What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Other একজন ও অনেক মান্নার গল্প (1 Viewer)

SoundTrack

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
530
Messages
13,426
Credits
283,450
Recipe pizza
Loudspeaker
bGET9Vb.jpg


মান্না একটা নাম ঢালিউডে। নামটা একটা প্রতিষ্ঠান।যে প্রতিষ্ঠানে বহুমুখী চরিত্রে অভিনয়ের একটি টোটাল প্যাকেজ মিলেছিল। নায়ক ও অভিনেতা সত্তাকে অালাদা করার জন্য সুনির্দিষ্ট গুণ মান্না রেখে গেছে। তাকে বিশ্লেষণে তাই একজন পরিপূর্ণ চলচ্চিত্র শিল্পীর বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় অনায়াসে।

এফডিসিভিত্তিক 'নতুন মুখের সন্ধানে'-র মাধ্যমে টাঙ্গাইলের ছেলে মান্না বাংলাদেশী সিনেমায় অাসে। তাঁর ক্যারিয়ার পার্শ্ব থেকে প্রধান নায়ক পর্যন্ত ছিল। প্রথম দিকের সিনেমাতে মান্না যে ফ্লোর পেয়েছিল তার ভেতর একটা সৌভাগ্যের পরিবেশ ছিল। সে পরিবেশটি বাংলাদেশের সিনেমার সোনালি দিনের কিংবদন্তি তারকাদের সাথে কাজ করার সাথে সংযুক্ত। মান্না কাজ করেছে খান আতাউর রহমান অভিনীত 'ছোট বৌ' সিনেমায়। একজন খান অাতাউর রহমান যখন মান্নার মতো নিউকামারের সিনেমায় থাকে নিশ্চয়ই সেটি তার জন্য শেখার একটা বিরাট সুযোগ করে দিয়েছিল। এভাবে রাজ্জাক, অালমগীর, জসিম এই প্রথম সারির তারকাদের সাথে তাঁর কাজ করার সুযোগ ঘটেছিল। পেয়েছিল তাঁর সময়ের বাঘা বাঘা সব অার্টিস্ট হুমায়ুন ফরীদি, রাজিব, এটিএম শমসুজ্জামান, খলিল তাঁদের সাথে কাজ করার সুযোগ। নিজস্বতা প্রমাণ করেই পরে নিজের ইমেজ গড়েছিল। সেসব অভিজ্ঞতা তাকে পরবর্তীকালের অন্যতম সেরা নায়ক/অভিনেতা হিশাবে অলরাউন্ড পারফর্মার করে তোলে।

মান্না-র ক্যারিয়ার সেকাল-একাল মিলিয়ে একটা ভারসাম্যের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সময়কে কেন্দ্র করে গঠিত হয়েছে। তাঁর সিনেমার ভেরিয়েশন উল্লেখযোগ্য। ভেরিয়েশনে তাঁর পরিচালকদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।তাঁকে রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক, রোমান্টিক, ফোক, অ্যাকশন সিনেমায় নিয়ে অাসার জন্য বিভিন্নভাবে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তাঁর পরিচালকরা। সিনেমাগুলোকে অালাদা করার জন্য তাঁর কাজই যথেষ্ট।

মান্না-র ক্যারিয়ার ১৯৮৫-তে 'তওবা' সিনেমার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। তারপর ফ্যামিলি ড্রামা ও রোমান্টিক ফোক সিনেমায় মান্নার অংশগ্রহণ ছিল। ছোট বৌ, শিমুল পারুল, গরিবের বন্ধু, কান্দো ক্যানে মন, পালকি, জারকা, কাশেম মালার প্রেম – এ সিনেমাগুলো শুরুর মান্নাকে ভিন্ন অাবেদনে দর্শকের কাছে পরিচিত করায়। মান্না ক্যারিয়ারের প্রথমদিকেই দর্শকের অাস্থা অর্জন করেছিল এসব টাফ জবে। অনেকের ধারণা থাকতে পারে রোমান্টিক বা রোমান্টিক ফোক সিনেমা করা সোজা কিন্তু তা ভুল ধারণা। এ ধরনের সিনেমা খুবই টাফ। তার উপর মান্না ঐ সিনেমাগুলো দিয়েই ক্যারিয়ার বিল্ড অাপ করেছে। মান্নার ক্যারিয়ারে ঐ সিনেমাগুলো খুঁটি যেমন ছিল তেমনি তাঁর চ্যালেন্জও বটে।

