গল্পের নামঃ একটি ছেলের আত্মকাহিনী
লেখকঃ মো. আব্দুল্লা-হিল-মারুফ (তামিম)
উৎসর্গঃ মো.রাকিব খান রাসেল
____________________________________
বাবা-মা এর একমাত্র ছেলে রাকিব।বাবা মার সাথেই থাকে খুলনা শহরে।খুলনার একটি কলেজে ইন্টার ২য় বর্ষে পড়াশোনা করছে সে।রাকিব খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে এবং অনেক সরল মস্তিকের মানুষ এমন যুগে এরকম সরল মানুষ খুব কম পাওয়া যায়।তার এই সরলতার সুযোগ নেয় তার বন্ধুরা।তার বন্ধুরা তাকে সবসময় কোনো না কোনোভাবে বিরক্ত করবেই।তাকে কষ্ট দিয়ে তার বন্ধুরা অনেক আনন্দ পায়।ঠিক এবার ও তার বন্ধুরা ওকে কিভাবে শায়েস্তা করা যায় সেটা ভাবতে লাগল।অবশেষে তারা উপায় পেয়েও গেল। তাদের কলেজে ইন্টার ১ম বর্ষে একটা মেয়ে নাম মারিয়া দেখতে অনেক সুন্দর আর সে অনেক ধনী পরিবারের মেয়ে কলেজের ছেলেরা তার দিকে তাকানোর সাহস পায় না ভয়ে। এবার রাকিবের বন্ধুরা প্লান করল একটা প্রেমপত্র লিখবে আর সেই প্রেমপত্রটি রাকিবের নাম দিয়ে লিখবে এবং মারিয়ার কাছে দিবে।যেই ভাবা সেই কাজ ওরা একটা সুন্দর প্রেমপত্র লিখল এবং সেইটা রাকিবকে না জানিয়ে ওরা মারিয়াকে দিল।মারিয়া চিঠিটি পড়ে অনেক রেগে গিয়ে তার বাবার পোষা
গুন্ডাদেরকে বলল রাকিবকে ধরে আনার জন্য। মারিয়ার বাবার লোক রাকিবকে তার ক্লাস থেকে ধরে নিয়ে এসে কলেজে সবার সামনে অনেক মারধর করে ছেড়ে দেয়। পরে রাকিব জানতে পারে তার বন্ধুরা এই কাজ করেছে। এরপরে সে রাগে লজ্জায় বাসায় চলে আসে। বাসায় আসার পরে কাউকে কিছু না বলে নিজের ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়।দুপুরবেলা তার মা তাকে ডাকতে আসেন খাওয়ার জন্য কিন্তু ঘরের ভিতর দিয়ে কোনো সাড়া পাচ্ছেন না উনি অনেক ডাকাডাকির পরে যখন ঘরের দরজা খুলছে না রাকিব তখন রাকিবের মা কান্নাকাটি শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে রাকিবের বাবা ঘর থেকে চলে আসেন এবং তিনিও রাকিবকে ডাকতে থাকেন কিন্তু রাকিব দরজা খুলছে না। তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন চলে আসে এবং তারা দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়।এরপরে তারা দরজা ভেঙে দেখে রাকিবের শরীর তার ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলছে এইদেখে তার মা-বাবা পাগল হয়ে যান।সবাই রাকিবের লাশ নামায় রাকিবের আত্মীয়স্বজন সবাই আসে।বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়। রাকিবের বন্ধুরা আসে তারা রাকিবের লাশের পাশে বসে কাঁদতে থাকে আর রাকিবের কাছে ক্ষমা চায় কারণ আজ তাদের কারণেই রাকিবের এমন হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে ক্ষমা করার জন্য রাকিব আর এই পৃথিবীতে নেই।তাদের একটা ভুলের জন্য আজ রাকিবের মত একজন সহজ-সরল মনের মানুষ এই পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেল।
-------------------------সমাপ্ত---------------------------
(গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।)
