে পারেন আপনি ... লাগবে একশো ইউরো মাত্র ... পুরো একটি শতাব্দীর জন্য! এই বাবদ যা আয় হয় তার পুরোটাই দান করে দেওয়া হয় কোনো সৎ কাজে। সুতরাং উদ্দেশ্য নেহাতই মহৎ এখানে, মানতেই হবে সেটা।
সাধারণভাবে নির্ভেজাল ব্যঙ্গ ও কৌতুকই বিষয়বস্তু এখানে। গত চার বছরে ঘটে যাওয়া মুখ্য ঘটনা যত সেগুলোই পরিবেশন করা হয় একটু অন্য রকম মোড়কে মুড়ে। যেমন, সর্বশেষ সংখ্যাটিতে খোরাক নামানো হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর ওপর ... বলা হয়েছে যে এর বদান্যতায় ফ্রান্সের যাবতীয় স্কুলগুলো বর্তমানে নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে নাকি! আর একটা লেখায় প্যারিসের আসন্ন সামার অলিম্পিকসের সময় শহরের সর্বাঙ্গীণ সুরক্ষার কারণে আইফেল টাওয়ারকে পার্ট বাই পার্ট খুলে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সাথে সংযোজন ... জগদ্বিখ্যাত সুইডিশ আসবাব সংস্থা আইকিয়া/ইকিয়া-কে দায়িত্ব দেওয়া হোক একটি ম্যানুয়াল তৈরি করার যা ব্যবহার করে সবকটা টুকরো জুড়ে পুরো টাওয়ারটা পুনর্নির্মাণ করা যাবে অতি সহজেই।
কিভাবে শুরু এই পত্রিকার? নিতান্তই মজা করে খেলাচ্ছলে, দুই বন্ধুর মধ্যে। নামের মানে ইংরেজি ভাষায় দাঁড়ায় "The Sapper's Candle" ... যার বাংলা করা যেতে পারে "সৈনিকের মোমবাতি"। "স্যাপার" হলো সেই ধরণের সেনানী যার কাজ হলো যুদ্ধক্ষেত্রে ছড়িয়ে থাকা যাবতীয় "মাইন" নিষ্ক্রিয় করা। ১৮৯৬ সালে সৃষ্ট একটি কমিক চরিত্র, এইরকম এক সৈনিক যার নাম কামেম্বার, যার জন্মদিন ২৯শে ফেব্রুয়ারি, এবং যে সেনাবাহিনী যোগ দিয়েছিলো মাত্র তার চতুর্থ জন্মদিনের ঠিক পরেই ... তার কথা ভেবেই রাখা এই পত্রিকার নাম।
মনে প্রশ্ন জাগছে ... পরের সংখ্যাটির বিষয়ে খবর পাবো কি? উত্তর জানে শুধু মহাকাল।
২রা মার্চ, ২০২৪