আমি 'দেবদাস'। আমার 'আম্মাজান' এর 'দাদিমা' 'মোল্লা বাড়ির বউ' ছিল। তিনি 'চার সতীনের ঘর' করেছেন। 'ডাক্তার বাড়ি'র সাথে তাদের 'নয়নের আলো' আর 'বকুল ফুলের মালা'র মত সম্পর্ক ছিল। সেবাড়ির কাজের মেয়ে 'ম্যাডাম ফুলি'র মেয়েটা সারাদিন 'ভাত দে' 'ভাত দে' বলে কান্না করত। ডাক্তারের ছোট ছেলে 'ভেজা বেড়াল' ছদ্মনামে 'মাথা নষ্ট' করা পত্রিকা 'রং নাম্বার'য়ে 'নাগ নাগিনীর প্রেম' নামক উপন্যাস লিখত।
আমার বউ 'গোলাপি এখন ট্রেনে'। সে 'শ্বশুড় বাড়ি জিন্দাবাদ' বিশ্বাস করে না। তাই ' বউ শ্বাশুড়ির যুদ্ধ' শেষ করে 'রিক্সাওয়ালার প্রেম' সিনেমার নায়িকার মত রাগ করে বাপের বাড়ি যাচ্ছে।
সে আমাকে 'দুশমন' মনে করে। তাকে 'মাস্তান'দের মত 'শাস্তি' দিতে হবে।
আমার 'মনের মানুষ' 'বেদের মেয়ে জোসনা'র সাথে ফোনে কথা বলছিলাম। এমন সময় 'হঠাৎ বৃষ্টি'র মত আমার 'ফুলের মত বউ' উপস্থিত। ধরা খেয়ে গেলাম।
: তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম কর?
: হুম করি। জোসনার কারণে 'মন বসে না পড়ার টেবিলে'।
আর তুমি তো আমার 'এক টাকার বউ'।
:ভুলে যেয়ো না 'কোটি টাকার কাবিন' হয়েছে। নারী নির্যাতন আইনে মামলা করব আমি।
: কি বল এসব। আমি তোমার 'প্রাণের চেয়ে প্রিয় স্বামী'। 'স্বামী যখন আসামী' হবে তখন কি তোমার 'এই ঘর এই সংসার' ভাল লাগবে?
:এসব কথায় কাজ হবে না। জেনে রেখ আমার বোন 'বস্তির রানী সুরাইয়া'। 'ওরা এগারোজন'। ওরা এসেছে। বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। এবার 'পালাবি কোথায়'?
: এতো দেখছি সর্বনাশ। একেবারে 'নয় নম্বর বিপদসংকেত'। তুমি আমার 'অন্তরে অন্তরে' থাকবে চিরকাল। তোমায় 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' ভালবাসব। এবারের মত মাফ করে দাও।
অবশেষে মাফ পেয়েছি। তবে তার জন্য যে কত কিছু করতে হয়েছে তা 'হাজার বছর ধরে' লিখলেও 'সমাপ্ত' হবে না।