What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Review বন্ধুত্বের মধ্যে কোনো গণ্ডি নেই! (1 Viewer)

Nagar Baul

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,152
Messages
13,339
Credits
547,766
Pen edit
Sailboat
Profile Music
tccUAcR.jpg


নামঃ গণ্ডি (২০২০)

ধরণঃ ড্রামা
চিত্রনাট্য ও পরিচালনাঃ ফাখরুল আরেফীন খান
প্রযোজনাঃ গড়াই ফিল্মস
অভিনয়ঃ সব্যসাচী চক্রবর্তী (আলী আসগর), সুবর্ণা মোস্তফা (ডা. শামীমা), মাজনুন মিজান (আলী মিজান), অপর্ণা ঘোষ (মিলি রহমান), মুগ্ধতা মোর্শেদ ঋদ্ধি (আলী আসগরের নাতনী), পায়েল মুখার্জী (ডা. শামীমার মেয়ে), সাবেরী আলম, আমান রেজা প্রমুখ।
শুভমুক্তিঃ ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
দেশঃ বাংলাদেশ

নামকরণঃ "গণ্ডি" বলতে এখানে মূলত বেড়ি বা সীমা (Boundary) বোঝানো হয়েছে। বন্ধুত্ব এমন এক বিষয় যা সকল প্রকার ধরাবাঁধার উর্ধ্বে। বন্ধুত্ব করার জন্য কোনো নিয়মনীতির প্রয়োজন হয় না, শুধু প্রয়োজন একে অন্যের প্রয়োজনীয় মুহুর্তে পাশে থাকা এবং জীবনের সকল সুখ-দুঃখের সাথী হওয়া।

বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে বয়স কোনো ফ্যাক্ট না, ফ্যাক্ট হলো সুন্দর মন ও সুন্দর মানসিকতা। এ সমাজে পরিসীমার উর্ধ্বের বন্ধুত্বের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হয় সেটাই দেখানো হয়েছে এছবিতে। তাই নাম হিসেবে "গণ্ডি" আমার কাছে সুন্দর ও যথার্থ মনে হয়েছে।

কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপঃ ভারতীয় বাঙালি লেখক শুভজিৎ রায় এর লেখা "পথের সাথী" গল্প থেকে "গণ্ডি" ছবিটি নির্মিত হয়েছে। উক্ত গল্প অনুসারে এছবির চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন ছবির পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খান। "গণ্ডি" এর প্রথমার্ধে দেখা যায় এসমাজে ষাটোর্ধ্ব মানুষদের মধ্যকার নিঃসঙ্গতা, একাকীত্ব; তাদের জীবনযাপন, মানসিক চাহিদা। দ্বিতৗয়ার্ধে দেখা যায় পঞ্চাশোর্ধ্ব কিংবা ষাটোর্ধ্ব মানুষদের প্রতি আমাদের সমাজের প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গি, সচরাচর যা আমরা এড়িয়ে যাই কিংবা খেয়াল করি না।

ছবিতে ডিমেনশিয়া নামক রোগটি এক বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। এটি এমন একটি রোগ যা সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেই বেশি হয়, মস্তিষ্কে কোষ বা নিউরন সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকলে এসময় মানুষ তার আশেপাশের বিষয়গুলো হুট করেই ভুলে যায়। এসময় রোগী অন্যের ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। কোনো কারণে কারো সঙ্গ পাওয়া না গেলে অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে, মৃত্যুও হয়ে পারে।

j8dLh7O.jpg


ছবিতে সংলাপের কাজ বেশ ভালো হয়েছে। কিছু বিষয় চমৎকার উদাহরণের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যেমন: এছবির ট্রেইলার আমাদের কাছে একটি প্রশ্ন রেখে যায়, "What is the difference between a friend & a good friend?" চকলেটের উদাহরণ টেনে এই প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দরভাবে এছবিতে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘরের বারান্দাকে মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখের সাথে তুলনা দেওয়া হয়েছে। বারান্দা সবসময় ঘরের পরিসীমার বাইরেই তৈরি করা হয়, সাইজেও হয় ছোট। কিন্তু দিনের এক চিলতে রোদ, হিমেল বাতাস, গুড়িগুড়ি বৃষ্টি এসবকিছু ঐ বারান্দাতে পাওয়া যায়; তাই প্রয়োজনীয় না হলেও ঘরের সাথে ছোট্ট একটি বারান্দা/বেলকনি থাকা দরকারী। ঠিক তেমনি মানুষের জীবনেও আনন্দদায়ক মুহুর্তগুলো থাকা জরুরী, এটা ছাড়া মানুষ জীবন্মৃত। এছাড়াও ছবিতে কাল সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে কালজয়ী ছবি "গোলাপী এখন ট্রেনে" এর রেফারেন্স টানা হয়েছে, যা ভালো লেগেছে।

