কিছুদিন ধরেই সাব্বিরের সাথে ঠিক করে কথা বলি না। কেন বলি না সেই কারণও পরিস্কার করে বলি না। পরিস্কার করে বলার কিছু নেইও! গার্লস গ্রুপের মেয়েগুলা সারাদিন হাজবেন্ডের দেয়া কতো কতো সারপ্রাইজ গিফটগুলা শেয়ার করে হাজার হাজার রিয়াক্ট পায়! একাশি ডজন চুড়ি,তেইশ চব্বিশটা শাড়ি, পঁচিশটা লাভ লেটার এমনকি সরি বলার জন্য ম্যাচিং শাড়ি,চুড়ি,গোলাপ ফুল! এগুলা দেবার জন্য কত আর টাকা লাগে! লাগে একটা সুন্দর মন,সেই মনটাই সাব্বিরের নাই! আমার তিন বছরের বিয়েতে আজ পর্যন্ত সাব্বির এমন কিছু আমার জন্য করেছে? কিন্তু এটা নিয়ে ঝগড়া করারও আসলে কিছু নাই। কি বলবো? আমাকে এগুলা এনে দাও আমি পোস্ট দিবো? নাহ! কিছুই বলবো না,কথাই বলবো না!
আমার আচার আচরণে সাব্বির অস্বস্তি বোধ করে। আজ কিছুদিন হলো "পড়াশোনা হচ্ছে না" অজুহাতে আলাদা রুমে ঘুমাই। খাওয়ার সময়টা ছাড়া ঠিকমতো সারাদিনে দেখাই হয় না।
সাব্বির আবার কিছুটা সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত টাইপ। বউরে গিফট দিবে না ঠিকই আবার বউ লাগবে লয়াল! ঠিক আছে,লয়াল আমি আছিই। কিন্তু আজ কিছুদিন ঠিকমতো কথা বলি না দেখে ওর মনে সন্দেহ জেগেছে আমি ভার্সিটির কোন ইয়ারমেটের সাথে প্রেমের সম্পর্কে টম্পর্কে জড়িয়ে গেছি।
সন্দেহ খুব খারাপ রোগ। তিল হয়ে মনের ভেতর ঢুলে ধীরে ধীরে বড় সাইজের তাল হয়ে যায়। আজ সকালেই তাই ভার্সিটি গিয়েই বেস্ট ফ্রেন্ড কাজলের কাছ থেকে জানলাম সাব্বির ওকে ফোন দিয়েছিলো এবং আমি ইদানিং ওর সাথে কথাটথা বলি না এইসব নিয়ে কথাবার্তা বলেছে। কাজল স্ট্রেইর্ট ফরোয়ার্ড মেয়ে। সরাসরি বলে দিছে আমার কোন অ্যাফেয়ার ট্যাফেয়ার নাই। গার্লস গ্রুপের পোস্ট দেখে আপসেট। গিফট দেয় না বলে কথা বলি না।
বাসায় এসে পর্যন্ত ভয় আর চিন্তা মিশ্রিত অবস্থায় পায়চারী করছি। না জানি সাব্বির কি করে! ঝগড়া করবে না গিফট নিয়ে আসবে? গিফট নিয়ে আসলে আমি অবশ্যই অবশ্যই নিবো না! এই গিফট দায়সারা গিফট,লাগবে শুনেছে তাই দিচ্ছে, এরমধ্যে কোন ভালোবাসা আছে? নাই! আমি মরে গেলেও নিবো না,আর ঝগড়া করলে বাপের বাড়ি চলে যাবো। ডিসিশন ফাইনাল!
