তোমার ছেলে বন্ধু থাকা চলবে না!
তোমার মেয়ে বন্ধু থাকা চলবে না!
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলে এবং মেয়েদেরকে তাদের পরিবার থেকে উপরের কথাগুলো শুনতে হয়।
পরিবারের ভাষ্যমতে একজন ছেলের কোনো মেয়ে বন্ধু থাকা চলবে না এবং একজন মেয়েরও কোনো ছেলে বন্ধু থাকা চলবে না।
তবে এমন ধরনের বাধায় সবচেয়ে বেশি পড়তে হয় মেয়েদেরকে।
আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত অনেক পরিবার রয়েছে যারা তাদের সন্তানকে বিপরীত লিঙ্গের কারও সাথে মিশতে দিতে চায় না তারা ভাবেন যে হয়ত তাদের সন্তান বিপরীত লিঙ্গের কারও সাথে মিশে খারাপ হয়ে যেতে পারে বা অন্য কিছু।
সত্যি বলতে আমিও তাদের এই ভাবনাকে প্রাধান্য দেই, তাদের অবশ্যই অধিকার রয়েছে নিজের সন্তানের ভালো কামনা করার জন্য।
তবে কিছু কথা না বললেই নয়ঃ-
আমাদের জীবনে চলার পথে নানা জায়গা এবং নানা মানুষের সাথে পরিচয় হতে হয়। এছাড়া যখন পড়াশোনা করার জন্য স্কুল,কলেজে যাই তখন থেকেই আমাদের সাথে অন্যদের এক বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আর এই বন্ধুত্বগুলো কিন্তু আমরা কোনো ধরনের ভেদাভেদ ছাড়াই করে থাকি।
সত্যি বলতে বন্ধুত্ব এমনই যে এখানে ভেদাভেদ করা যায় না আত্মার মিল হয়ে গেলেই বন্ধুত্ব হয়ে যায় আমি যেটা মনে করি।
তবে এই ভেদাভেদগুলো আমাদের পরিবার থেকেই করে দেয়। একজন ছেলের পরিবার থেকে যখন জানতে পারে তার একজন মেয়ে বন্ধু রয়েছে তখনই তাকে নানা রকম কৈফিয়তের মুখে পড়তে হয়।
এছাড়া একজন মেয়ের ক্ষেত্রে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায় বিষয়টি যখন তার পরিবার জানতে পারে যে তার একজন ছেলে বন্ধু রয়েছে। এমন কী কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদেরকে বাসার বাইরে যাওয়া এবং পড়াশোনাটাও বন্ধ করে দেয়।
শুধু তাই নয় এখন দেখা যায় একজন মেয়ে বা ছেলে বিয়ের পরও তাদের স্বামী/স্ত্রী এর কারণে নিজের বন্ধুদেরকে ভূলে থাকতে হচ্ছে। অনেকেই চায় না তার স্বামী/স্ত্রী এর ছেলে/মেয়ে বন্ধু থাকুক এই নিয়ে অনেক ঝামেলাও হয়ে থাকে সংসারে।
...
এইযে আপনার সন্তানকে এবং স্বামী/স্ত্রী'কে এত বাধা দিচ্ছেন একবার মনে রাখুন দিন শেষে এই বন্ধুগুলাই কিন্তু তাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। আপনার নিকট আত্মীয় এর থেকে এরাই হবে আপনার কাছে ভরসার হাত।
জীবনে চলার পথে আমাদের সবাইকেই প্রয়োজন হয়ে থাকে হোক সে মেয়ে বন্ধু বা ছেলে বন্ধু আমাদের জীবনে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু ভূমিকা থাকবেই।
তাই আপনার সন্তান'কে এবং স্বামী/স্ত্রী'কে বাধা দিবেন না আপনার জীবনেও যেমন বন্ধুর প্রয়োজন রয়েছে ঠিক তাদের জীবনেও বন্ধুর প্রয়োজন রয়েছে। সময় সেই প্রয়োজনগুলিকে দেখিয়ে দিবে।
সুতরাং বন্ধু ছাড়া জীবন সত্যিই অচল...
