মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও অভিনয়জগতে বেশ সুনাম কুড়ানো রিধি ডগরা মনে করেন, প্রত্যেকেরই উচিত নিজেকে ভালোবাসা।
ভারতীয় সিরিয়ালের প্রিয় মুখ রিধি ডগরা। মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও অভিনয়জগতে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই প্রতিভাবান এই অভিনেত্রী সবার মন জয় করে নিয়েছেন। মিষ্টি হাসি আর কাজের প্রতি অনুরাগ তাঁকে সফল হতে সাহায্য করেছে। এর জন্য প্রচুর সময় আর শ্রমও দিয়েছেন তিনি। তবে হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি নিজেকে ফিট রাখার ব্যাপারে বেশ সচেতন।
ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় তিনি প্রচুর পানি পান করে থাকেন। তিনি মনে করেন, প্রত্যেকেরই উচিত নিজেকে ভালোবাসা। আর এর জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে নিজের শরীর ও মনকে সুস্থ–সবল রাখা। নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিনি পানি পান করে থাকেন। এটি একদিকে যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে, পাশাপাশি তাঁকে সারা দিন কর্মক্ষম ও সুন্দর থাকতে সাহায্য করে।
রিধি ডগরা চিনি যতটা সম্ভব কম খাওয়া কিংবা পরিহার করার চেষ্টা করেন এবং মাঝেমধ্যে গ্রিন টি পান করেন। তাঁর মতে, একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে তাঁর কাছে নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখা এবং নিজেকে ফিট রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সারা দিনের কর্মব্যস্ততার ফলে শরীরে যেন কোনো ধরনের ঘাটতি না হয়, সেদিকে তাঁকে লক্ষ রাখতে হয়।
তাই তিনি নিয়মমাফিক খাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখেন। সৌন্দর্যসচেতন এ অভিনেত্রী নিজের জন্য উপযুক্ত ডায়েট প্ল্যান নির্ধারণ করে তা নিয়মিত মেনে চলেন।
রিধি যথাসম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকেন। সাধারণত সকালের নাস্তায় তিনি গ্র্যানোলা, আমন্ড, পিনাট বাটার ও ডিম খেয়ে থাকেন। নাস্তায় তিনি ডিম ও দুধ খেতেই অভ্যস্ত। এ ছাড়া এ সময় তিনি ফলমূল খেয়ে থাকেন। দুপুরের খাবারেও তিনি প্রচুর ফলমূল খেয়ে থাকেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে তিনি গ্রিন জুস ও অ্যালকালাইন-জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকেন।
বিভিন্ন রকমের সবজি, বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তা ছাড়া তিনি শস্যজাতীয় খাবার ও পনির খেতে খুব ভালোবাসেন। বিকেলে খুব হালকা স্ন্যাক খেতে পছন্দ করেন। তিনি সি ফুড খেতে খুবই পছন্দ করেন। তাই দুপুর কিংবা রাতের খাবারে সামুদ্রিক মাছ খেতে ভালোবাসেন।
এই অভিনেত্রী বেশ ভোজনরসিক। সাধারণ খাবারের পাশাপাশি ভিন্ন ধরনের খাবারও তাঁর খুবই পছন্দ। তিনি রুটির সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ডাল খেয়ে থাকেন। এ ছাড়া অন্যান্য মিক্সড আইটেমও তিনি খেতে বেশ পছন্দ করেন। কখনো কখনো তিনি স্যুপও খান। তবে তিনি ভাত যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। তিনি হার্ট-ফ্রেন্ডলি খাবার খেতে পছন্দ করেন। আর যেহেতু অল্প মসলায় তৈরি খাবারে স্বাদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অতিরিক্ত মেদও জমতে পারে না। তাই সেভাবেই তিনি চার্ট মেনে চলেন। তবে বিরিয়ানি তাঁর খুবই পছন্দের খাবার। তাই মাঝেমধ্যে তিনি বিরিয়ানি খেয়ে থাকেন। পুডিং ও পেস্ট্রি তাঁর খুবই পছন্দের খাবার।
শুটিং চলাকালে রিধি খুব নিয়ম মেনে চলেন। সাধারণত রাত আটটার মধ্যে তাঁর রাতের খাবার খেয়ে নেন। এরপর এক ঘণ্টা হাতে সময় নিয়ে কিছুক্ষণ হালকা ব্যায়াম ও অল্প বিশ্রাম নিয়ে বেশ তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকেন এবং আট ঘণ্টার বেশি ঘুমানো তিনি পছন্দ করেন না।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ওয়ার্কআউট করে ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুব জরুরি, যা তিনি সব সময় করে থাকেন। নিয়মিত জিম ও অন্যান্য ব্যায়ামের মাধ্যমে তিনি নিজেকে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখেন। আর নিয়মমাফিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা, ঘুম ও বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে।
তাই তিনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি নিয়মিত ওয়ার্কআউট করতে ভোলেন না। তিনি সকালের ওয়ার্কআউটের পাশাপাশি রাতেও হালকা ব্যায়াম করে থাকেন। এ সময় তিনি হাঁটতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন।
