বর্তমানে ডাক্তারদের থেকে বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আর কেউ নাই। একটা সময় মা-বাবার স্বপ্ন থাকে আমার ছেলে কিংবা মেয়ে বড় হয়ে ডাক্তার হবে। এখন যাদের সন্তান ডাক্তার তারা দেয়ালে মাথা ঠুকে কান্না করছেন এই ভেবে যে মরার দেশে নিজের সন্তানকে গলা টিপে মেরে ফেলা ভাল ছিল তবুও ডাক্তার বানানোর ভুল কেনো করতে গেলাম। আমার কষ্ট হয় ঢাকা মেডিকেল পাস একজন ডাক্তারের বিরুদ্ধে টিভিতে বসে যে মানবিক পাস বুড়ো ঢেঁড়শরা ডাক্তারদের গোষ্ঠী নিপাত করে কথা বলে তার তো ঢাকা মেডিক্যালের বারান্দা ঝাড়ু মারার ক্ষমতাও নাই। হয়তো নীতিনির্ধারক মহলে এই জাতের বুড়ো ঢেঁড়শের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতেই আমাদের দেশটা আজ বিপন্ন।
আমার ধারণা বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যারা পিপিইর নামে প্লাস্টিকের রেইনকোট এবং এন-৯৫ মাস্ক বলে জাঙ্গিয়া ছেঁড়া ত্যানা ব্যবহারে ডাক্তারদের বাধ্য করেছে। গতকাল দেশে প্রতি ২৩ জন করোনা রোগীর বিপরীতে একজন চিকিৎসক আক্রান্ত হচ্ছেন শীর্ষক সংবাদ প্রচার করেছে dbcnews.tv। বিষয়টি নিয়ে আঁতকে উঠলেও এর পেছনে বিদ্যমান কারণ খুঁজে পাইনি। আজ দৈনিক Prothom Alo সংবাদ ছেপেছে 'ওপরে লেখা এন-৯৫, ভেতরে কাপড়ের মাস্ক'। আমি অনেক আগে থেকে বলে আসছি ভয়ানক ভঙ্গুর একটা স্বাস্থ্যব্যবস্থার বলি হতে যাচ্ছেন আমাদের অসহায় চিকিৎসকরা। পাশাপাশি তাদের স্কেপগোট বানিয়ে মূল অপরাধীরা সটকে পড়ার ধান্দায় আছে অনেক আগে থেকে।
একটি অদ্ভুতুড়ে দেশ যেখানে সবকিছুতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ লাগে। প্রধানমন্ত্রী হয়তো কোনোদিন জানবেন না কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের ব্যবহারের জন্য একটি কার্টনে করে যে এক হাজার মাস্ক এসেছে তার কার্টনের গায়ে এন-৯৫ মাস্ক লেখা থাকলেও আদতে নিম্নমানের কাপড়ের তৈরি। ওপরে এন-৯৫ মাস্ক লেখা থাকলেও ভেতরে কাপড়ের নিম্নমানের মাস্ক পাওয়ায় পরেও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এর বিরুদ্ধে বলার সাহস পাচ্ছেন না।প্রথম আলোর সূত্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, 'আমি নিজে কার্টন খুলে মাস্ক দেখে চমকে গেছি। কাপড়ের তৈরি মাস্কগুলো খুবই নিম্নমানের। গেঞ্জির কাপড়ের মাস্ক। এগুলো ব্যবহার করে রোগীদের কাছে যাওয়া মানে বিপদ ডেকে আনা।' যে চোরের বাচ্চা চোর এই মাস্কগুলো চুরি করেছে তারা যদি করোনা আক্রাান্ত হয় কোন বাপ তাদের চিকিৎসা করবে? মাস্কের অভাবে ডাক্তাররা যদি আক্রান্ত হয় তারা কিভাবে রক্ষা পাবে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরণের কুকর্মের বিরুদ্ধে সবার আরও সোচ্চার হওয়া জরুরি যাতে কালপ্রিটরা ধরা পড়ে।
৪ জুন পর্যন্ত করোনাযুদ্ধে শহীদ ডাক্তারদের তালিকা