তবে হ্যা আপনারা আপনার সন্তান এবং স্বামী/স্ত্রী এর ভালো সবসময় চাইবেন যার কারণে অনেক সময় ভয় হয় যে তারা কাদের সাথে মিশছে যেন তাদের কোনো বিপদ না হয় এই জন্যও বাধা দিয়ে থাকেন।
তাই আমি বলব আপনার সন্তানের এবং স্বামী/স্ত্রী এর সকল বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে পরিচিত হয়ে নিন তাদেরকে দেখুন যদি আপনার কাছে তাদেরকে ভালো না লাগে অর্থাৎ তাদের ভিতরে যদি খারাপ কিছু দেখতে পান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি বাধা হয়ে দাড়ান এই বিষয়ে তখন কেউ কিছুই বলবে না।
কিন্তু না জেনে শুনে বাধা হয়ে দাড়ালে সেটি দৃষ্টিকটু হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে।
...
যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম হয়ত অনেকের খারাপ লেগে থাকতে পারে যদি খারাপ লাগে তাহলে ক্ষমা করবেন। আসলে এমন বিষয় আমাদের চারপাশে অনেক ঘটে থাকে যারা তাদের সন্তানের কোনো বন্ধু বা বান্ধবী পছন্দ করেন না আবার এমন অনেক স্বামী/স্ত্রী আছেন যারা শর্ত জুড়ে দেয় কোনো বন্ধু-বান্ধবী থাকা চলবে না।
কিন্তু সবাই এক না এখনও অনেক পরিবার আছেন তারা এসব নিয়ে মাথা ঘামান না। তারা ভেবে থাকেন তাদের সন্তান অথবা তাদের স্বামী/স্ত্রী কেউ কোনো ভূল পথে পা দিচ্ছে না তাদের বন্ধুবান্ধবরা যথেষ্ঠ ভালো।
দিনশেষে একটি কথায় বলব আমাদের চারপাশে নানা রকমের মানুষ বসবাস করেন সবার মস্তিস্ক চিন্তা ভাবনা এক না। এমন কী আমার কথাগুলাতেও অনেকের ভাব গতি পরিবর্তন হবে না কারণ...
"জীবন বড়ই অদ্ভুত"
লেখাঃ- মোঃ আব্দুল্লা-হিল-মারুফ (তামিম)
#M_for_Motivation
Copyright: October 09,2021 at 04:53 AM.
তোমার মেয়ে বন্ধু থাকা চলবে না!
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলে এবং মেয়েদেরকে তাদের পরিবার থেকে উপরের কথাগুলো শুনতে হয়।
পরিবারের ভাষ্যমতে একজন ছেলের কোনো মেয়ে বন্ধু থাকা চলবে না এবং একজন মেয়েরও কোনো ছেলে বন্ধু থাকা চলবে না।
তবে এমন ধরনের বাধায় সবচেয়ে বেশি পড়তে হয় মেয়েদেরকে।
আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত অনেক পরিবার রয়েছে যারা তাদের সন্তানকে বিপরীত লিঙ্গের কারও সাথে মিশতে দিতে চায় না তারা ভাবেন যে হয়ত তাদের সন্তান বিপরীত লিঙ্গের কারও সাথে মিশে খারাপ হয়ে যেতে পারে বা অন্য কিছু।
সত্যি বলতে আমিও তাদের এই ভাবনাকে প্রাধান্য দেই, তাদের অবশ্যই অধিকার রয়েছে নিজের সন্তানের ভালো কামনা করার জন্য।
তবে কিছু কথা না বললেই নয়ঃ-
আমাদের জীবনে চলার পথে নানা জায়গা এবং নানা মানুষের সাথে পরিচয় হতে হয়। এছাড়া যখন পড়াশোনা করার জন্য স্কুল,কলেজে যাই তখন থেকেই আমাদের সাথে অন্যদের এক বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আর এই বন্ধুত্বগুলো কিন্তু আমরা কোনো ধরনের ভেদাভেদ ছাড়াই করে থাকি।
সত্যি বলতে বন্ধুত্ব এমনই যে এখানে ভেদাভেদ করা যায় না আত্মার মিল হয়ে গেলেই বন্ধুত্ব হয়ে যায় আমি যেটা মনে করি।
তবে এই ভেদাভেদগুলো আমাদের পরিবার থেকেই করে দেয়। একজন ছেলের পরিবার থেকে যখন জানতে পারে তার একজন মেয়ে বন্ধু রয়েছে তখনই তাকে নানা রকম কৈফিয়তের মুখে পড়তে হয়।
এছাড়া একজন মেয়ের ক্ষেত্রে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায় বিষয়টি যখন তার পরিবার জানতে পারে যে তার একজন ছেলে বন্ধু রয়েছে। এমন কী কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদেরকে বাসার বাইরে যাওয়া এবং পড়াশোনাটাও বন্ধ করে দেয়।
শুধু তাই নয় এখন দেখা যায় একজন মেয়ে বা ছেলে বিয়ের পরও তাদের স্বামী/স্ত্রী এর কারণে নিজের বন্ধুদেরকে ভূলে থাকতে হচ্ছে। অনেকেই চায় না তার স্বামী/স্ত্রী এর ছেলে/মেয়ে বন্ধু থাকুক এই নিয়ে অনেক ঝামেলাও হয়ে থাকে সংসারে।
...