ছবি: রিধি ডগরার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল
ভারতীয় সিরিয়ালের প্রিয় মুখ রিধি ডগরা। মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও অভিনয়জগতে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই প্রতিভাবান এই অভিনেত্রী সবার মন জয় করে নিয়েছেন। মিষ্টি হাসি আর কাজের প্রতি অনুরাগ তাঁকে সফল হতে সাহায্য করেছে। এর জন্য প্রচুর সময় আর শ্রমও দিয়েছেন তিনি। তবে হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি নিজেকে ফিট রাখার ব্যাপারে বেশ সচেতন।
ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় তিনি প্রচুর পানি পান করে থাকেন। তিনি মনে করেন, প্রত্যেকেরই উচিত নিজেকে ভালোবাসা। আর এর জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে নিজের শরীর ও মনকে সুস্থ–সবল রাখা। নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিনি পানি পান করে থাকেন। এটি একদিকে যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে, পাশাপাশি তাঁকে সারা দিন কর্মক্ষম ও সুন্দর থাকতে সাহায্য করে।
রিধি ডগরা চিনি যতটা সম্ভব কম খাওয়া কিংবা পরিহার করার চেষ্টা করেন এবং মাঝেমধ্যে গ্রিন টি পান করেন। তাঁর মতে, একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে তাঁর কাছে নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখা এবং নিজেকে ফিট রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সারা দিনের কর্মব্যস্ততার ফলে শরীরে যেন কোনো ধরনের ঘাটতি না হয়, সেদিকে তাঁকে লক্ষ রাখতে হয়।
তাই তিনি নিয়মমাফিক খাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখেন। সৌন্দর্যসচেতন এ অভিনেত্রী নিজের জন্য উপযুক্ত ডায়েট প্ল্যান নির্ধারণ করে তা নিয়মিত মেনে চলেন।
রিধি যথাসম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকেন। সাধারণত সকালের নাস্তায় তিনি গ্র্যানোলা, আমন্ড, পিনাট বাটার ও ডিম খেয়ে থাকেন। নাস্তায় তিনি ডিম ও দুধ খেতেই অভ্যস্ত। এ ছাড়া এ সময় তিনি ফলমূল খেয়ে থাকেন। দুপুরের খাবারেও তিনি প্রচুর ফলমূল খেয়ে থাকেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে তিনি গ্রিন জুস ও অ্যালকালাইন-জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকেন।
বিভিন্ন রকমের সবজি, বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তা ছাড়া তিনি শস্যজাতীয় খাবার ও পনির খেতে খুব ভালোবাসেন। বিকেলে খুব হালকা স্ন্যাক খেতে পছন্দ করেন। তিনি সি ফুড খেতে খুবই পছন্দ করেন। তাই দুপুর কিংবা রাতের খাবারে সামুদ্রিক মাছ খেতে ভালোবাসেন।
এই অভিনেত্রী বেশ ভোজনরসিক। সাধারণ খাবারের পাশাপাশি ভিন্ন ধরনের খাবারও তাঁর খুবই পছন্দ। তিনি রুটির সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ডাল খেয়ে থাকেন। এ ছাড়া অন্যান্য মিক্সড আইটেমও তিনি খেতে বেশ পছন্দ করেন। কখনো কখনো তিনি স্যুপও খান। তবে তিনি ভাত যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। তিনি হার্ট-ফ্রেন্ডলি খাবার খেতে পছন্দ করেন। আর যেহেতু অল্প মসলায় তৈরি খাবারে স্বাদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অতিরিক্ত মেদও জমতে পারে না। তাই সেভাবেই তিনি চার্ট মেনে চলেন। তবে বিরিয়ানি তাঁর খুবই পছন্দের খাবার। তাই মাঝেমধ্যে তিনি বিরিয়ানি খেয়ে থাকেন। পুডিং ও পেস্ট্রি তাঁর খুবই পছন্দের খাবার।
শুটিং চলাকালে রিধি খুব নিয়ম মেনে চলেন। সাধারণত রাত আটটার মধ্যে তাঁর রাতের খাবার খেয়ে নেন। এরপর এক ঘণ্টা হাতে সময় নিয়ে কিছুক্ষণ হালকা ব্যায়াম ও অল্প বিশ্রাম নিয়ে বেশ তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকেন এবং আট ঘণ্টার বেশি ঘুমানো তিনি পছন্দ করেন না।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ওয়ার্কআউট করে ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুব জরুরি, যা তিনি সব সময় করে থাকেন। নিয়মিত জিম ও অন্যান্য ব্যায়ামের মাধ্যমে তিনি নিজেকে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখেন। আর নিয়মমাফিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা, ঘুম ও বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে।
তাই তিনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি নিয়মিত ওয়ার্কআউট করতে ভোলেন না। তিনি সকালের ওয়ার্কআউটের পাশাপাশি রাতেও হালকা ব্যায়াম করে থাকেন। এ সময় তিনি হাঁটতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন।
ছবি: রিধি ডগরার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল
