What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

সপ্ননীড় থেকে মুসাফির ভিলা (1 Viewer)

psex

Member
Joined
Mar 29, 2021
Threads
1
Messages
121
Credits
1,175
এটি ইন্টারফেইথ+ কাকোল্ড গল্প। গল্পটি বিখ্যাত লেখক নির্জনশাখর এর কৌশিকি এবং স্যার হেনরি দাদা এর অ্যাডাল্ট অমনিবাস্ থেকে অনুপ্রাণিত।
গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক,বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই।
বি:দ্র: এখানে কোনো ধর্ম কে ছোট করা হয় নি,কারো সাথে কোনো ধর্মের তুলনা করা হচ্ছে না, শুধুমাত্র ইন্টারফেইথ ফ্যান্টাসী থেকে লেখা একটি গল্প।
পর্ব ১:
গল্পটি যশর জেলারই এক অভিজাত পরিবারের। যশোর রোড, বাংলাদেশের খুলনা থেকে কলকাতা অবধি এক বিখ্যাত রাস্তা।এর ই পাশেই অবস্থান করছে ঝকঝকে চকমকে একটি আলিশান বাগান বাড়ি - সপ্ননীড়। বাইরে থেকে চোখে পড়ে বাড়িটির সুন্দর নকশা , সামনের বিশাল ফুলের বাগান,গুলি সন্ধ্যায় তুলশি তলার জলন্ত প্রদীপ। চলে তাই ভুল গল্পে.....
হটাৎ করেই বেজে উঠল ফোন ক্রিং ক্রিং , খানিকটা বিরক্তই হলেন প্রতিভা সাহা ,খুব মনোযোগ দিয়েই বই পড়ছিলেন তিনি। দেখলেন তার স্বামী বিভাস সাহার ফোন ।
প্রতিভা : হ্যা বলো।
বিভাস: কী করছো ! খেয়েছো! ১১ টার ফ্লাইটে আসছি আমি। বাবু ঘুমিয়েছে?
প্রতিভা: বাবাহ এতদিন পর মনে পড়লো বউ এর কাছে আসার কথা ! কী যে এত কাজ তোমার...(মনের গহীনের এক দীর্ঘশ্বাস) শুয়ে বই পড়ছিলাম, না ঋক ও ঘরে হোম ওয়ার্ক করছে। তুমি সাবধানে আসো আমি তোমার খাবার রেডি করছি।
বিভাস: কি করবে বলো বেসরকারি চাকরি তার উপর ইন্টারনেশানাল এত কনফারেন্স.. এসে বলছি তোমায় এবার কিকি হলো।
প্রতিভা : আসুন পতিদেব।
Part:02
ওকে , বলেই ফোন রেখে দিলেন বিভাস সাহা ।
বিবভাস সাহা বয়স ৩৮ , বেসরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মচারী। চাকরির কারনে বাড়িতে থাকেন না তিনি ঢাকাতেই অফিস কোয়ার্টার এ তার বাস ।যদিও বছর এর বেশির ভাগ সময় তার ভারত এবং সিঙ্গাপুরে থাকা পড়ে।তার স্ত্রী প্রতিভা রানী সাহা ।বয়স ৩৬ ।পেশায় বেসরকারি হাই স্কুলের শিক্ষিকা।যদিও টাকার জন্য তার চাকরি করতে হয় না অনেক টা সখ থেকেই এবং সময় বাঁচাতেই চাকরি করছেন।
শান্ত শিষ্ট ভদ্র মহিলা তিনি। দৃঢ় চরিত্রের অধিকারীনি হিসাবে সুনাম রয়েছে তার।স্কুল এবং এক ছেলে ঋক কে নিয়েই সময় কেটে যায় তার ।
অবসর সময় বই পড়েন,গীতা পাঠ করেন তিনি ধার্মিক মহিলা তিনি। বাড়ির ছোট্ট মন্দির গৃহে তার সময় ভালোই যায়। তাছাড়া এত বড় বাড়ি এর ছেলের পড়শোনা নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করেন তিনি।
রূপে গুনে পরিপূর্ণ তিনি দুধে আলতা গায়ের রং তার ,৫ ফুট ৩ " উচ্চতা, বুক পেট কোমর সব কিছুই পরিপূর্ণ সৌন্দর্য তার । সবসময় শাড়ি পরতেই অভ্যস্ত তিনি । সিঁথি তবে গাড় লাল সিঁদুর পড়েন হাতা শাখা , সোনার বালা। এক কথায় সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের গৃহবধূর এক অপরূপ উদাহরণ প্রতিভা সাহা। ঋক তাদের এক মাত্র সন্তান বয়স ০৬ ।প্রি ওয়ান ক্লাসে পড়ে সে মায়ের নেওটা বলতে মা বোঝায় ছেলেটি তাই।