দেশে প্রতি ২৩ জন করোনা রোগীর বিপরীতে একজন করে চিকিৎসক আক্রান্ত হতে থাকলে একটা সময় গিয়ে আপনাদের সেবা দেবে কে সেটা চিন্তা করেছেন? লজ্জার বিষয় ভয়ানক ভঙ্গুর একটা স্বাস্থ্যব্যবস্থার বলি হতে যাচ্ছেন আমাদের অসহায় চিকিৎসকরা। ডিগ্রিধারী মূর্খ, অপদার্থ এবং নীতিভ্রষ্ট মানুষকে টিভি ক্যামেরায় বার বার দেখানোর কুফল বোঝার সময় এখন বাংলাদেশের। এরা লুল্লাবাই শুনিয়ে মাঝরাতে সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে খামে ভরে ৩০০০ টাকা নিয়ে ঘরে ফিরতো। কিন্তু মিথ্যাচার ও মিথ্যা আশ্বাসে আমাদের যে সর্বনাশ এরা করেছে এখন জীবন দিয়ে অনেককে তা শোধ করতে হবে। অন্যদিকে ফেসবুক-টিভি চ্যানেলের বরকতে বুদ্ধিজীবী সেজে বসা বরাহশাবকের দল সুযোগ বুঝে স্কেপগোট বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে এই ডাক্তারদেরই। কিন্তু কেউ একবার ভেবে দেখছেনা আমরা অসুস্থ হলে টিভি চ্যানেলের ঐসব কলা অনুষদপাশ টকশোবাজ শুশীলরা করবে কাঁচকলা, দেখলে ঐ ডাক্তাররাই দেখবে।
ডাক্তারদের সার্ভিস নিয়ে সবমহলে যখন শত সহস্র প্রশ্ন তখনই ডাক্তার মঈন মরে গিয়ে যখন প্রমাণ করলেন তাদের কাজে কোনো ত্রুটি নেই। এসময় মুখে কুলুপ এঁটে তাদের চুপ হওয়ার কতা থাকলেও কতিপয় বরাহশাবক প্রশ্ন তুললো তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। আর ততদিনে সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমরা কিছু না হোক বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিশ্রি উলঙ্গ দেহটা দেখতে পাচ্ছি। সামান্য অসুস্থতায় যে দেশের মন্ত্রী মিনিস্টারের গন্তব্য থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুর আর সাধারণ জনগণ সবক্ষেত্রে দৌড় লাগায় কলকাতা কিংবা ব্যাঙ্গালোরে সে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা হ্যান্ডেলছাড়া সাইকেলের মতো হবে এটা স্বাভাবিক। এখন সময় এসেছে ঐ ভয়াবহ সংকট তেকে উত্তরণের। কিন্তু সেটা না করে স্বাস্থ্যখাতের উলঙ্গ শরীর থেকে চামড়া মাংস খসিয়ে কঙ্কাল বের করার যে ধারা এখন চলছে তা সত্যিই লজ্জাজনক।
গত ৫ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫ জন ডাক্তার, আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ৯০০। আর এই বিষয়টা কি আমরা জানি? কেনো সংবাদমাধ্যম কি এগুলো নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছে? এমনকি ডাক্তারদের ফেসবুক পেইজগুলোও এটা নিয়ে কিছু লিখেছে? যদি তারা লিখতো আর আমরা জাতি হিসেবে কৃতজ্ঞ হতাম তবে এতক্ষণে ডাক্তারদের নিয়ে লেখা ঐসব ট্রিবিউটে আমাদের ফেসবুক ওয়াল সয়লাব হয়ে যাওয়ার কথা।
