What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বহুগুণের পুদিনা (1 Viewer)

পুদিনার গুণও অশেষ। পুদিনাপাতা নানা কাজে লাগে। রান্নায় হার্ব হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এর বাইরে রয়েছে পুদিনার নানা ব্যবহার। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ত্বকচর্চা ও চুলচর্চায় ব্যবহার করা হয় পুদিনা। পুদিনার চাষ ঘরের যেকোনো কোনাতেই সম্ভব আর করতে হয় না খুব বেশি আয়োজনও। এ ছাড়া এ সময়ে এমনিতেই বাইরে যাওয়া হচ্ছে না; ফলে ঘরের গাছেই আপনার প্রতিদিনের চাহিদাটুকু পূরণ করে নিতে পারেন।

83zSPXD.jpg


পুদিনাপাতা ত্বক, চুল ও শরীর—তিনটির জন্যই খুব উপকারী। যেকোনো পরিচর্যার জন্য কয়েকটি পাতাই যথেষ্ট। কারণ, অতিরিক্ত ব্যবহারে বরং হতে পারে ক্ষতি। তাই সঠিক পরিমাণ ও ত্বকের ধরন বুঝেই ব্যবহার করতে হবে পুদিনাপাতা। বলেছেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য পুদিনা

দুই টেবিল-চামচ চটকানো কলা এবং ১০ থেকে ১২টি পুদিনাপাতার পেস্ট মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই প্যাক সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করতে পারেন।

zHKlEis.jpg


প্যাকটির উপকারিতা

কলায় ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই থাকে প্রচুর পরিমাণে। এ ছাড়া রয়েছে পটাশিয়াম, ল্যাকটিক, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও জিংক। এই তিনটি উপাদানে ত্বক হয় আর্দ্র ও মসৃণ। ত্বকের ক্ষয়, ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে এই প্যাক বেশ উপকারী। এ ছাড়া পুদিনা ও কলার মিশেল ত্বক সুন্দর রাখে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

ব্রণের ওষুধ পুদিনা

খুব দ্রুত ব্রণ দূর করতে পুদিনাপাতা দারুণ কাজ করে। ১০ থেকে ১২টি পুদিনাপাতা ছেঁচে এক টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এটি ব্রণ, ব্রণ আক্রান্ত স্থান বা ব্রণের দাগের ওপর লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে তা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একবার এটা ব্যবহার করা যাবে।

eTh4CwZ.jpg


প্যাকটির উপকারিতা

পুদিনার স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও লেবুর রসের ব্লিচিং উপাদান ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ত্বক উজ্জ্বল করে।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে পুদিনা

ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে ১০-১২টি পুদিনাপাতা বেটে তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে এক টেবিল-চামচ মুলতানি মাটি, আধা টেবিল-চামচ মধু ও আধা টেবিল-চামচ টক দই। ঘন মিশ্রণ হওয়া পর্যন্ত মেশাতে থাকুন। ঘরেও তৈরি করে নিতে পারেন টক দই।
মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুবার এটা ব্যবহার করলে ত্বকের তেলতেলে ভাব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া পুদিনাপাতা মেশানোর ফলে এতে খনিজ উপাদান যোগ হয় এবং বাড়তি তেল দূর হয়ে ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়।

jYobxMO.jpg


শুষ্ক ত্বকের জন্য পুদিনা

শুষ্ক ত্বকের জন্য ১০ থেকে ১২টি পুদিনাপাতা বেটে তার সঙ্গে ২ টেবিল-চামচ টক দই ও এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে ঘন পেস্ট করতে হবে। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক মসৃণ, আর্দ্র ও কোমল রাখতে এই ফেস প্যাক খুবই কার্যকর।

চুলের যত্নে পুদিনাপাতা

পুদিনার শিকড়ের রস উকুননাশক হিসেবে খুবই কার্যকর, এমনকি পাতাও। পুদিনাপাতা বা শিকড়ের রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখতে হবে। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার করলে এক মাসের মধ্যেই চুল উকুনমুক্ত হবে।

y6i1151.jpg


পুদিনার স্বাস্থ্যকথা

পুদিনাপাতার রস শ্বাসপ্রশ্বাসের নালি খুলে দেওয়ার কাজে সহায়তা করে। ফলে অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় পুদিনাপাতা বেশ কার্যকর। পুদিনাপাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানির ভাপ নিলে এবং গার্গল করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
পুদিনাপাতার রস ব্যথানাশক উপাদান হিসেবেও কাজ করে। মাথাব্যথা হলে পুদিনাপাতার চা পান করতে পারেন। অথবা তাজা কিছু পুদিনাপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। জয়েন্টের ব্যথায় পুদিনাপাতা বেটে প্রলেপ দিলে আরাম পাওয়া যাবে।
পুদিনাপাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস; যা পেটের যেকোনো সমস্যার জন্য উপকারী। হজমের সমস্যা এবং পেটের ব্যথা থাকলে খাবার পর ১ কাপ পুদিনাপাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। ৬-৭টি তাজা পুদিনাপাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খুব সহজে পুদিনাপাতার চা তৈরি করতে পারেন ঘরে।

শরীর ঠান্ডা রাখার একটি বিশেষ গুণ রয়েছে পুদিনায়। পানিতে কিছু পুদিনাপাতা কিছুক্ষণ ফেলে গোসল করে নিন।

পুদিনাপাতা অ্যান্টিবায়োটিকেরও কাজ করে। শুকনো পুদিনাপাতা ফুটিয়ে সেই পানি ফ্রিজে রেখে দিন। এক বালতি পানিতে ১০ থেকে ১৫ চামচ পুদিনার পানি মিশিয়ে গোসল করলে গরমে ব্যাকটেরিয়াজনিত দুর্গন্ধ কমে। পুদিনার অ্যাসট্রিনজেন্ট গুণ ঘামাচি, অ্যালার্জিও দূর করে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top