PlXrBO6.jpg


মান্নাকে চ্যালেন্জের জায়গাকে নিজ হাতে গড়তে যে পরিচালক এগিয়ে অাসেন তাঁর নাম কাজী হায়াৎ। তিনি মান্না-কে নিয়ে চ্যালেন্জিং একটা মিশন শুরু করেন যার মানদণ্ড ছিল রাজনৈতিক অাবেদনের সিনেমায় তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করা। পরে সেটাই মান্না-র সিনেমার জনপ্রিয় ও সুপ্রতিষ্ঠিত বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়। প্রথমদিকের 'যন্ত্রণা' সিনেমার অাবেদন যখন একজন দর্শককে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী একটা নির্মম বাস্তবতার কথা বলে ওটা দর্শকের মনে দাগ কাটে। কাজী হায়াৎ-কে একজন পরিচালক বলেছিলেন-'বাহ! মান্না তো অনেক ম্যাচিউর অভিনয় করে। ওকে নিয়ে এরকম অারো কাজ করেন।' যাত্রাটা এরপর প্রাণ পেয়েছিল কাজী হায়াৎ ও সমসাময়িক অারো কিছু পরিচালকদের হাতে। ত্রাস, দাঙ্গা, চাঁদাবাজ, শেষ সংগ্রাম, দেশপ্রেমিক, দেশদ্রোহী, খলনায়ক, সিপাহী, তেজী, ধর, লুটতরাজ, দেশ দরদী, বীর সৈনিক, গুণ্ডা পুলিশ, বর্তমান, গুণ্ডা নাম্বার ওয়ান, শান্ত কেন মাস্তান, এদেশ কার, বোমা হামলা, অামি জেল থেকে বলছি। এ সিনেমাগুলোর বৈশিষ্ট্য ছিল রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে দর্শককে দেশ ও সমাজের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জানানো। সেখানে মান্নার বিকল্প শুধুই মান্না।যখন 'দাঙ্গা'-তে খোঁচা খোঁচা দাড়িতে মফস্বলী ওসির ক্যাক্টোরাইজেশন ফুটে উঠত সেটার তুলনা অার কারো সাথে সম্ভব না। নজরুলের ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে দেশের বাস্তবতায় কংক্রিটের মূর্তির নীরবতা তাকে অবাক করেছিল তাই অার একটা 'বিদ্রোহী' কবিতা লিখতে অনুরোধ করেছিল। অনন্য সে অাবেদন অার অভিনয়। রাজনৈতিক বাস্তবতায় মন্ত্রী, সচিবদের দুর্নীতি অার তাদের কুকর্ম ধামাচাপা দিতে পুষে রাখা ভাড়াটে খুনী রাজিবের চরিত্র দেশের প্রশাসনিক গলদ এবং রূঢ় বাস্তবতা দেখায়। রাজনৈতিক শ্রেষ্ঠ সিনেমা বলতে কোনো দেরি হহবার নয় 'দাঙ্গা'-কে। 'দেশপ্রেমিক'-এ প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের বাস্তবতায় অালমগীরের অভিনয়ের জাদু তার সাথে তরুণ মান্নার অভিনয় মন ভরাবে।'ত্রাস' ছাত্ররাজনীতির সাথে সুযোগ্য নেতৃত্বে সাধারণ ছাত্রের বিপ্লবের পাশাপাশি দেশের প্রশাসনিক বাস্তবতা তুলে ধরা হয়। মান্না সাধারণ ছাত্রের বিপ্লবী ভূমিকায় অসাধারণ পারফর্মার। 'শেষ সংগ্রাম' একদম পাল্টে যাওয়া মান্না যেখানে পুলিশ ইন্সপেক্টর হিশাবে চাকরি ছেড়ে পুলিশ প্রশাসনের দুর্বলতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। 'বর্তমান' সিনেমার মধ্যে বেকারত্ব সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছিল যে সমস্যা অাজকের বাংলাদেশে অারো বেশি প্রকট।মুরগি বিক্রি করে কর্মসংস্থান করে মান্না। এগুলো উদাহরণ একটা দেশের প্রচলিত সমস্যার বিরুদ্ধে অবস্থান দেখানোর। রাজনৈতিক অাবেদনে এভাবে অারো সিনেমাতে মান্না ছিল বেসিক ইলিমেন্ট।