ফোন রেখার পর রান্না ঘরে গেলেন প্রতিভা , রান্না বান্না নিজেই করেন তিনি ।দিনে এক কাজের মেয়ে আসে সেই সব রেডি করে রাখে ,আর প্রতিভা রান্না করে নেন তার সময় মত। এখন সে তার স্বামীর প্রিয় কসা মাংস রান্না করছেন। গুন গুন করে ঠাকুরের গান গাইছেন । একটু পর ঋক কে ডাক দেন " বাবাই কসা মাংসের লবন টা দেখে যাও তো "
(স্বামী সন্তান মাংস খেলেও তিনি নিরামিষ ভোজি। বৈষ্ণব মতে দিক্ষিত সে।মাছ মাংস কিছুই খান না নিরামিষ আলাদা রান্না করে নেন নিজের জন্য।)
ঋক : আসছি মা..... মা তুমি মাংস করছো! খুশি হয় ঋক। মায়ের সাথে নিরামিষ খেতে তার ভালো লাগে না।
প্রতিভা: তোমার বাবা আসবে একটু পর।
বাবার কথা শুনে খুশি হয় ঋক।
বলতে না বলতেই কলিং বেলে বেজে ওঠে কৃষ্ণের বাঁশির সুর ।প্রতিভা নিজ পছন্দে টোনটি সেট করেছিলেন।
দৌড়ে মেয়ে গেট খোলে ঋক ,বাবার কোলে উঠে পড়ে সে....
Part3:

