রুমে বসে থেকে কম্পিউটার বক্সে গান বাজাচ্ছিলাম।হিন্দি,বাংলা কখনো ইচ্ছে হলে ইংলিশ সব ধরনের গানই শুনি।
তো গান বাজাতে বাজাতে প্লে লিষ্টে সোহমের "বোঝেনা সে বোঝেনা" গানটা চলে আসলো।ভালোই লাগছিলো শুনতে তাই ভলিউম ফুল দিলাম।
গানটা শেষ হতেই পরের গানটা চালু হলো এটাও দেখি স্যাড সং।এভাবে পরপর তিনটা স্যাডসং আসলো।সবগুলোই ভালো লাগছিলো তাই শুনলাম।
গান শুনতে শুনতে ঘুম চলে আসলো তাই গান বন্ধ করে ঘুমিয়ে গেলাম।ঘুম থেকে উঠে দেখি বিকাল চারটা বাজে।
ফ্রেশ হয়ে বাজারে যাওয়ার জন্য বের হলাম।বাড়ি থেকে বের হতেই দেখি পাশের বাসার আন্টি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।আমাকে দেখে কাছে ডেকে বললেন
=বাবা ভাগ্য কারো হাতে থাকে না,ভাগ্যে যেটা আছে হবেই।এটা নিয়ে মন খারাপ করে থেকে কি হবে বলো ভাগ্যকে মেনে নিতে হয়।
আন্টির কথা যুক্তিযুক্ত তাই বললাম
=জ্বী আন্টি ঠিক বলেছেন।
=ঠিক আছে বাবা যেখানে যাচ্ছো যাও।আর মন খারাপ করে থেকো না।
এইবার আর বুঝলাম না কি হলো।আন্টি আমাকে এই কথা কেন বলছেন।আমি তো সেই আনন্দে আছি কিছুদিন থেকে কেননা নতুন গফ পাইছি।আনন্দের সীমা নাই আমার মধ্যে আর আন্টি বলছেন মন খারাপ করে না থাকতে।ওকে যাই হোক বাজারে যেতে হবে তাই বিদায় নিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম।
কিছুদূর গিয়েই দেখি সেই আন্টির স্বামী আসছেন।আমাকে দেখে কাছে ডাকলেন
=বাবা তোমার আন্টির কাছে শুনলাম অনেক কষ্টে আছো তুমি।আরে বাবা এগুলো নিয়ে মন খারাপ করলে হবে।এগুলো আসবে যাবে।তাই বলে তুমি মন খারাপ করে থাকবে।
=আঙ্কেল কি বলছেন এগুলো বুঝলাম নাতো?
=আঙ্কেল বলে লজ্জা পাচ্ছো জানিতো।এগুলো বিষয়ে লজ্জার কি আছে।যাই বাবা আর হ্যাঁ আর যেন মন খারাপ না দেখি।
আঙ্কেল চলে গেলেন আর আমি উনার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ভাবছি।কি হয়েছে আমার যেটা আমি জানি না।কেন আঙ্কেল আন্টি এগুলো বলছেন।কোন এঙ্গেলে আমার মন খারাপ লাগছে দেখতে হবে।তাই ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরা বের করলাম।সব এঙ্গেল থেকে নিজেকে দেখলাম।কিন্তু প্রতি এঙ্গেল থেকেই নতুন গফ পাওয়ায় প্রফুল্ল একজন ব্যক্তি মনে হচ্ছে।কিন্তু উনারা কোন এঙ্গেলে আমার মন খারাপ দেখলেন।ভাবার সময় নাই।বাজারে ফ্রেন্ডরা অপেক্ষা করছে।
আমাদের সময় কাটানোর জায়গায় আবির,অন্তু,রাজু,মিঠু আর নাহিদ বসে কিছু একটা পরিকল্পনা করছে মনে হলো।তো আমিও গেলাম ওখানে।আমাকে দেখেই আবির বলল
=কিরে দোস্ত এতো বড় একটা ঘটনা ঘটেছে আর তুই আমাদের কিছু জানাস নাই কেন?
=কই কি হয়ছে?
=আমাদের কাছে লুকাচ্ছিস?আমরা তোর বন্ধু না?
