ঈদের আগেই রান্নার প্রস্তুতি কিছুটা এগিয়ে নিতে পারেন। ঈদের দিন বাড়তি ঝামেলা কমে যাবে অনেকটাই।
এই ঈদে একদিকে যেমন মাংস সামলাতে হয়, অন্যদিকে তেমনি রান্নার প্রস্তুতিও নিতে হয়। তাই কাজের ঝামেলা থাকে প্রচুর। তবে আগে থেকে কাজগুলো গুছিয়ে রাখলে ঈদের দিনে তাড়াহুড়ো থাকে কম, যার ফলে সময়মতো রান্না ও মাংস সংরক্ষণ সহজ হয়ে ওঠে।
ঈদের কয়েক দিন আগে ফ্রিজ পরিষ্কার করে নিন। ডিপ ফ্রিজ ড্রয়ার সিস্টেম হলে এক ড্রয়ারে সব জিনিস রেখে বাকি ড্রয়ারগুলো খালি করে রাখুন। ঈদের কয়েক দিন আগে মাছ–মুরগি কিনলে তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকুন।
পরিবেশনের পাত্র থাকুক গোছানো
দা, ছুরি, বঁটি—এসব আগে থেকে ধার করিয়ে রাখুন।
ঈদের আগেই আদা, রসুন ও মাংসের মসলা বেটে রাখুন। পেঁয়াজ কুচি করে বায়ুরোধক বাক্সে অথবা জিপার ব্যাগে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। মাংস কাটার সঙ্গে সঙ্গে মাংস রান্না করবেন না। মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে কয়েক ঘণ্টা পর মাংস রান্না করবেন। জবাই করার পর তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত মাংস শক্ত থাকে, তাই কমপক্ষে তিন থেকে চার ঘণ্টা পর মাংস রান্না বা সংরক্ষণ করবেন।
মাংস সংরক্ষণ করার জন্য মাঝারি মাপের পলিব্যাগ কিনে রাখুন। একটু ভারী পলি কিনবেন, এতে মাংস একটা প্যাকেট অন্যটির সঙ্গে বরফ হয়ে আটকে থাকবে না।
মাংস খাওয়ার জন্য রুটি বা পরোটা আগের রাতে তৈরি করে অল্প ছেঁকে রাখুন। বায়ুরোধক বক্সে ঠান্ডা করে রেখে দিন, কয়েক দিন ভালো থাকবে। খাওয়ার আগে ভেজে মাংসের সঙ্গে পরিবেশন করুন। সালাদ ঈদের সকালে কুচি করে নরমাল ফ্রিজে ঢেকে রাখুন। খাওয়ার আগে লবণ মেখে পরিবেশন করুন।
প্রয়োজনীয় পরিবেশনের পাত্র রাখুন হাতের কাছে গোছানো।
মাংস রাখুন আলাদা ব্যাগে ভরে
মাংসের কিমা আগে থেকে কিনে কাবাব তৈরি করে রাখুন। কারণ, ঈদে কাবাব তৈরি করা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে অতিথি আপ্যায়ন সহজ হবে।
স্টেকের জন্য মাংস কাটার আগের নির্দিষ্ট অংশের মাংস বড় চাকা করে অথবা স্টেকের আকারে কেটে আলাদাভাবে সংরক্ষণ করে রাখুন।
খাওয়ার শেষে কোমল পানীয় পরিহার করতে দইয়ের লাচ্ছি কিংবা বোরহানি ঈদের সকালে তৈরি করে রেখে দিতে পারেন। মাংস কেটে ঘরে আসার আগপর্যন্ত সবকিছু গোছানো থাকলে তেমন একটা কাজ থাকে না। তাই সে সময় যাঁরা চালের রুটি খান, তারা রুটি তৈরি করে হট পটে রেখে দিতে পারেন।
বোরহানী রাখুন পানীয়ের তালিকায়
ঈদের আগের দিন সেমাই কিংবা পছন্দমতো যেকোনো মিষ্টান্ন তৈরি করে রাখুন।
মাংস রান্নার দেশীয় স্বাদে বিভিন্ন অঞ্চলের রান্না, যেমন: মেজবানি মাংস, সাতকরার গরুর মাংস, আচারি মাংস, কাটা মসলার গরুর মাংস, খাসির প্লাসি, ঝালের গরুর মাংস, খাসির রেজালা তৈরি করতে পারেন। বিদেশি স্বাদে খেতে চাইলে বিফ ভিদালো বিফ উইথ অনিয়ন, বিফ সিজলিং, বিফ স্ট্রু বিভিন্নভাবে মাংস রান্না করতে পারেন।
ঘরেই বানাতে পারেন মিষ্টি
* লেখক: জেবুন্নেসা বেগম, রান্নাবিদ (ঢাকা)