অ্যাকশন সিনেমাকে নিজের অভিনয়ের বলিষ্ঠতার মাধ্যমে নিজের অালাদা অধ্যায় করে গেছে মান্না। 'অাম্মাজান' সিনেমা সমগ্র বাংলাদেশী সিনেমার অন্যতম সেরা অ্যাকশন সিনেমা। নিজের লুক পরিবর্তন করে বলিষ্ঠ অভিনয়ে মা-পাগল এক ছেলের অাখ্যান ছিল এ সিনেমা। এন্ট্রি সিন থেকে ফিনিশিং পর্যন্ত পর্দা কাঁপানো অভিনয় করেছিল। 'অাম্মাজান'-এর মান্নাকে দর্শক অালাদাভাবে চেনে।একটা ট্রেন্ড ঘটেছিল যেমন ঘটেছিল 'শান্ত কেন মাস্তান' সিনেমায়। সাধারণ ছেলের সমাজের প্রচলিত অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মাধ্যমে 'হাত কাটা শান্ত'-র ট্রেন্ড ছড়িয়ে পড়েছিল।এগুলো মান্নার একেক অর্জন। 'ধর, তেজী, গুণ্ডা নাম্বার ওয়ান, মাথা নষ্ট, নেতা, লাল বাদশা, কুখ্যাত খুনী, বোমা হামলা, নায়ক, বিগবস, বীর সৈনিক, রাজধানী, ভাইয়ের শত্রু ভাই, দেশদ্রোহী, সিটি টেরর, খলনায়ক, সিপাহী, মাস্তানের উপর মাস্তান, বাস্তব, মানুষ, অাঘাত পাল্টা অাঘাত, সত্য মিথ্যার লড়াই, অামি জেল থেকে বলছি' এসব সিনেমার অ্যাকশন অাবেদন মান্নাকে নিজগুণে চেনার জন্য উল্লেখযোগ্য।

রোমান্টিক অ্যাকশনে 'ডিস্কো ড্যান্সার, প্রেম দিওয়ানা, রাজা বাংলাদেশী, মনের সাথে যুদ্ধ, শত্রু শত্রু খেলা' উপভোগ্য কাজ। মেপে মেপে অভিনয় করা সিনেমা এগুলো। 'মনের সাথে যুদ্ধ' সিনেমার সেই 'অাসবার কালে অাসলাম একা' গানটি এ ধরনের সিনেমার জন্য এক্সেপশনাল অর্জন।

ফ্যামিলি ড্রামায় 'সাক্ষাৎ, শেষ খেলা, অাম্মা, জীবনের গল্প, ভাইয়া, মায়ের মর্যাদা, বাপ বেটার লড়াই, ছোট বৌ, পালকি' এগুলো উল্লেখযোগ্য।ফ্যামিলি সেন্টিমেন্টকে জীবন্ত করতে তাঁর অভিনয়ের জুড়ি নেই।

প্যাথেটিক অভিনয়ে মান্নার বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়। এক্ষেত্রে নিজের স্টাইলে তাঁর সুনাম অাছে। 'কষ্ট' সিনেমার কথা বলতে গেলে এ ধরনের সিনেমায় তাঁর অন্যতম সেরা কাজ। 'অাম্মাজান, দাঙ্গা' এ সিনেমাগুলো যোগ হবে।