বিভাস: আরে আমার বাবা টা কেমন আছে!?
ঋক : একটুও ভালো না বাবা , তুমি আমার কাছে আসো না কেনো! মা খালি আমাকে বই পড়ায়।
প্রতিভা: আচ্ছা তাই! বাবা আসার পর মা এখন পচা !
পারিবারিক খুনসুটিতে মেতে ওঠে ছোট এই পরিবার।
ছোট এক সুখি পরিবার এই পরিবার । স্বামী স্ত্রী একসাথে না থাকলেও তারা সুখি, যৌন মিলনের আক্ষেপ বা চাহিদা কোনো টাই এই সাহা দম্পতি এর নেই।
এক সাথে ডাইনিং এ খেতে বসেন তারা
বিভাস: তোমাকে কত বলি একটু মাছ মাংস খাও আর কতদিন এই সাকপাতা খেয়ে থাকবে বলো তো।
প্রতিভা: তুমি আর কী বুঝবে ধর্মের কথা! নিরামিষ আহার শ্রেষ্ঠ আহার বুঝেছ। তোমার মাংসে আমার বমি পায় ।
বিভাস: আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে।
প্রতিভা: এই বাড়ির পিছনে না অনেক আগাছা জঙ্গল হয়েছে লোক ডাকিয়ে পরিস্কার করে দিয়ে যেও তো।
বিভাস: হুঁম দেখছি
বেড রুমে শোয়ার পর..
বিভাস: এই তোমার জন্য এটা এনেছি
প্রতিভা : দেখি কি?ওমা এটা খুব সুন্দর কোথায় পেয়েছো গো কত সুন্দর গোপাল ঠাকুর..
কৃষ্ণে মূর্তি খচিত সোনার হার পেয়ে খুব খুশি হয় সে।
পাশের রূমে ঋক ঘুমাচ্ছে কিনা দেখে আসে বিভাস, তারপর স্বামী স্ত্রীর স্বাভাবিক যৌন মিলনের পর ঘুমিয়ে পরে তারা । মাত্র ৫ মিনিটের অতি স্বাভাবিক মিলন ,আলাদা কোনো আদর বা কিছুই এতে নেই ।এতেই যথেষ্ট খুশি এই হি** দম্পতি।
Part 4:
ভোরেই উঠে পড়ে প্রতিভা , বাথরুম থেকে স্নান সেরে নেয়। বাগান থেকে সদ্য ফুল তুলে যায়।বাড়ি সংলগ্ন তার প্রিয় মন্দির টিতে মেয়ে পূজা সেরে নেয় । তারপর ঘর গুছিয়ে রান্না সেরে নেয় । বিভাস কে ডেকে তোলে সে
পৃরতিভা: এই উঠো... উঠে ঋক কে রেডি করে দাও তো আমি ঘরের কাজ সারি...
। একটু পর সামী ছেলে কে নিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে নেয় পৃরতিভা।
প্রতিভা : আমি বের হচ্ছি বুঝলে.. আর ঋক তাহলে আজকে আমার কাছে যাবে না তুউসময় মতো ওকে স্কুল থেকে নিয়ে এসো।বলেই ঋক কে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে প্রতিভা।ঋক কে স্কুলে দিয়ে তারপর নিজের স্কুলে যায় সে।
এদিকে বিভাস অনেক দিন পর বাড়ির চার পাশ টা দেখতে থাকে..আগাছা হয়েছে ভালোই.. ফুল গাছ গুলোকে ছেটে ঠিক করতে হবে,মাটি কোপাতে হবে। সপ্তাহ পরেই তাকে এখান থেকে ভারত যেতে হবে মাস খানেকের জন্য।
দেখে বাড়ির গেটের সামনে এসে এক টি লোক বসে আছে..বিভাস কে দেখে উঠে দাঁড়ায় গেটের বাইরে থেকে বলে ।" বাবু কাজ করাবেন!"
বিভাস দেখে লোকটির পড়নে লুঙ্গি ,ছেঁড়া পাঞ্জাবি,মাথায় টুপি। মুখে বড়ো দাড়ি ,গোঁফ কামানো,দেখেই বোঝে লোকটি মুস*লমান।
Part 5:
(আনুমানিক ৬ ফিট লম্বা হবে,বয়স ৪৬। গায়ের রং কালো, ময়লা শরির । মুখটা দেখতে কুৎসিত, বিশেষ করে মুখের বা পাশটা পোড়া ।ঠোঁট বিড়ির আগুনে পোড়া ফাটা কালো।)
গেট খুলে লোকটিকে ভেতরে ডাকে বিভাস..
নাম জিজ্ঞেস করে .. লোকটির নাম মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী।
ইদ্রিস: মেলা দিন কোনো কাম পাইনা সাহাব। কিছু কাজ দিবেন সাহাব।
বিভাস ভাবে প্রতিভার কথা বাগান আর বাড়ির পেছনের দিকটা পরিস্কার করতে বলেছিল সে।
বিভাস: তা কি কাজ করবে তুমি?
ইদ্রিস: যে কুনো কাম সাহাব ,মা দিবেন সব করে দিবো।
বিভাস: তা বাড়ির বাগান পরিস্কার করতে পারবে ,আরা বাড়ির পেছনে একটা পুকূর আছে সেটার আগাছাও আছে পুকুরের কিছু কাজ ও আছে।পারবে তো?
ইদ্রিস: পারবো সাহাব।
বিভাস: আসো কাজ বুঝাই তোমাকে।
বাড়ির ভেতর থেকে মালি আর মাটির কাজের সব জিনিস এনে দেয় ইদ্রিস কে ।
ইদ্রিস কাজে লেগে পড়ে।
কথায় কথায় জানতে পারে ইদ্রিস তার ছেলে কে নিয়ে রেলের জায়গায় ছোট খুপরি বেঁধে থাকে। তার বেগম মারা গেছে। কাজের অভাবে অতি দরিদ্র অবস্থা তার । বিশেষ করে তার এই পোড়া কুতৎসিত মুখের জন্য কেউ কাজে রাখতে চায় না তাকে।
১২ টার দিকে ঋক কে আনতে যায় বিভাস। বাড়িতে ঢুকে সামনের বাগানে ইদ্রিস কে দেখে ভয় পেয়ে যায় ঋক ,তার এই কালো চেহারা আর কুৎসিত মুখ দেখে ভয়ে আড়স্ঠ হয়ে যায় বাবাকে জড়িয়ে ধরে সে।
বিভাস: আরে পাগল এটা হচ্ছে তোমার নতুন চাচা ইদ্রিস চাচা আমাদের বাড়ির আশপাশ পরিস্কার করে দিবে।..তাও যেন ভয় জায় না ঋক এর।সে ইদ্রিস এর দুরে দূরেই থাকে ।
১টার দিকে... বাড়িতে ঢোকার বাইরে থেকে বিভাস কে ডাকতে থাকে..সাহাব!
বিভাস: কিছু লাগবে?
ইদ্রিস আলী: সাহাব ,যোহর কা অক্ত হয়ে গেছে..নামাজ পড়থে যেতে হবে।
বিভাস: আচ্ছা যাও এসে কাজে লেগে যেও।
বিভাস অবাক হয় দরিদ্র এই লোকটি খাবার না থাকলেও বেশ ধার্মিক সে.. ৫ অক্ত নামাজ আদায় করে এই কুৎসিত লোকটি।
নামাজ পড়ে ফিরে আসে ইদ্রিস,কাজ করতে শুরু করে সে। বাড়ির সামনের বাগানটিতেই কাজ করছে সে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top