What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

কঙ্কালময় ঘর (1 Viewer)

Bergamo

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
9,649
Messages
117,051
Credits
1,241,096
Glasses sunglasses
Berry Tart
Statue Of Liberty
Profile Music
Sandwich
6lgp4gD.jpg


ওয়ারশ থেকে ভ্রসউয়াফ বেড়াতে এসেছি। ২০১৯–এর সেপ্টেম্বর। এর আগে বেশ কয়েকবার ভ্রসউয়াফ আসা হয়েছে। এবারে হাতে সময় ছিল। সে জন্য এবারের লক্ষ্য ভ্রসউয়াফের আশপাশের জায়গা।

তালিকা আগেই করা। যদিও এ রকম ক্ষেত্রে তালিকা বারবার বদলায়। প্রাথমিক পরিকল্পনার বাইরের অনেক কিছু প্রধান হয়ে ওঠে, আবার তালিকার ভেতরের অনেক স্থান খসে পড়ে। হয় সময়াভাবে অথবা তথ্যসমৃদ্ধিতে।

আমি ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে একটা শর্টলিস্ট তৈরি করেছি। এবারে আর ট্রিপ অ্যাডভাইজারে যাইনি বরং বেশি নির্ভর করেছি 'ভ্রসউয়াফ ইন ইয়োর পকেট'–এর ওপর। এটি ভ্রসউয়াফ সিটি কাউন্সিলের প্রকাশনা, কিন্তু পর্যটকদের জন্য খুব প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য আছে।

চেষ্টা করেছি ভ্রসউয়াফ থেকে যেন ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে হয়। তাহলে সকালে গিয়ে বিকেলে চলে আসা যায়। কাছাকাছি হলে একই দিনে দুটো জায়গায় যাওয়া যায়।
তালিকায় ১ নম্বরে ছিল একটা চার্চ। বাংলাদেশে কারও চার্চ নিয়ে খুব আগ্রহ নেই। আমারও নেই। তবে ইন্টারনেটে ভ্রসউয়াফ অঞ্চলের পর্যটন আকর্ষণ খুঁজতে গেলে কেবল চার্চ আর দুর্গ ঘুরেফিরে আসে। আমার তালিকার চার্চটি অদ্ভুত ও উদ্ভট। এই চার্চের কথা আগেও অনেকবার শুনেছি। ছবিতে দেখেছি।

ম্যাপে দেখলাম ভ্রসউয়াফ থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূর। তার মানে প্রায় দুই ঘণ্টা লেগে যাবে যেতে। তবে মোটামুটি সোজা এক হাইওয়েতে যাওয়া যাবে। রাস্তার নাম 'এইট'— আট। এই রাস্তা পোলিশ সীমান্ত পার হয়ে চেক প্রজাতন্ত্রে ঢুকে গেছে।
এই চার্চটি অদ্ভুত কেন? বিশেষত্বই–বা কী! বিশেষত্ব একটাই—কঙ্কাল!
কঙ্কাল মানে মরা মানুষের হাড়গোড়।

যেহেতু কঙ্কালমাত্রই মৃত কারও সঙ্গে সম্পর্কিত, সে জন্য কঙ্কাল শুনলেও আমরা ইতস্তত করি। অনেকে কঙ্কাল দেখে ভয় পান।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্ররা অবশ্য কঙ্কাল অধ্যয়ন করতে করতে মাথার কাছে তা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন, উদ্বিগ্ন হন না।

কিন্তু যদি হাজার হাজার কঙ্কাল একসঙ্গে থাকে! একসঙ্গে তিন হাজার মাথার খুলি মাথার ওপরে সিলিং থেকে ঝুলতে থাকে! একটু অদ্ভুত বৈকি।
আমার গন্তব্য কুদোভাজ'দ্রুই। ভ্রসউয়াফ থেকে দক্ষিণে। একেবারে চেক প্রজাতন্ত্রের সীমানায়। এখানে লোকজন গ্রীষ্মকালে আসে অবকাশ যাপন করতে। আশপাশে পাহাড়ি এলাকা। শীতকালে পর্যটকেরা আসেন স্কি করতে। স্কি করার অবকাঠামো রয়েছে অনেকগুলো জায়গায়।

আর যাঁরা আরও কিছু চান, তাঁদের জন্য অন্য অনেক আয়োজনও রয়েছে। অধিকাংশ রিসোর্ট এই এলাকায়। শিশু-কিশোরদের জন্য এখন অনেকগুলো অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, থিম পার্ক ও ওয়াটার পার্ক হয়েছে। এই অঞ্চলে অনেক রকম জাদুঘর গড়ে উঠেছে সম্প্রতি।

