What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার: মনের রোগে বিশৃঙখল চারপাশ (পর্ব ১) (1 Viewer)

Mashruhan Eshita

Expert Member
Joined
Jan 11, 2022
Threads
67
Messages
1,766
Credits
39,867
Lipstick
Audio speakers
Glasses sunglasses
Thermometer
Tomato
Cocktail Green Agave
রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, কিন্তু আপনার কাছে মনে হচ্ছে কেউ একজন আপনাকে অনুসরণ করছে। কিংবা অফিসে বসের সামনে দাঁড়ালেই আপনার হাত পা ঘেমে যাচ্ছে, কথা বলতে পারছেন না। কিংবা অনেক মানুষের মাঝে বসে থেকেও মনে হচ্ছে জায়গাটিতে শুধু আপনি একাই বসে আছেন। আমাদের চারপাশে এমন হাজারো মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়ত এসব সমস্যায় ভুগেন কিন্তু দিন শেষে এসব সমস্যার কোনো ব্যাখ্যা বা সমাধান খুঁজে পান না। এই সমস্যাটিকে বিশেষজ্ঞরা নাম দিয়েছেন 'পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার'। 'পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার' বা ব্যক্তিত্বের বিশৃঙ্খলা একটি মনের রোগ। এই রোগে যারা ভোগেন তাদের চিন্তার ধরণ একটু অস্বাভাবিক হয়। এরা অসুস্থ প্রকৃতির, এদের ব্যবহার এবং অনুভূতিও অসুস্থ থাকে। কিন্তু এরা প্রতিনিয়ত-ই আমাদের আশেপাশে ঘুরে বেড়ান সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মত। এই অসুস্থ অনুভূতি বা ব্যবহার আবার বিভিন্ন সমাজের মানুষের বিভিন্ন রকমের হয়। পারসোনালিটি ডিসঅর্ডারে ভুগছেন, এমন ব্যক্তিদের জগতটা ভিন্ন। তাদের ভাবনা জগত আশেপাশের লোকের চেয়ে আলাদা। ফলে তারা সামাজিক, পারিবারিক বা অন্যান্য কর্মকাণ্ডে ভালোভাবে সম্পৃক্ত হতে পারেন না। কথায় কথায় অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতাও থাকে তাদের।

পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার শব্দটি খুবই নতুন এবং গত শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে এই শব্দের ব্যবহার শুরু হয়। কিন্তু অনেক আগে থেকেই এই সমস্যা বা রোগটি নিয়ে মানুষ গবেষণা করে আসছে। শারীরতত্ত্ববিদ JC Prichard ১৮৩৫ সালে ব্যক্তিত্ত্বের এই সমস্যাকে "moral insanity" বলে অভিহিত করেন। এরপর মনোরোগবিদ Emil Kraepelin ১৮৯৬ সালে "psychopathic personality" শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি ব্যক্তিত্ত্বের কয়েকটি ধরণ উল্লেখ করেন যা পরবর্তীকালে ১৯২৩ সালে একটি আমেরিকান জার্নালে Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders 5th Revision (DSM-5) নামক শিরোনামে প্রকাশিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে মোট জনসংখ্যার ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে ব্যক্তিত্বের সমস্যা বা 'পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার' রয়েছে।

ব্যক্তিত্বের সমস্যাগুলোকে প্রথমত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলোকে বলা হয় 'ক্লাস্টার'। ক্লাস্টার 'এ' তে রয়েছে- প্যারানয়েড, সিজয়েড ও সিজোটাইপাল ধরনের ব্যক্তিত্বের সমস্যা। ক্লাস্টার 'বি' তে রয়েছে- অ্যান্টিসোশ্যাল, বর্ডারলাইন, হিস্ট্রিয়োনিক ও নার্সিসিস্টিক ধরনের ব্যক্তিত্বের সমস্যা এবং ক্লাস্টার 'সি' তে আছে- অবসেসিভ-কমপালসিভ, এভয়ডেন্ট ও ডিপেনডেন্ট ধরনের ব্যক্তিত্বের সমস্যা। ব্যক্তিত্বের এই সমস্যাগুলোর যেমন বিভিন্ন ক্যাটাগরি আছে তেমনি সমাধানেরও উপায় আছে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top