গ্রীষ্মকালের ভাপসা গরমে মানুষ নানা সাধারণ রোগে আক্রান্ত হয়। তার পাশাপাশি যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে কিছু 'অসাধারণ' রোগে। কী সেই রোগ এবং কী তার প্রতিকার?
আমপাকাটোমাইসিস
লক্ষণ: এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সামান্য সবুজ ও হলুদের পার্থক্য বুঝতে পারে না। এই সাময়িক বর্ণান্ধতার ফলস্বরূপ তারা কাঁচা আম গাছ থেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পেড়ে ফেলে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর অবশ্য তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে আমগুলো রাসায়নিক দিয়ে হলুদ করা, অর্থাৎ পাকানোর সুবন্দোবস্ত করে।
চিকিৎসা: রোগীকে শনাক্ত করার পর প্রতিদিন দুবার এক কাপ আমের খোসা বাটার সঙ্গে পরিমাণমতো আমের কষ ও কীটনাশক ভালোভাবে মিশিয়ে জনসমক্ষে খেতে দিতে হবে। অবশ্য এ পথ্য ঠিকভাবে কাজ করলে রোগী প্রথমবারেই পটল তুলবে। তাই দ্বিতীয়বার খাওয়ানোর প্রয়োজনই পড়বে না।
লিচুকমাইসিস সিনড্রোম
লক্ষণ: প্রতি ১০০ লিচুতে গড়ে কমপক্ষে ১০টি লিচু কম দেওয়ার প্রবণতা এই রোগের প্রধান লক্ষণ। লিচু বিক্রেতা শ্রেণীর মধ্যে গ্রীষ্ম মৌসুমে এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
চিকিৎসা: রোগীকে প্রতিদিন ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত লেখার হোমওয়ার্ক দিতে হবে। রোগী যদি ৯০ পর্যন্ত লিখে আনে, তাহলে অতিসত্বর তার ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিলপূর্বক তাকে বাল্যশিক্ষার স্কুলে ভর্তি করে দিতে হবে।
কাঠাল্টেগোঁফতেলামাইসিন ডিসঅর্ডার
লক্ষণ: রোগাক্রান্ত ব্যক্তি কাঁঠাল পাড়ার আগে গোঁফে তেল দিতে ভুলে যাবে। কিন্তু সারা বছর অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁঠাল কম দামে স্টক করতে ভুলবে না।
চিকিৎসা: রুটিন করে প্রতিদিন রোগীকে কাঁঠালপাতা খেতে দিতে হবে। তবে দিনে প্রতিবেলা খাওয়ার আগে রোগীর মাথায় বড় সাইজের কাঁঠাল ভাঙা গেলে রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।
তরমুজংঘাইটিস
লক্ষণ: এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তরমুজের মিষ্টি রসে নয়, তরমুজ বিক্রেতার মিষ্টি কথায় বিগলিত হয়ে হিতাহিত হুঁশ হারিয়ে ফেলে। পরে ক্রীত তরমুজটি বাসায় নিয়ে খাওয়ার সময় তার হুঁশ ফিরে আসে।
চিকিৎসা: রোগীকে 'মিষ্টি তরমুজ খেলে আমার ডায়াবেটিক হবে' এই তত্ত্বে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করাতে হবে। এই রোগের আরও উন্নত চিকিৎসা উদ্ভাবনের জন্য বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
* জুনায়েদ আজিম চৌধুরী
আমপাকাটোমাইসিস
লক্ষণ: এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সামান্য সবুজ ও হলুদের পার্থক্য বুঝতে পারে না। এই সাময়িক বর্ণান্ধতার ফলস্বরূপ তারা কাঁচা আম গাছ থেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পেড়ে ফেলে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর অবশ্য তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে আমগুলো রাসায়নিক দিয়ে হলুদ করা, অর্থাৎ পাকানোর সুবন্দোবস্ত করে।
চিকিৎসা: রোগীকে শনাক্ত করার পর প্রতিদিন দুবার এক কাপ আমের খোসা বাটার সঙ্গে পরিমাণমতো আমের কষ ও কীটনাশক ভালোভাবে মিশিয়ে জনসমক্ষে খেতে দিতে হবে। অবশ্য এ পথ্য ঠিকভাবে কাজ করলে রোগী প্রথমবারেই পটল তুলবে। তাই দ্বিতীয়বার খাওয়ানোর প্রয়োজনই পড়বে না।
লিচুকমাইসিস সিনড্রোম
লক্ষণ: প্রতি ১০০ লিচুতে গড়ে কমপক্ষে ১০টি লিচু কম দেওয়ার প্রবণতা এই রোগের প্রধান লক্ষণ। লিচু বিক্রেতা শ্রেণীর মধ্যে গ্রীষ্ম মৌসুমে এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
চিকিৎসা: রোগীকে প্রতিদিন ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত লেখার হোমওয়ার্ক দিতে হবে। রোগী যদি ৯০ পর্যন্ত লিখে আনে, তাহলে অতিসত্বর তার ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিলপূর্বক তাকে বাল্যশিক্ষার স্কুলে ভর্তি করে দিতে হবে।
কাঠাল্টেগোঁফতেলামাইসিন ডিসঅর্ডার
লক্ষণ: রোগাক্রান্ত ব্যক্তি কাঁঠাল পাড়ার আগে গোঁফে তেল দিতে ভুলে যাবে। কিন্তু সারা বছর অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁঠাল কম দামে স্টক করতে ভুলবে না।
চিকিৎসা: রুটিন করে প্রতিদিন রোগীকে কাঁঠালপাতা খেতে দিতে হবে। তবে দিনে প্রতিবেলা খাওয়ার আগে রোগীর মাথায় বড় সাইজের কাঁঠাল ভাঙা গেলে রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।
তরমুজংঘাইটিস
লক্ষণ: এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তরমুজের মিষ্টি রসে নয়, তরমুজ বিক্রেতার মিষ্টি কথায় বিগলিত হয়ে হিতাহিত হুঁশ হারিয়ে ফেলে। পরে ক্রীত তরমুজটি বাসায় নিয়ে খাওয়ার সময় তার হুঁশ ফিরে আসে।
চিকিৎসা: রোগীকে 'মিষ্টি তরমুজ খেলে আমার ডায়াবেটিক হবে' এই তত্ত্বে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করাতে হবে। এই রোগের আরও উন্নত চিকিৎসা উদ্ভাবনের জন্য বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
* জুনায়েদ আজিম চৌধুরী