What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

মুসলমানদের নাহাওয়ান্দ বিজয় (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,577
Messages
119,264
Credits
375,118
Computer
Glasses sunglasses
Compass
Compass
Camera photo
Logitech Mouse
মুসলমানদের নাহাওয়ান্দ বিজয়

যিয়াদ বিন জুবায়ের বিন হাইয়্যা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, ওমর ইবনুুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হারমুযানকে (বন্দি পারসিক সেনাপতি) বললেন, তুমি যখন নিজেকে আমার তুলনায় দুর্বল ভেবেই নিয়েছ, তখন আমাকে উপদেশমূলক কিছু কথা বল। তাকে তিনি এ কথাও বললেন যে, তোমার যা ইচ্ছা তাই বল, তোমার কোন ক্ষতি হবে না। অতঃপর তিনি তাকে জীবনের নিরাপত্তবা দান করলেন। তখন হারমুযান বলল, হ্যাঁ, বর্তমানে পারসিক সেনাবাহিনীর তিনটি ভাগ রয়েছে। শিরদেশ বা অগ্রবর্তী দল এবং দু'টি ডানা বা দল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, অগ্রবর্তী দল এখন কোথায়? সে বলল, তারা বুনদারের অধীনে নাহাওয়ান্দে অবস্থান করছে। তার সাথে রয়েছে কিসরার জেনারেলগণ ও ইস্পাহানের অধিবাসীগণ। তিনি বললেন, আর ডানা দু'টো (অর্থাৎ অন্য দু'টি দল) কোথায় আছে? হারমুযান একটা জায়গার নাম বলেছিল কিন্তু আমি তা ভুলে গিয়েছি। হারমুযান তাঁকে এটাও বলল, আপনি দল দু'টো কেটে ফেলুন, দেখবেন শিরদেশ বা মাথা আপনা থেকেই দুর্বল হয়ে পড়বে। ওমর (রাঃ) তাকে বললেন, আল্লাহর শত্রু, তুই অসত্য বলেছিস। আমি বরং ওদের মাথা ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, যাতে আল্লাহ তা বিচ্ছিন্ন করে দেন। যখন আল্লাহ আমার পক্ষ থেকে মাথাটা কেটে দিবেন তখন দল দু'টো এমনিতেই কাটা পড়ে যাবে। অতঃপর ওমর (রাঃ) নিজেই উক্ত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রায় বের হওয়ার অভিমত প্রকাশ করেন। কিন্তু তাঁরা (উপদেষ্টামন্ডলী/মুসলিমজনতা) তাঁকে বলল, হে আমীরুল মুমিনীন, আমরা আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করতে বলছি। আপনি যদি নিজে এই অনারব বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে যান আর (আল্লাহ না করুন) আপনি যদি শাহাদাত বরণ করেন, তাহ'লে মুসলমানদের মধ্যে শৃঙ্খলা বলে কিছু থাকবে না। তার চেয়ে আপনি বরং অনেকগুলো সেনাদল প্রেরণ করুন। তিনি তখন মদীনাবাসীদের একটি দল প্রেরণ করলেন, যাদের মাঝে ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ)। আরও প্রেরণ করলেন আনছার ও মুহাজিরদের একটি দল। সেই সঙ্গে তিনি আবু মূসা আশ'আরী (রাঃ)-কে বছরার সেনাদল এবং হুযায়ফা ইবনুুল ইয়ামান (রাঃ)-কে কুফার সেনাদল নিয়ে নাহাওয়ান্দে সকলকে জমায়েত হতে পত্র লিখলেন। তিনি একথাও লিখে দিলেন যে, তোমরা সব দল একত্রিত হলে তোমাদের আমীর হবে নু'মান ইবনু মুকাররিন মুযানী। যখন তারা সবাই নাহাওয়ান্দে সমবেত হলেন তখন বুনদার (আলাজ) তাঁদের নিকট এই মর্মে আবেদন জানিয়ে একজন দূত পাঠাল যে, হে আরব জাতি, তোমরা আমাদের নিকট পারস্পরিক আলোচনার জন্য একজন লোক পাঠাও। লোকেরা তখন মুগীরাহ ইবনু শু'বাকে এজন্য মনোনীত করল। আমার (বর্ণনাকারীর) পিতা জুবায়ের (রাঃ) বলেন, আমার চোখে এখনও যেন সেই দৃশ্য ভাসছে- লম্বা, এলোমেলো কেশবিশিষ্ট, এক চোখওয়ালা একজন (দুর্বল) লোক যাচ্ছেন। তিনি তার নিকট গিয়ে যখন আলোচনা শেষে ফিরে এলেন তখন আমরা তাঁকে বৃত্তান্ত জিজ্ঞেস করলাম। তিনি আমাদের বললেন, আমি গিয়ে দেখলাম আলাজ (বুনদার) তার পারিষদবর্গের সাথে পরামর্শ করছে- তোমরা এই আরবীয়র বিষয়ে কী করতে বল? আমরা কি তার সামনে আমাদের জাঁকজমক, ঠাটবাট, ক্ষমতার আড়ম্বর তুলে ধরব, নাকি তাকে আমাদের অনাড়ম্বর সাদামাটা অবস্থা দেখাব এবং আমাদের বিত্তবৈভব ও শক্তিমত্তার দিকটা তার থেকে আড়াল করে রাখব? তারা বলল, না বরং আমাদের যে ঐশ্বর্য ও শক্তি সামর্থ্য আছে তার সেরাটাই তার সামনে তুলে ধরতে হবে। অতঃপর আমি যখন তাদের দেখা পেলাম তখন তাদের যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র বল্লম, ঢাল ইত্যাদি আমার দৃষ্টিগোচর হ'ল। সেগুলো এতই জাক-জমকপূর্ণ ছিল যে, চোখে ধাঁধা লেগে যাচ্ছিল।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top