=বন্ধু হবি না কেন কিন্তু আমি কিছুই তো লুকাচ্ছি না।কি হয়ছে বলতো?
=কেন অবনী(আমার জানু মানে গার্লফ্রেন্ড)তোকে ছেড়ে চলে যায়নি?
=কি বলছিস এগুলো?
রাজু নিজের মধ্যে আরো বেশি জোশ নিয়ে বললো
=দোস্ত তুই শুধু বল কবে তুলে নিয়ে আসতে হবে।যেদিন বলবি সেদিনই তোর পায়ের কাছে এনে ফেলবো।ওর এতো বড় সাহস ও আমার বন্ধুর সাথে চিট করে।
সবকিছু মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।কিছু বুঝে উঠার আগেই ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো দেখলাম অবনী ফোন দিছে
=কিরে কি হয়ছে তোর(অবনী)
=কিছু নাতো কেন?আর তুই করে কেন বলছো জানু?
=রাখ তোর জানু।।কিছু হয় নাই তো কেন আমার নামে বদনাম ছরাচ্ছিস।আমি কি তোর সাথে চিট করেছি?
=নাতো এগুলো বলছো কেন?
=কেন জানিস না।বন্ধুদের বলেছিস আমি তোর সাথে চিট করেছি।তোর বন্ধু নাহিদ ফোন দিয়ে কতো বাজে বাজে কথা শুনালো আমাকে এবার তো খুশি হয়ছিস তাই না।ওকে দোষ না করেই কথা শুনালিতো এখন থাক একা বাই।আর কখনো যোগাযোগ করার চেষ্টা করবি না।
ফোনটা কেটে দিলো অবনী।ফোন দেওয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু ফোন বন্ধ করে ফেলেছে।এবার অন্তুকে উদ্দেশ্য করে বললাম
=কি বলেছিস অবনীকে?
=অনেক কিছু।ওর সাহস হয় কিভাবে তোর সাথে চিট করার?
আর সহ্য হচ্ছে না।জোরে একটা চিৎকার দিয়ে বসে পড়লাম।আর সবাইকে উদেশ্য করে বললাম
=কে তোদের বলেছে অবনী আমার সাথে চিট করেছে?
সবাই আবিরের দিকে ইশারা করলো।এবার আবিরকে বললাম
=তোকে কে বলেছে?
=আম্মু[যে আন্টি প্রথম ধরেছিলো উনিই আবিরে আম্মু]
=আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবি প্লিজ?আসার সময় আঙ্কেল আন্টি দুইজনেই একই কথা বললো।আমি কিছু বুঝতেছি না তো!
=অবনী তোকে ছেড়ে যায় নি?
=গেছিলো না একটু আগে গেলো কেননা তোরা তাকে বিনা কারণে বকেছিস।
=তাহলে যে আম্মু বললো তুই নাকি অনেক কষ্টে আছিস।রুমের দরজা বন্ধ করে স্যাডসং শুনছিস।
এতোক্ষণে সবকিছু ক্লিয়ার হইলো।তিনটা স্যাডসং শুনেছি তাই এতো কিছু।এদের মেন্টালিটি এমন কেন আল্লাহ?কষ্টে থাকলেই কি কষ্টের গান শুনতে হয়?
=আন্টিরা নাহয় বুঝতে পারেন নাই কিন্তু তোরা কিভাবে ভাবলি যে স্যাডসং শুনেছি বলেই আমি কষ্টে আছি?এই সামান্য কারণে তোরা আমার এতো বড় ক্ষতি করলি শালা।এখন আমি অবনীকে বোঝাবো কেমন করে?
=সরি দোস্ত।।বুঝি নাইরে।
=তবে এই ভুলের মধ্যে দিয়ে তোদের ভলোবাসার প্রমাণ পাইছি।ধন্যবাদ এতো বেশি ভালোবাসার জন্য।
ওকে থাক দেখি অবনীকে বোঝাতে পারি কিনা।
বাড়ি চলে আসলাম।এখনো অবনীর ফোন বন্ধ।কি করবো ভাবছি এমন সময় আব্বু ডাক দিলো।রুমে গিয়ে দেখি আম্মু কান্না করে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে।আব্বু আমাকে বসতে বললেন।আমি চেয়ার টেনে বসলাম।এখন আব্বু বলতে লাগলেন
=কি হয়ছে তোমার?