ইতালির ডাক্তারদের নিয়ে হাততালি দেয়াতে আমার আপত্তি নাই। আমার আপত্তি বাংলাদেশের জীবনবাজি রেখে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই থাকার পরেও ডাক্তারদের নিয়ে নির্লজ্জ নীরবতা নিয়ে। ডা. মঈন মরে গিয়ে প্রমাণ করেছেন সামান্য অসুস্থতা নিয়ে দেশের বাইরে দৌড় মারা নিমকহারামদের চিকিৎস করার মতো দায়িত্ববান ডাক্তার এদেশে আছেন এবং ছিল।
আমরা যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রত্যেকে এক অর্থে ছুটিতে আছি। আমরা হাতে গোণা দুই একজন লেখালেখি কিংবা গবেষণার পেছনে সারাদিন ব্যয় করছি। যেখানে সিংহভাগের দিন যাচ্ছে গৃহস্থালী কিংবা রসনার পেছনে। তার বিপরীতে এই মেডিকেল শিক্ষায় যাঁরা জড়িত, প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক কিংবা অধ্যাপক প্রত্যেকের দিন শুরু হচ্ছে রোগীর কান্না শুনে, রাতে ঘুমাতে যাচ্ছেন রোগীর হাহাকার সঙ্গী করে।
দুই একজন ভণ্ড সব পেশাতেই থাকবে। কিন্ত করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশের সব ডাক্তারের এই অবদান অস্বীকার করাটা হবে আমাদের জন্য চরম নিমকহারামি আচরণ। ডাক্তার জিল্লুর রহমানে এই দুটি ছবি নিজের সঙ্গে মেলান। তারপর ডাক্তারদের নিয়ে দুই একটা বাজে কথা বলুন। বিদেশি ডাক্তারদের সম্মান তো অবশ্যই দেবেন। কিন্ত আপনার দেশী ডাক্তারদেরও তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে এত কার্পণ্য কেনো?
ডাক্তার জিল্লুর রহমানসহ বাংলাদেশের প্রত্যেক চিকিৎসক এবং এর বাইরেও সংশ্লিষ্ট সকল করোনাফাইটারের জন্য আমার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাবনত সালাম। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমত সঙ্গী হলে আপনাদের এই প্রচেষ্টা বৃথা যাবে না। একদিন করোনাক্রান্তিকাল অতিক্রম করে আমরাও মুক্ত স্বাধীন পরিবেশে নতুনভাবে কাজ শুরু করতে পারবো সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় আত্নপ্রত্যয় নিয়ে
আমার ধারণা বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যারা পিপিইর নামে প্লাস্টিকের রেইনকোট এবং এন-৯৫ মাস্ক বলে জাঙ্গিয়া ছেঁড়া ত্যানা ব্যবহারে ডাক্তারদের বাধ্য করেছে। গতকাল দেশে প্রতি ২৩ জন করোনা রোগীর বিপরীতে একজন চিকিৎসক আক্রান্ত হচ্ছেন শীর্ষক সংবাদ প্রচার করেছে dbcnews.tv। বিষয়টি নিয়ে আঁতকে উঠলেও এর পেছনে বিদ্যমান কারণ খুঁজে পাইনি। আজ দৈনিক Prothom Alo সংবাদ ছেপেছে 'ওপরে লেখা এন-৯৫, ভেতরে কাপড়ের মাস্ক'। আমি অনেক আগে থেকে বলে আসছি ভয়ানক ভঙ্গুর একটা স্বাস্থ্যব্যবস্থার বলি হতে যাচ্ছেন আমাদের অসহায় চিকিৎসকরা। পাশাপাশি তাদের স্কেপগোট বানিয়ে মূল অপরাধীরা সটকে পড়ার ধান্দায় আছে অনেক আগে থেকে।
