What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

খেজুরের পুষ্টি গুণ (1 Viewer)

Nirjonmela

Administrator
Staff member
Administrator
Joined
Mar 1, 2018
Threads
2,762
Messages
23,256
Credits
825,322
Pistol
Crown
Thread Title Style (One)
Profile Music
5RokqVP.jpg


খেজুর খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়। এর কারণ মাত্র তিন-চারটি খেজুর থেকে যে পরিমাণ এনার্জি পাওয়া যায় তা অন্য কোনো ফল থেকে পাওয়া যায় না। খেজুর খাওয়া স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারী। খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক যা স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারি। অসাধারণ পুষ্টিগুণে ভরপুর এই খেজুর আমাদের শারীরিক নানা সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। তাহলে আসুন জেনে নেই খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে-

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। খেজুরের মধ্যে রয়েছে জিয়াজেন্থিন ও লিউটিন নামক উপাদান যা ম্যাকুলার ও রেটিনার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর সহায়ক। তাই চোখের সমস্যায় ভোগা রোগীরা সচ্ছন্দে খেতে পারেন খেজুর।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের পরিপাক ক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

শক্তি বৃদ্ধি করে
খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকে বলে তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি পেতে সাহায্য করে। তাই শরীর দুর্বল লাগলে শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিতে পারেন।

সংক্রমন রোধ করে
খেজুরে প্রচুর মাত্রায় প্রাকৃতির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একাধিক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যকৃতের সংক্রমন, গলা ব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি, এবং ঠান্ডায় খেজুর উপকরী। খেজুর অ্যালকোহল জনিত বিষক্রিয়ায় বেশ উপকারী। ভেজানো খেজুর খেলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে।

আয়রনের চমৎকার উৎস
খেজুর আয়রন সমৃদ্ধ ফল যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাদের খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখা প্রয়োজন। এটি শরীরের প্রতিদিনের আয়রনের চাহিদার ১১ ভাগ পূরণ করে। আয়রন রক্তস্বল্পতার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। তাই খেজুর অ্যানিমিয়ার মতো রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়
খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে অধিক পরিমাণ পটাশিয়াম এবং কম পরিমাণ সোডিয়াম। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উপকারী। এটি মস্তিষ্কের স্নায়বিক কার্যক্রম ভালো রাখে। অধিক পরিমাণ পটাশিয়াম স্ট্রোকের আশঙ্কা প্রতিরোধ করে।

হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে
খেজুরে সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। হাড় শক্ত রাখে এবং হাড়ের ক্ষয়ও রোধ করে। এছাড়াও নিয়মিত খেজুরে খেলে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়।

ওজন বাড়ায়
যাদের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হারে কমে যেতে শুরু করেছে, তারা খেজুর খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ এই ফলটিতে উপস্থিত ক্যালরি শরীরে ভাঙন রোধ করে ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

শীতে উষ্ণতা প্রদান করে
খেজুর ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, ভিটামিন ও ম্যাগনেসিয়ামের চমৎকার উৎস। এটি শরীরকে উষ্ণ থাকতে সাহায্য করে বলে শীতের সময়ে খেজুর খাওয়া ভাল।

এ ছাড়া স্মৃতিশক্তি সতেজ রাখে খেজুর। খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে ফসফরাস। এটি মস্তিষ্কের জন্য ভালো। পটাশিয়াম থাকায় হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই আমাদের উচিত শুধুমাত্র রোজার মাস ছাড়াও সারা বছরে নিয়মিত খেজুর খাওয়া। তবে দিনে তিন থেকে চারটি খেজুরের বেশি খাবেন না কারন খেজুরে প্রচুর ক্যালরি থাকে যা আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top