What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বিয়ের জাগতিক ও পরকালীন উপকারিতা (1 Viewer)

mujab

Member
Joined
Sep 4, 2020
Threads
15
Messages
125
Credits
1,904
১. প্রশান্তি বা পার্থিব চিন্তামুক্ত থাকা: হজরত আবুনাজি রা: থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেন, মুখাপেক্ষী! মুখাপেক্ষী! ওই পুরুষ যার স্ত্রী নেই। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করেন, যদি তার অনেক সম্পদ থাকে তবুও কি সে মুখাপেক্ষী? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদিও তার অনেক সম্পদ থাকে তবুও সে মুখাপেক্ষী। তিনি আরও বলেন, মুখাপেক্ষী! মুখাপেক্ষী! ওই নারী যার স্বামী নেই। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করেন, যদি তার অনেক সম্পদ থাকে তবুও কি সে মুখাপেক্ষী? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেন, "যদিও তার অনেক সম্পদ থাকে তবুও সে মুখাপেক্ষী। কেননা সম্পদের উপকারিতা, প্রশান্তি বা পার্থিব চিন্তামুক্ত থাকা সেই পুরুষের ভাগ্যে জুটে না যার স্ত্রী নেই। সে নারীর ভাগ্যেও জুটে না যার স্বামী নেই। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, বিয়েতে জাগতিক ও পরকালীন অনেক বড় উপকার রয়েছে। বিয়ের মাধ্যমে যেহেতু একজন নারী এবং পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় আর এর মধ্যে দিয়ে একজন আর একজনের অর্ধাঙ্গ হিসাবে রূপ লাভ করে তাই স্বভাবতই দায়িত্ব দুইজনের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়।

২. বিয়ে আল্লাহর বিশেষ দান বা উপহার: বিষণ্ণতা, দুঃশ্চন্তা ও নানা কর্মব্যস্ততার মাঝে স্ত্রী শান্তি ও স্বস্তির মাধ্যম। মানুষ প্রাকৃতিক ভাবেই ভালোবাসা ও বন্ধুত্বরে অনুরাগী । স্ত্রীর সঙ্গে মানুষের বিরল ও আশ্চর্য ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়! বিয়ে ছাড়া জীবনের কোন লক্ষ্য থাকতো না এবং মানবজাতির তার স্বকীয়তা হারাতো। অনাচার আর ব্যভিচার হতো মানুষের নৃত্য সঙ্গী ফলে সমাজে কোন শান্তি ও ন্যয়বিচার থাকতো না।

৩.মন্দ চিন্তা, অস্থিরতা ও পাপ থেকে দূরে রাখে: বিয়ের মাধ্যমে জৈবিক চাহিদা পূরণ করলে মানুষের অন্তরে প্রকৃত ভালোবাসা ও পবিত্র চিন্তা-চেতনা তৈরি হয় । আর অবৈধভাবে পূরণ করা হলে তা মানুষকে অপবিত্র জীবনের প্রতি নিয়ে যায়। অন্তরে নোংরা চিন্তা ও কল্পনা সৃষ্টি করে । সুতরাং বিয়ে পবিত্র জীবনের অনুগামী করে এবং নোংরা জীবন থেকে ফিরিয়ে রাখে।[৫] তবে বলে রাখা ভাল পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়লা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন বিয়ের উদ্দেশ্য কেবল যৌন চাহিদা মেটানো নয় বরং পবিত্রতা রক্ষা করা।

৪. পুণ্য অর্জন: ইবাদত বলেই ধর্মবেত্তা মনীষীগণ ধর্মীয় শিক্ষাগ্রহণ করা, অন্যকে ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া এবং নীরবে আল্লাহর ইবাদত করার চেয়ে উত্তম বলেছেন।[৬] বিয়ে রাসূল সা: এর সুন্নাত যা ইতোপূর্বে বলা হয়েছে।