=কই আব্বু কিছু নাতো,কেন?
=কিছু হয় নাইতো মন খারাপ করে থাকছো কেন?দেখোতো তোমার জন্য তোমার আম্মু কান্না করে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছেন।জীবনে কিছু করো দেখবে মেয়ের অভাব হচ্ছে না।কিন্তু তুমি একজনের জন্য মন খারাপ করে বসে আছো।
=আব্বু কে বলছে এগুলো আপনাকে?
=তোমার আম্মুকে পাশের বাড়ির তোমার আন্টি বলেছেন।সেই থেকে তোমার আম্মু কান্না করেই চলেছে।আর যেন তোমার মন খারাপ না দেখি মনে থাকে যেন।
=আব্বু আমি মন খারাপ করে নেই।উনি ভুল বলেছেন?
=ঠিক আছে যাও আর যেন এমনটা না শুনি।
রুমে চলে আসলাম।তিনটা স্যাডসং আমাকে আজ কোথায় নিয়ে চলে আসছে।নিজের বাবা মায়ের কাছেও কালার হয়ে গেলাম।আমি নাকি একজন মেয়ের জন্য মন খারাপ করে আছি আর এই জন্য আম্মু কান্না করছে।
না আর কোন দিন স্যাডসং শুনবো না।এখনই একটা রোমান্টিক গান শুনবো যেন সবাই ভাবে আমি স্বাভাবিক হয়ে গেছি।
বক্সে লাইন দিয়ে ফুল ভলিউম দিলাম দিয়ে প্লে লিষ্টের প্রথম গানটা প্লে করলাম।গানের টাইটেল ছিলো আয়ুব বাচ্চু হিট সং।কিন্তু গানটা প্লে করার পরেই পাশের ঘর থেকে জোরে কান্নার শব্দ পেলাম।সাথে সাথেই আব্বুও রেগে ডাক দিলেন।কেননা গানটা ছিলো--
**মরিবো মরিবো দাওগো বিদায় সে যেন আসে না দেখতে আমায়**
#স্যাডসং
লেখা:রাসেল রায়হান
তো গান বাজাতে বাজাতে প্লে লিষ্টে সোহমের "বোঝেনা সে বোঝেনা" গানটা চলে আসলো।ভালোই লাগছিলো শুনতে তাই ভলিউম ফুল দিলাম।
গানটা শেষ হতেই পরের গানটা চালু হলো এটাও দেখি স্যাড সং।এভাবে পরপর তিনটা স্যাডসং আসলো।সবগুলোই ভালো লাগছিলো তাই শুনলাম।
গান শুনতে শুনতে ঘুম চলে আসলো তাই গান বন্ধ করে ঘুমিয়ে গেলাম।ঘুম থেকে উঠে দেখি বিকাল চারটা বাজে।
ফ্রেশ হয়ে বাজারে যাওয়ার জন্য বের হলাম।বাড়ি থেকে বের হতেই দেখি পাশের বাসার আন্টি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।আমাকে দেখে কাছে ডেকে বললেন
=বাবা ভাগ্য কারো হাতে থাকে না,ভাগ্যে যেটা আছে হবেই।এটা নিয়ে মন খারাপ করে থেকে কি হবে বলো ভাগ্যকে মেনে নিতে হয়।
আন্টির কথা যুক্তিযুক্ত তাই বললাম
=জ্বী আন্টি ঠিক বলেছেন।
=ঠিক আছে বাবা যেখানে যাচ্ছো যাও।আর মন খারাপ করে থেকো না।
এইবার আর বুঝলাম না কি হলো।আন্টি আমাকে এই কথা কেন বলছেন।আমি তো সেই আনন্দে আছি কিছুদিন থেকে কেননা নতুন গফ পাইছি।আনন্দের সীমা নাই আমার মধ্যে আর আন্টি বলছেন মন খারাপ করে না থাকতে।ওকে যাই হোক বাজারে যেতে হবে তাই বিদায় নিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম।
কিছুদূর গিয়েই দেখি সেই আন্টির স্বামী আসছেন।আমাকে দেখে কাছে ডাকলেন
=বাবা তোমার আন্টির কাছে শুনলাম অনেক কষ্টে আছো তুমি।আরে বাবা এগুলো নিয়ে মন খারাপ করলে হবে।এগুলো আসবে যাবে।তাই বলে তুমি মন খারাপ করে থাকবে।
=আঙ্কেল কি বলছেন এগুলো বুঝলাম নাতো?