আমি একা। নিজে গাড়ি ড্রাইভ করছিলাম। ভ্রসউয়াফ থেকে সাড়ে ৯টায় রওনা দিয়েছি। ১১টায় কুদোভাজ'দ্রুইয়ে পৌঁছে গেছি। সকাল সকাল রাস্তায় খুব ভিড় ছিল না। কখনো কখনো অনায়াসে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে আসা গেছে। রাস্তার পাশে একটা সুন্দর 'কার্চমা' দেখে গাড়ি পার্ক করলাম। কার্চমা পোলিশ ভাষা। সোজা অর্থে সরাইখানা।

চার্চটি আর দুই কিলোমিটার দূরে। নাম সেইন্ট বারথলোমো চার্চ। কুদোভাজ'দ্রুই ছোট শহর। শহর না বলে জনপদও বলা যায়। ছিমছাম। সুন্দর। রাস্তায় রোড মার্কগুলো মনে হয় গতকালই দেওয়া। সবকিছু পরিপাটি। ধুলোবালি নেই। তাপমাত্রা ১২–১৪ ডিগ্রি। ভ্রসউয়াফ থেকেও চার-পাঁচ ডিগ্রি কম। এ জন্যই এখানে লোকজন অবকাশে আসেন।
গাড়িতে জ্যাকেট ছিল। মাথায় উলের টুপিও পরে নিলাম। দ্রুত এক মগ কফি গিলে চার্চের উদ্দেশে বের হয়ে পড়লাম। এক মিনিট পর চার্চের রোড সাইন দেখলাম। পোলিশরা বলে 'কাপ্লিৎচা চাসেক'—খুলি চ্যাপেল বা কঙ্কাল চ্যাপেল।
চার্চের আঙিনায় ওর মধ্যে ১০–১২ জন পর্যটক পেয়ে গেলাম। রংবেরঙের কাপড় পরা। গাড়ি পার্ক করার পর চার্চের কাছে এসে জানলাম, ১০ জুয়োতির টিকিট লাগবে। টিকিট কাটলাম।

যিনি টিকিট দিলেন, তাঁর কাছে ব্রুশিউর বা বুকলেট চাইলাম। অন্য পর্যটকদের হাতে আছে। আমাকেও সে রকম একটা দিল। কিন্তু তিন ভাষায়—পোলিশ, জার্মান ও চেক। কাকে কী বলব! 'নিয়ে উমিম মোভিচ পো পলস্কো' বলে ব্রুশিউর ফেরত দিলাম।
কিন্তু টিকিটদাতা আমাকে ছাড়ল না। সে আমাকে অনুসরণ করতে বলল। আমি ভাবলাম হয়তো কোনো গাইড দেবে, যে ইংরেজি পারে অথবা কোনো বই।
কিন্তু না। সে একজন পাদ্রি নিয়ে এল, যে ঠিক ইংরেজি বলতে পারে না। কিন্তু আমাকে বোঝাতে সক্ষম হলো যে ভেতরে কোনোভাবেই ছবি তোলা যাবে না।
আমি ইংরেজি ও বাংলায় তর্ক করতে থাকলাম। বারবার টিকিট দেখালাম।
আমার বক্তব্য হলো, টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকেছি। ব্রশিউর দিতে পারোনি। এক–আধটা ছবি তুলতে না দিলে এদ্দুর আসা বৃথা। গোস্বাও দেখালাম।

g5AathH.jpg


কঙ্কালের ঘর

কোথাও কোথাও ভাষা না বোঝার মতো পরিস্থিতি হলে অনেক সময় সুবিধা পাওয়া যায়। আমি ভাবলাম, সে রকম চেষ্টা করে দেখি।

ভেতরে ঢুকে আর ছবি তুললাম না। দুই চোখে যতটুকু দেখা যায়, সেটুকুই মনে গেঁথে রাখার চেষ্টা করলাম। হাজার হাজার মাথার খুলি আর হাড়গোড় সিলিং আর দেয়ালে ভর্তি। খুলি বা হাড়গুলো সুন্দর করে আলপনার মতো করে সাজানো। কোথাও হেরিং-বোন প্যাটার্ন, যেমন করে ইটের রাস্তা বানায়, কোথাও অন্য নকশা।

ইন্টারনেটের সাহায্য নিলাম। খুলির সংখ্যা ৩ হাজার। হাড়গোড় আছে আরও ২১ হাজার মৃত ব্যক্তির।

১৭৭৬ সনে বোহেমিয়ান পাদ্রি ভাসলাভ তোমায়াসেক রোমের কাপুচিনি চার্চ দেখে এ রকম একটা চার্চ করার চিন্তা করেন।

মাথার খুলি বা কঙ্কালের জন্য তাঁকে চিন্তা করতে হয়নি। ওই এলাকায় তখন কবর খোঁড়ার কাজ করত ল্যাঙ্গার নামের এক স্থানীয় ভদ্রলোক। ল্যাঙ্গারের সহায়তায় সে কবর থেকে কঙ্কাল সংগ্রহ শুরু করল। এমন কী কুকুরের পিছু পিছু গিয়ে মৃতদেহ বা কঙ্কাল খুঁজে খুঁজে এনেছে ল্যাঙ্গার।