একটি অদ্ভুতুড়ে দেশ যেখানে সবকিছুতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ লাগে। প্রধানমন্ত্রী হয়তো কোনোদিন জানবেন না কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের ব্যবহারের জন্য একটি কার্টনে করে যে এক হাজার মাস্ক এসেছে তার কার্টনের গায়ে এন-৯৫ মাস্ক লেখা থাকলেও আদতে নিম্নমানের কাপড়ের তৈরি। ওপরে এন-৯৫ মাস্ক লেখা থাকলেও ভেতরে কাপড়ের নিম্নমানের মাস্ক পাওয়ায় পরেও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এর বিরুদ্ধে বলার সাহস পাচ্ছেন না।প্রথম আলোর সূত্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, 'আমি নিজে কার্টন খুলে মাস্ক দেখে চমকে গেছি। কাপড়ের তৈরি মাস্কগুলো খুবই নিম্নমানের। গেঞ্জির কাপড়ের মাস্ক। এগুলো ব্যবহার করে রোগীদের কাছে যাওয়া মানে বিপদ ডেকে আনা।' যে চোরের বাচ্চা চোর এই মাস্কগুলো চুরি করেছে তারা যদি করোনা আক্রাান্ত হয় কোন বাপ তাদের চিকিৎসা করবে? মাস্কের অভাবে ডাক্তাররা যদি আক্রান্ত হয় তারা কিভাবে রক্ষা পাবে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরণের কুকর্মের বিরুদ্ধে সবার আরও সোচ্চার হওয়া জরুরি যাতে কালপ্রিটরা ধরা পড়ে।
৪ জুন পর্যন্ত করোনাযুদ্ধে শহীদ ডাক্তারদের তালিকা
দেশে প্রতি ২৩ জন করোনা রোগীর বিপরীতে একজন করে চিকিৎসক আক্রান্ত হতে থাকলে একটা সময় গিয়ে আপনাদের সেবা দেবে কে সেটা চিন্তা করেছেন? লজ্জার বিষয় ভয়ানক ভঙ্গুর একটা স্বাস্থ্যব্যবস্থার বলি হতে যাচ্ছেন আমাদের অসহায় চিকিৎসকরা। ডিগ্রিধারী মূর্খ, অপদার্থ এবং নীতিভ্রষ্ট মানুষকে টিভি ক্যামেরায় বার বার দেখানোর কুফল বোঝার সময় এখন বাংলাদেশের। এরা লুল্লাবাই শুনিয়ে মাঝরাতে সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে খামে ভরে ৩০০০ টাকা নিয়ে ঘরে ফিরতো। কিন্তু মিথ্যাচার ও মিথ্যা আশ্বাসে আমাদের যে সর্বনাশ এরা করেছে এখন জীবন দিয়ে অনেককে তা শোধ করতে হবে। অন্যদিকে ফেসবুক-টিভি চ্যানেলের বরকতে বুদ্ধিজীবী সেজে বসা বরাহশাবকের দল সুযোগ বুঝে স্কেপগোট বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে এই ডাক্তারদেরই। কিন্তু কেউ একবার ভেবে দেখছেনা আমরা অসুস্থ হলে টিভি চ্যানেলের ঐসব কলা অনুষদপাশ টকশোবাজ শুশীলরা করবে কাঁচকলা, দেখলে ঐ ডাক্তাররাই দেখবে।
ডাক্তারদের সার্ভিস নিয়ে সবমহলে যখন শত সহস্র প্রশ্ন তখনই ডাক্তার মঈন মরে গিয়ে যখন প্রমাণ করলেন তাদের কাজে কোনো ত্রুটি নেই। এসময় মুখে কুলুপ এঁটে তাদের চুপ হওয়ার কতা থাকলেও কতিপয় বরাহশাবক প্রশ্ন তুললো তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। আর ততদিনে সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমরা কিছু না হোক বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিশ্রি উলঙ্গ দেহটা দেখতে পাচ্ছি। সামান্য অসুস্থতায় যে দেশের মন্ত্রী মিনিস্টারের গন্তব্য থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুর আর সাধারণ জনগণ সবক্ষেত্রে দৌড় লাগায় কলকাতা কিংবা ব্যাঙ্গালোরে সে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা হ্যান্ডেলছাড়া সাইকেলের মতো হবে এটা স্বাভাবিক। এখন সময় এসেছে ঐ ভয়াবহ সংকট তেকে উত্তরণের। কিন্তু সেটা না করে স্বাস্থ্যখাতের উলঙ্গ শরীর থেকে চামড়া মাংস খসিয়ে কঙ্কাল বের করার যে ধারা এখন চলছে তা সত্যিই লজ্জাজনক।