=আঙ্কেল বলে লজ্জা পাচ্ছো জানিতো।এগুলো বিষয়ে লজ্জার কি আছে।যাই বাবা আর হ্যাঁ আর যেন মন খারাপ না দেখি।
আঙ্কেল চলে গেলেন আর আমি উনার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ভাবছি।কি হয়েছে আমার যেটা আমি জানি না।কেন আঙ্কেল আন্টি এগুলো বলছেন।কোন এঙ্গেলে আমার মন খারাপ লাগছে দেখতে হবে।তাই ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরা বের করলাম।সব এঙ্গেল থেকে নিজেকে দেখলাম।কিন্তু প্রতি এঙ্গেল থেকেই নতুন গফ পাওয়ায় প্রফুল্ল একজন ব্যক্তি মনে হচ্ছে।কিন্তু উনারা কোন এঙ্গেলে আমার মন খারাপ দেখলেন।ভাবার সময় নাই।বাজারে ফ্রেন্ডরা অপেক্ষা করছে।
আমাদের সময় কাটানোর জায়গায় আবির,অন্তু,রাজু,মিঠু আর নাহিদ বসে কিছু একটা পরিকল্পনা করছে মনে হলো।তো আমিও গেলাম ওখানে।আমাকে দেখেই আবির বলল
=কিরে দোস্ত এতো বড় একটা ঘটনা ঘটেছে আর তুই আমাদের কিছু জানাস নাই কেন?
=কই কি হয়ছে?
=আমাদের কাছে লুকাচ্ছিস?আমরা তোর বন্ধু না?
=বন্ধু হবি না কেন কিন্তু আমি কিছুই তো লুকাচ্ছি না।কি হয়ছে বলতো?
=কেন অবনী(আমার জানু মানে গার্লফ্রেন্ড)তোকে ছেড়ে চলে যায়নি?
=কি বলছিস এগুলো?
রাজু নিজের মধ্যে আরো বেশি জোশ নিয়ে বললো
=দোস্ত তুই শুধু বল কবে তুলে নিয়ে আসতে হবে।যেদিন বলবি সেদিনই তোর পায়ের কাছে এনে ফেলবো।ওর এতো বড় সাহস ও আমার বন্ধুর সাথে চিট করে।
সবকিছু মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।কিছু বুঝে উঠার আগেই ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো দেখলাম অবনী ফোন দিছে
=কিরে কি হয়ছে তোর(অবনী)
=কিছু নাতো কেন?আর তুই করে কেন বলছো জানু?
=রাখ তোর জানু।।কিছু হয় নাই তো কেন আমার নামে বদনাম ছরাচ্ছিস।আমি কি তোর সাথে চিট করেছি?
=নাতো এগুলো বলছো কেন?
=কেন জানিস না।বন্ধুদের বলেছিস আমি তোর সাথে চিট করেছি।তোর বন্ধু নাহিদ ফোন দিয়ে কতো বাজে বাজে কথা শুনালো আমাকে এবার তো খুশি হয়ছিস তাই না।ওকে দোষ না করেই কথা শুনালিতো এখন থাক একা বাই।আর কখনো যোগাযোগ করার চেষ্টা করবি না।
ফোনটা কেটে দিলো অবনী।ফোন দেওয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু ফোন বন্ধ করে ফেলেছে।এবার অন্তুকে উদ্দেশ্য করে বললাম
=কি বলেছিস অবনীকে?
=অনেক কিছু।ওর সাহস হয় কিভাবে তোর সাথে চিট করার?
আর সহ্য হচ্ছে না।জোরে একটা চিৎকার দিয়ে বসে পড়লাম।আর সবাইকে উদেশ্য করে বললাম
=কে তোদের বলেছে অবনী আমার সাথে চিট করেছে?
সবাই আবিরের দিকে ইশারা করলো।এবার আবিরকে বললাম
=তোকে কে বলেছে?
=আম্মু[যে আন্টি প্রথম ধরেছিলো উনিই আবিরে আম্মু]
=আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবি প্লিজ?আসার সময় আঙ্কেল আন্টি দুইজনেই একই কথা বললো।আমি কিছু বুঝতেছি না তো!
=অবনী তোকে ছেড়ে যায় নি?
=গেছিলো না একটু আগে গেলো কেননা তোরা তাকে বিনা কারণে বকেছিস।
=তাহলে যে আম্মু বললো তুই নাকি অনেক কষ্টে আছিস।রুমের দরজা বন্ধ করে স্যাডসং শুনছিস।
এতোক্ষণে সবকিছু ক্লিয়ার হইলো।তিনটা স্যাডসং শুনেছি তাই এতো কিছু।এদের মেন্টালিটি এমন কেন আল্লাহ?কষ্টে থাকলেই কি কষ্টের গান শুনতে হয়?
=আন্টিরা নাহয় বুঝতে পারেন নাই কিন্তু তোরা কিভাবে ভাবলি যে স্যাডসং শুনেছি বলেই আমি কষ্টে আছি?এই সামান্য কারণে তোরা আমার এতো বড় ক্ষতি করলি শালা।এখন আমি অবনীকে বোঝাবো কেমন করে?
=সরি দোস্ত।।বুঝি নাইরে।
=তবে এই ভুলের মধ্যে দিয়ে তোদের ভলোবাসার প্রমাণ পাইছি।ধন্যবাদ এতো বেশি ভালোবাসার জন্য।
ওকে থাক দেখি অবনীকে বোঝাতে পারি কিনা।
বাড়ি চলে আসলাম।এখনো অবনীর ফোন বন্ধ।কি করবো ভাবছি এমন সময় আব্বু ডাক দিলো।রুমে গিয়ে দেখি আম্মু কান্না করে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে।আব্বু আমাকে বসতে বললেন।আমি চেয়ার টেনে বসলাম।এখন আব্বু বলতে লাগলেন
=কি হয়ছে তোমার?
=কই আব্বু কিছু নাতো,কেন?
=কিছু হয় নাইতো মন খারাপ করে থাকছো কেন?দেখোতো তোমার জন্য তোমার আম্মু কান্না করে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছেন।জীবনে কিছু করো দেখবে মেয়ের অভাব হচ্ছে না।কিন্তু তুমি একজনের জন্য মন খারাপ করে বসে আছো।
=আব্বু কে বলছে এগুলো আপনাকে?
=তোমার আম্মুকে পাশের বাড়ির তোমার আন্টি বলেছেন।সেই থেকে তোমার আম্মু কান্না করেই চলেছে।আর যেন তোমার মন খারাপ না দেখি মনে থাকে যেন।
=আব্বু আমি মন খারাপ করে নেই।উনি ভুল বলেছেন?
=ঠিক আছে যাও আর যেন এমনটা না শুনি।
রুমে চলে আসলাম।তিনটা স্যাডসং আমাকে আজ কোথায় নিয়ে চলে আসছে।নিজের বাবা মায়ের কাছেও কালার হয়ে গেলাম।আমি নাকি একজন মেয়ের জন্য মন খারাপ করে আছি আর এই জন্য আম্মু কান্না করছে।
না আর কোন দিন স্যাডসং শুনবো না।এখনই একটা রোমান্টিক গান শুনবো যেন সবাই ভাবে আমি স্বাভাবিক হয়ে গেছি।
বক্সে লাইন দিয়ে ফুল ভলিউম দিলাম দিয়ে প্লে লিষ্টের প্রথম গানটা প্লে করলাম।গানের টাইটেল ছিলো আয়ুব বাচ্চু হিট সং।কিন্তু গানটা প্লে করার পরেই পাশের ঘর থেকে জোরে কান্নার শব্দ পেলাম।সাথে সাথেই আব্বুও রেগে ডাক দিলেন।কেননা গানটা ছিলো--
**মরিবো মরিবো দাওগো বিদায় সে যেন আসে না দেখতে আমায়**
#স্যাডসং
লেখা:রাসেল রায়হান