DimREqB.jpg


মান্না-র অফট্র্যাক সিনেমার অধ্যায়কেও অালাদা করা যায় তাঁর নিজের গুণেই। 'সাজঘর, কাবুলিওয়ালা, হৃদয় থেকে পাওয়া, উত্তরের খেপ,দরিয়া পাড়ের দৌলতী' এগুলো অন্যতম। যখন 'কাবুলিওয়ালা'-তে আখরোট বিক্রেতা মান্না গেটঅাপে পুরো অালাদা হয়ে যায় চেনাই যায় না। অ্যাকশন হিরো মান্না থেকে পাল্টে একদম সাদাসিধে মান্না। চরিত্রের প্রয়োজনে পাল্টে যাওয়া অভিনেতাই প্রকৃত অভিনেতা। সিনেমাটিতে মান্নার পরিবার থাকে দূরে আর বাকির পয়সা উসুল করতে দিন পার হয়। এর মধ্যে মিনিকে দেখে বুকটা পুড়ে যায় কারণ দেশের বাড়িতে তার মেয়ে আছে।পাওনা পয়সা খুনের মাধ্যমে উসুল করে জেলে যায় আর ফিরে এস দেখে সেই মিনি আর ছোট্টটি নেই বড় হয়ে গেছে তখন আপনি কাতর কণ্ঠে বলে-'হামার মাইয়া বড়ো হয়ে গ্যালো!' তখন অচেনা এক মান্নাকে আমরা দেখি বরাবরের মান্নাকে সেখানে ক্ষুণাক্ষরেও মেলানো যায় না। 'উত্তরের খেপ'-এ সাহিত্যকর্ম থেকে নির্মিত সিনেমার অাবেদনে অভিনয়ের মাত্রাই পরিবর্তন করেছিল মান্না। সহশিল্পী চম্পার সাথে মেপে মেপে অভিনয় করেছিল।উত্তরবঙ্গের নিঃসঙ্গ সংসারহারা একজন ট্রাক ড্রাইভারের করুণ জীবনের গল্পে মান্নার অভিনয় মাইলফলক ছিল এ সিনেমায়।

মান্না ঢালিউডি সিনেমায় সেই নায়ক যে সর্বোচ্চ সংখ্যক নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করেছে। সেকাল-একাল মেলবন্ধনে সুচরিতা, নিপা মোনালিসা, অণ্জু ঘোষ, রাণী, দিতি, শাবনাজ, শেলী কাদের, কবিতা, চম্পা, মৌসুমী, পপি, পূর্ণিমা, মাহবুবা ইসলাম সুমি, সুমনা সোমা, স্বাগতা পর্যন্ত অভিনয় করেছে। এক্ষেত্রে তাঁর স্পেশালিটি সবার থেকে অালাদা।

মান্না তাঁর সময়ের অন্যতম সহশিল্পী ডিপজলের সাথে নায়ক+খলনায়ক রিদম তৈরি করেছিল। দুজনের পর্দা রসায়ন জমত বেশ।এটাও তার স্পেশালিটি।

মান্না প্রযোজকও ছিল। শাবনূরের সাথে জুটি বেঁধে অালোচিত সিনেমা 'স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ'-র প্রযোজক ছিল। সিনেমাটি হাইপ তুলেছিল নায়ক-নায়িকার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে। অারো ছিল প্রযোজনায়- লুটতরাজ, লাল বাদশা, অাব্বাজান, মনের সাথে যুদ্ধ, দুই বধূ এক স্বামী, অামি জেল থেকে বলছি।

জুটি গড়াতে মান্না অার এক লিজেন্ড। মান্না-চম্পা জুটি অালোচিত জুটি। মান্না-পপি অন্যতম অালোচিত। তবে রেকর্ড ব্রেক করে মান্না-মৌসুমী।ইন্ডাস্ট্রিকে সাপোর্ট করতে নব্বই পরবর্তী সময়ে এ জুটি অ্যাফেক্টিভ ছিল। এ জুটির অনেক সিনেমা অাছে এবং বেশিরভাগই সুপারহিট। মান্না-পূর্ণিমা জুটিরও ভালো চাহিদা ছিল।

