What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

nKGG5vi.jpg


করোনাকালে সবচেয়ে আলোচিত ও ব্যবহৃত যন্ত্র পালস অক্সিমিটার। আকারে ছোট। সহজে বহনযোগ্য। দেখতে অনেকটা জামাকাপড় শুকাতে দেওয়ার ক্লিপের মতো। এর এক প্রান্ত টিপে ধরলে আরেক প্রান্ত হাঁ হয়ে যায়। তখন হাঁ হয়ে যাওয়া প্রান্তে হাতের আঙুল ঢুকিয়ে সুইচ চালু করলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা এর ছোট পর্দায় (স্ক্রিন) ফুটে ওঠে। এটি মূলত দেহের অক্সিজেনের মাত্রা ও হৃৎস্পন্দনের গতি নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়।

ব্যবহারের নিয়ম

নিখুঁত ফলাফল পেতে যন্ত্রটি যথাযথভাবে ব্যবহার করা জরুরি। যদিও ব্যাপারটি এমন কঠিন কিছু নয়। এর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণেরও প্রয়োজন নেই। কিছুটা পড়াশোনা থাকলে পালস অক্সিমিটারের ফলাফল নিজেই বুঝতে পারবেন।

লক্ষ রাখুন—

• মেয়েরা লক্ষ রাখবেন, যেন হাতের নখে নেইল পলিশ আছে কি না। থাকলে তুলে ফেলুন।
• পালস অক্সিমিটার ব্যবহারের আগে অন্তত পাঁচ মিনিট শান্ত হয়ে বসুন।
• এরপর সুইচ চালু করে তর্জনি বা মধ্যমার মাথায় যন্ত্রের এক প্রান্ত টিপে ধরে অপর প্রান্ত ঢুকিয়ে দিন।

• হাত বা অক্সিমিটার যন্ত্র একদম নড়াচড়া করবেন না।
• শুরুতে ফলাফল অস্বাভাবিক মাত্রায় ওঠানামা করতে পারে। অপেক্ষা করুন। অন্তত এক মিনিট সময় নিন।

• এবার সর্বোচ্চ মাত্রায় পাঁচ সেকেন্ড সময় স্থির থাকলে ফলাফল লিখে ফেলুন।
পালস অক্সিমিটারে অক্সিজেনের মাত্রা
• ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ—স্বাভাবিক মাত্রা।

• ৯৫ শতাংশের কম—অক্সিজেন ঘাটতি (একে চিকিৎসা পরিভাষায় হাইপোক্সিয়া বলা হয়)।
• ৯০ শতাংশের কম—জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।

যাঁদের প্রয়োজন

হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের বাড়িতে অবশ্যই এ যন্ত্র রাখা উচিত। আর এ সময়ে প্রতিটি বাড়িতেই যন্ত্রটি থাকা ভালো। কারণ, করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে নিয়মিত অক্সিজেনের পরিমাণ মাপা দরকার হয়।

লেখক: কবীর হোসাইন
 
corona er somoy e eta khub darkari ekta jinis to check oxygen level
 

Users who are viewing this thread

Back
Top