বলা বাহুল্য, ছবির প্রথমার্ধ অনেক বেশি ধীরগতির এবং একইসাথে প্রেডিক্টেবল। এছবির মূল স্তম্ভ অন্য একশো বাংলা ছবি থেকে ব্যতিক্রম; এখানে পাত্রের বয়স পঁয়ষট্টি, পাত্রীর বয়স পঞ্চান্ন। তাই এখানে এমন স্পেশাল কিছু সিকোয়েন্স থাকা উচিত ছিল যা পর্দার সামনে বসে থাকা দর্শককে খুব দ্রুত গল্পের সাগরে ডুবিয়ে দিবে। "গণ্ডি" তে এই বিষয়টার বড্ড অভাব! কখনো গল্পে প্রত্যাশিত কিছু হচ্ছে, আবার কখনো মনে হবে জোরপূর্বক এগুলো করানো হচ্ছে।

এক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া রোগটি ছবির জন্য ভালো টনিক হিসেবে কাজ করেছে, কিন্তু যতক্ষণে এটি তার কাজ শুরু করেছে ততক্ষণের গল্পের অর্ধেকটা শেষ। একইভাবে ছবির দ্বিতৗয়ার্ধও ধীরগতির এবং প্রত্যাশাজনক ধারায় এগোয়। এই সময়ে এসে গল্পের গতির সাথে বসে থাকা সবাই মানিয়ে নিতে পারলেও, গল্প বলার সেই টিপিক্যাল ধারা চলতে থাকায় "গণ্ডি" র ক্লাইম্যাক্স পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। এতো মন্দের ভীড়ে ভালো দিক হলো, "গণ্ডি" শেষটা খুব সুন্দর, ঐ শেষ দশ-পনেরো মিনিটের সিকোয়েন্স যেকোনো ধরনের দর্শককে আকর্ষণ করার মতো।

এ অংশ পাবে ৬০% মার্ক।

পরিচালনাঃ পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খানের এটি দ্বিতীয় পরিচালনা। এর আগে তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি "ভুবন মাঝি" পরিচালনা করেছিলেন, যেটি প্রায় চার বছর আগে মুক্তি পায়। গতানুগতিক যুদ্ধের ছবির উপস্থাপনের বাইরে গিয়ে তিনি সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে একটি মুক্তিযুদ্ধের গল্পকে সেসময় উপস্থাপন করেছিলেন, যার দরুণ দর্শকমহলের কাছে "ভুবন মাঝি" খুবই প্রশংসিত হয়।

AEAmCub.jpg


দীর্ঘদিন পর তার দ্বিতৗয় ছবি মুক্তি পাওয়ায় তার প্রতি প্রত্যাশা সেরকমই ছিল যেমনটা "ভুবন মাঝি" দেখে পেয়েছি। তবে দিনশেষে সেই প্রত্যাশা আমার পুরোপুরি পুরণ হয়নি… এর মানে এই না যে তিনি নির্মাতা হিসেবে এছবিতে ব্যর্থ। তিনি মোটামুটি ভালো নির্মাণশৈলী দেখিয়েছেন। তবে প্রত্যাশা ছিল গল্প উপস্থাপনায় কিছু ভিন্নতা দেখতে পাওয়া যাবে, যেহেতু এই কনসেপ্ট নিয়ে কাছাকাছি সময়েই আরো একটি ছবি মুক্তি পেয়ে গেছে। সেদিক থেকে আমার প্রত্যাশা পুরণ হয়নি। গতানুগতিক গল্প উপস্থাপনার প্রভাব তো ছিলই, সেইসাথে চিত্রায়ন এবং সংলাপ প্রদানে কিছু ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি নজরে পড়ে। ভুলত্রুটিগুলো গল্পে তেমন একটা প্রভাব না রাখায় চাইলে এগুলো এড়িয়ে যাওয়া যায়, আবার চাইলে এগুলো নিয়ে বিশদ সমালোচনা করা যায়। এটা নির্ভর করে কার ওপর কতখানি ইমপ্যাক্ট ফেলে সেটার ওপর।

অভিনয়ঃ ছবির মূল ফোকাস ছিল আলী আসগর চরিত্রের ওপর, যেটি রূপদান করেছেন "ফেলুদা" খ্যাত ভারতীয় অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। আলী আসগর একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যিনি তার জীবনের সব সময় ব্যয় করেছেন তার চাকরি ও সংসারের পেছনে। এখন যখন তার হাতে অফুরন্ত সময়, তখন তার আশেপাশে কেউ নেই যার সাথে গল্প করতে করতে তিনি তার বাকিজীবন কাটাতে পারবেন। এই চরিত্রের বিচারে সব্যসাচী চক্রবর্তী একদম উপযুক্ত ছিলেন। তার অভিনয়ও ছিল মানানসই। তিনি যে এই বয়সে এসেও অভিনয়ে কোনো কমতি রাখবেন না, এটা একপ্রকার প্রত্যাশিত ছিল।

সুবর্ণা মোস্তফা খুবই ভালো একজন অভিনেত্রী, অতীতে তিনি বহুবার এর প্রমাণ দিয়েছেন তাই তার অভিনয়গুণ নিয়ে কারো মনে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এই ছবিতে কেন জানি তার অভিনয় আমার ততটা ভালো লাগেনি। তার এরকম অভিনয় আমার কাছে আরোপিত লেগেছে, চরিত্রটি স্বাভাবিকভাবে তুলে ধরায় খামতি আছে মনে হলো।

দুই প্রধান পার্শ্ব চরিত্রে ছিলেন দুই পরীক্ষিত অভিনয়শিল্পী মাজনুন মিজান ও অপর্ণা ঘোষ। মাজনুন মিজানের এই চরিত্রটিতে তেমন কিছুই দেখানোর ছিল না। আলী মিজান চরিত্রটির কাজ হলো, চুপচাপ থাকা এবং প্রিয় ক্লাব চেলসি কে মন থেকে সাপোর্ট দেওয়া! মিলি রহমান চরিত্রে অপর্ণা ঘোষকে সম্পূর্ণ ভিন্ন অবতারে পাওয়া গেছে, এরকম চরিত্রে সাধারণত অপর্ণা ঘোষকে অভিনয় করতে দেখা যায় না। তবে এ চরিত্রের উপস্থাপনা তেমনই ছিল যেমনটা আমাদের গতানুগতিক নেতিবাচক চরিত্রগুলো হয়ে থাকে। উচ্চবাচ্য সমৃদ্ধ অভিনয় কে অন্তত এরকম ধীরগতির ছবির জন্য জাদুঘরে রাখলেই বোধহয় ভালো হতো।

আলী আসগরের নাতনীর চরিত্রে অভিনয় করা মুগ্ধতা মোর্শেদ ঋদ্ধি স্বল্পসময়ের উপস্থিতিতে পর্দায় বেশ ভালো প্রভাব বিস্তার করে। এই ছোট্ট মেয়েকে আমার যথেষ্ট সম্ভাবনাময় মনে হয়েছে। এদেরকে ঠিকভাবে নার্সিং করা দরকার, তাহলে এরাই ভবিষ্যতে ভালো অভিনেত্রী হিসেবে গড়ে উঠবে।

এছাড়া ছোট একটি চরিত্র রূপদান করা পায়েল মুখার্জীর অভিনয় আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে। ছবিতে সাবেরী আলম, আমান রেজা সহ বেশকিছু শিল্পীর ক্যামিও ছিল। তারা যে যার জায়গায় ঠিকঠাক ছিলেন।

এ অংশ পাবে ৫০% মার্ক।

কারিগরিঃ তুলনামূলক বিচার করলে কারিগরি দিক থেকে এছবি ফাখরুল আরেফীন খানের পূর্বের ছবির তুলনায় ভালো। ভারতের রানা দাসগুপ্ত এছবিতে ক্যামেরার দায়িত্ব সামলিয়েছেন; মোটামুটি ধরনের ক্যামেরাওয়ার্ক পাওয়া গেছে তার কাছ থেকে। ভালো লেগেছে এছবির এডিটিং, মোস্তফা প্রকাশ চেষ্টা করেছেন লেন্থের দিক থেকে যতটা সম্ভব আঁটোসাঁটো রাখার। কালার গ্রেডিং এর দিক থেকে ছবিটিকে যতটা সম্ভব লাইট রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।

JJvr9Z0.jpg


আর্ট ডিরেকশন ও লাইটিং বেশ ভালো ছিল, এর দায়িত্বে ছিলেন মাজহারুল ইসলাম বসু। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক মোটামুটি লেগেছে, ততটা আকর্ষণ করার মতো না। এটি করেছেন টালিগঞ্জের জনপ্রিয় মিউজিক ডিরেক্টর দেবজ্যোতি মিশ্র। সবমিলিয়ে কারিগরি দিক আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে, খুব প্রশংসা করার মতো কিছু না আবার খুব খারাপ কিছু না।