গত ৫ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫ জন ডাক্তার, আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ৯০০। আর এই বিষয়টা কি আমরা জানি? কেনো সংবাদমাধ্যম কি এগুলো নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছে? এমনকি ডাক্তারদের ফেসবুক পেইজগুলোও এটা নিয়ে কিছু লিখেছে? যদি তারা লিখতো আর আমরা জাতি হিসেবে কৃতজ্ঞ হতাম তবে এতক্ষণে ডাক্তারদের নিয়ে লেখা ঐসব ট্রিবিউটে আমাদের ফেসবুক ওয়াল সয়লাব হয়ে যাওয়ার কথা।
ইতালির ডাক্তারদের নিয়ে হাততালি দেয়াতে আমার আপত্তি নাই। আমার আপত্তি বাংলাদেশের জীবনবাজি রেখে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই থাকার পরেও ডাক্তারদের নিয়ে নির্লজ্জ নীরবতা নিয়ে। ডা. মঈন মরে গিয়ে প্রমাণ করেছেন সামান্য অসুস্থতা নিয়ে দেশের বাইরে দৌড় মারা নিমকহারামদের চিকিৎস করার মতো দায়িত্ববান ডাক্তার এদেশে আছেন এবং ছিল।
আমরা যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রত্যেকে এক অর্থে ছুটিতে আছি। আমরা হাতে গোণা দুই একজন লেখালেখি কিংবা গবেষণার পেছনে সারাদিন ব্যয় করছি। যেখানে সিংহভাগের দিন যাচ্ছে গৃহস্থালী কিংবা রসনার পেছনে। তার বিপরীতে এই মেডিকেল শিক্ষায় যাঁরা জড়িত, প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক কিংবা অধ্যাপক প্রত্যেকের দিন শুরু হচ্ছে রোগীর কান্না শুনে, রাতে ঘুমাতে যাচ্ছেন রোগীর হাহাকার সঙ্গী করে।
দুই একজন ভণ্ড সব পেশাতেই থাকবে। কিন্ত করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশের সব ডাক্তারের এই অবদান অস্বীকার করাটা হবে আমাদের জন্য চরম নিমকহারামি আচরণ। ডাক্তার জিল্লুর রহমানে এই দুটি ছবি নিজের সঙ্গে মেলান। তারপর ডাক্তারদের নিয়ে দুই একটা বাজে কথা বলুন। বিদেশি ডাক্তারদের সম্মান তো অবশ্যই দেবেন। কিন্ত আপনার দেশী ডাক্তারদেরও তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে এত কার্পণ্য কেনো?
ডাক্তার জিল্লুর রহমানসহ বাংলাদেশের প্রত্যেক চিকিৎসক এবং এর বাইরেও সংশ্লিষ্ট সকল করোনাফাইটারের জন্য আমার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাবনত সালাম। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমত সঙ্গী হলে আপনাদের এই প্রচেষ্টা বৃথা যাবে না। একদিন করোনাক্রান্তিকাল অতিক্রম করে আমরাও মুক্ত স্বাধীন পরিবেশে নতুনভাবে কাজ শুরু করতে পারবো সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় আত্নপ্রত্যয় নিয়ে