ব্যাংক ডাকাত
লেখক- মোঃ আব্দুল্লা-হিল-মারুফ (তামিম)
-----------------*******--------------*********-----
বসে আছি রূপালী ব্যাংক এর ওয়েটিংরুমে।
এখানে এসেছি লোনের জন্য কিন্তু সেই সকাল থেকেই অপেক্ষা করেই যাচ্ছি কিন্তু কোনো ফল পাচ্ছি না এখনো।এখানে সবাই নিজের মত কাজ করে যাচ্ছে।একজন আমাকে বসতে বললেন তাদের ম্যানেজার মিটিং এ আছেন তাই দেরী হবে।মিটিং শেষ হয়েছে অনেক আগে এখন আবার দুপুরের খাবারের জন্য বিরতি দিয়েছে।তাই আমিও বাইরে এসেছি কিছু খেয়ে নিতে অনেকক্ষন ধরে না খেয়ে আছি।এই জায়গাটা খুব নির্জন পাশে নদী আছে আর একটু সামনে গেলেই গ্রাম অঞ্চল।আমিও হাটতে থাকলাম গ্রামের ভিতর যদি কোনো খাবার হোটেল পেয়ে যাই।কিছুক্ষণ পর খেয়ে আবার ব্যাংকে ফিরে এলাম।দেখি এখন কোনো সুযোগ পাই কিনা।এই লোনটা হয়ে যায় তাহলে অনেক উপকার হবে।পড়াশোনা শেষ করে অনেকদিন বসে আছি কিন্তু কোনো চাকরি পাচ্ছি না।তাই এই লোনটা করতে পারলে ছোট খাটো একটা ব্যবসা করতে পারব।চলে এলাম ব্যাংকের ভিতর এবং আগের জায়গা গিয়ে বসলাম তখন একজন এসে আমাকে ডেকে নিয়ে গেলেন ম্যানেজার এর রুমে।ভিতরে যেয়ে ম্যানেজার সাহেব কে সালাম দিলাম এবং তিনি সালামের উত্তর দিয়ে আমাকে বসতে বললেন।এরপর আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন কেনো আমি এই লোন নিতে চাই।আমি তাকে বললাম আমি ব্যবসা করার জন্য লোন নিতে চাই আর আমার বাড়ির দলিল তাকে দেখালাম উনি সবকিছু দেখতে লাগলেন তখন বাইরে থেকে গুলি আওয়াজ শুনতে পেলাম।আমি আর ম্যানেজার সাহেব বাইরে বের হয়ে এলাম আর এসে দেখি চারজন লোক মুখ ঢাকা হাতে বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর সবাইকে বলছে মাটিতে বসে পড়তে এরপর একজন এসে সবার থেকে মোবাইল আর মানিব্যাগ/পার্স নিয়ে নিচ্ছে।একজন আমাদের দিকে এসে জিজ্ঞাস করে তোদের ভিতর ম্যানেজার কে।তখন আমি ভয়ে ভয়ে দেখিয়ে দিলাম উনি।এরপরে সে ম্যানেজার এর কাছে গিয়ে বন্দুক দেখিয়ে বলল ব্যাংকের লোকারের চাবি কোথায় আছে বল।এরপর ম্যানেজার দেখিয়ে দিল তার রুমেই আছে এরপর সেই মুখোশধারী লোকটি ম্যানেজার এর রুম থেকে চাবি নিয়ে লোকারের কাছে গেল এবং সেখান থেকে সব টাকা বের করে ব্যাগ এর ভিতর রেখে দিল এরপর আমাদেরকে বলল কেউ কোনো শব্দ করবি না।এই বলে তারা ব্যাংকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিল আর সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেল কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। কিছুক্ষন পর আলো জ্বলে উঠল আর দেখলাম সেই ডাকাতরা কেউ নাই তারা চলে গেছে।এরপর ম্যানেজার পুলিশকে ফোন দিল।পুলিশ এসে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করল।সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আমাদের কে ছেড়ে দিল।আমি এখন ব্যাংক থেকে বের হয়ে হাটতেছি আর ভাবছি আজকে অনেক বড় বিপদ থেকে বেচে গিয়েছি।এসব ভাবতে ভাবতে হাটছি তখন হঠাৎ করে আমার সামনে একটি গাড়ী এসে থামল।গাড়ীর দরজা খুলে আমাকে টেনে ভিতরে নিয়ে গেল।ভিতরে গিয়ে যা দেখলাম তা দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম।গাড়ীর ভিতরে বসে আছে ব্যাংকের ম্যানেজার,ব্যাংকের সিকুরিটি গার্ড আর সেই ডাকাতদল।আমার দিকে তাকিয়ে তারা সবাই হেসে দিল আর সেই সাথে আমিও হেসে দিলাম।এরপর আমরা সবাই হাত মেলালাম আর সেই ডাকাত সেজে যারা ছিল তারাও মুখের বন্ধনী খুলে ফেলল।(আসলে এই ব্যাংক ডাকাতির প্লানটা আমারি।তাই আমি কিছু লোক কে বেছে নিয়েছিলাম তারা এই কাজ করতে আমাকে সাহায্য করবে আর আমাদের এই কাজ সফল করার জন্য।তাই আমি এই কাজের জন্য নিয়েছি
