নিয়ম করে রেসপিরেটরি এক্সারসাইজ করুন। ফুসফুসের ব্যায়ামগুলো শিখে নিন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করলে ভালো।
করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পরও শারীরিক দুর্বলতা থেকে যায়। দু–এক সপ্তাহ পর্যন্ত এ রকম দুর্বলতা থাকা স্বাভাবিক। যেকোনো অসুস্থতায়, বিশেষ করে ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এটা হয়ে থাকে। কিন্ত করোনা থেকে সেরে ওঠার পর অনেকেই মাস, এমনকি বছরব্যাপী ক্লান্তি আর দুর্বলতায় ভোগেন।
করোনা–পরবর্তী ফ্যাটিগ সিনড্রোম কী? এককথায় বলা যায়, চরম শারীরিক দুর্বলতা। এ ক্ষেত্রে সামান্য চলাফেরা বা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও ক্লান্ত লাগে। এর সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা থাকে। কারও ঘুম চলে যায়, মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে। কারও গা, হাত-পা জ্বালাপোড়া ও ঝিনঝিন করে। বিষণ্নতা আর অবসাদগ্রস্ততা চেপে বসে। কারও পেটে অস্বস্তির অনুভব হয়। সামান্য শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমেই বেড়ে যায় নানা উপসর্গ।
কেন এমনটা ঘটে, তার সুনির্দিষ্ট উত্তর এখনো চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের জানা নেই। জীবাণুর আক্রমণের সময় মানবদেহ সেই জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এ লড়াইয়ে শরীর অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানোর কারণে এমনটা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিজেকে সারিয়ে তুলবেন যেভাবে
■ পূর্ণাঙ্গ বিশ্রাম: করোনা থেকে সেরে ওঠার সময় শারীরিক-মানসিক বিশ্রাম খুবই জরুরি। নেগেটিভ হওয়ামাত্র কাজে যোগ দেওয়া যাবে না। টিভি, ফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন। দেহ-মনকে শান্ত রাখতে প্রয়োজনে মেডিটেশন করুন, গান শুনুন, বই পড়ুন।
■ পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি। শোবার ঘর অন্ধকার ও আরামদায়ক হতে হবে। রুটিন করে সঠিক সময়ে ঘুমাতে হবে।
■ পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার ও পানীয়: পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। খাদ্যতালিকায় আমিষ, শর্করার পাশাপাশি টাটকা ফলমূল, শাকসবজি রাখুন। প্রতিদিন ২-৩ লিটার পানি পান করুন।
■ সচল থাকা: নিজেকে আস্তে আস্তে সচল রাখতে সচেষ্ট হোন। বিছানা থেকে উঠে নড়াচড়ার চেষ্টা করুন। শুয়ে শুয়ে পায়ের ব্যায়াম করুন।
■ শ্বাসতন্ত্রের ব্যায়াম: নিয়ম করে রেসপিরেটরি এক্সারসাইজ করুন। ফুসফুসের ব্যায়ামগুলো শিখে নিন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করলে ভালো।
■ মনকে উদ্দীপ্ত রাখা: মনকে সতেজ ও উদ্দীপ্ত রাখার চেষ্টা করুন। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটান। সরাসরি সম্ভব না হলে অনলাইনে যোগাযোগ করুন।
* লে. কর্নেল নাসির উদ্দিন আহমদ : মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সিএমএইচ, ঢাকা
করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পরও শারীরিক দুর্বলতা থেকে যায়। দু–এক সপ্তাহ পর্যন্ত এ রকম দুর্বলতা থাকা স্বাভাবিক। যেকোনো অসুস্থতায়, বিশেষ করে ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এটা হয়ে থাকে। কিন্ত করোনা থেকে সেরে ওঠার পর অনেকেই মাস, এমনকি বছরব্যাপী ক্লান্তি আর দুর্বলতায় ভোগেন।
করোনা–পরবর্তী ফ্যাটিগ সিনড্রোম কী? এককথায় বলা যায়, চরম শারীরিক দুর্বলতা। এ ক্ষেত্রে সামান্য চলাফেরা বা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও ক্লান্ত লাগে। এর সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা থাকে। কারও ঘুম চলে যায়, মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে। কারও গা, হাত-পা জ্বালাপোড়া ও ঝিনঝিন করে। বিষণ্নতা আর অবসাদগ্রস্ততা চেপে বসে। কারও পেটে অস্বস্তির অনুভব হয়। সামান্য শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমেই বেড়ে যায় নানা উপসর্গ।
কেন এমনটা ঘটে, তার সুনির্দিষ্ট উত্তর এখনো চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের জানা নেই। জীবাণুর আক্রমণের সময় মানবদেহ সেই জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এ লড়াইয়ে শরীর অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানোর কারণে এমনটা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিজেকে সারিয়ে তুলবেন যেভাবে
■ পূর্ণাঙ্গ বিশ্রাম: করোনা থেকে সেরে ওঠার সময় শারীরিক-মানসিক বিশ্রাম খুবই জরুরি। নেগেটিভ হওয়ামাত্র কাজে যোগ দেওয়া যাবে না। টিভি, ফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন। দেহ-মনকে শান্ত রাখতে প্রয়োজনে মেডিটেশন করুন, গান শুনুন, বই পড়ুন।
■ পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি। শোবার ঘর অন্ধকার ও আরামদায়ক হতে হবে। রুটিন করে সঠিক সময়ে ঘুমাতে হবে।
■ পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার ও পানীয়: পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। খাদ্যতালিকায় আমিষ, শর্করার পাশাপাশি টাটকা ফলমূল, শাকসবজি রাখুন। প্রতিদিন ২-৩ লিটার পানি পান করুন।
■ সচল থাকা: নিজেকে আস্তে আস্তে সচল রাখতে সচেষ্ট হোন। বিছানা থেকে উঠে নড়াচড়ার চেষ্টা করুন। শুয়ে শুয়ে পায়ের ব্যায়াম করুন।
■ শ্বাসতন্ত্রের ব্যায়াম: নিয়ম করে রেসপিরেটরি এক্সারসাইজ করুন। ফুসফুসের ব্যায়ামগুলো শিখে নিন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করলে ভালো।
■ মনকে উদ্দীপ্ত রাখা: মনকে সতেজ ও উদ্দীপ্ত রাখার চেষ্টা করুন। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটান। সরাসরি সম্ভব না হলে অনলাইনে যোগাযোগ করুন।
* লে. কর্নেল নাসির উদ্দিন আহমদ : মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সিএমএইচ, ঢাকা