ঘটনার সূত্রপাত ১৮৫৮ সালে।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি,এ পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলায় ফেল করেছিলেন। যে বঙ্কিম আগের সকল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছিলেন,সেই তিনি বাংলায় ফেল করেছেন।স্বভাবতই তিনি মন খারাপ করলেন। বাংলায় তিনি ৭ নম্বর কম পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেস দিয়েছিলেন। কারণ যারা ফেল করেছিলেন তাদের মধ্যে বঙ্কিমের অবস্থান ছিল প্রথম। বঙ্কিম ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতক।বঙ্কিমচন্দ্রের খাতা দেখেছিলেন স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।তিনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেস দেওয়ার পক্ষে ছিলেন না। তাঁর বক্তব্য ,যে যেমন নম্বর পাওয়ার যোগ্য , তাকে তাই দেওয়া হয়েছে।সেই পরীক্ষা কলকাতার টাউনহলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।বঙ্কিমচন্দ্র এবং যদুনাথ বসু দুইজন সেবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। দু'জনই প্রেসিডেন্সির ছাত্র ছিলেন।
ফলস্বরূপ ,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যে কাজই করেছেন বঙ্কিম তার বিরোধিতা করেছেন।
বিধবা বিবাহের কথাই ধরুন না।১২৭৯ বঙ্গাব্দে "বঙ্গদর্শন" পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় "বিষবৃক্ষ"। সেখানে
সূর্যমুখী একটি চিঠিতে লিখছে..."ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নামে কলকাতায় এক বড় পণ্ডিত আছেন।তিনি আবার একখানি বিধবা বিবাহের বহি বাহির করিয়াছেন। যে বিধবা বিবাহের ব্যবস্থা দেয় সে যদি পণ্ডিত হয়,তবে মূর্খ কে?"
এই ঘটনার প্রতি-উত্তর বিদ্যাসাগর দিয়েছেন বর্ধমানের তারকনাথ বিশ্বাসের ভোজসভায়। তারকনাথ বিশ্বাসের বাড়িতে বিদ্যাসাগর, ভোজসভার আয়োজন করেছেন।নিজ হাতে রেঁধে বেড়ে খাওয়াবেন। মেনু۔۔ভাত,পাঁঠার ঝোল আর আম আদার মেটেঅম্ল | নিমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।তিনি জানতেন না,রান্নাটা কে করেছেন।খেতে খেতে বলে উঠলেন, এতো সুস্বাদু অম্ল তো কখনো খাই নাই।উপস্থিত সঞ্জীবচন্দ্র বলে উঠলেন ,রান্নাটা কার জানো তো?বিদ্যাসাগরের।
বিদ্যাসাগর হাসিমুখে বলে উঠলেন, "না হে না, বঙ্কিমের সূর্যমুখী আমার মতো মূর্খ দেখেনি।"বঙ্কিম কোনো উত্তর দেননি ,তবে হাসির রোল পড়ে গিয়েছিল।
ঈশ্বরচন্দ্র নিয়মিত সাহিত্যসভায় যেতেন।এক সাহিত্যসভায় বিদ্যাসাগরের সাথে দেখা হল বঙ্কিমচন্দ্রের।বঙ্কিমের পরনে ছিল শৌখিন পোশাক আর বিদ্যাসাগরের গায়ে খদ্দরের চাদর আর পায়ে শুঁড় তোলা চটি।বিদ্যাসাগরের চটির দিকে চোখ যেতেই বঙ্কিম আঙুল দিয়ে বললেন,পণ্ডিতমশাই আপনার চটির শুঁড় তো ক্রমশ ওপরের দিকে উঠছে।দেখবেন শেষে মাথায় না গিয়ে ঠেকে।
রসিক বিদ্যাসাগর বঙ্কিমকে রসিকতার সাথে হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন,*কী আর করা যায় বলো।চট্টরা যতই পুরনো হয় ততই দেখি বঙ্কিম হয়ে ওঠে।*
কিন্তু, বিদ্যাসাগরের মৃত্যুর পর বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছেন , *সমাজসংস্কারের পক্ষে অমন সাহসী পদক্ষেপ খুব একটা দেখা যায় না।পাণ্ডিত্য, দানশীলতা এবং সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একজন পথিকৃৎ*
- সংগৃহীত
ফলস্বরূপ ,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যে কাজই করেছেন বঙ্কিম তার বিরোধিতা করেছেন।
বিধবা বিবাহের কথাই ধরুন না।১২৭৯ বঙ্গাব্দে "বঙ্গদর্শন" পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় "বিষবৃক্ষ"। সেখানে
সূর্যমুখী একটি চিঠিতে লিখছে..."ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নামে কলকাতায় এক বড় পণ্ডিত আছেন।তিনি আবার একখানি বিধবা বিবাহের বহি বাহির করিয়াছেন। যে বিধবা বিবাহের ব্যবস্থা দেয় সে যদি পণ্ডিত হয়,তবে মূর্খ কে?"
এই ঘটনার প্রতি-উত্তর বিদ্যাসাগর দিয়েছেন বর্ধমানের তারকনাথ বিশ্বাসের ভোজসভায়। তারকনাথ বিশ্বাসের বাড়িতে বিদ্যাসাগর, ভোজসভার আয়োজন করেছেন।নিজ হাতে রেঁধে বেড়ে খাওয়াবেন। মেনু۔۔ভাত,পাঁঠার ঝোল আর আম আদার মেটেঅম্ল | নিমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।তিনি জানতেন না,রান্নাটা কে করেছেন।খেতে খেতে বলে উঠলেন, এতো সুস্বাদু অম্ল তো কখনো খাই নাই।উপস্থিত সঞ্জীবচন্দ্র বলে উঠলেন ,রান্নাটা কার জানো তো?বিদ্যাসাগরের।
বিদ্যাসাগর হাসিমুখে বলে উঠলেন, "না হে না, বঙ্কিমের সূর্যমুখী আমার মতো মূর্খ দেখেনি।"বঙ্কিম কোনো উত্তর দেননি ,তবে হাসির রোল পড়ে গিয়েছিল।
ঈশ্বরচন্দ্র নিয়মিত সাহিত্যসভায় যেতেন।এক সাহিত্যসভায় বিদ্যাসাগরের সাথে দেখা হল বঙ্কিমচন্দ্রের।বঙ্কিমের পরনে ছিল শৌখিন পোশাক আর বিদ্যাসাগরের গায়ে খদ্দরের চাদর আর পায়ে শুঁড় তোলা চটি।বিদ্যাসাগরের চটির দিকে চোখ যেতেই বঙ্কিম আঙুল দিয়ে বললেন,পণ্ডিতমশাই আপনার চটির শুঁড় তো ক্রমশ ওপরের দিকে উঠছে।দেখবেন শেষে মাথায় না গিয়ে ঠেকে।
রসিক বিদ্যাসাগর বঙ্কিমকে রসিকতার সাথে হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন,*কী আর করা যায় বলো।চট্টরা যতই পুরনো হয় ততই দেখি বঙ্কিম হয়ে ওঠে।*
কিন্তু, বিদ্যাসাগরের মৃত্যুর পর বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছেন , *সমাজসংস্কারের পক্ষে অমন সাহসী পদক্ষেপ খুব একটা দেখা যায় না।পাণ্ডিত্য, দানশীলতা এবং সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একজন পথিকৃৎ*
- সংগৃহীত