সাব্বির কিছুই করলো না। রাতে খেলোও না। অফিস থেকে বাসায় এসেই সোজা বিছানায় পড়ে ঘুম। আমার একটু সন্দেহ সন্দেহ হচ্ছে যে নেশাটেশা করে এসেছে কিনা! কিন্তু কিছুই বললাম না! যা ইচ্ছা করুক।
আজ শুক্রবার। সাব্বির বাসাতেই আছে। দুইদিন পরেই আমার অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা। সাব্বিরকে নিয়ে এখন মাথা ঘামানোর মতো সময়ও নাই বিধায় পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত আছি। ঠিক এমন সময় কলিংবেল বাজলো।
দরজা খুলে আমি হতভম্ব। সাব্বির এগুলা কি করছে! অনলাইন শপ থেকে একগাদা প্যাকেট ঘরের ভেতর রেখে চলে গেল।
"খোলো! আনপ্যাক করে দেখো!"
পাশ থেকে গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো সাব্বির।
আমার চোখমুখ শক্ত হয়ে গেল! এদিকে দেখার লোভও সামলাতে পারছি না! কিন্তু আমি তো শপথ করেছি গিফট আমি নেবো না! কিন্তু দেখার মধ্যে তো কোন দোষ নাই! দেখবো, তারপর নেবো না। মিটে গেল!
চোখ কপালে বলে যে প্রবাদবাক্যটা প্রচলিত আছে গিফট খুলে আমার সেই দশা হলো!
কয়েক শ কলম,ম্যাটাডোর অলটাইম!
মনে হচ্ছে বাজারের সব কালার পেন এবং ফাইল কিনে নিয়ে আসছে সাব্বির! সেই সাথে শ পাঁচেক স্কেল এবং রং বেরংয়ের পেন্সিল!
আমি বাক্যহারা হয়ে ওর মুখের দিকে তাকালাম। সাব্বিরের চোখেমুখে খুশী ঝরে ঝরে পড়ছে!
আমি হতভম্ব হয়ে বললাম, হোয়াট ইজ দিস?
সাব্বির হাসিমুখে বললো, গার্লস গ্রুপের ছেলেগুলা তো একটা উপলক্ষ ধরে বউকে গিফট দেয়! আমার তো সামনে একটাই উপলক্ষ! তোমার পরীক্ষা! তাই পরীক্ষার সব আইটেম নিয়ে আসছি। রাত জেগে রিসার্চ করছি, তোমার পছন্দের কলম,স্কেল,পেন্সিল সব আছে। এইবার গার্লস গ্রুপে ''কেয়ারিং হাজবেন্ড'' শিরোনামে পোস্ট দাও! প্রচুর রিয়াক্ট পাবা!
কিন্তু রিয়াক্ট কি আমি চেয়েছি? আমি চেয়েছি ভালোবাসাটা,সে বুঝেছে রিয়াক্টটা! গলা দিয়ে কথা বের হলো না আমার!
আমার আচার আচরণে সাব্বির অস্বস্তি বোধ করে। আজ কিছুদিন হলো "পড়াশোনা হচ্ছে না" অজুহাতে আলাদা রুমে ঘুমাই। খাওয়ার সময়টা ছাড়া ঠিকমতো সারাদিনে দেখাই হয় না।
সাব্বির আবার কিছুটা সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত টাইপ। বউরে গিফট দিবে না ঠিকই আবার বউ লাগবে লয়াল! ঠিক আছে,লয়াল আমি আছিই। কিন্তু আজ কিছুদিন ঠিকমতো কথা বলি না দেখে ওর মনে সন্দেহ জেগেছে আমি ভার্সিটির কোন ইয়ারমেটের সাথে প্রেমের সম্পর্কে টম্পর্কে জড়িয়ে গেছি।
সন্দেহ খুব খারাপ রোগ। তিল হয়ে মনের ভেতর ঢুলে ধীরে ধীরে বড় সাইজের তাল হয়ে যায়। আজ সকালেই তাই ভার্সিটি গিয়েই বেস্ট ফ্রেন্ড কাজলের কাছ থেকে জানলাম সাব্বির ওকে ফোন দিয়েছিলো এবং আমি ইদানিং ওর সাথে কথাটথা বলি না এইসব নিয়ে কথাবার্তা বলেছে। কাজল স্ট্রেইর্ট ফরোয়ার্ড মেয়ে। সরাসরি বলে দিছে আমার কোন অ্যাফেয়ার ট্যাফেয়ার নাই। গার্লস গ্রুপের পোস্ট দেখে আপসেট। গিফট দেয় না বলে কথা বলি না।
বাসায় এসে পর্যন্ত ভয় আর চিন্তা মিশ্রিত অবস্থায় পায়চারী করছি। না জানি সাব্বির কি করে! ঝগড়া করবে না গিফট নিয়ে আসবে? গিফট নিয়ে আসলে আমি অবশ্যই অবশ্যই নিবো না! এই গিফট দায়সারা গিফট,লাগবে শুনেছে তাই দিচ্ছে, এরমধ্যে কোন ভালোবাসা আছে? নাই! আমি মরে গেলেও নিবো না,আর ঝগড়া করলে বাপের বাড়ি চলে যাবো। ডিসিশন ফাইনাল!
