ইউরিন টেস্ট
কয়দিন ধরেই দীপুর শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। সর্দি-কাশির সাথে শরীরে কেমন যেনো জ্বর জ্বর একটা ভাব বিরাজ করছে। অল্পতেই কাহিল হয়ে হাপানী উঠে যায়। যদিও সর্দি-কাশি দীপুর গৃহ পালীত রোগ, প্রায় সময়েই লেগে থাকে সেজন্য শুরুতে এটাকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি। গুরুত্ব দেয়নি দীপুর বৌও ! কিন্তু দিন দিন যেভাবে দীপু দূর্বল হয়ে পড়ছে তাতে এবার আর তার বউ গুরুত্ব না দিয়ে পারলো না। দীপুকে ভালো একটা ডাক্তার দেখানোর জন্য তাগাদা দেয়া শুরু করলো। কিন্তু অফিস কামাই দিয়ে ডাক্তার দেখানো সম্ভব না বলে দীপু বারবারই পাশ কাটিয়ে যেতে লাগলো। শুক্রবার দিন দীপুর সাপ্তাহিক অফিস বন্ধ। তার বউ সে সুযোগটা নিলো। ঐ শুক্রবারে দীপুকে সংসারের কোনো কাজে না লাগিয়ে সোজা ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে দিলো। দীপুও কোনো বাহানা বের করতে না পেরে ডাক্তারের কাছে যেতে বাধ্য হলো।
মেডিসিনের প্রফেসর। বড় ডাক্তার। দীপুকে বেশ সময় নিয়ে দেখার পর ডাক্তার বললেন,
ডাক্তারঃ যতোটুকু দেখলাম তাতে আপনার তেমন কোনো সমস্যা পেলাম না। তবে প্রস্রাব টেস্ট করে দেখলে হয়তো কোনো কিছু পাওয়া যেতে পারে। এক কাজ করুন, এই বোতলটি নিয়ে যান, কালকে ভোরে এই বোতল ভরে আপনার বাসি প্রস্রাব নিয়ে আসবেন। আমি টেস্ট করে দেখবো।
দীপুঃ ঠিক আছে, ডাক্তার সাব। তো সেই প্রস্রাব কি আপনি নিজে টেস্ট করবেন নাকি আপনার সহকারী টেস্ট করবে ?
ডাক্তারঃ আরে নাহ্ ! আমার অন্যের টেস্টে আস্থা নেই। আমি নিজেই টেস্ট করবো...
পরদিন ভোরে দীপু বোতল ভরে প্রস্রাব নিয়ে আসার পথে বেশ ভালো দেখে এক প্যাকেট চানাচুরও সাথে করে নিয়ে এলো। ডক্তারের চেম্বারে ঢুকে বোতল ভরা প্রস্রাব আর চানাচুরের প্যাকেটটি ডাক্তারের টেবিলে রেখে দিয়ে দীপু বসতে যতেই ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন,
ডাক্তারঃ বোতল ভরে প্রস্রাব নিয়ে এসেছেন সে না হয় ঠিক আছে, কিন্তু এর সাথে আবার চানাচুর আনতে গেলেন কেনো ?
দীপুঃ না, ভাবলাম খালি মুখে টেস্ট করবেন... ব্যাপারটা কেমন দেখায় । তাই সাথে চানাচুর নিয়ে আসলাম। চানাচুরের সাথে টেস্ট করে মজা পাবেন...