What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

মুখ ও জিব কেটে গেলে (1 Viewer)

sFQ1tQ1.jpg


খাওয়ার সময় ঠোঁটে বা জিবে কামড় লাগা একটি সাধারণ ঘটনা। আবার অনেক সময় গরম চা, কফি বা খাবার খেতে গিয়ে মুখের তালু, জিব, ঠোঁট পুড়ে যেতে পারে।

কেটে গেলে কী করবেন

খাবার চিবানোর সময়, ঘুমের ভেতর কামড় লেগে, মানসিক চাপ, খিঁচুনি কিংবা খেলাধুলার সময় জিব, গালের ভেতরে অথবা ঠোঁট কেটে যেতে পারে। এ ছাড়া মুখের ভেতর নানা কারণে কেটে যেতে পারে। ঠোঁট কেটে গেলে বা ক্ষত হলে ক্ষতস্থানে কোনো কিছু লেগে আছে কি না লক্ষ করতে হবে। যদি সে রকম কিছু না থাকে, তবে কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। হালকা গরম পানি এবং পরিষ্কার কাপড় দিয়ে সহজেই ক্ষতস্থান পরিষ্কার রাখতে পারবেন। রক্ত পড়া বন্ধ করতে শুকনো কাপড় বা গজ দিয়ে চেপে ধরুন। এতে রক্ত পড়া বন্ধ না হলে অবশ্যই কাছাকাছি কোনো হাসপাতালে যেতে হবে। রক্ত পড়া কমলে বরফের টুকরা বা আইসপ্যাক দিয়ে চেপে ধরুন। এতে ফোলা ভাব কমবে। ব্যথা না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে পারেন। ক্ষতস্থানটি না শুকানো পর্যন্ত লবণ ও মসলাদার খাবার কম খাবেন। ক্ষতের আকার বেশি হলে স্টিচ করা লাগতে পারে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে বা প্রথমবার রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে আবার রক্ত পড়লে, লাল বা ফুলে গেলে, খুব যন্ত্রণা করলে, জ্বর হলে, লাল রেখা বা পুঁজ থাকলে অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পূর্বসতর্কতা

ঘুমের ভেতর যাঁদের জিবে কামড় লাগে, তাঁরা দাঁতে ডিভাইস বা মাউথ গার্ড ব্যবহার করুন। মৃগীরোগীদের খিঁচুনির সময় জিব বা গালে কামড় লাগতে পারে। এ সময় রোগীর স্বজনদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। পরিবারের বয়স্ক সদস্যের দিকেও সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। ক্রীড়াবিদেরা খেলাধুলার সময় মাউথ গার্ড ব্যবহার করলে দুর্ঘটনাবশত ঠোঁট, জিব, গাল কেটে যাওয়া প্রতিরোধ করা যায়। খাবার ধীরে ধীরে সময় নিয়ে খেতে হবে। অতিরিক্ত গরম খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

পুড়ে গেলে কী করবেন

মুখের ভেতর বা ওপরে পুড়ে গেলে বাড়িতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এক সপ্তাহে সেরে যায়। ক্ষত না শুকানো পর্যন্ত ঠান্ডা ও নরম খাবার বেছে নিন। ক্রিমযুক্ত খাবার যেমন দই, আইসক্রিম, চিজ, পুডিং, চিনিমুক্ত চুইংগাম পোড়া শুকাতে সাহায্য করে। এ সময় মচমচে ধারালো বা শক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। গরম ও মসলাদার খাবার খাওয়াও উচিত নয়। টমেটো, পুদিনা, কমলা এবং কফির মতো অ্যাসিডযুক্ত খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলুন। তামাক ও ধূমপান ত্যাগ করুন। কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলি করলে ব্যথা ও ক্ষত দুটোই কমবে। তীব্র ব্যথা হলে, ফোসকা পড়লে বা ফুলে গেলে, পোড়ার স্থান লাল হয়ে গেলে অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

* ডা. শারমীন জামান | ওরাল অ্যান্ড ডেন্টাল সার্জন
 

Users who are viewing this thread

Back
Top