What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

করোনা রোগীর রোজা (1 Viewer)

9w5xQZ8.png


দিনে-রাতে অনেকবারই পালস অক্সিমিটার দিয়ে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করুন, হৃৎস্পন্দন দেখুন। সম্ভব হলে রক্তচাপ মাপুন। প্রস্রাবের পরিমাণ ও রং লক্ষ করুন।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই পবিত্র রমজান মাস উপস্থিত। এবার অনেক বাড়িতেই করোনা সংক্রমিত রোগী রয়েছেন। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, করোনা নিয়েও রোজা রাখা সম্ভব কি না।

করোনা রোগীদের একটি বড় অংশই প্রায় উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত। এ ধরনের রোগীদের রোজা করতে বাধা নেই। তবে যাঁরা মাঝারি বা তীব্র মাত্রার সংক্রমণে ভুগছেন, অক্সিজেন বা ইনজেকশন চলছে কিংবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অথবা যাঁদের গুরুতর অন্য রোগ রয়েছে, বয়স্ক—এমন করোনা রোগীদের রোজা না রাখাই উচিত। এ ব্যাপারে সঠিক পরামর্শ পেতে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে নেওয়াই ভালো।

করোনার মৃদু উপসর্গ নিয়ে রোজা করতে চাইলেও কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে

ইফতার বা সাহ্‌রিতে অবশ্যই আইসোলেশনের সব নিয়ম মানতে হবে। প্রয়োজন ও সময় অনুযায়ী খাবার, পানি, পানীয় রোগীর ঘরের সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রেখে আসতে হবে। রোগী সবার সঙ্গে এক টেবিলে বসে ইফতার-সাহ্‌রি করতে পারবেন না। খাবার খাওয়ার পর উচ্ছ্বিষ্ট রোগী নিজেই একটি ময়লার ঝুড়িতে ব্যাগে ভরে ফেলবেন। সম্ভব হলে নিজের থালা-গ্লাস নিজেই ধুয়ে নেবেন।

জ্বর, কাশি, স্বাদ-গন্ধহীনতা বা করোনার মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগী, পজিটিভ বা নেগেটিভ যা-ই হোন না কেন, অবশ্যই মসজিদে তারাবিহর নামাজ পড়তে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। মনে রাখতে হবে, কারও কারও ক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ থাকা সত্ত্বেও কারিগরি ত্রুটির কারণে পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসতে পারে। তাই উপসর্গ থাকলে ঘরেই থাকুন। বাড়িতে ইবাদত করুন।

করোনা বা অন্য যেকোনো সংক্রমণে শরীর দ্রুত পানি হারায়। বিশেষ করে জ্বর থাকলে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে। রোজা রাখলে এ বিষয়ে আরও বিশেষভাবে নজর দিন। ইফতার থেকে সাহ্‌রি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করুন। ডাবের পানি, ফলের রস, স্যুপ, তাজা ফলমূল, যেমন শশা, তরমুজ, আপেল, মাল্টা ইত্যাদি খেতে হবে। অনেক সময় করোনা রোগীর রক্তে খনিজ স্বল্পতা, রক্তচাপ কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই পানি ও তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে অনেক।

যথেষ্ট ঘুম ও বিশ্রাম দরকার। নিজের ঘরে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় বিশ্রাম নিন। মাঝেমধ্যে হালকা হাঁটাহাঁটি বা পায়ের ব্যায়াম করুন। অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করবেন না। তারাবিহর নামাজ পুরোটা পড়তে ক্লান্ত লাগলে সংক্ষিপ্ত করে নিন।

দিনে-রাতে অনেকবারই পালস অক্সিমিটার দিয়ে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করুন, হৃৎস্পন্দন দেখুন। সম্ভব হলে রক্তচাপ মাপুন। প্রস্রাবের পরিমাণ ও রং লক্ষ করুন। যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁরা রক্তের শর্করা বারবার মাপুন। টেলিফোনে বা ইন্টারনেটে স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।

হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, মাথা হালকা বোধ হওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, হৃৎস্পন্দন বেশি বা কম মনে হওয়া, অতিরিক্ত ক্লান্তি বা অবসাদ, সামান্য পরিশ্রমে অস্থির বা ভীষণ অবসাদগ্রস্ত মনে হলে রোজা ভাঙতে পারেন। এ ছাড়া অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে যেতে থাকলে অবশ্যই রোজা ভাঙুন। বিষয়টি দ্রুত পরিবারের সদস্যদের জানান।

* অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ আরাফাত, চেয়ারম্যান, মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
 

Users who are viewing this thread

Back
Top