মরীচিকা সম্পর্কে ধারণা আছে নিশ্চয়ই? মরুভূমির মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে একসময় আপনার শরীরে ক্লান্তি এসে ভর করবে, আর সেসময়ই হয়তো দেখতে পাবেন সামনে পানির নহর বয়ে চলেছে। আপনি সুমিষ্ট ঠান্ডা পানির আশায় খানিকটা এগিয়ে যাবেন, কিন্তু কিছুদূর গিয়ে মনে হবে আপনার হাঁটার সঙ্গে পানির নহরও কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে। এভাবে অনেকক্ষণ হাঁটার পর শেষ পর্যন্ত আপনি আর সেই পানির উৎসের খোঁজ পাবেন না। মনে হবে যেন আপনাকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে। পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের জন্য এমনটা হয়ে থাকে, যেটা একজন বিজ্ঞানের ছাত্র হলে আপনার ভালোমতোই জানা থাকার কথা।
কিন্তু যদি এমন হয় যে, আপনি পানির নহর দেখতে পেলেন, সেই অনুযায়ী এগিয়েও গেলেন এবং দেখলেন আসলেই পানির নহর সেখানে? বিজ্ঞানকে ভুল প্রমাণ করার উপাদান পেয়ে খুশি হয়ে যেতে পারেন হয়তো। পেরুর মরুভূমিতে গিয়ে আপনি মরীচিকার বদলে বাস্তবেই এমন কিছুর সন্ধান পেতে পারেন, যেটি দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে।