What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Review এই শহরে ‘আব্বাস’ বিশ বৎসর ঘুমায় না রে! (2 Viewers)

Nagar Baul

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,152
Messages
13,339
Credits
547,766
Pen edit
Sailboat
Profile Music
cKJ44TQ.jpg


আব্বাস (২০১৯)

ধরন : অ্যাকশন ড্রামা
পরিচালক : সাইফ চন্দন
প্রযোজনা : ঢাকা ফিল্মস এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট
অভিনয় : নীরব হোসেন (আব্বাস), সোহানা সাবা (ওটু), সুচনা আজাদ (ডালিয়া), আলেকজান্ডার বো (জাপানি), জয়রাজ (রহমান), ইলোরা গওহর (নাজমা জোয়াদ্দার), ডন (জব্বার জোয়াদ্দার), সমাপ্তি মাসুক (পাপন), তাসনিয়া (মিশু), শিমুল খান (আসাদ), শিবা শানু (পুলিশ ইন্সপেক্টর), নুসরাত জাহান পাপিয়া (জব্বার জোয়াদ্দারের স্ত্রী), নায়লা নাইম (বিশেষ চরিত্র), আইরিন সুলতানা (অতিথি চরিত্র) প্রমুখ।
শুভমুক্তি : ৫ জুলাই, ২০১৯

নামকরণ : গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র আব্বাসের নাম অনুসারে এছবির নাম 'আব্বাস' রাখা হয়েছে। আব্বাস (নীরব) পুরান ঢাকার অন্তর্ভুক্ত ফরাশগঞ্জের ত্রাস, ওখানকার কাউন্সিলর রহমানের (জয়রাজ) ডানহাত। পুরো ফরাশগঞ্জ আব্বাসকে জমের মতো ভয় পায়। প্রাণের প্রিয় নেতা রহমান ভাইয়ের পাশে থেকেই তিনি গত বিশ বছর যাবৎ তাকে কাউন্সিলর হওয়ার কাজে যথাসাধ্য সহযোগিতা করে এসেছে। আব্বাসের অতীত এবং বর্তমানের কিছু ঘটনাবলী নিয়েই সাজানো হয়েছে এ ছবির গল্প।

বাণিজ্যিক ছবিতে ব্যবসায়িক সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে নাম একটি মহাগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অতীত নিয়ে যদি ঘাটাঘাটি করা হয় তবে অনেক ছবির উদাহরণ টানা যাবে যেগুলো শুধুমাত্র আকর্ষণীয় নামের জোরে অনেক দর্শক দেখেছে। তাই এক্ষেত্রে বলা যায় নামকরণ হিসেবে 'আব্বাস' নামটি বেশ আকর্ষণীয়।

কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ : ছোটবেলায় আব্বাসের বাবা মারা যাওয়ার পর আব্বাসের মা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু নতুন বাবা আব্বাসকে ঘরে জায়গা দেয় না, বাইরে বের করে দেয়। শিশু আব্বাসের মনে তখন বড় রকমের একটা জেদ চাপে, সে চায় এমন কিছু একটা করে দেখাতে যেনো তার মতো অবস্থা আর কারো না হয়। তবে ঘটনাচক্রে সে ভুল পথে পা বাড়ায়, পরিচয় হয় এক ছিঁচকে চোর জাপানির (আলেকজান্ডার বো) সাথে।

pq2L0cP.jpg


জাপানি আব্বাসের সমবয়সী হওয়ায় সে আব্বাসকে নিয়ে তার লিডার রহমানের (জয়রাজ) কাছে যায় এবং রহমান তাকে নিত্যদিনের কাজকর্ম শেখায়। মাঝে রহমানের প্রতিপক্ষ নাজমা জোয়াদ্দার (ইলোরা গওহর) রহমানের নামে একটি খুনের অপবাদ দিলে সেই ষড়যন্ত্রে জাপানি ফেসে যায় এবং তাকে কারাবরণ করতে হয়। অন্যদিকে রহমানের এতোদিনের পুঁচকে ডানহাত জাপানি পুলিশের হাতে ধরা পড়ায় সে আব্বাসকে তার সকল কাজে পাশে রাখে এবং এভাবেই গল্প বিশ বৎসর সামনে এগিয়ে যায়..

ছবির গল্পটি লিখেছেন জসিম উদ্দীন। বলে রাখা ভালো এ ছবির ফার্স্ট লুক এবং টিজার মুক্তির পর ২০১৫ সালের তামিল ছবি 'মারি' এর সাথে যেমনটা মিল পাওয়া যাচ্ছিল, গল্পে এমন কোনো মিল নেই। সম্পূর্ণ মৌলিক নির্মিত হয়েছে ছবিটি।

বাণিজ্যিক ধারার ছবি মাথায় নিয়ে বিচার করলে গল্পটি আহামরি কিছু না, তবে মোটামুটি ভালো। আসল সমস্যা চিত্রনাট্যে, যেটি সাজিয়েছেন পরিচালক সাইফ চন্দন নিজে। ছবির শুরুর ১৫-২০ মিনিট এতোটাই জোরেশোরে এগিয়ে গেছে, দর্শক হিসেবে নিজেকে ঐ সময়টুকুতে একদমই কানেক্ট করতে পারিনি। এরপর গতি কমতে থাকলে আস্তে আস্তে গল্পের সাথে সংযোগ করতে পারি। আবার এই গল্প ধীরে ধীরে যতই সামনে এগিয়েছে, গতি কমতে কমতে এমন জায়গায় গিয়ে পৌছেছে যার দরুণ একটা সময়ে ছবি বিরক্তির আভাস দিয়েছে।

এরপর যখন কিছু টুইস্ট এন্ড টার্ন আসে তখন গল্প প্রাণ ফিরে পায় এবং শেষ পর্যন্ত এই প্রাণ সজাগ ছিল।

ছবিতে অনেকগুলো পাওয়ারফুল সংলাপ রয়েছে, কমার্শিয়াল ছবি সফল হওয়ার ক্ষেত্রে শক্তিশালী সংলাপ ভালো ভুমিকা রাখে। সিংহভাগ সংলাপ পুরান ঢাকার আঞ্চলিক ভাষায় লেখা। 'এই ছহরে আব্বাছ বিশ বৎছর গুমায় না রে' এছবির সেরা সংলাপ। এই ডায়লগটি ছবিতে মোট দুটি জায়গায় রয়েছে এবং নীরব দারুনভাবে দুই জায়গায় এই ডায়লগটি ডেলিভারি দিয়েছেন! 'পুরান ডাকার পলিটিক, বহুত প্যাঁচ, ইস্টপ!' সংলাপের মাধ্যমে রহমান কাউন্সিলর প্রশাসনকে সাবধান করে দেন এমন দা-কুমড়ার ঝামেলায় পা না বাড়ানোর জন্য। 'বাড়াইট্টা না, মালিকানা বদলাইতে আইছি' সংলাপটি দ্বারা আলেকজান্ডার বো তার পুরোনো হিসাব নিকাশ বুঝে নিতে এসেছেন। এরকম আরো অনেক ভালো ভালো পাঞ্চলাইন আছে এছবিতে, যা ছবিতে যথেষ্ট জোশ ও দম এনেছে।
এ অংশ পাবে ১০০ তে ৬০।

অভিনয় এবং পরিচালনা : নীরবের ঢালিউডে প্রায় দশ বছরের পথচলায় পঁচিশ নম্বর ছবি হলো 'আব্বাস'। কেন্দ্রীয় চরিত্র রূপদানে তিনি সর্বোচ্চ পরিশ্রম করেছেন, পর্দায় তার ছাপ স্পষ্ট। লুকে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। বড় চুল, বড় গোঁফ এবং বড় দাঁড়িতে তাকে ব্যাপক লেগেছে। অ্যাকশন দৃশ্যগুলোতে তিনি যথেষ্ট ভালো বডি ল্যাংগুয়েজ দেখিয়েছেন যেদিক থেকে তার পূর্বের তুলনায় উন্নতি হয়েছে। তবে অভিনয়ে তার এখনো সেই পুরোনো দূর্বলতা রয়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় তার অভিনয়ে একটা মেকি মেকি ভাব থাকে, দেখে মনে হয় পেছন থেকে কেউ বলে দিচ্ছে এখন এটা বলতে হবে, এখন এটা করে দেখাতে হবে। এটাকে ওভারকাম করতে পারলে আব্বাস চরিত্রটিকে 'একাই একশো' টাইপ কিছু একটা বলা যেতো।

দীর্ঘ একযুগ ধরে নান্দনিক অভিনয় উপহার দিয়ে আসা সোহানা সাবা এই প্রথমবার কোনো বাণিজ্যিক ছবির নায়িকা হিসেবে কাজ করলেন। সফল হলেন অথবা ব্যর্থ, তা তো সময়ই বলে দিবে। তবে এ রকম নায়কনির্ভর অ্যাকশন ছবিতে কাজ না করে যদি তিনি কিছু থ্রিলার ছবিতে কাজ করেন তবে এর থেকে আরো ভালো কিছু উপহার দিতে পারবেন। আর এখানে তার অভিনয় আহামরি উল্লেখ করার মতো কিছু লাগেনি।

অন্য নায়িকা সুচনা আজাদের গ্ল্যামার প্রদর্শন করা ছাড়া আর কোনো কাজ ছিল না। তাই তিনি তেমন কিছু দেখাতে পারেননি। ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে না্য়লা নাঈম রয়েছেন।

আব্বাসের বন্ধুর চরিত্রে থাকা সমাপ্তি মাসুক বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। ছোট চরিত্র হলেও পর্দায় তিনি অভিনয়ের ছাপ রেখে গেছেন। নুসরাত জাহান পাপিয়া ও শিমুল খানের চরিত্র দুটিও অনেক ছোট, তাই তাদের তেমন কিছু করে দেখানোর মতো ছিল না।

ছবির অন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র 'আব্বাস' ছবিটিকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিয়েছে। জয়রাজের চরিত্রটি গিরগিটির মতো মুহুর্মুহু রঙ পাল্টিয়েছে। চরিত্রের সাথে মানিয়ে তিনি দারুণ অভিনয় দেখিয়েছেন। পূর্বে একটি ছবিতে তার নেতিবাচক অভিনয় দেখে চরম হতাশ হয়েছিলাম। এবার পুরোপুরি সন্তুষ্ট।

ইলোরা গওহর এবং ডন আহামরি কিছু দেখাতে পারেননি। তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করেছিলাম, কিন্তু তারা গতানুগতিক ছিলেন। অন্যদিকে যাকে নিয়ে একটু কম আশা করেছিলাম সেই আলেকজান্ডার বো পর্দায় নায়কোচিত পদার্পণ করে ছবির দ্বিতৗয়ার্ধের সব ফোকাস নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন! তিনি অনেক ভালো পারফরমেন্স দিয়েছেন। তবে তার ফিটনেসের দিকে এবার নজর দেওয়া উচিত, দিনকে দিন ফুলে ফেঁপে গোল আলু হচ্ছেন!

পরিচালক সাইফ চন্দনের দ্বিতীয় ছবি এটি। এর আগে তিনি ২০১৫ সালে 'ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল' তৈরি করেছিলেন। ছবিটি সেসময় মোটামুটি ভালো সাড়া ফেলেছিল। নতুন পরিচালক হওয়ায় সেসময় তার কিছু ভুলত্রুটি হয়েছিল। তবে তিনি তার দ্বিতীয় ছবি 'আব্বাস' এও সেই ভুলগুলি শুধরাতে পারলেন না।

তার পরিচালিত ছবিতে এক সিনের সাথে এর পরবর্তী সিনের সমন্বয় খুব কম থাকে। যার দরুণ হুট করেই গল্প বারবার দম ছেড়ে দেয়। সেইসব ছবিগুলোতে কিছু অপ্রয়োজনীয় সাবপ্লট রাখা হয় যেগুলো গল্পের গতিকে বাধাগ্রস্ত করে। এতো খারাপের পাশাপাশি অবশ্য ভালো দিকও আছে। পুরান ঢাকার অলিগলিতে বেশ কিছু রিস্কি শট নেওয়া হয়েছে, যেগুলো নিয়ে সামনে আলোচনা করা হবে।
এ অংশ পাবে ১০০ তে ৬৫।

কারিগরি : একটা সময় ছিল যখন স্বল্পবাজেটের ছবিগুলোতে হালকার ওপর ঝাপসা নতুনত্ব পেলেই আমরা হইহই রব ফেলে দিতাম। এখন আর সেই দিন নেই, সময় এখন ২০১৯। ডিজিটাল চলচ্চিত্রে পা দিয়েছি প্রায় ৭-৯ বছর হতে চললো। এখনো যদি আমাদের সেই ২০১০-১২ এর মতো বাজে ক্যামেরাওয়ার্ক, বাজে সম্পাদনা দেখতে হয়, বিষয়টি মোটেও সাধুবাদ জানানোর মতো না।

Fh8URoo.jpg


সিনেমাটোগ্রাফি খুবই বাজে হয়েছে। তার থেকেও বাজে হয়েছে সম্পাদনা। এই দুই জায়গাই মূলত ছবিটিকে অনেকখানি পিছিয়ে দিয়েছে। ভিএফএক্স কেমন হলো তা আর না-ই বা বলি। কালার গ্রেডিং কিছু জায়গায় ভালো মনে হয়েছে, আবার কিছু জায়গায় খারাপ। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বেশ সম্ভাবনাময় মনে হচ্ছিল কিন্তু সেখানেও বাজে এডিটিং এসে বাম হাত ঢুঁকিয়েছে। সবমিলিয়ে টেকনিক্যাল সাইডের কাজ নিয়ে আমি খুবই হতাশ।
এ অংশ পাবে ১০০ তে ২০।

বিনোদন ও সামাজিক বার্তা : ছবিতে পুরান ঢাকার অলিগলির ভেতরে বেশ কিছু রোমাঞ্চকর সিন দেখা যায়, দর্শক হিসেবে সেগুলোর সাথে যদি কানেক্ট করতে পারেন তবে পুরান ঢাকার পুরোনো ভাঙাচোরা দালানকোঠার ভেতরেও যে আলাদা একটা মাধুর্য আছে সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। নির্বাচন নিয়ে ছোট্ট করে একটি আনন্দ মিছিল দেখানো হয়েছে যেখানে সবাই রঙ মেখে ফুর্তি করছে। অলিগলি, চিপাচাপার ভেতরে একটি চেজিং সিন শ্যুট করা হয়েছে যা যথেষ্ট উপভোগ্য।

ফাইট সিনে জুম্মান ও মিঠু বেশ ভালো কাজ করেছেন। নীরব অ্যাকশনে তার সেরাটা দিয়েছেন, ক্যামেরাওয়ার্ক যদি ভালো হতো তবে দেখতে আরো ভালো লাগতো। 'এই ছহরে আব্বাস বিশ বৎছর গুমায় না রেএএ'… একটি সিনে এই ডায়লগটি দিয়েই নীরব তার পায়ের কারুকার্যে একটি ডাব উঠিয়ে প্রতিপক্ষকে মারা শুরু করে। সিনেমাহলে ব্যাপক শিষ এবং তালি পড়েছে এই সময়টায়। সিক্যুয়েন্সটি চোখে লেগে থাকার মতো।

