What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

শিশুর কৃমির সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা (1 Viewer)

agkG3jf.jpg


অনেকেই মনে করেন, চিনি বা গুড় খেলে কৃমি হয়। এ ধারণা ভুল। কৃমির সংক্রমণের অন্যতম কারণ হলো অপরিচ্ছন্ন থাকা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা।

কৃমি এক ধরনের পরজীবী। এটি মানবশরীর থেকে পুষ্টি নিয়ে বেঁচে থাকে, বৃদ্ধি পায়, বংশবিস্তার করে। শিশুদের মধ্যে এই পরজীবীর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৃমির সংক্রমণ বেশি হয়। তবে সতর্ক থাকলে এই পরজীবীর সংক্রমণ মোকাবিলা করা সম্ভব।

শিশুর কৃমির সংক্রমণ কিছু লক্ষণে বোঝা যায়। তবে কোনো কোনো শিশুর কৃমির সংক্রমণে কোনো উপসর্গ থাকে না। এই শিশুরা কৃমির বাহকের ভূমিকা পালন করে। শিশুর কৃমির সংক্রমণজনিত প্রধান লক্ষণগুণো হলো—

  • পেটব্যথা, পেট ফোলা-ফাঁপা, রক্ত বা রক্তযুক্ত ডায়রিয়া।
  • বমিভাব, বমি, ক্ষুধামান্দ্য, ওজন কমা, জ্বর, ক্লান্তি, হাত-পায়ের ব্যথা এবং মাথাব্যথা।
কিছু কিছু রোগ-লক্ষণ কৃমির ধরনের ওপর নির্ভরশীল। যেমন:
  • প্রোটিন ও ভিটামিনের অভাব হয় কেঁচো কৃমি, জিয়ারডিয়াসিস, আন্ত্রিক ফ্লুকস ইত্যাদিতে।
  • রক্তাল্পতা, ভিটামিন বি-১২ এবং ফলিক অ্যাসিডের অভাব ঘটে বক্র কৃমি ও আন্ত্রিক ফ্লুকসের সংক্রমণে।
  • কেঁচো কৃমি, বক্র কৃমি, আন্ত্রিক ফ্লুকসের সংক্রমণে বদহজম হয়।
  • জিয়ারডিয়াসিস, বক্র কৃমি, ক্রিপটো-স্পোরইডসের সংক্রমণে ওজন কমে যায়।
  • কেঁচো কৃমি অন্ত্রে দলা বা পিণ্ড পাকাতে পারে।
  • যকৃৎ, মাংসপেশি, চোখ, মস্তিষ্ক, ফুসফুস প্রভৃতি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে বিভিন্ন ধরনের কৃমির সংক্রমণে জন্ডিস, খিঁচুনি, অ্যাজমাসহ নানা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
  • কৃমি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা নষ্ট করে বলে নানা ধরনের অসুখ এবং ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।
চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
  • সংক্রমিত ও কৃমির বাহক দ্রুত চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসক প্রথমে রোগীর মল পরীক্ষা করে নির্দিষ্ট ধরনের কৃমির সংক্রমণ নির্ণয় করেন। এরপর সে অনুযায়ী কৃমিনাশক ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন।
  • শৌচাগার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, মল নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শিশুকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
কিছু সতর্কতা
  • অনেকেই মনে করেন, চিনি বা গুড় খেলে কৃমি হয়। এ ধারণা ভুল। কৃম‌ির সংক্রমণের অন্যতম কারণ হলো অপরিচ্ছন্ন থাকা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা।
  • কিছু কৃমি মাটি থেকে পায়ের ত্বকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। তাই শিশুকে নোংরা মাটিতে খালি পায়ে হাঁটতে না দেওয়াই উচিত।
  • শিশুর খাবার প্রস্তুতকারী ও পরিচর্যাকারীর পরিচ্ছন্নতা জরুরি। একইভাবে জরুরি শৌচাগার ব্যবহারের পর এবং খাওয়ার আগে শিশুর হাত সাবান দিয়ে ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top