সাব্বির কিছুই করলো না। রাতে খেলোও না। অফিস থেকে বাসায় এসেই সোজা বিছানায় পড়ে ঘুম। আমার একটু সন্দেহ সন্দেহ হচ্ছে যে নেশাটেশা করে এসেছে কিনা! কিন্তু কিছুই বললাম না! যা ইচ্ছা করুক।
আজ শুক্রবার। সাব্বির বাসাতেই আছে। দুইদিন পরেই আমার অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা। সাব্বিরকে নিয়ে এখন মাথা ঘামানোর মতো সময়ও নাই বিধায় পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত আছি। ঠিক এমন সময় কলিংবেল বাজলো।
দরজা খুলে আমি হতভম্ব। সাব্বির এগুলা কি করছে! অনলাইন শপ থেকে একগাদা প্যাকেট ঘরের ভেতর রেখে চলে গেল।
"খোলো! আনপ্যাক করে দেখো!"
পাশ থেকে গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো সাব্বির।
আমার চোখমুখ শক্ত হয়ে গেল! এদিকে দেখার লোভও সামলাতে পারছি না! কিন্তু আমি তো শপথ করেছি গিফট আমি নেবো না! কিন্তু দেখার মধ্যে তো কোন দোষ নাই! দেখবো, তারপর নেবো না। মিটে গেল!
চোখ কপালে বলে যে প্রবাদবাক্যটা প্রচলিত আছে গিফট খুলে আমার সেই দশা হলো!
কয়েক শ কলম,ম্যাটাডোর অলটাইম!
মনে হচ্ছে বাজারের সব কালার পেন এবং ফাইল কিনে নিয়ে আসছে সাব্বির! সেই সাথে শ পাঁচেক স্কেল এবং রং বেরংয়ের পেন্সিল!
আমি বাক্যহারা হয়ে ওর মুখের দিকে তাকালাম। সাব্বিরের চোখেমুখে খুশী ঝরে ঝরে পড়ছে!
আমি হতভম্ব হয়ে বললাম, হোয়াট ইজ দিস?
সাব্বির হাসিমুখে বললো, গার্লস গ্রুপের ছেলেগুলা তো একটা উপলক্ষ ধরে বউকে গিফট দেয়! আমার তো সামনে একটাই উপলক্ষ! তোমার পরীক্ষা! তাই পরীক্ষার সব আইটেম নিয়ে আসছি। রাত জেগে রিসার্চ করছি, তোমার পছন্দের কলম,স্কেল,পেন্সিল সব আছে। এইবার গার্লস গ্রুপে ''কেয়ারিং হাজবেন্ড'' শিরোনামে পোস্ট দাও! প্রচুর রিয়াক্ট পাবা!
কিন্তু রিয়াক্ট কি আমি চেয়েছি? আমি চেয়েছি ভালোবাসাটা,সে বুঝেছে রিয়াক্টটা! গলা দিয়ে কথা বের হলো না আমার!