কবি সুকুমার রায় তাঁর ‘গ্রীষ্ম’ ছড়ায় লিখেছেন, ‘ঐ এল বৈশাখ, ঐ নামে গ্রীষ্ম, খাইখাই রবে যেন, ভয়ে কাঁপে বিশ্ব।’ ভয়ে বিশ্ব না কাঁপলেও, গরমে কাঁপছে বাংলাদেশ। গত ২৫ এপ্রিল ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। রেকর্ড তাপমাত্রাই বলে দিচ্ছে চারদিকে প্রচণ্ড গরম। গ্রীষ্মের এই ভয়াবহ দাবদাহে শরীরকে প্রশান্ত রাখতে পারে রসাল ফল ও খাদ্য উপাদান। এমনই কিছু ফল ও খাদ্য উপাদানের গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিই এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর কাছে।
বাঙ্গি
শরীর ঠান্ডা করতে বাঙ্গির জুড়ি নেই। এই ফলে পটাশিয়াম ও উচ্চমাত্রায় মিনারেল রয়েছে। মিনারেল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সক্ষম। বাঙ্গি মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবাহে সহায়তা করে। শরীরের অবসাদ ভাব দূর করে।
নিয়মিত বাঙ্গির শরবত খেলে খাবারে অরুচি, নিদ্রাহীনতা, আলসার ও অ্যাসিডিটি দূর হয়। অনেকেই ফলটি খেতে পছন্দ করেন না, তবে গরমে শরীর ঠিক রাখতে ফলটিতে ভরসা করা যায়।
তরমুজ
যদিও তরমুজের দামের উষ্ণতা এত বেশি যে তা ভেবেই শরীর গরম হয়ে যায়। কিন্তু শরীর ঠান্ডা করায় এর কোনো জুড়ি নেই। সুমিষ্ট পানীয়তে ভরপুর তরমুজ। তরমুজে রয়েছ শতকরা ৯১ দশমিক ৫ ভাগ পানি, যা শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করবে। রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে আপনাকে স্বস্তি দেবে।
ডাবের পানি
ডাবের পানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, যা আপনার শরীরকে ঠান্ডা করবে। অন্য যেকোনো পানিজাতীয় ফলও শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সক্ষম।
দই
দইয়ের সঙ্গে চিড়া, কলা, বিভিন্ন ধরনের ফল দিয়ে ফ্রুট সালাদ করে খেতে পারেন। এতে করেও আপনার শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। দইয়ে রয়েছে ল্যাকটিড অ্যাসিড ও ক্যালসিয়াম, যা আপনার শরীরকে ঠান্ডা করতে সক্ষম।
আখের গুড়
ছবি: উইকিপিডিয়া
আখের গুড় দিয়ে শরবত পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকে। মধু আর বাদাম শরীরকে গরম করে, তাই মধুর বদলে শরবতে আখের গুড় মিশিয়ে পান করা ভালো। আখে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজ রয়েছে, যা আমাদের শরীরের তাপমাত্রা হ্রাসে সাহায্য করে।
দুধ ও এলাচ
প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এলাচের গুঁড়া মিশিয়ে খান। এতে করে সারা দিন শরীর ঠান্ডা ও ক্লান্তিহীন থাকবে। এলাচে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করে।
পুদিনাপাতা ও ধনেপাতা
পুদিনাপাতায় শরীর ঠান্ডা হওয়ার পাশাপাশি ক্লান্তি অবসাদ দূর করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ‘এ’ দ্বারা পরিপূর্ণ পুদিনাপাতা। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এমন একটি উপকরণ, যা অতিরিক্ত গরমে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা দূর করে। গরমে ঘাম জমে ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করে। পেটের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমিয়ে খাবার হজমে সাহায্য করে। পিষে, ধনেপাতার মতো তরকারিতে ছিটিয়ে বা কাঁচা সালাদের সঙ্গে খাওয়া যায়। ধনেপাতাও শরীর ঠান্ডা করতে সক্ষম।
কলা
দিনের খাদ্যতালিকায় কলা কমবেশি সবারই থাকে। তা হোক কাঁচা বা পাকা। উপাদেয়, সস্তা এবং বছরজুড়ে পাওয়া যায় কলা। সবজি বা ফল, যে হিসেবেই কলা খাওয়া হোক না কেন, এ থেকে শরীর প্রচুর পটাশিয়াম গ্রহণ করতে পারে। ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’র গুরুত্বপূর্ণ উৎসও কলা। কলা পাকা বা কাঁচা দুই অবস্থায়ই খাওয়া যায়। অতিরিক্ত ঘামের সময় শরীর থেকে যে তরল বের হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। গরমের সময় কলা খেতে বেশ উপাদেয়।
টমেটো
টমেটোতে রয়েছ শতকরা ৯৪ দশমিক ৫ ভাগ পানি। এতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, লাইকোপেন, ক্যারোটিন, রিবোফ্লোবিন, ক্যালসিয়াম ও লোহা থাকে। টমেটোর জুস কিংবা সালাদ দুই-ই সুস্বাদু। তাই গরম কমাতে টমেটো খেতে পারেন।
শসা বা ক্ষীরা
শসায় রয়েছে ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ পানি। এই গরমে শসার সালাদ রাখুন প্রতি বেলায়। শসার সঙ্গে ধনেপাতা মেশালে স্বাদ বাড়বে। পাশাপাশি ননিবিহীন দুধের তৈরি দই, পুদিনাপাতা আর বরফ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করতে পারেন। এই জুস আপনার শরীর সতেজ রাখবে এবং তৃষ্ণাও মেটাবে।