এইযে আপনার সন্তানকে এবং স্বামী/স্ত্রী'কে এত বাধা দিচ্ছেন একবার মনে রাখুন দিন শেষে এই বন্ধুগুলাই কিন্তু তাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। আপনার নিকট আত্মীয় এর থেকে এরাই হবে আপনার কাছে ভরসার হাত।
জীবনে চলার পথে আমাদের সবাইকেই প্রয়োজন হয়ে থাকে হোক সে মেয়ে বন্ধু বা ছেলে বন্ধু আমাদের জীবনে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু ভূমিকা থাকবেই।
তাই আপনার সন্তান'কে এবং স্বামী/স্ত্রী'কে বাধা দিবেন না আপনার জীবনেও যেমন বন্ধুর প্রয়োজন রয়েছে ঠিক তাদের জীবনেও বন্ধুর প্রয়োজন রয়েছে। সময় সেই প্রয়োজনগুলিকে দেখিয়ে দিবে।
সুতরাং বন্ধু ছাড়া জীবন সত্যিই অচল...
তবে হ্যা আপনারা আপনার সন্তান এবং স্বামী/স্ত্রী এর ভালো সবসময় চাইবেন যার কারণে অনেক সময় ভয় হয় যে তারা কাদের সাথে মিশছে যেন তাদের কোনো বিপদ না হয় এই জন্যও বাধা দিয়ে থাকেন।
তাই আমি বলব আপনার সন্তানের এবং স্বামী/স্ত্রী এর সকল বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে পরিচিত হয়ে নিন তাদেরকে দেখুন যদি আপনার কাছে তাদেরকে ভালো না লাগে অর্থাৎ তাদের ভিতরে যদি খারাপ কিছু দেখতে পান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি বাধা হয়ে দাড়ান এই বিষয়ে তখন কেউ কিছুই বলবে না।
কিন্তু না জেনে শুনে বাধা হয়ে দাড়ালে সেটি দৃষ্টিকটু হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে।
...
যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম হয়ত অনেকের খারাপ লেগে থাকতে পারে যদি খারাপ লাগে তাহলে ক্ষমা করবেন। আসলে এমন বিষয় আমাদের চারপাশে অনেক ঘটে থাকে যারা তাদের সন্তানের কোনো বন্ধু বা বান্ধবী পছন্দ করেন না আবার এমন অনেক স্বামী/স্ত্রী আছেন যারা শর্ত জুড়ে দেয় কোনো বন্ধু-বান্ধবী থাকা চলবে না।
কিন্তু সবাই এক না এখনও অনেক পরিবার আছেন তারা এসব নিয়ে মাথা ঘামান না। তারা ভেবে থাকেন তাদের সন্তান অথবা তাদের স্বামী/স্ত্রী কেউ কোনো ভূল পথে পা দিচ্ছে না তাদের বন্ধুবান্ধবরা যথেষ্ঠ ভালো।
দিনশেষে একটি কথায় বলব আমাদের চারপাশে নানা রকমের মানুষ বসবাস করেন সবার মস্তিস্ক চিন্তা ভাবনা এক না। এমন কী আমার কথাগুলাতেও অনেকের ভাব গতি পরিবর্তন হবে না কারণ...
"জীবন বড়ই অদ্ভুত"
লেখাঃ- মোঃ আব্দুল্লা-হিল-মারুফ (তামিম)
#M_for_Motivation
Copyright: October 09,2021 at 04:53 AM.