আকাশ হ্যাকিং এক্সপার্ট তার মাধ্যমে ব্যাংকের ক্যামেরা হ্যাক করা সম্ভব হয়েছে,রাকিব শুটিং এক্সপার্ট কোনো নিশানা তার হাত থেকে বিফলে যায় না,মুন্না ইলেক্ট্রনিকস এক্সপার্ট যার মাধ্যমে ব্যাংকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়েছিল আর ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিছুক্ষণ এর ভিতর আবার বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হবে এবং সাকিব ড্রাইভিং এক্সপার্ট এছাড়া আমাদের কাজ সফল করতে সাহায্য করেছেন ব্যাংকের ম্যানেজার ও দুইজন সিকিউরিটি গার্ড।)
হাহাহাহা আপনাদের অনেক ধন্যবাদ আপনারা না থাকলে কোনোদিনও সফল হতে পারতাম না।এখন আপনাদের সবার পাওনাটা নিয়ে নিন।এরপর সবার প্রাপ্য টাকা দিয়ে দিলাম এবং সবাই একে একে টাকা নিয়ে গাড়ি দিয়ে নেমে গেলো যার যার নিজ গন্তব্যে হয়ত এদের সাথে আমার আর দেখা হবে না।এখন আমি চলে যাব অন্য কোথাও আবার অন্য প্লান অন্য দল নিয়ে শুরু করব আমার কাজ হাহাহাহাহাহাহা।
______________সমাপ্ত_________________
(ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।)
লেখক- মোঃ আব্দুল্লা-হিল-মারুফ (তামিম)
-----------------*******--------------*********-----
বসে আছি রূপালী ব্যাংক এর ওয়েটিংরুমে।
এখানে এসেছি লোনের জন্য কিন্তু সেই সকাল থেকেই অপেক্ষা করেই যাচ্ছি কিন্তু কোনো ফল পাচ্ছি না এখনো।এখানে সবাই নিজের মত কাজ করে যাচ্ছে।একজন আমাকে বসতে বললেন তাদের ম্যানেজার মিটিং এ আছেন তাই দেরী হবে।মিটিং শেষ হয়েছে অনেক আগে এখন আবার দুপুরের খাবারের জন্য বিরতি দিয়েছে।তাই আমিও বাইরে এসেছি কিছু খেয়ে নিতে অনেকক্ষন ধরে না খেয়ে আছি।এই জায়গাটা খুব নির্জন পাশে নদী আছে আর একটু সামনে গেলেই গ্রাম অঞ্চল।আমিও হাটতে থাকলাম গ্রামের ভিতর যদি কোনো খাবার হোটেল পেয়ে যাই।কিছুক্ষণ পর খেয়ে আবার ব্যাংকে ফিরে এলাম।দেখি এখন কোনো সুযোগ পাই কিনা।এই লোনটা হয়ে যায় তাহলে অনেক উপকার হবে।পড়াশোনা শেষ করে অনেকদিন বসে আছি কিন্তু কোনো চাকরি পাচ্ছি না।তাই এই লোনটা করতে পারলে ছোট খাটো একটা ব্যবসা করতে পারব।চলে এলাম ব্যাংকের ভিতর এবং আগের জায়গা গিয়ে বসলাম তখন একজন এসে আমাকে ডেকে নিয়ে গেলেন ম্যানেজার এর রুমে।ভিতরে যেয়ে ম্যানেজার সাহেব কে সালাম দিলাম এবং তিনি সালামের উত্তর দিয়ে আমাকে বসতে বললেন।এরপর আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন কেনো আমি এই লোন নিতে চাই।আমি তাকে বললাম আমি ব্যবসা করার জন্য লোন নিতে চাই আর আমার বাড়ির দলিল তাকে দেখালাম উনি সবকিছু দেখতে লাগলেন তখন বাইরে থেকে গুলি আওয়াজ শুনতে পেলাম।