৫. একে অপরের কল্যাণকামী হয়: হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেন, নারীকে বিয়ে করো সে তোমার জন্য সম্পদ টেনে আনবে। এখানে সম্পদ টেনে আনার উদ্দেশ্য হলো, স্বামী-স্ত্রী দু'জনই জ্ঞানসম্পন্ন এবং একে অপরের কল্যাণকামী হয়ে থাকে। স্বামী এ কথা স্মরণ রাখে- আমার দায়িত্বে খরচ বেড়ে গেছে তখন বেশি-বেশি উপার্জন করার চেষ্টা করে। নারীও এমন কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে যা পুরুষ গ্রহণ করতে পারে না। ফলে তারা প্রশান্তি ও চিন্তামুক্ত হতে পারে। আর সম্পদের মুল উদ্দেশ্যই এটি। মেয়েরা সমষ্টিগতভাবে দুর্বল। সন্তান প্রতিপালন, গৃহ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বশীল ও সবকাজের শ্রেষ্ঠ সহযোগী । ফলে তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে স্ত্রী ইজ্জত, সম্মান, সম্পদ ও সন্তান সংরক্ষণকারী ও এর পরিচালক। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে তার সম্পদ, সম্মান ও দীনের সংরক্ষণ করে।

৬। পবিত্র কোরআনে এসেছে: 'আর তাঁর (আল্লাহ) নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও মায়া সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা রুম, আয়াত : ২১)


৭। গুনাহ ও পাপাচার থেকে নিজেকে সংবরণ করার মাধ্যমে নারী-পুরুষ উভয়ের ঈমান, ইসলাম ও সতীত্ব রক্ষা করতে পারে।

৮। নারী জাতির তত্ত্বাবধান ও রক্ষণাবেক্ষণ হয়।

৯। নারীর সম্মানজনক জীবন-জীবিকা সহজ হয়।

১০। পুরুষ একজন আমানতদার নির্ভরযোগ্য সঙ্গিনী লাভ করে।

১১। বৈধ পন্থায় মানববংশের বিস্তার হয়।

১২। সৃষ্টিগত ও স্বভাবজাত যৌনচাহিদা পূরণের বৈধ ও নিরাপদ ব্যবস্থা বিয়ে।

১৩। নারী-পুরুষ উভয়ের মানসিক স্বস্তি, তৃপ্তি ও প্রফুল্ল অর্জন হয়, যা বিয়ে ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে সম্ভব নয়।

১৪। নবীজি (সা.)সহ সব নবীর একটি মহৎ সুন্নতকে বাস্তবায়ন করা হয়। (সহি মুসলিম, হাদিস : ১৪০০; আওজাজুল মাসালিক : ৪/২৩৬)

১৫। মানবশিশু তাদের প্রকৃত পরিচয় লাভ করত সঠিক লালন-পালন ও পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে।

১৬। বিয়ের দ্বারা রিজিকে বরকত ও জীবনে প্রাচুর্য আসে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'তোমরা বিয়ে করো, স্ত্রীরা স্বীয় ভাগ্যে তোমাদের কাছে সম্পদ টেনে আনবে।' (মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস : ১৪০২)

১৭। অবিবাহিত থাকলে মানসিক বা শারীরিক রোগ ও জটিলতা তৈরির আশঙ্কা থাকে।

১৮। অবাধ ও অবৈধ যৌনতা এইডসের মতো মারণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার পথ খুলে দেয়। আর বিয়ে তা থেকে মানুষকে পরিত্রাণ দেয়।

১৯। অবৈধ যৌন সম্পর্ক সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট করে।

২০। বিয়ে মানুষকে সংসারী করে। ফলে পুরুষরা দায়িত্বসচেতন ও কর্মমুখী হয়। ভোগের মানসিকতা দূর হয়। তদ্রূপ নারীরাও দায়িত্বসচেতন ও বাস্তবমুখী হয়।

২১। স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে উৎসাহ দিয়ে সুন্দর পৃথিবী বিনির্মাণের পথ সুগম করে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নবুয়ত লাভের সময় আকস্মিক ওহিপ্রাপ্তিতে ভয় পেলে হজরত খাদিজা (রা.) তাঁকে অভয় দেন এবং তাঁর পাশে থাকার ঘোষণা দেন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top