ক্যাথলিক আর প্রোটেস্ট্যান্টদের মধ্যে ঐতিহাসিক ৩০ বছরের লম্বা যুদ্ধ, থেমে থেমে চলা সাইলেসিয়ার যুদ্ধ, মহামারি, কলেরা, সিফিলিস ইত্যাদি কারণে সেখানে অনেক গণকবর ছিল। পাহাড়ের যত্রতত্রও কঙ্কাল পাওয়া যেত।
তোমায়াসেক ও ল্যাঙ্গারের সর্বমোট ১৮ বছর লাগে চার্চের অলংকরণ শেষ করতে। এসব তথ্য ইন্টারনেট থেকে পেয়েছি।

চার্চটি দেখতে দেখতে আমি ভাবছি, কঙ্কালগুলোর অনেকগুলো জার্মানদের। অনেকগুলো চেক কিংবা পোলিশদের। কোনো কোনোটি ক্যাথলিকদের। কোনোটি প্রোটেস্ট্যান্টদের। মারা যাওয়ার পর কঙ্কাল হয়ে যাওয়ায় এখন আর কোনো ভেদাভেদ নেই। হয়তো পোলিশ খুলির পাশে এখন জার্মান পায়ের হাড় সাজানো হয়েছে। ক্যাথলিকের খুলির সঙ্গে প্রোটেস্ট্যান্ট কারও হাড় মিশে আছে।

ফাদার ফিরে এলেন আমার কাছে। হাতে তার ১০ জুয়োতি ধরা। আমার টিকিটের দাম আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। আমি এতটা রূঢ় হতে পারি না। বললাম, 'না। আমি কোনোভাবেই এই অর্থ ফিরিয়ে নেব না। আমাকে বরং ছবি তুলতে দিলেই তো হতো।'
ফাদার বোঝাতে চাইলেন তিনি নিরুপায়। 'তোমাকে সুযোগ দিলে অন্য পর্যটকেরাও সুযোগ নিতে চাইবে।'
কিন্তু অন্যদের সুযোগ দিলেই–বা সমস্যা কী? হাড়গোড় নষ্ট হয়ে যাবে?
অনেকে সে রকমই মনে করে।
ঠিক আছে। আমি তোমাদের নিয়ম মেনে নিচ্ছি। ১০ জুয়োতি রেখে দাও। ওটা আমি চার্চের জন্য দান হিসেবে মনে করব।
তোমাকে ধন্যবাদ। তুমি কি মুসলমান?
জ্বি। মুসলমান।
আমার সঙ্গে আসো। তোমাকে দেখাব। একজন তাতার মুসলমান যোদ্ধার খুলিও আছে এখানে।
তাই! কিন্তু মুসলমানদের তো মৃত্যুর পর সমাহিত করাই শ্রেয়।
আমি তোমাদের রীতি জানি। কিন্তু এই খুলি এখানে আছে একেবারে শুরু থেকে। আড়াই শ বছর আগে থেকে।
ভালো। আমি জানতে পেরে খুশি হলাম। আর কোনো তথ্য কি আছে, যা আমি অন্যত্র জানতে পারব না।
তোমায়াসেক ও ল্যাঙ্গারের খুলিও আছে। আমি তা–ও দেখাচ্ছি।
বাহ। অনেক কিছু জানলাম। আমার ১০ জুয়োতির উশুল উঠে গেছে। আচ্ছা, এত যে খুলি! ভয় লাগে না?
ঈশ্বর সব সময় আমাদের সহায়। আমরা সবাই তাঁর কাছে ফিরে যাব।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বুঝি নাই।
আমরা তো ঈশ্বরেরই এবং তাঁর কাছেই ফিরে যাব।
ও হ্যাঁ, অবশ্যই।
এই কথাটা কোরআনে আছে। আমি কোরআনের সেই আয়াতটা বলেছিলাম আরবিতে।
ও, তুমি আরবিও জানো!
না। ঠিক জানি না। তবে আরবি কিছু শব্দের অর্থ বুঝি। কোরআন পড়তে পারি। কিছু অংশ মুখস্থ আছে। আর কিছু অংশের অর্থ জানি।
খুব ভালো।

ফাদারের সঙ্গে আমার এসব কথাবার্তা যে কোন ভাষাতে হয়েছে, তা পাঠককে বোঝাতে পারব না। কথোপকথনের যে অংশটুকু আমি বুঝিনি, সেই শূন্যস্থানগুলো আমি অনুমানে পূরণ করে নিয়েছি।