লেখকঃ মো. আব্দুল্লা-হিল-মারুফ (তামিম)
উৎসর্গঃ মো.রাকিব খান রাসেল
____________________________________
বাবা-মা এর একমাত্র ছেলে রাকিব।বাবা মার সাথেই থাকে খুলনা শহরে।খুলনার একটি কলেজে ইন্টার ২য় বর্ষে পড়াশোনা করছে সে।রাকিব খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে এবং অনেক সরল মস্তিকের মানুষ এমন যুগে এরকম সরল মানুষ খুব কম পাওয়া যায়।তার এই সরলতার সুযোগ নেয় তার বন্ধুরা।তার বন্ধুরা তাকে সবসময় কোনো না কোনোভাবে বিরক্ত করবেই।তাকে কষ্ট দিয়ে তার বন্ধুরা অনেক আনন্দ পায়।ঠিক এবার ও তার বন্ধুরা ওকে কিভাবে শায়েস্তা করা যায় সেটা ভাবতে লাগল।অবশেষে তারা উপায় পেয়েও গেল। তাদের কলেজে ইন্টার ১ম বর্ষে একটা মেয়ে নাম মারিয়া দেখতে অনেক সুন্দর আর সে অনেক ধনী পরিবারের মেয়ে কলেজের ছেলেরা তার দিকে তাকানোর সাহস পায় না ভয়ে। এবার রাকিবের বন্ধুরা প্লান করল একটা প্রেমপত্র লিখবে আর সেই প্রেমপত্রটি রাকিবের নাম দিয়ে লিখবে এবং মারিয়ার কাছে দিবে।যেই ভাবা সেই কাজ ওরা একটা সুন্দর প্রেমপত্র লিখল এবং সেইটা রাকিবকে না জানিয়ে ওরা মারিয়াকে দিল।মারিয়া চিঠিটি পড়ে অনেক রেগে গিয়ে তার বাবার পোষা
গুন্ডাদেরকে বলল রাকিবকে ধরে আনার জন্য। মারিয়ার বাবার লোক রাকিবকে তার ক্লাস থেকে ধরে নিয়ে এসে কলেজে সবার সামনে অনেক মারধর করে ছেড়ে দেয়। পরে রাকিব জানতে পারে তার বন্ধুরা এই কাজ করেছে। এরপরে সে রাগে লজ্জায় বাসায় চলে আসে। বাসায় আসার পরে কাউকে কিছু না বলে নিজের ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়।দুপুরবেলা তার মা তাকে ডাকতে আসেন খাওয়ার জন্য কিন্তু ঘরের ভিতর দিয়ে কোনো সাড়া পাচ্ছেন না উনি অনেক ডাকাডাকির পরে যখন ঘরের দরজা খুলছে না রাকিব তখন রাকিবের মা কান্নাকাটি শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে রাকিবের বাবা ঘর থেকে চলে আসেন এবং তিনিও রাকিবকে ডাকতে থাকেন কিন্তু রাকিব দরজা খুলছে না। তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন চলে আসে এবং তারা দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়।এরপরে তারা দরজা ভেঙে দেখে রাকিবের শরীর তার ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলছে এইদেখে তার মা-বাবা পাগল হয়ে যান।সবাই রাকিবের লাশ নামায় রাকিবের আত্মীয়স্বজন সবাই আসে।বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়। রাকিবের বন্ধুরা আসে তারা রাকিবের লাশের পাশে বসে কাঁদতে থাকে আর রাকিবের কাছে ক্ষমা চায় কারণ আজ তাদের কারণেই রাকিবের এমন হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে ক্ষমা করার জন্য রাকিব আর এই পৃথিবীতে নেই।তাদের একটা ভুলের জন্য আজ রাকিবের মত একজন সহজ-সরল মনের মানুষ এই পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেল।
-------------------------সমাপ্ত---------------------------
(গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।)