এছাড়া সদরঘাটে লঞ্চের ওপরে এবং ডকইয়ার্ডের ভেতরে কিছু অ্যাকশন সিন রয়েছে যেগুলোর কাজ ভালো হয়েছে। নীরবের পাশাপাশি সোহানা সাবাকেও এসব সিনে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। ছবিতে মোট চারটি গান রয়েছে যেগুলোর দুটি শুট করা হয়েছে পানামনগরে, একটি সম্ভবত কক্সবাজারে এবং অন্যটি কোলকাতায়। সবমিলিয়ে ছবির লোকেশন বেশ ভালো ছিল।

চারটি গানের মধ্যে আহমেদ হুমায়ুনের গাওয়া গানটি সবথেকে ভালো লেগেছে। নীরব ও সুচনা আজাদকে এই গানটিতে পর্দা ভাগাভাগি করতে দেখা গেছে। বাকি তিনটি গান আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি। প্রতীক হাসানের গাওয়া 'লাল মোরগের ঝুঁটি' গানটিতে মিষ্টি হাসির আইরিন সুলতানাকে পারফর্ম করতে দেখা গেছে। ইমরান মাহমুদুলের গাওয়া প্রায় ৪ মিনিটের একটি গানে দেখলাম পুরো সিক্যুয়েন্সটি একটি শটে শেষ করা হয়েছে। মাঝে কোনো কাট-ছাট নেই। 'আব্বাস' ছবির সকল কলাকুশলীদের ধন্যবাদ এরকম একটি এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য, এরকম লো বাজেটের ছবিতে সাধারণত এ ধরনের রিস্ক কেউ নেয় না।

ছবিতে রোম্যান্টিক সিক্যুয়েন্স তুলনামূলক কম। সেখানে নীরব-সাবার রোম্যান্স খুব একটা জমেনি। তাই সেগুলো খুব একটা ভালো লাগেনি।

ছবিতে খুব সাধারণ একটি সামাজিক বার্তা দেওয়া হয়েছে। সমাজের প্রত্যেক পিতামাতার উচিত তার সন্তানের প্রতি যত্ন নেওয়া, সঠিকভাবে লালনপালন করা। বাবা অথবা মায়ের অনুপস্থিতিতে সন্তান যেন তার আদর থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। না হলে সমাজের রহমানেরা এই আব্বাসের মতো আরো বখাটে তৈরি করবে যারা পরবর্তীতে ত্রাস কায়েম করবে।
এ অংশ পাবে ১০০ তে ৬৫।

ব্যক্তিগত : ফার্স্ট লুক ও টিজার বেশ আকর্ষণীয় হওয়ায় এ ছবিতে নীরব কেমন করে সেটি নিয়ে আগ্রহ সবথেকে বেশি ছিল। কারণ অতীতে কখনোই নীরবের মধ্যে এতোটা পরিবর্তন দেখিনি।

সবমিলিয়ে ছবিটি ভালোমন্দ মিলিয়ে মোটামুটি লেগেছে। সাইফ চন্দনের পরিচালনা আরো ভালো হলে, ছবির বাজেট ভালো রাখলে এবং কারিগরি দক্ষতা এতোটা খারাপ না হলে এ ছবির মধ্যে বিপুল সম্ভাবনা ছিল ভালো কিছু করে দেখানোর।

রেটিং : ৫/১০

আব্বাস কেন দেখবেন : অ্যাকশন ও সংলাপে ভরপুর মাসালা ছবি যারা পছন্দ করেন তাদের জন্য দারুণ উপভোগ্য হবে 'আব্বাস'। যারা লজিককে বাড়িতে রেখে দুই/আড়াই ঘন্টা শুধুমাত্র উপভোগ করার জন্য সিনেমা হলে যায়, তাদের এ ছবি ভালো লাগবে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top