এ অংশ পাবে ৬০% মার্ক।

বিনোদন ও সামাজিক বার্তাঃ "গণ্ডি" ছবিতে মোট তিনটি গান রয়েছে। সিচ্যুয়েশনের সাথে প্রতিটি গানই ভালো খাপ খেয়েছে, তাই তিনটি গানই আমার কাছে ভালো লেগেছে। "বাজে স্বভাব" গান দিয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া রেহান রাসুল প্রথমবারের মতো বাংলা চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করলেন! তার গাওয়া "ভুলের গান" এ সুর দিয়েছেন ভারতের দীপ-লয়। এছাড়া ভারতের রূপঙ্কয় বাগচী "তবু দু পায়ে" নামে একটি গান গেয়েছেন, যার সুর দিয়েছেন ভারতের দেবজ্যোতি মিশ্র। ছবির শেষের দিকে আরেকটি গান শোনা যায় যেটি এখনো অনলাইনে আসেনি, তবে ট্রেইলারে বেশ খানিকটা শোনা গেছে। এটিও বেশ ভালো লেগেছে।

ছবির প্রথমার্ধে কিছু কমেডি সিন ছিল, যেগুলো আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে। কিছু কিছু সিন আরোপিত লাগায় ততটা মজা পাইনি; মনে হচ্ছিল এগুলো ইচ্ছে করেই করানো হচ্ছে, স্বাভাবিকতা খুজেঁ পাচ্ছিলাম না। এছাড়া ছবির শেষদিকে এসে আবেগঘন মুহুর্তগুলো খুব ভালোভাবে ফুটে উঠেছে, সে তুলনায় পুরো ছবিটি ইমোশনাল দিক থেকে ততটা হৃদয়স্পর্শী হয়ে ওঠেনি।

তবে "গণ্ডি" খুবই ভালো একটি সামাজিক বার্তা দেয় যা আমরা সাধারণত এড়িয়ে যাই। বন্ধুত্বের কোনো বয়সসীমা নেই। দুইটি শিশুর মধ্যে যেমন বন্ধুত্ব হতে পারে, তেমনি দুজন বৃদ্ধের মধ্যেও বন্ধুত্ব হতে পারে। আবার বন্ধুত্ব করতে হলে যে পরস্পরকে সমবয়সী হতে হবে, এমন নয়। বয়সের ব্যবধান বন্ধুত্বে কোনো প্রভাব রাখে না, যদি দুজন মানুষের চিন্তাভাবনায় মিল থাকে। বন্ধু চিনতে ভুল করলে একসময় সে আপনাকে একা রেখে অন্যত্র চলে যেতে পারে, কিন্তু একজন ভালো বন্ধু জীবনভর আপনার পাশে থাকবে!

মানুষ তার জীবনের একটি পর্যায়ে এসে চরম নিঃসঙ্গতায় ভোগে, সেটি হলো বৃদ্ধবয়সে। এসময় আমাদের সবার উচিত বৃদ্ধদের পাশে থাকা, দিনের বেশিরভাগ সময় তাদের সাথে কাটানো, তাদের সাথে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে ফেলা। ব্যস্ত এই জনজীবনে এটা মেনে চলা অনেক বেশি কঠিন, এরপরেও বৃদ্ধদের থেকে দুরে থাকার এই ধারা আমাদেরই ভাঙতে হবে! নয়তো পরবর্তীতে আমাদের বৃদ্ধাবস্থায় এমনটা দেখতে হতে পারে।

এ অংশ পাবে ৭০% মার্ক।

ব্যক্তিগতঃ ফাখরুল আরেফীন খান, সব্যসাচী চক্রবর্তী, সুবর্ণা মোস্তফা, মাজনুন মিজান, অপর্ণা ঘোষ, মিউজিক ডিরেক্টর দেবজ্যোতি মিশ্র… এরকম বড় বড় নাম একটি ছবির সাথে যুক্ত থাকায় "গণ্ডি" নিয়ে আমার প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু সেরকম মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো কাজ এই টিমের কাছ থেকে পেলাম না। সবকিছু মিলিয়ে যদি বলি "গণ্ডি" আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে। এরকম একটি গল্প বর্তমান সময়ে এসে ভিন্নরকম উপস্থাপনার দাবি রাখে, যদি করা যেতো তবে হয়তোবা এর থেকে ভালো কিছু হতো।

রেটিংঃ ৬/১০

ছবিটি কেন দেখবেনঃ পরিবার নিয়ে দুই ঘণ্টা ভালো সময় কাটাতে চাইলে "গণ্ডি" আপনার জন্য বেশ ভালো এক‌টি ছবি হবে। এটি পরিবার নিয়ে দেখার মতো ছবি। তাই চেষ্টা করুন সাথে বন্ধুবান্ধব না নিয়ে ফ্যামিলি নেওয়ার, বেশি উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া যারা গতানুগতিক ডার্ক ঘরানার ছবির বাইরে একটু লাইটহার্টেড পরিচ্ছন্ন ছবি খুজেঁ বেড়াচ্ছেন, তারা অবশ্যই "গণ্ডি" দেখে আসুন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top