ফাদারের চোখমুখে হাসি দেখলাম। মৃদু হাসি। এই হাসি মনে হয় তিনি পেশাগত কারণে রপ্ত করেছেন। তিনি ধীরে ধীরে চ্যাপেলের ভেতরে ঢুকলেন। সিলিং আর দেওয়ালের খুলি দেখতে দেখতে খেয়াল করলাম, কিছু খুলি আলাদা শেলফের ওপর সাজানো।
কেউ কেউ ভিআইপি। তাদের খুলিই আলাদা করে সাজিয়ে রাখা। তোমায়াসেকের খুলি দেখলাম। পাশে স্থানীয় এক মেয়রের খুলি। তাতার যোদ্ধার খুলি। বললাম, 'এমন ভিআইপি মর্যাদা পেলে আমার খুলিটাও এখানে দিতে রাজি আছি।'
ফাদার বললেন, 'ঈশ্বরের ঘরে সবাই ভিআইপি।'

আমি ফোড়ন কেটে বললাম, 'দেখতেই তো পাচ্ছি। তিন হাজার ভিআইপি এখানে। তবে অ্যানিমেল ফার্মের মতো, কেউ কেউ বেশি ভিআইপি। ভিভিআইপি।'
ফাদার আমাকে নিয়ে আরও একটু এগিয়ে গেলেন চ্যাপেলের ভেতরে। আমি তাঁকে অনুসরণ করলাম।

বেজমেন্টে আরও অনেক হাড়গোড় জমা হয়ে আছে। জমতে জমতে তা ১৫–১৬ ফুট উঁচু স্তূপ করে ফেলেছে। ফাদার আপ্তবাক্যের মতো নিজে নিজেই বললেন, 'স্যাঙ্কচুয়ারি অব সাইলেন্স'—নীরবতার অভয়ারণ্য।

bcbbUsL.jpg


কঙ্কালের দেওয়াল

ফাদারের দুই হাত জোড় করে করমর্দনের পর আমি বের হয়ে এলাম।
জগতে অদ্ভুত জিনিষের মূল্য থাকা উচিত। আমি না দেখলে বিশ্বাস করতে পারতাম না যে এমন বিচিত্র চিন্তা কারও মাথায় আসতে পারে। কঙ্কালবেষ্টিত চ্যাপেলে লোকজন প্রার্থনাও করছেন। পর্যটকেরাও করছেন, বিশেষ করে যাঁরা ধর্মবিশ্বাসী।
এক পাশে এক নারী ভাস্কর্য আছে। থেমিসের ভাস্কর্যের মতো। চোখ অবশ্য বাঁধা না, কিন্তু হাতে দাঁড়িপাল্লা। তাঁর গায়ে একটা বাণী লেখা, ল্যাটিন ভাষায়—'ভেনিতা দ জুডিচুম'—বিচারের জন্য প্রস্তুত হও।

হৃদয় ভরে গেছে। ছবি তুলতে না পারার ক্ষুধা যেটুকু ছিল, তা–ও ফাদারের সান্নিধ্যে কেটে গেছে। প্রায় দুইটা বাজে। লাঞ্চ করে আধা ঘণ্টার মতো ড্রাইভ করলে স্ফিদনিচ্চা পৌঁছাতে পারব। দিন লম্বা আছে। ভ্রসউয়াফ পৌঁছানোর আগে তাহলে আরও একটা শহর দেখা হয়ে যাবে।

ফেরার পথে দেখলাম অনেকেই গাড়ির ওপর সাইকেল, ক্যানো, স্কি সরঞ্জাম—এসব নিয়ে যাচ্ছে। কারও সঙ্গে হাইকিং ব্যাগ, মাউন্টেনিয়ার ব্যাগ। একদিকে জীবনাবসনের পর হাড়গোড় হয়ে যাওয়া, অন্যদিকে জীবন উদযাপনের শত প্রয়াস!

ঢাকায় আমার বাসা বনানি কবরস্থানের সঙ্গে। দিনে বা রাতে, মাঝেমধ্যে সেখান থেকে দোয়াদরুদ ভেসে আসে। বারান্দা দিয়ে তাকালে কখনো আমিও আনমনা হয়ে যাই। একদিন বারান্দা আর অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে ওই রকম কোনো কবরস্থানেই হয়তো শুয়ে থাকতে হবে। শুয়ে থাকা ধারণার সঙ্গে আমাদের একটা প্রশান্তিবোধ কাজ করে। কিন্তু যদি খুলি আর হাড়গোড় কোথাও ঝুলে থাকে অনন্তকালের জন্য! মৃত্যুর পর হাড়গোড় তো নিছক হাড়গোড়ই! কাপ্লিৎচা চাসেক দেখার পর ফেরার রাস্তায় এই চিন্তাই মাথায় রয়ে গেল।

লেখক: মাহফুজুর রহমান
 

Users who are viewing this thread

Back
Top