আমি আর ম্যানেজার সাহেব বাইরে বের হয়ে এলাম আর এসে দেখি চারজন লোক মুখ ঢাকা হাতে বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর সবাইকে বলছে মাটিতে বসে পড়তে এরপর একজন এসে সবার থেকে মোবাইল আর মানিব্যাগ/পার্স নিয়ে নিচ্ছে।একজন আমাদের দিকে এসে জিজ্ঞাস করে তোদের ভিতর ম্যানেজার কে।তখন আমি ভয়ে ভয়ে দেখিয়ে দিলাম উনি।এরপরে সে ম্যানেজার এর কাছে গিয়ে বন্দুক দেখিয়ে বলল ব্যাংকের লোকারের চাবি কোথায় আছে বল।এরপর ম্যানেজার দেখিয়ে দিল তার রুমেই আছে এরপর সেই মুখোশধারী লোকটি ম্যানেজার এর রুম থেকে চাবি নিয়ে লোকারের কাছে গেল এবং সেখান থেকে সব টাকা বের করে ব্যাগ এর ভিতর রেখে দিল এরপর আমাদেরকে বলল কেউ কোনো শব্দ করবি না।এই বলে তারা ব্যাংকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিল আর সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেল কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। কিছুক্ষন পর আলো জ্বলে উঠল আর দেখলাম সেই ডাকাতরা কেউ নাই তারা চলে গেছে।এরপর ম্যানেজার পুলিশকে ফোন দিল।পুলিশ এসে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করল।সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আমাদের কে ছেড়ে দিল।আমি এখন ব্যাংক থেকে বের হয়ে হাটতেছি আর ভাবছি আজকে অনেক বড় বিপদ থেকে বেচে গিয়েছি।এসব ভাবতে ভাবতে হাটছি তখন হঠাৎ করে আমার সামনে একটি গাড়ী এসে থামল।গাড়ীর দরজা খুলে আমাকে টেনে ভিতরে নিয়ে গেল।ভিতরে গিয়ে যা দেখলাম তা দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম।গাড়ীর ভিতরে বসে আছে ব্যাংকের ম্যানেজার,ব্যাংকের সিকুরিটি গার্ড আর সেই ডাকাতদল।আমার দিকে তাকিয়ে তারা সবাই হেসে দিল আর সেই সাথে আমিও হেসে দিলাম।এরপর আমরা সবাই হাত মেলালাম আর সেই ডাকাত সেজে যারা ছিল তারাও মুখের বন্ধনী খুলে ফেলল।(আসলে এই ব্যাংক ডাকাতির প্লানটা আমারি।তাই আমি কিছু লোক কে বেছে নিয়েছিলাম তারা এই কাজ করতে আমাকে সাহায্য করবে আর আমাদের এই কাজ সফল করার জন্য।তাই আমি এই কাজের জন্য নিয়েছি
আকাশ হ্যাকিং এক্সপার্ট তার মাধ্যমে ব্যাংকের ক্যামেরা হ্যাক করা সম্ভব হয়েছে,রাকিব শুটিং এক্সপার্ট কোনো নিশানা তার হাত থেকে বিফলে যায় না,মুন্না ইলেক্ট্রনিকস এক্সপার্ট যার মাধ্যমে ব্যাংকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়েছিল আর ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিছুক্ষণ এর ভিতর আবার বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হবে এবং সাকিব ড্রাইভিং এক্সপার্ট এছাড়া আমাদের কাজ সফল করতে সাহায্য করেছেন ব্যাংকের ম্যানেজার ও দুইজন সিকিউরিটি গার্ড।)
হাহাহাহা আপনাদের অনেক ধন্যবাদ আপনারা না থাকলে কোনোদিনও সফল হতে পারতাম না।এখন আপনাদের সবার পাওনাটা নিয়ে নিন।এরপর সবার প্রাপ্য টাকা দিয়ে দিলাম এবং সবাই একে একে টাকা নিয়ে গাড়ি দিয়ে নেমে গেলো যার যার নিজ গন্তব্যে হয়ত এদের সাথে আমার আর দেখা হবে না।এখন আমি চলে যাব অন্য কোথাও আবার অন্য প্লান অন্য দল নিয়ে শুরু করব আমার কাজ হাহাহাহাহাহাহা।
______________সমাপ্ত_________________
(ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।)