গানের মান্না-কে অনেক বড় অাকারে বিশ্লেষণ করতে হয়। তাঁর কালজয়ী গানের অভাব নেই। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এ ত্রিভুজ অাবেদনে তাঁর গান কালজয়ী। কিছু উদাহরণ দেয়া যায়-

  • সুন্দর সন্ধ্যায় এ গান দিলাম – শেষ খেলা
  • কে তুমি বলো মায়াবিনী – শেষ সংগ্রাম
  • অামার লাইন হইয়া যায় অাঁকাবাঁকা – কান্দো ক্যানে মন
  • অনন্ত প্রেম তুমি দাও অামাকে – লুটতরাজ
  • টাকা নাইরে পয়সা নাইরে – তেজী
  • অাম্মাজান অাম্মাজান – অাম্মাজান
  • দশমাস দশদিন – কষ্ট
  • এই হৃদয়ের সাদা কাগজে – কুখ্যাত খুনী
  • এ জীবন যুদ্ধতে – সত্য মিথ্যার লড়াই
  • তুমি যার ছবি এঁকেছ – ভাইয়া
  • অাসবার কালে অাসলাম একা – মনের সাথে যুদ্ধ
অশ্লীলতার দুর্বিষহ সময় যা ডিপজলের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় সেখানে পরিবেশ পরিস্থিতির চাপে মান্না কিছু অশ্লীল সিনেমা করেছিল। কিন্তু সেটা তাঁর সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের কাছে তেমন কোনো সমস্যা নয়। পরে অশ্লীলতার বিরুদ্ধে প্রধান অবস্থান তাঁরই ছিল।

ছোটদের উৎসাহ দেয়াতে মান্না-র তুলনা স্রেফ মান্না। রিয়াজ যখন সাফল্যের তুঙ্গে ছিল পাক্ষিক অানন্দ অালো-র সাক্ষাৎকারে মান্নাকে তাঁর সমসাময়িক তারকার নাম নিতে বললে মান্না বলেছিল-'দৌড়ে রিয়াজই এগিয়ে।' রিয়াজ খুশি হয়ে মান্নাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিল। ফেরদৌসকে বলতে শুনি মান্না তাঁর নিজের পেমেন্ট না নিয়ে ফেরদৌসকে পেমেন্টের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল যখন ফেরদৌস স্ট্রাগল পিরিয়ডে ছিল। শাকিব খান-কে 'সিটি টেরর'-এর মতো দুর্দান্ত অ্যাকশন সিনেমাতে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছিল যেখানে শাকিব তার নিজস্বতা দেখানোর সুযোগটা পেয়েছিল।কলকাতার ঋতুপর্ণাকে শাবানা-র পরে মান্নাই বিপুল সুযোগ করে দিয়েছিল ঢালিউডে কাজ করার জন্য। ঋতুপর্ণা ঢালিউডে প্রতিষ্ঠিত ইমেজ গড়েছিল মান্নার অনেক সাহায্যে যা সে নিজে বলেছিল 'অামার অামি' প্রোগ্রামে। এভাবে মান্না ছিল অনেকের ক্যারিয়ারের পেছনের কারিগর।

গ্রাম-শহর সব দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে প্রকৃত তারকা হওয়া যায় না। মান্না গ্রাম-শহর অালোড়ন তৈরি করা জনপ্রিয়, পরীক্ষিত বিগেস্ট সুপারস্টার এবং সেটা তাঁর সমস্ত ক্যারিয়ার দিয়েই। তাঁকে দর্শক-সমালোচক মনে রাখবে তাঁর কাজ দিয়ে। অাগামী দিনের তারকা যারা হবে তারা মান্নার ক্যারিয়ারকে ফলো করলে হতে পারবে একজন সম্পূর্ণ তারকা।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top