তামান্না চৌধুরী আরও বললেন, এই গরমে আমরা বাইরে থেকে এসে ঠান্ডা পানি, বরফপানি বা কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করি, যা তাৎক্ষণিক প্রশান্তির অনুভূতি দেয় ঠিকই। কিন্তু বাস্তবে এটি আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করে না বরং ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
বাঙ্গি
শরীর ঠান্ডা করতে বাঙ্গির জুড়ি নেই। এই ফলে পটাশিয়াম ও উচ্চমাত্রায় মিনারেল রয়েছে। মিনারেল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সক্ষম। বাঙ্গি মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবাহে সহায়তা করে। শরীরের অবসাদ ভাব দূর করে।
নিয়মিত বাঙ্গির শরবত খেলে খাবারে অরুচি, নিদ্রাহীনতা, আলসার ও অ্যাসিডিটি দূর হয়। অনেকেই ফলটি খেতে পছন্দ করেন না, তবে গরমে শরীর ঠিক রাখতে ফলটিতে ভরসা করা যায়।
তরমুজ
যদিও তরমুজের দামের উষ্ণতা এত বেশি যে তা ভেবেই শরীর গরম হয়ে যায়। কিন্তু শরীর ঠান্ডা করায় এর কোনো জুড়ি নেই। সুমিষ্ট পানীয়তে ভরপুর তরমুজ। তরমুজে রয়েছ শতকরা ৯১ দশমিক ৫ ভাগ পানি, যা শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করবে। রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে আপনাকে স্বস্তি দেবে।
ডাবের পানি
ডাবের পানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, যা আপনার শরীরকে ঠান্ডা করবে। অন্য যেকোনো পানিজাতীয় ফলও শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সক্ষম।
দই
দইয়ের সঙ্গে চিড়া, কলা, বিভিন্ন ধরনের ফল দিয়ে ফ্রুট সালাদ করে খেতে পারেন। এতে করেও আপনার শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। দইয়ে রয়েছে ল্যাকটিড অ্যাসিড ও ক্যালসিয়াম, যা আপনার শরীরকে ঠান্ডা করতে সক্ষম।
আখের গুড়
ছবি: উইকিপিডিয়া
আখের গুড় দিয়ে শরবত পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকে। মধু আর বাদাম শরীরকে গরম করে, তাই মধুর বদলে শরবতে আখের গুড় মিশিয়ে পান করা ভালো। আখে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজ রয়েছে, যা আমাদের শরীরের তাপমাত্রা হ্রাসে সাহায্য করে।
দুধ ও এলাচ
প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এলাচের গুঁড়া মিশিয়ে খান। এতে করে সারা দিন শরীর ঠান্ডা ও ক্লান্তিহীন থাকবে। এলাচে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করে।
পুদিনাপাতা ও ধনেপাতা
পুদিনাপাতায় শরীর ঠান্ডা হওয়ার পাশাপাশি ক্লান্তি অবসাদ দূর করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ‘এ’ দ্বারা পরিপূর্ণ পুদিনাপাতা। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এমন একটি উপকরণ, যা অতিরিক্ত গরমে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা দূর করে। গরমে ঘাম জমে ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করে। পেটের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমিয়ে খাবার হজমে সাহায্য করে। পিষে, ধনেপাতার মতো তরকারিতে ছিটিয়ে বা কাঁচা সালাদের সঙ্গে খাওয়া যায়। ধনেপাতাও শরীর ঠান্ডা করতে সক্ষম।
কলা
দিনের খাদ্যতালিকায় কলা কমবেশি সবারই থাকে। তা হোক কাঁচা বা পাকা। উপাদেয়, সস্তা এবং বছরজুড়ে পাওয়া যায় কলা। সবজি বা ফল, যে হিসেবেই কলা খাওয়া হোক না কেন, এ থেকে শরীর প্রচুর পটাশিয়াম গ্রহণ করতে পারে। ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’র গুরুত্বপূর্ণ উৎসও কলা। কলা পাকা বা কাঁচা দুই অবস্থায়ই খাওয়া যায়। অতিরিক্ত ঘামের সময় শরীর থেকে যে তরল বের হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। গরমের সময় কলা খেতে বেশ উপাদেয়।
টমেটো
টমেটোতে রয়েছ শতকরা ৯৪ দশমিক ৫ ভাগ পানি। এতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, লাইকোপেন, ক্যারোটিন, রিবোফ্লোবিন, ক্যালসিয়াম ও লোহা থাকে। টমেটোর জুস কিংবা সালাদ দুই-ই সুস্বাদু। তাই গরম কমাতে টমেটো খেতে পারেন।
শসা বা ক্ষীরা
শসায় রয়েছে ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ পানি। এই গরমে শসার সালাদ রাখুন প্রতি বেলায়। শসার সঙ্গে ধনেপাতা মেশালে স্বাদ বাড়বে। পাশাপাশি ননিবিহীন দুধের তৈরি দই, পুদিনাপাতা আর বরফ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করতে পারেন। এই জুস আপনার শরীর সতেজ রাখবে এবং তৃষ্ণাও মেটাবে।
তামান্না চৌধুরী আরও বললেন, এই গরমে আমরা বাইরে থেকে এসে ঠান্ডা পানি, বরফপানি বা কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করি, যা তাৎক্ষণিক প্রশান্তির অনুভূতি দেয় ঠিকই। কিন্তু বাস্তবে এটি আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করে না বরং ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য ক্ষতিকর।