ঘরেই রয়েছে, এমন উপকরণ ব্যবহার করে এ গরমে অন্দরে আনতে পারেন প্রশান্তির আবহ। ছিমছাম পরিপাটি ঘরে বাইরে থেকে ফিরে চোখ রাখলেই যেন মন ভালো হয়ে যায় সবার।
ডিজাইনার শৈবাল সাহা নিজের অন্দরে এনেছেন এমন প্রশান্তির আবহ। তিনি বলেন, একটু গাছ, লতাপাতা ও ফুলেল ছোঁয়া ঘরে আনবে শীতল আমেজ। বসার ঘরে বাঁশ-বেতের ঝুড়িতে সাজানোর ফুল না মিললেও আম–কাঁঠালের কখানা গাছের পাতাই একপাশ করে বা গোল বৃত্তের মতো করে সাজিয়ে রাখলে এ গরমে দারুণ দেখাবে। টেবিলের ওপর গামছা পেতে মাটির পাত্রে রাখা যেতে পারে কাঁচা হলুদ,পাশে একমুঠো চাল, কয়েকটি কড়ি। বসার ঘর বা শোবার ঘরে মনমতো জায়গা বেছে নিয়ে বড় পাত্রে জল ঢেলে তাতে ছড়িয়ে দিতে পারেন ফুলের পাপড়ি আর ছোট ছোট ভাসা মোম।
অ্যাস্থেটিক ইন্টেরিয়র ডিজাইনের স্বত্বাধিকারী সাবিহা কুমু শৈবাল সাহার সঙ্গে একমত। তিনি বললেন, বদলে নিতে হবে দেখার দৃষ্টি। রোজকার দেখা ঘরের ভেতরে, এমনকি বারান্দা ও জানালায় আনতে হবে একটু পরিবর্তন। এই একটুখানি পরিবর্তনই ঘরকে করবে প্রশান্তিময়।
ঘরে কমবেশি সবার মাদুর থাকে, বারান্দায়ও থাকে গাছ। এ আবহাওয়ায় এগুলোকেই একটু অদলবদল করে নিতে পারেন। জায়গার বদলেও ঘর হয়ে ওঠে নান্দনিক। গাছগুলো বারান্দার টব ছেড়ে ঘরে চলে আসতে পারে। ঘরে থাকা কোনো অব্যবহৃত কাচের জার বা প্লাস্টিকের জারে মনের মতো করে নানা রঙে নানা কিছু এঁকে নিয়ে তাতেই ঠাঁই দেওয়া যেতে পারে গাছগুলোর। রান্নাঘরের সৌন্দর্য বেশ জরুরি একটি বিষয়। একটা গাছসহ পট বা পটারি ঘরের সুবিধামতো জায়গায় রাখলে বদলে যাবে চিরচেনা রান্নাঘরের দৃশ্যপট। বাড়ির বাথরুমই–বা বাদ যাবে কেন? আয়নার সামনে বা দেয়ালে ঝুলিয়ে দিতে পারেন মানিপ্ল্যান্ট বা লতানো কোনো গাছ। দেখুন ঘরের আবহই কেমন বদলে গেছে। মনের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ছে ফুরফুরে ভাব।